যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক পুষ্টিগুণ পাবেন

আপনি কি শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অধিক পুষ্টিগুণ পেতে চান? তাহলে যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক পুষ্টিগুণ পাবেন সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। শাকসবজিতে যে পুষ্টিগুণ পাবেন সেটা মাছ,মাংসতে পাবেন না। নিচে বিস্তারিত জানুন।


আপনি কি শরীরের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে যদি দূরে থাকতে চান ,তাহলে আপনাকে খেতে হবে  বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধি জাতীয় খাবার। আর এসব খাবার শুধুমাত্র শাকসবজিতেই পাওয়া যায়। প্রতিদিন মাছ মাংসের সাথে খাবারের  তালিকায় শাকসবজি  রাখতে পারেন। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন জানতে পড়ুন

যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন

যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় সেগুলো প্রতিটি মানুষের জেনে রাখা প্রয়োজন। অনেক সময় এমন হতে পারে যে, খাবারের তালিকাতে প্রতিদিনই শাকসবজি খাচ্ছেন, কিন্তু কোনো পুুষ্টি পাচ্ছেন না। এর কারণ কি হতে পারে? হ্যাঁ কারণ আছে, আপনাকে মনে রাখতে হবে,শুধু শাকসবজি খেলেই হবে না, আপনার খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার 

জন্য খাবার কাটা এবং রান্নার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বিষয়ে আপনি যদি খেয়াল না রাখেন তাহলে সবজি খেলেও উপকার পাবেন না। তাহলে  প্রিয়  পাঠকগণ চলুন জেনে নেওয়া যাক, যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন। নিচে বিস্তারত দেখুন।

সবজি কাটার পরে ধোয়া যাবে না

যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন তার প্রথম ধাপ হচ্ছে সবজি কাটার আগে বা খোসা ছাড়ানোর আগে সবজিটি ভালো করে ধুয়ে নিবেন। তাহলে দেখবেন যে, সবজিতে লেখে থাকা ধুলা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার ফলে পাশাপাশি সবজিতে বৃদ্ধি পাবে ওয়াটার সল্যুবল ভিটামিনের ক্ষমতা।  তাই আপনি  যদি খোসা  ছাড়ানোর পরে ধুয়ে ফেলেন 

তাহলে কিন্তু সবজি ধোয়ার সাথে সাথে ভিটামিনও চলে জাবে। তাই আমাদের এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেন সব কাটার পরে আমরা নাই ধুয়ে থাকি। সবজি কাটার পরে যদি আমরা ধুয়ে থাকি তাহলে কিন্তু কোনো উপকারে আসবে না। তাই সবজি আপনি যখন পরিষ্কার করবেন, কাটার আগেই পরিষ্কার করবেন।  তাহলে কি হবে সবজির পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন আরো জানতে নিচে পড়ুন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপরিতা

সবজি ধারালো ছুরি বা বটি দিয়ে কাটবেন

গ্রাম-গঞ্জ বা শহরে অনেক পরিবাবর গুলোতেই বটি বা ছুরি অনেকটা ভোঁতা টাইপের হয়ে থাকে। ধার থাকে না বললেই চলে। আর এই ভোঁতা বটি দিয়েই দিনের পর দিন পার করে দেয়। যা সবজির জন্য মোটেও শুভকর নয়। এতে কি হতে পারে জানেন কি?  আপনি সঠিকভাবে সবজি কাটতে পারবেন না।এবং সবজিতে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান গুলো সেটা চলে 

জাবে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেজন্য আপনি সব সময়চেষ্টা করবেন ধারালো বটি বা ছুরি দিয়ে সবজি কাটতে তাহলে কি হবে, আপনার সবজির পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।  সেই সাথে সবজিতে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকেসেগুলোরসংখ্যবৃদ্ধি পাবে না। এরপর আপনার যদি সবজি কাটা হয়ে জায় তাহলে সুন্দর করে  বটি ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখে দিবেন।না হলে সেখানে  

আবার ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে। তাই সবজি কাটার ক্ষেত্রে সাবধানতা বজায় রাখা জরুরী। নিয়ম কানুন মেনে চললে সবজিতে পুষ্টির গুণাগুণ থাকবে। তাই সবজি কাটার ক্ষেত্রে আমাদের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

