কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ জানুন
কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ,কাঁঠালের অপকারিতা,কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টকেলটি আপনার জন্য। মানবদেহের জন্য যেসব উপাদান রয়েছে, তার সবকিছুই রয়েছে কাঁঠালে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক..
পোস্ট সূচীপত্রঃ পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে ক্লিক করুন
- কাঁঠাল কি
- কাঁঠালের জাতগুলো কি কি
- কাঁঠালের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
- কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম-কানুন
- কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- কাঁঠালের অপকারিতা
- লেখকের শেষ কথা
কাঁঠাল কি
কাঁঠালের ইংরেজী নাম Jackfruit এ বৈজ্ঞানিক নাম হলো Artocarpus. আর্টোকার্পাস গোত্রের ফল মূলত কাঁঠাল। দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম ঘাট এবং মালয়েশিয়ার রেইন ফরেস্টে মুলত কাঁঠালের আদি বাসস্থান বা উৎপত্তিস্থল। কাঁঠাল ছোটো বড় অনেক প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে কাঁঠাল দেখে বোঝার কোনো উপায় থাকে না ফলটি পাকা নাকি কাঁচা।কাঁঠাল অনেক সুস্বাদু
প্রকৃতির হয়। কাঁঠালের সুগন্ধ যে কোনো মানুষকে আকৃষ্ট করে।পাকা কাঠাল মূলত গ্রীষ্ম এবং বর্ষার মৌসুমে পাওয়া যায়। কাঁঠাল খেতে সুস্বাদু বলে এই ফলটির প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তাও রয়েছে। কাঁঠালের অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে নিচে কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক পুষ্টিগুণ পাবেন।
কাঁঠালের জাতগুলো কি কি
বাংলাদেশে কাঁঠালের বিভিন্ন জাত রয়েছে এবং সচারচর যেগুলো পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে হলো, গালা বা গলা,খাজা,রস খাজা এবং অনেক জাতের মধ্যে আমাদের দেশে হাজারী জাতও পাওয়া যায়। নিচে কাঁঠালের জাতগুলো কি কি জেনে নিন।
খাজা জাত কাঁঠাল- খাজা জাতের কাঠালের কোষ অনেক বড় প্রকৃতির হয়। অনেকটা শক্তও হয় এবং কচকচে রসালো প্রকৃতির হয়। খাজা জাতের কাঁঠালগুলো মূলত হালকা হলুদ,পানসে স্বাদের হয়। খাজা কাঁঠাল হজম একটু দেরিতে হয় বলে অনেক মানুষ এই জাতের কাঁঠাল পছন্দ করে থাকেন না। কচকচেস্বাদের জন্য আবার অনেক মানুষ খাজা জাতের কাঁঠাল পছন্দ করেন। যখন খাজা জাতের কাঠাল পাকে তখন কাঁঠালের রং সবুজ থাকে এবং কাটাগুলো অনেকটা বড় হয়ে থাকে।
গালা বা গলা জাত কাঁঠাল- বাংলাদেশে গালা জাত কাঁঠাল রসালো, মিষ্টি এবং নরম হয়। তবে গলা জাত কাঁঠাল মাঝে মধ্যে টক-মিষ্টির স্বাদও পাওয়া যায়। গালা জাত কাঁঠালের কোষগুলো ছোটো প্রকৃতির হয়। কাটাগুলো চেপ্টা প্রকৃতির হয়। কাঁঠাল পাকার পর কাঁঠালের রং হলুদ এবং লালচে প্রকৃতির হয। এবং কাঠালের কোষগুলো নরম হওয়াতে সহজেই পৃথক করা যায়। কাঁঠালের জাতগুলো তো চিনলেন এখন কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন।
কাঁঠালের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
কাঁঠাল শুধু সহজলভ্য আর সুস্বাদুই নয়,কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে। কাঁঠাল একটি মৌসুমি ফল। তাই এর যেমন চাহিদা ঠিক তেমনি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।কাঁঠালে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে-
- থায়ামিন
- ক্যালসিয়াম
- পটাশিয়াম
- আয়রন
- সোডিয়াম
- রিবোফ্লাভিন
- জিঙ্ক
- নায়ারিন এবং আরো বিভিন্ন প্রকার উপাদান।
এছাড়া কাঁঠালে আরো প্রচুর পরিমাণে রযেছে-
- আমিষ
- ভিটামিন সি
- শর্করা
পাকা কাঁঠালে রযেছে ভিটামিন-সি।
- পাকা কাঁঠালে- ২১ মি.গ্রাম
- কাঁচা কাঠালে- ১৪ মি. গ্রাম
- কাঁঠালের বীজে - ১১ মি.গ্রাম
পাকা কাঠালে রয়েছে শ্বেতসার।
- পাকা কাঁঠালে- ০.১ গ্রাম
- কাঁচা কাঁঠালে-০.৩ গ্রাম
- কাঁঠালের বীজে ০.৪ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়।
কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম-কানুনগুলো
কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। কাঁঠাল সাধারণত দুই অবস্থায় খাওয়া যায় কাঁচা অবস্থায় এবং পাকা অবস্থায়। কাঁচা অবস্থায় তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। এবং কাঁঠালের বিচি ভেজেও খাওয়া যায় আবার তরকারিতে দিয়েও খাওযা যায়। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণে ভরপুর রয়েছে।
নিচে কাঁঠাল খাওয়ার কিছু নিয়ম কানুন বিশ্লেষণ করছি বন্ধুগণ
- কাঁঠাল কাঁচা হোক আর পাকা হোক কাঠালে প্রচুর পরিমানে আঠা রয়েছে। তাই কাঁঠাল ভাঙ্গার সময় হাতে তেল মেখে নিতে হবে।
- কাঁঠাল খালি পেটে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা কখন কাঠাল খাবো সেটা বলছি, কাঠাল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালের নাস্তার পরে এবং দুপুরের লান্সের আগে।
- আপনি যদি কাঁঠাল খেতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত যে খাবার খেয়ে থাকেন তার চেয়ে একটু কম খাবেন তার পরিবর্তে কাঁঠাল খেতে পারেন।
- আপনি চাইলে কাঁঠালের জুস খাইতে পারবেন
- কাঁঠাল সব সময় সঠিক সময়ে খেতে হবে এবং পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ক ঠিক না।
কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁঠাল কোলেস্টেরলমুক্ত
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন-৬ রয়েছে। উপকারী এই ভিটামিন ছাড়াও কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোরি পাওয়া যায়। যা শরীর সাস্থ্যর জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। তবে কাঁঠালে কোনো কোলেস্টেরল নেই। তাই কাঁঠাল শুধু পুষ্টিগুণে নয় প্রয়োজনীয়ও বটে। তাই আমাদের পরিমাণ মত দৈনিক কাঁঠাল খাওয়া উচিত।
কাঁঠালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
বর্তমান সময়ে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেন্জ হযে দাড়িয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর। আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে পারে একমাত্র কাঁঠাল। কেননা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এবং কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে দ্রুত রোগ পরিরোধ ক্ষমতা বেরে যায়। কাঁঠাল টিউমার এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কাজ করে। বন্ধুগণ কাঁঠাল আমাদের মৌসুমি ফল তাই নিয়মিত কাঁঠাল খাবো।
দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে
প্রতিটি মানুষের জন্য চোখ একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই চোখের যত্ন নেওয়াটা ভীষণ জরুরী। কেননা আমাদের অযত্ন আর অবহেলার কারণে কমতে পারে আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি। তাই বন্ধুগণ আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত কাঁঠাল খাবেন। কারণ কাঁঠাল ফলে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, প্রোটিন এবং বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি।চোখকে ভালো রাখার জন্য এসব উপাদান অপরিহার্য।
কাঁঠাল হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
প্রতিটি মানুষের শরীর সাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য হজম শক্তি ভালো থাকাটা জরুরী। কেননা হজমের যদি সমস্যা হয় তাহলে তার প্রতিক্রিয়া ঘটে শরীরে। কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁঠাল হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। তাই আমরা নিয়মিত কাঁঠাল খাবো।
কাঁঠাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য জীবন থেকে কিছু খাবার যোগ বিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার খাবারের তালিকাতে রাখতে পারেন কাঁঠাল। কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে।যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যারেন্স রাখে। যার ফলে হার্ট এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই কাঁঠালের বিকল্প নাই পাঠকগণ।
