গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা, একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য লিচু খাওয়া কতটা নিরাপদ, গর্ভাবস্থায় লিচুর পুষ্টিগুণ কি। লিচুর উপকারিতা যেমন তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত লিচু খেলে কি হতে পারে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত বলবো।
পোস্ট সূচীপত্রঃ লিচুর উপকারিতাগুলো জানতে পড়ুন
- গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার অপকারিতা
- লিচুর পুষ্টিগুণ
- লিচু খেলে আলসার দূর হয়
- লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
- লিচু হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- গর্ভবতী মা যেসব খাবার খাবেন
- লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে কি ক্ষতি হয়
- গর্ভাবস্থায় বেশি লিচু খাওয়া যাবে কি
- বুকের দুধ খাওয়ানো মা কি লিচু খেতে পারবে
- দিনে কতগুলো লিচু খাওয়া যাবে
- লেখকের শেষ কথা
লিচু নিয়ে কিছু কথা
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা অসীম।লিচু একটা মৌসুমি ফল এবং অনেক সুস্বাদু। লিচু ফলকে গ্রীষ্মকালীন ফল বলে বিবেচনা করা হয়। কেননা এই ফলটি একমাত্র গ্রীষ্মকালেই পাওয়া যায়। মানুষ এই গরম কালে প্রশান্তি পেতে লিচুর প্রতি একটু বেশিই আকৃষ্ট হয়। তাছাড়া গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে লিচু খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জানতে পড়ুন।
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। পৃথিবীর যে কোনো নারীর জন্যই গর্ভকালীন সময়টা স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নারীদের শরীরে আরেকটি প্রাণ বেরে ওঠে যা নারীরা সহজেই অনুভব করতে পারে।গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত আর সেক্ষেত্র লিচু কতটা নিরাপদ? এবং লিচু খেলে বাচ্চার কতটা ক্ষতি হতে পারে?
নারীরা যখন গর্ভবতী হয় ,তখন নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেমন কোষ্ঠ্যকাঠিন্য,বমি বমি ভাব ইত্যাদি। লিচুতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে আর এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। লিচু ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করে। হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। শরীরেন ওজনের পরিমান কমায়।
- লিচু খেলে পেটের সমস্যা সংক্রান্ত দূর হয়।
- গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে রুচি বাড়ে।
- গর্ভাবস্থায় লিচু কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।
- গর্ভাবস্থা লিচু খেলে হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- লিচু গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
- লিচু খেলে ওজন কমে।
- লিচু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাই একজন গর্ভবতী মা যদি লিচু খায় তাহলে পেটের সমস্যা অনেকটা দূর হবে এবং হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। লিচু খেলে পেটের সমস্যাগুলোও দূর হবে। এছাড়া লিচু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। হার্টের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। লিচু আলসারের মত গুরুত্বপূর্ণ রোগও দূর করে থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা যেমন তেমনি খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনের তুলনায় যেন অতিরিক্ত না খাওয়া হয়।
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার অপকারিতা
আপনারা জানেন যে গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। গর্ভকালীন সময়ে কোনো গর্ভবতী মা যদি অতিরিক্ত পরিমানে লিচু খায় তাহলে মায়ের পাশাপাশি বাচ্চারও ক্ষতি হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে নিজের এবং বাচ্চার সঠিক যত্ন নিতে হবে। অতিরিক্ত লিচু খাওয়া গর্ভাবস্থায় কতটা নিরাপদ?