সবজির খোসাতেও পুষ্টিগুণ থাকে

যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো  সবজির খোসা না ছারানো। কখনো শসা বা আলুর খোসা ছাড়াবেন না। রান্না করার সময় এগুলো সহকারে রান্না করুন। এসব সবজিতে আপনি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই সবজিগুলো যদি আপনি খোসাসহ রান্না করেন কতটা উপকার পাবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা উপকারী। আপনি যদি নিতান্তই খোসা ছাড়াতে চান তাহলে কি করবেন, আপনি খোসাটা পাতলা করে ছাড়াবেন তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে। তাহলে বোঝা গেলো সবজির খোসার উপকারিতা এবং পুষ্টি গুণাগুণ।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন জানুন

যেভাবে সবজি কাটবেন

যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সবজি কাটার দিকে নজর দিতে হবে। সবজি সব সময় বড় করে কাটবেন ছোটো করে কাটবেন না কখনও। তাহলে কি হবে জানেন, সবজির আদ্রতা কমে জাবে। সেই সাথে কমে জাবে সবজির পুষ্টিগুণ। তাই সবজি কাটার বিষয়ে আপনাকে এই বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।সবজি সব সময় 

আপনি মোটা মোটা টুকরো করে কাটবেন। তাহলে কি হবে, সবজিতে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা অটুট থাকবে। তার ফলে সবজিতে থাকা পুষ্টিগুণ আপনি শতভাগ পাবেন। তাই শবজি কাটার সময় বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রাখবেন।কেননা যদি পুষ্টিগুণই না পাই তাহলে শুধু শুধু সবজি কেনো খাবো তাই না। তাই সব সময় সবজি কাটার বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

যতটা পারেন সবজি কাঁচা খাবেন

শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে এনজাইম থাকে যা হজমে সহায়তা করে থাকে। তাই সবজি সব সময় যতটা পারেন কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সবজি যদি বেশি রান্না করা হয় তাহলে সবজিতে থাকা এনজাইম নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া আপনি যদি কাঁচা শাকসবজি খান তাহলে বেশি পুষ্টিগুণ পাবেন।তাই সব সময় চেষ্টা করবেনযেনো সবজিগুলো কাঁচা খাওয়া যায় সেই সবজিগুলো সেদ্ধ করে না খাওয়াই ভালো আপনার জন্য।

সবজিগুলো সালাত হিসাবে খাওয়ার জন্য।নিচের যে সবজিগুলো সালাত হিসাবে খেতে পারেন
-গাজর
  • শসা
  • লেটুস
  • মুলা
  • পুদিনা পাতা
  • পেঁপে
  • থানকুনি
  • টমেটো
  • ধনে পাতা
  • বিট
  • ক্যাসিকাম

এগুলো আপনি সালাত হিসাবে খেতে পারেন। এগুলো তে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই সেদ্ধ না করে সব সময় চেষ্টা করবেন যে সালাত হিসাবে খাওয়ার। কারণ সালাত হিসাবে খেলে এসব সকল শাকসবজির গুণাগুণ অক্ষুণ্য থাকবে। তাই আমাদের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।যেভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক  পুষ্টিগুণ পাবেন আরো জানতে নিচে পড়ুন।

তাজা ফল ও শাকসবজি সংগ্রহ

শাকসবজি ফলমূল যখন তাদের কান্ড বা মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই শাকসবজিগুলো তাদের পুষ্টিগুণ হারায়। বিচ্ছিন্ন শাকসবজি যতদিন জাবে তত দিনই তাদের পুষ্টিগুণের উৎসগুলো হারাবে। আপনারা হয়ত জানেন না, শাকসবজি ধোয়া,পরিবহন, কাটাকাটি এবং পরিবেশন করতে করতেই শাকসবজি তে তার  ভিটামিন এবং  মিনারেল  ১৫ শতাংশ পর্যন্ত 

কমে যায়।তাই আমাদের সর্বাধিক পুষ্টি উপাদান পেতে হলে যত দ্রুত সম্ভব খেয়ে ফেলা উচিত।আমাদের ফলমূল, শাকসবজি কেনার সময় লক্ষ্য করতে হবে যে, শাকসবজি গুলো থেঁতলানো বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে পাঠকগন।