কাঁঠাল ত্বক উজ্জল করে
আপনি যদি আপনার ত্বক উজ্জল করতে চান, তাহলে শুধু বাহির থেকে নয় বরং খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকেও। আপনি যদি নিয়মিত কাঁঠাল খান তাহলে ত্বকে উজ্জলতা দেখা দিবে। কেননা এই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়।
পাইলস এবং ক্যান্সার দূরে রাখে
যারা পাইলসের রোগী আসলে তারাই বোঝেন যন্ত্রণাটা কেমন। আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র কাঁঠাল। নিয়মিত কাঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পাইলস বাড়তে পারে না।এছাড়া কাঁঠাল খাওয়ার মাধ্যমে কোলন ক্যান্সানের মত মরণঘাতী রোগের ভয়ও কমে।
হারের ক্ষয়রোধে কাঁঠাল
হাড়ের ক্ষয়রোধে আপনাকে বাহির থেকে দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও আসলে ভেতরে আপনি একেবারে জীর্ণ হযে জাবেন। হাড় ক্ষয় এটা একটা ভয়ানক অসুস্থতা। হাড় ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাঁঠাল রাখতে হবে। কারণ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে আর এই ক্যালসিয়াম যক্ত খাবার আপনার হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্যে করবে।
কাঁঠাল বয়সের ছাপ দূর করে
কাঁঠার বয়স ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁঠাল আপনার মুখের বলিরেখা পড়তে দিবে না।শরীরের ত্বককে উজ্জল করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ সৃষ্টিকারী মুক্ত উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করে কাঁঠাল। কাঁঠার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাঁঠাল লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়
রক্তশল্পতা দেখা দেয় মূলত রক্তকণিকার অভাবে। শুধুমাত্র এই রোগটির জন্য হতে পারে আরো রোগ। সুমিষ্টি কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন। আর এই আয়রন লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল ওজন কমায়
আমরা জানি কাঠালে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণ খেয়ে থাকেন ওজন বাড়ার কোনো শঙ্কা নেই। বরং আপনি যদি নিয়মমিত কাঁঠাল খেয়ে থাকেন ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
গর্ভবতী মায়ের সাস্থ্য সুরক্ষায় কাঁঠাল
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় , কাঁঠাল গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ উপকারী ফল। কাঁঠাল খেলে শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে এবং গর্ভবতী সন্তানের বৃদ্ধিও স্বাভাবিক হয়ে থাকে। তাই আমাদের কাঁঠাল খাওয়ার বিকল্প নাই।
কাঁঠাল দাঁতের মাড়ির শক্তি বৃদ্ধিতে
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রযেছে। আপনারা জানেন যে,প্রাকৃতিক ভাবে মানবদেহে সাধারণত ভিটামিন সি তৈরী হয় না। বিভিন্ন প্রকার শাকশবজি, ফল মূল খাওয়ার মাধ্যমে এই ঘাটতিগুলো পূরণ হয়ে থাকে। কাঁঠাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং কাঁঠালে ভিটামিন সি থাকায় দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে।
কাঁঠাল মায়ের দুগ্ধ বৃদ্ধিতে
কাঁঠাল মুলত নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই যদি কোনো দুগ্ধদানকারী মা কাঁঠাল খায় তাহলে দুধের পরিমান বৃদ্ধি পায়।
হাঁপানী তাড়াতে
কাঁঠালের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আর এই স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝেও যাদের এ্যাজমা রয়েছে তারা, এ্যাজমা প্রতিরোধে কাঁঠালে শিকর বিশেষ উপকারী। হাঁপানী রোগের জন্য কাঁঠালের শিকর ছেঁচে পানিটা ফুটিয়ে এই পানি রোগীকে খাওয়ালে হাঁপানীর জন্য উপকারী হয়।
রক্ত-সল্পতা
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান এবং আয়রন থাকে। যা দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালের অপকারিতা
