যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি জানুন

যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি জানুন। আপনার স্কিলকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে আয় একমাত্র মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। বর্তমানে এই পেশাকে অনেকে সময় নষ্ট না করে চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম এবং ফুল টাইম হিসাবে নিচ্ছে। নিচে বিস্তারিত জানুন।

আপনার স্কিল অর্জন করার ক্ষেত্রে বেশ শতর্ক থাকতে হবে।কেননা আপনি যে স্কিলটা নিয়ে কাজ করবেন, সেই কাজের চাহিদা যদি কম থাকে তাহলে ভালো পরিমাণ আয় করা আপনার কঠিন হয়ে যাবে।যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো জানতে নিচে পড়ুন।

 পোস্ট সূচীপত্রঃ

Top 5 High Demanding Freelancing work

আপনি যদি সময় নিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলো ভিজিট করেন তাহলে দেখতে পারবেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। যে কাজগুলো রয়েছে সেসব কাজের চাহিদা এক না।কিছু কিছু কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে এবং সামনে আরো চাহিদা বাড়বে। তাই আমরা পরিচয় করিয়ে দিব যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি এবং ১-২ টা সেক্টর চয়েস করে আপনি আপনার ফ্রিলান্সিং সেক্টরের জার্নি কনফিডেন্স সাথে শুরু করতে পারেন। যে সেক্টর গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো আপনাদের সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ডিজিটাল মার্কেটিং

যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি তারমধ্য ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম। ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে যে কোনো ধরনের প্রডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং কাম্পেইন পরিচালনা হলো ডিজিটাল মিডিয়া বা ডিজিটাল মার্কেটিং। সহজ ভাবে বলতে গেলে অনলাইনে আপনার প্রডাক্টগুলোর বিজ্ঞাপন প্রসার করা।  আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন প্লাটফর্ম পাবেন। যেমন- 

  • Youtube
  • Facebook 
  • Tiktok
  • Instagram 

এসব হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্লাটফর্ম। যা আপনার প্রডাক্টের প্রচার করে আয় করাতে সহযোগিতা করবে। আপনি আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন। এসব ব্যবসার প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়। উপরে উল্লেখিত সব কিছুই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত।  তাহলে বোঝা গেলো ডিজিটাল মার্কেটিং কি!আপনি যে কোনো ধরনের বিজনেস

স্মার্টলি দ্রুত সবার কাছে পৌছাতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই। আপনি হয়ত মনে করছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। আপনি অন্যর কাজ করে দিয়েও আয় করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি, Upwork,SEO Expert দের প্রফাইল

দেখেন তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে,তারা প্রতি ঘন্টায় কত ডলার ইনকাম করে থাকে। তারা ঘন্টায় প্রায় ৮০০-১০০ ডলারের উপরে কাজ করে থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন এর চাহিদা কেমন।

আরো পড়ুনঃ যেভাবে প্রতিদিন অতি সহজেই ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম  করবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আপনি যেই সেক্টরেই জাবেন না কেন সেই সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ দেখতে পারবেন। সহজ কথায়, আপনার কাছে যদি ম্যানিব্যাগ থেকে থাকে তাহলে দেখবেন।সেখানে আপনার যে কার্ড আছে এবং অন্যদের যে কার্ড আছে সেগুলো সব গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ।


আপনি দুটি সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পাবেন অনলাইন এবং অফলাইন যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যে কোনো কোম্পানির গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। কেননা প্রতিটা কোম্পানি তাদের প্রচারেরজন্য পোস্টার, ব্যনার ডিজাইন করতে হয় আর এগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তৈরী করে।মার্কেটপ্লেসে  গ্রাফিক্স  ডিজাইনারে প্রচুর  চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স 

ডিজাইনারদেরমার্কেটপ্লেসে কাজের অফার বেশি।এই কাজগুলো অফলাই এবং অনলাই দুভাবেই করতে পারবেন। আপনি যদি এনালাইসিস করেন তাহলে দেখতে পারবেন প্রতি ঘন্টায় হাজার হাজার পরিমান কাজ পাবলিস্ট হচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি গ্রাফিক্স ডিজাইনার আছে তারা প্রতি ঘন্টায় ৫০-১০০ ডলার আয় করতেছে।আর কোনো গ্রাফিক্স ডিজাইনার যদি কোম্পানির

আন্ডারে কাজ করে তাহলে তার বেতন ৪০ থেকে প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে।অনেক ডিজাইনার ছোটো ছোটো কাজ শিখেই সেই সব ডিজাইন বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত বিল আসায় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগের নিয়ম।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 

যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি তারমধ্য আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টে নিয়ে কাজ করতে পারেন। দিন দিন ইন্টারনেট আর টেকনোলজির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে ওয়বসাইট  তৈরী করে ইনকাম করার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। অনেক মানুষ ওয়েবসাইট বানিয়ে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। এটা বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট হতে পারে যেমন:

  • ব্লগ ওয়েবসাইট 
  • শপিং ওয়েবসাইট
  • সোসাল মিডিয়া ওয়েবসাইট
  • কোম্পানির ওয়েবসাইট
  • নিজের ব্যবসার ওয়েবসাইট  ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে। একমাত্র ওয়েব ডেভেলপাররাই মাসে ২-৩ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও ইনকাম করতে পারে। কেননা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চায় ছোটো  হোক আর বড় হোক নিজের ওয়েবসাইট রাখার। যাতে মানুষ তাদের ওয়েবসাইটে দেখে তার কোম্পানির  কার্যক্রম দেখে ধারণা  নিতে পারে। আর যদি 

আপনি মনে করে থাকেন যে চাকুরী করবেন তাহলে। যে কোনো কোম্পানি একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপারের বেতন সর্বনিন্ম ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত নির্ধারণ করে এবং সাথে আপনি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো পাবেনই।

ওয়েবসাইট আপনি দু'ভাবে তৈরী করতে পারবেন 

  • কোডিং করে
  • ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করে

তবে আপনার কোডিং করে অনেকটা ঝামেলা মনে হতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেসে ঝামেলা যেহেতু কম তাই এটি শিখতে আপনার বেশি সময় লাগবে না। তবে যখন শুরু করবেন কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে তবে প্রাকটিস করলে দেখবেন অনেক সহজে করতে পারবেন।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট 

যে ৫টি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেশি তারমধ্য মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে অ্যান্ডয়েড মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর স্বর্ণযুগ চলছে। প্রোগ্রামিং নিয়ে যদি আপনি অনেক আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন। আপনি  যদি  অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখেন  তাহলে আপনার নিজের বানানো

অ্যাপ থেকে Google Admob এর মাধ্যমে আশা করি  আপনি ইনকাম করতে পারবেন।কেননা দিন দিন মোবাইল ব্যবহারি সংখা বাড়ছে দিন দিন কমছে না।বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অ্যাপ ডেভেলপার এর চাহিদা দিন দিন প্রচুর পরিমানে বাড়ছে। তাই যদি আপনি প্রফেশনার একজন অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে ইন্টান্যাশনাল মার্কেটে আপনার চাকুরীর 

সুযোগ হবে।বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন রয়েছে। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেই সবাই কাজ করে থাকে। কেননা প্রায় সবাই কোনো না কোনো অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেই। তাই ছোটো বড় প্রায় সব কোম্পানিগুলো তাদের সার্ভিস কে কাস্টমারের কাছে পৌছে দিতে অ্যাপ তৈরী করছে।আপনি একবার ব্যাংকের কথা চিন্তা করুন, দেশের প্রায় সব ব্যাংকের 

মোবাইল অ্যাপ রয়েছে এবং প্রায় সব কাজ অ্যাপ থেকে করা যায়। তাই বলতে পারি, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই আপনি যদি প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না।

গেইম ডেভেলপমেন্ট 

বর্তমানে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহার কারির সংখ্যা দিন দিন দ্রুত হাড়ে বাড়ছে। এবং ভিডিও গেমের চাহিদা তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে গেম খেলে না এমন মানুষ পাওয়া জাবে না বললেই চলে। ছোটো বড় প্রায় সকলেই এই গেমের সাথে সম্পৃক্ত। কেউ অনেক বেশি পরিমাণে খেলে আবার  কেউ কম পরিমাণে। তবে প্রায় সবাই খেলে। গেমের প্রতি


দূর্বলতা প্রায় মানুষেরই আছে। গেমের প্রতি মানুষের বেশি পরিমাণ চাহিদা আছে বলেই ব্যাপকহারে গেম ডেভেলপমেন্টেরচাহিদাও বাড়ছে।দেশের বিশ্লেষকরা গবেষনা করে বলছেন, ২০২৭ সাল নাগাদ বৈশিক গেমিং প্রবৃদ্ধি পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় ১২-১৩ শতাংশে বেরে প্রায় ২০ হাজার ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে গেমারদের সংখ্যা

২০২৩ সালে প্রায় ৬.৩ শতাংশ বেরে প্রায় ৩৩০ কোটি ছাড়িয়ে জাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মোবাইল গেমস এর বাজার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। সুতরাং আপনি অবশ্য বুঝতে পারছেন যে গেইম এর চাহিদা কেমন বাড়ছে। তাই আপনি ক্যারিয়ার হিসাবে গেইম ডেভেলপমেন্ট নিতে পারেন।  এখনই সঠিক সময় আপনার জন্য।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আশাকরি উপরোক্ত আর্টিকেল পরে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মার্কেটপ্লেসের কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে আপনি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। উপরের সবগুলো কাজ আপনাকে শিখতে হবে এমনটা নয়। এই কাজগুলোর ভিতরে যে কাজটার প্রতি আপনার বেশি আগ্রহ সেই কাজটার প্রতি সময় দিন স্কিল ভালো করুন।তাহলে আপনি দেখবেন একটা সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তাই সময় নষ্ট না করে স্কিল গঠন করে কাজ করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url