আরো পড়ুনঃ তোকমা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতাসমূহ জানুন

অল্প আঁচে রান্না

অল্প আঁচে স্বল্প সময়ে রান্না করতে হবে। গবেষণায় জানা যায় যে,তাপ, পানি, অক্সিজেনের প্রভাবে শাকসবজি অনেকটা গুণগত পরিবর্তন দেখা যায়। অধিক পরিমাণ তাপের ফলে শাকসবজিতে যে পরিমান ভিটামিন,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকে অতি প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো ভেঙ্গে ফেলে দেয়। তাই আমাদের শাকসবজি রান্নাতে সময় অল্প দেওয়াই উত্তম।

কেনার সময় সবজি আলাদা রাখা

আমরা যখন বাজারে জাই, তখন সাধারণত মাছ,মাংস,শাকসবজিগুলো একটা ব্যাগের ভিতরেই রাখি। এবং এক সঙ্গে এনে থাকি এটা মোটেও ঠিক না। ভিন্ন ভাবে আলাদা করে আনতে হবে প্যাকেট করে। তাহলে কি হবে সবগুলো এক সাথে স্পর্শ পাবে না। এক সাথে রাখলে হয় কি,দ্রুত রোগ জীবানু ছড়িয়ে পরে। তাই আমাদের এ বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।  শাকসবজি কেনার বিষয়ে সব সময় সাবধানতা অনলম্বন করবেন।

শাকসবজি খেলে কি উপকার হয় 

শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে উপকারীতা রয়েছে। নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার ফলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।এছাড়াও শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যে পুষ্টি উপাদানগুলো প্রয়োজন, সেগুলো শাকসবজি থেকে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।তাই শাকসবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। শাকসবজি খেলে কি উপকার হয়,তার প্রধান উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হল। 

শরীরে পুষ্টি সরবরাহঃ শাকসবজিতে অধিক পনিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং আঁশ থাকায় আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের পুষ্টির চাহিদার ঘাটতিগুলো পূরণ করে থাকে। এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কে সুস্থ রাখে। তাই প্রতিনিয়ত পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য শাকসবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ শাকসবজি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি প্রদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

হজমে সাহায্য করেঃ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে,যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা গুলো দূর করবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ শাকসবজিতে থাকা কম ক্যালরি এবং যে উচ্চ মানের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, সেগুলো আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। 

হৃদরোগ প্রতিরোধঃ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পরাশিয়াম এবং  অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আপনাদের রোগের ঝুকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকাগুলো জেনে নিন

প্রতিদিন কত গ্রাম সবজি খাওয়া উচিত 

শাকসবজি খাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একমাত্র শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমেই শরীর স্বাস্থ্যের পুষ্টি চাহিদাগুলো পূরণ হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ঘরে কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম শাকসবজি খাওয়া উচিত তবে আপনি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যোগ করতে পারেন । উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, পাতা শাক, সবুজ শাক, লাল-শাক, রঙ্গিন শাক ইত্যাদি।

শাকসবজি বেশি খাওয়া উচিত কেন 

আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের পুষ্টি উপাদান গুলো চাহিদা পূরণ করতে শাকসবজি ভূমিকা পালন করে। সেজন্য শাকসবজি বেশি খাওয়া উচিত। শাকসবজি বেশি খাওয়ার পরে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যে উপকারিতা গুলো হয় সেগুলো হলো। 

  • পুষ্টির ঘাটতিগুলো পূরণ হয় 
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় 
  • শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে 
  • হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে 

যদি রান্না করে খান তবে অর্ধসিদ্ধ করে খান

শাকসবজি যত রান্না করবেন তত তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। কেননা শাকসবজিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং গুণাগুণ অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়, যদি আপনি বেশি রান্না করে খান। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন অল্প পরিমাণ রান্না করার বা অল্প সেদ্ধ করে রান্না করার। রান্নাতে সব সময় অল্প পরিমাণ পানি দিবেন।তাহলে কি হবে শাকসবজির ভিটামিন