আমরা উপরে জেনেছি কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম। কাঁঠালের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। কাঁঠাল যে সব সমস্যা হতে পারে পাঠকগণ সেগুলো নিচে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে-
গ্যাস্টিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে
যেকোনো জিনিসই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। সব কিছুরই প্রতিক্রিয়া থাকে তেমনি কাঁঠালেরও আছে। আপনি যদি পরিমাণ মত কাঁঠাল খান তাহলে গ্যাস্টিক হবে না আর যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ কাঁঠাল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাঁঠাল ডায়বেটিকস রোগীর জন্য ক্ষতিকর
আপনাদের ডায়াবেটিকস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবশ্যই জানা আছে সবার। তাই যারা ডায়বেটিকস আক্রান্ত রোগী তারা কাঁঠাল খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে। কেননা কাঁঠালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কাঁঠালে অনেক বেমি রয়েছে। কাঁঠাল খেলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পায়।
কাঁঠালে এলার্জি হতে পারে
অতিরিক্ত পরিমাণ কাঁঠাল খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। কারণ কাঁঠালে থাকে পোলেন এবং ল্যাটেক্স। কাঁঠাল খেলে অনেকের শরীরে এলার্জি হতে পারে বলে ওয়েবমেড জানিয়েছে। তাই শরীরে এলার্জির দেখা দেখা দিলেই খাবার তারিকা থেকে কাঁঠাল বাদ দিতে হবে।
সার্জারির পর কাঁঠালে সর্তকতা
আপনার সার্জারির পরে যদি অতিরিক্ত কাঁঠাল খান তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে সব সময সতর্ক থাকতে হবে। সার্জারির পরে রোগীখকে যেসব ঔষুধ দেওয়া হযে থাকে যদি আপনি কাঁঠাল খান তাহলে বিক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন সার্জারির আগে এবং পরে।
কাঁঠাল খেলে বদ-হজম হতে পারে
কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে আমেশ থাকে। আপনারা জানেন কাঁঠাল একটি গুরুপাক ফল। কাঁঠাল হজম করতে একটু বেশি পরিমান সময় লাগে কেননা কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে আমিষ থাকে। তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণ কাঁঠাল খান তাহলে বদ-হজম হতে পারে।
দিনে যে পরিমান কাঁঠাল খেতে পারবেন
যে কোনো সুস্থ ব্যক্তির জন্য কাঁঠালের পরিমাণ দিনে ৩ থেকে ৪ কোয়া খাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আপনার যদি ডায়বেটিকস এর মত ভয়াবহ রোগ থাকে তাহলে কাঁঠাল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কাঁঠাল খাওয়ার পরে যে ফলগুলো খেলে ক্ষতি হতে পারে
আপনারা জানেন কাঁঠালে ক্ষতির চেয়ে উপকারিতাই বেশি।কিন্তু আপনি কাঁঠাল খাওয়ার পরে যেসব ফল খেলে আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেগুলো নিচে দেখে নেই-
- পেপে
- দুধ
- পান
- ঢেঁড়শ
পেঁপেতে এলার্জি থাকে তাই কাঁঠাল খাওয়ার পরে পেপে খাওযা ঠিক না। কাঁঠাল খাওয়ার পরে দুধ খাবেন না কারণ পেটে ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে একদমই পান খাওয়া ঠিক না। কাঁঠাল খাওয়ার পরে ঢেঁড়শ খাইলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনায় মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,কাঁঠালের ১৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ , কাঁঠালের অপকারিতা, কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। কাঁঠাল বাংলাদেশের একটি মৌসুমি ফল। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ঔষুধি গুন রয়েছে। মানব দেহের জন্য প্রায় সব উপাদান কাঁঠালে রয়েছে। ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, আয়রন,রিবোফ্লাভিন ইত্যাদি।
আশা করি আপনারা মৌসুমি ফল কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ভাবে ধারণা বা বুঝতে পেরেছেন। বিভিন্ন ধরণের ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমার ওয়বসাইটের আর্টিকেলগুলো পড়ুন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url