গবেষণায় জানা গেছে কোনো গর্ভবতী মা যদি লিচুর অতিরিক্ত পরিমান লিচু খায় তাহলে পেটের বাচ্চার মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে এমনি বাচ্চার মৃত্যুও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লিচু খাওয়া শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে পেটের সমস্যা হতে পারে। শরীর অনেক পরিমাণে ঘামতে পারে এবং
যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে-
- মৃত বাচ্চার জন্ম হতে পারে
- প্রচুর পরিমাণে শরীরে ঘাম হওয়া
- পানি শূণ্যতার দেখা দিতে পারে
- ডায়বেটিস এর সমস্যা হতে পারে
- পেটে সমস্যা হতে পারে
- ডায়রিয়া হতে পারে
- মাথা ব্যাথা হতে পারে
- বমি বমি ভাব হতে পারে
তাই গর্ভাবস্থা কোনো মায়ের অতিরিক্ত লিচু খাওয়া ঠিক না। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত লিচুতে মাথাব্যথা,প্রচুর ঘাম ঝরা,পেটে সমস্যা ইত্যাদি। আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লিচু খেতে পারেন। এর বেশি খেলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। লিচু তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে। গর্ভাস্থায় এ ফলটি মায়ের পাশাপাশি বাচ্চার জন্য বিশেষ উপকারী।
আরো পড়ুনঃ পাকা কলার ২০ টি উপকারিতা- পাকা কলার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
লিচুর পুষ্টিগুণ
আমরা কিন্তু উপরে লক্ষ্য করলাম লিচুর উপকারিতা এবং অপকারিতা। তবে গর্ভকালীন সময় ছাড়া গ্রীষ্মকালীন ফল লিচু খাওয়ার উপকারিতা কি কি এবং লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানবো। এক দুই লাইনে বলে আসলে শেষ করা যায়না। লিচুর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে । পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি,নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।
প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
লিচুর পুষ্টি | উপাদান |
---|---|
শর্করা | ১৩.৬ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১০ মিলিগ্রাম |
লৌহ | ০.৭ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৩১ মিলিগ্রাম |
শক্তি | ৬৬ কিলোক্যালোরি |
চিনি | ১৫.৩০ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.৪৪ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৮৩ গ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ১০ মিঃগ্রাঃ |
ফসফরাস | ৩১ মিঃগ্রাঃ |
পটাশিয়াম | ১৭১ মিঃগ্রাঃ |
ভিটামিন বি৬ | ০.০১ মিঃগ্রাম |
পানি | ৮১.৮ গ্রাম |
জিংক | ০.০৭ গ্রাম |
সোডিয়াম | ১ মিঃগ্রাঃ |
গ্রীষ্মকালীন ফল লিচুতে প্রচুর পরিমাণে উপরোক্ত পুষ্টিগুণ গুলো থাকে। গ্রীষ্মকালীন ফল লিচু সুস্বাদু এবং এর পাশাপাশি হাজারো খনিজ উপাদানে ভরপুর।
লিচু খেলে আলসার দূর হয়
গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা ,আমরা জানি আলসার একটি গুরুতর রোগ। এই রোগে পেটে প্রচুর পরিমানে জ্বালা পোড়া করে থাকে। দীর্ঘদিন গ্যাস্টিকে ভুগলে সাধারণত এই রোগটা দেখা দেয়। আলসার থেকে রক্ষা পেতে লিচুর খাওয়ার বিকল্প নাই। কেননা লিচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। যা আলসার দূরীকরণে সহায়তা করে। আলসার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে লিচুর বিকল্প নেই।
লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
গ্রীষ্মকালীন ফল লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। শরীর দূর্বল থাকলে যা খাবার দ্রুত হজম করায় এবং দূর্বলতাকে কাটিয়ে তোলে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে লিচুর বিপল্প নাই। প্রতিদিন ৫/৬ টা লিচু খাবেন তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
লিচু ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই সুন্দর হতে চায়। কেননা সমাজের অসুন্দর মানুষকে সবাই ভিন্ন চোখে দেখে। লিচুঅনেক মানুষ নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকে। আপনি যদি সৌন্দর্য কে প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর করে তুলতে চান তাহলে লিচু খাওয়া শুরু করতে হবে।লিচু ত্বক এবং
শরীরের জন্য কার্যকারী।লিচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন আছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন লিচু খাওয়ার বিকল্প নাই।
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়- দ.কোরিয়া লটারি আবেদন
লিচু হার্টের কার্য-ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মানব শরীরের সবচেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হার্ট। হার্টের কাজ হলো শরীরের দূষিত পদার্থ কে বর্জ্য পদার্থে পরিবর্তন করা। তাই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যদি অচল হয়ে যায় মৃত্যেু অনিবার্য। হার্টকে সুস্থ রাখতে হলে যত্ন নিতে হবে। কিভাবে যত্ন নিবেন সেটা বলছি।হার্টের যত্ন নিতে হলে প্রচুর পরিমানে লিচু খেতে হবে কেননা লিচুতে অনেক পরিমাণে