এবং মিনারেল ভালো থাকবে।আরেকটি বিষয় সব সময় মাথায় রাখবেন, আপনি যদি শাকসবজি রান্না করেন যেভাবেই করেননা কেনো, দ্বিতীয় বার গরম করলে তার পুষ্টিগুণ পাবেন না। তাই আমাদের বিষয়টি নজরে রাখতে হবে পাঠকগণ।

শাকসবজির বিষয়ে মানুষের সচেনতা বাড়ছে

জনগণের মাঝে শাকসবজি খাওয়ার বিষয়ে ব্যাপক সচেনতা বেড়েছে। কিভাবে শাকসবজি খেলে পুষ্টিগুণ পাওয়া জাবে সে বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়তেছে দিন দিন। আমরা ভুল প্রক্রিয়া জাত করণ,সংরক্ষণ এবং রান্নার জন্য প্রতিনিয়তই শাকসবজি থেকে যে পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাবো সেগুলো থেকে দূরে  সরে জাচ্ছি। ফলে শাকসবজি  আমাদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে 

পারছে না। তাই আমাদের সবাই কে জানতে হবে, কিভাবে শাকসবজি খেলে আমরা পুষ্টিগুণ পাবো। আমাদের আরো সচেতনতা বাড়াতে হবে শাকসবজির পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে। 

তাৎক্ষণিক রান্না এবং সংরক্ষণে খেয়াল রাখবেন

অনেক মানুষের অভ্যাস আছে যে,শাকসবজি আগে কাটবে তারপরে ধুবে। এটা কিন্তু ভুল, এটা করা জাবে না।কারণ এভাবে ধুলে সব পুষ্টিগুণ চলে যায়। আবার অনেক মানুষ আছেন, শাকসবজি কেটে ফ্রীজে রেখে দেয় অন্য সময় ব্যবহারের জন্য। এটাও ঠিক না ভুল। আপনি যদি শাকসবজি কেটে রেখে দেন তাহলে কি হবে, সেই সবজির পুষ্টিগুণ এবং গুণগত মান কমে জাবে।

স্বাদের জন্য পুষ্টি বাদ 

স্বাদের জন্য পুষ্টি বাদ এমনটা করা জাবে না। আমরা খাবারকে সুস্বাদু করার জন্য খাবারের রান্নাতে প্রচুর পরিমাণে তেল, মশলা ব্যবহার করে থাকি। এতে কি হয় স্বাদের পরিমাণ টা বেশি হয় কিন্তু তাতে লাভ কি, কিন্তু পুষ্টিগুণ তো আর থাকে না। অনেক পরিমাণ তেল,মসলা মারলে রান্নার পুষ্টিগুণ কমে যায়। সেটা আমাদের বুঝতে হবে বন্ধুগণ।তাই তেল,মশলার পরিমাণ কমিয়ে একবারে রান্না চড়িয়ে দিন এবং ঢেকে দিন। তাহলে কি হবে, স্বাদ হয়তো কম পাবেন তবে পুষ্টিগুণ ভরপুর পাবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠনগণ, আশা করি উপরোক্ত আলোচনা কিভাবে শাকসবজি খেলে অধিক পুষ্টিগুণ পাওয়া জাবে সেটা বুঝাতে পেরেছি। আপনার খাবারের তালিকার দিকে সব সময় নজর রাখবেন শাকসবজি আছে কিনা। শুধু দেখলেই হবে না এর গুণগত মান রক্ষা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শুধু মাছ মাংস নয় এর পাশাপাশি শাকসবজির 

ভূমিকা অপরিসীম।শাকসবজি তে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাবেন অন্য কোনো কিছুতে এমন পাবরন না। একজন মানুষে সঠিক পুষ্টিগুণ চাহিদা পূরণের জন্য অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে। শাকসবজির বিকল্প নাই। তবে শুধু খেলেই হবে পুষ্টিগত মান রক্ষা করেই খেতে হবে।  বিভিন্ন কারণে শাকসবজির গুণগত মান নষ্ট হয় তাই এগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। আমার ওয়োবসাইটের সাথেই থাকুন নিত্য নতুন তথ্য জানুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url