পটাশিয়াম থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখতে পারে। হার্টের কার্যক্ষমতা যত বৃদ্ধি পাবে আপনি নিজেকে ততটা সুস্থ ভাবতে পারেন। লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আর হজম শক্তি ভালো হলে হার্ট ভালো থাকে।
আরো পড়ুনঃ মেথির আশ্চর্যজনক ১০ টি স্বাস্থ্যগুণ- মেথি খাওয়ার নিয়ম
গর্ভবতী মা যেসব খাবার খাবেন
গর্ভবতী মায়ের খাবার সম্পর্কে জানতে হলে নিচে লক্ষ্য করতে হবে। প্রতিটি মা গর্ভকালীন সময়ে তার সন্তান কে অনুভব করতে পারে। তাই এই গর্ভকালীন সময়টাতে মায়ের শরীরের পাশাপাশি বাচ্চার শরীরের যত্ন নিতে খাবার মেনুসমূহ।
- সবুজ শাকসবজি
- দুধ
- ডিম
- লালশাক
- মুরগীর মাংস
- কমলা
- গাজর
- শুকনা বাদাম
- ছোটো মাছ
- পেয়ারা
- ড্রাগন ফল
- সামদ্রিক মাছ
একজন মায়ের গর্ভাবস্থায় উপরোক্ত বিষয় গুলো নিয়মিত খেতে হবে। যে খাবার গুলো গর্ভবতী মা এবং বাচ্চার জন্য অনেক উপকারী। মাংসে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে এবং দুধে থাকে ক্যালসিয়াম। শাকসবজি তে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ থাকে। তাই এগুলো প্রচুর পরিমানে খেতে হবে।
লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
লিচুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কি খেতে হবে? প্রচুর পরিমানে লিচু খেতে হবে। লিচু খেলে রোগ বালাই এর পরিমাণ কম হয়। লিচু খেলে বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়।এজন্য বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণে লিচু খাওয়াবেন। প্রিয় পাঠকগণ লিচুর পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের জ্ঞান রাখেন না।। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে কি ক্ষতিগুলো হয় সেগুলো নিচে দেয়া হলো।
- গর্ভাবস্থায় আপনার জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে
- গর্ভাবস্থায় আপনার শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে
- গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে
- প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে সমস্যা হলেও দেখা দিতে পারে
তাই অবস্থায় চেষ্টা করবেন সবসময় পরিমাণ মতো লিচু খাওয়ার। দিনে তিন-চারটি লিচু আপনার জন্য নিরাপদ হতে পারে তবে এর বেশি নয়।গর্ভাবস্থায় লিচু কার খেতে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থায় বেশি লিচু খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় কখনো বেশি লিচু খাওয়ার উচিত নয়। কেননা আপনি যদি বেশি পরিমাণ লিচু খান। তবে আপনার শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস এবং রক্তক্ষরণের ঝুঁকির সম্ভাবনাও থাকে। তাই যতটা সম্ভব গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি দুই তিনটা লিচুর উপরে না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বুকের দুধ খাওয়ানো মা কি লিচু খেতে পারবে
বুকের দুধ খাওয়ানো মা লিচু খেতে পারবেন এটা কোন সমস্যা নেই। তবে অবশ্যই পরিমাণ মতো লিচু খেতে হবে প্রয়োজনে তুলনায় কখনোই অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদান মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া উচিত নয় কেননা তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য মায়ের সমস্যা হতে পারে। লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
দিনে কতগুলো লিচু খাওয়া যাবে
একজন মানুষের শরীরের অবস্থা বয়স এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা অনুযায়ী লিচু খাবার ভিন্নতা থাকে। তবে দিনে দশ বারোটি লিচু খাওয়ার নিরাপদ বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। তবে আপনার গঠন ভেদে এর ভিন্নতা হতে পারে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ লিচু খান, তাহলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, এমনকি ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনায় বোঝা গেলো যে, গর্ভবতী মায়ের লিচু খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। শুধু গর্ভবতী মা না উভয় বয়সের মানুষের জন্য লিচু উপকারী। তাই লিচু খাওয়ার বিকল্প নাই। আমরা প্রতিটি মানুষ লিচু খেতে ভালোবাসি। কেননা লিচু ফলটা হলো মৌসুম কালীন ফল তাই সব মাসে পাওয়াও যায় না।বতাই আমরা মৌসুমেই ফলগুলো খাবো এবং শরীর সাস্থ্য সুস্থ রাখবো। কেননা লিচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ফাইবা, আয়রন ইত্যাদি রয়েছে যা শররীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url