ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়

ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই কিভাবে কম খরচে ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাবেন, এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জেনে নিতে পারেন। 
ইউরোপ যাওয়া প্রতিটি মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কিংবা নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য, আমরা অনেকেই ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চায়। তাহলে চলুন যেনে নেওয়া যাক ইউরোপের ৭টি দেশে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে। 

পেজ সূচীপত্রঃ ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাবেন জানুন

ইউরোপ সম্পর্কে কিছু কথা

ইউরোপের কয়েকটি দেশে সহজে ভিসা পাওয়া যায়। আপনি যদি ইউরোপের দেশগুলো ভ্রমণ করতে চান, তাহলে শেনজেন ভিসা এপ্লাই করতে পারবেন। ডেনমার্ক,ফ্রান্স, গ্রীস, হাঙ্গেরি,বেলজিয়াম, আইসল্যান্ড, ইতালি, লিথুনিয়া, মাল্টা, নরওয়ে, পোল্যান্ড, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইত্যাদি আপনি এ ভিসার মাধ্যমে ইউরোপীয় 

২৬ টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস।অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে ৯০ দিন যা আপনার ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করার জন্য। আপনারা হয়তো জানেন না, ইউরোপের দেশগুলোর ভিতরে সবগুলো দেশ কিন্তু উন্নত নয়। তাই ইউরোপের এমন কিছু দেশ আছে, যে দেশের ভিসা হলেও আপনাদের যাওয়া উচিত নয়। আজকে আমরা আলোচনা করব 

ইউরোপের যে দেশগুলো উন্নত এবং অতি সহজে ভিসা দিয়া থাকে। ইউরোপের সেই দেশগুলো নিয়ে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় 

আপনারা যারা ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন তাদের ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী। বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপ যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে চাচ্ছেন। তারা খুব সহজেই নিচের এই দেশগুলোর ভিসা পেয়ে যাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক   ইউরোপের যে  দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়..

সুইজারল্যান্ড 

সুইজারল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপের মধ্যভাগে অবস্থিত একটি দেশ। সুইজারল্যান্ড ইউরোপের সুন্দরতম একটি দেশ। সুইজারল্যান্ড ইউরোপের ছোট একটি দেশ। সুইজারল্যান্ডকে ইউরোপের হৃদপিণ্ড বলা হয়ে থাকে। সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণে অবস্থিত ইতালি এবং উত্তরে জার্মানি পশ্চিমে ফ্রান্স এবং পূর্বে অস্ট্রেলিয়া অবস্থিত।বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপের সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য

বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে না। বর্তমানে ইউরোপীয় দেশ সুইজারল্যান্ডের ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে বসেই সুইজারল্যান্ড এর ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। সুইজারল্যান্ডে আসলে আপনাকে হয়তো টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে হবে।বর্তমানে এই ধরনের ভিসা গুলো একটু হলেই অ্যাপ্রভাল পাওয়া যায়। 

লিথুনিয়া 

ইউরোপের উত্তর পূর্বে অবস্থিত একটু দেশ লিথুনিয়া। সুইডেনের বিপরীত তীরে অবস্থিত লিথুনিয়া। লিথুনিয়াতে শিক্ষার হার পর্যাপ্ত ৯৯%। প্রিয় পাঠক সবথেকে স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা বেশি লিখুনীয়াতে। আমাদের দেশের অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট টাকার অভাবে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে পড়াশোনার জন্য যেতে পারেন না। লিথুনিয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় 

অনেক কম অন্যান্য দেশের তুলনায় তাই অল্প খরচে লিথুনিয়ার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন পড়াশোনা করতে পারেন। লিথুনিয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান অনেক উন্নত।

পর্তুগাল

পর্তুগাল দেশটি ইউরোপের দক্ষিণের শেষের দিকে অবস্থিত। ইউরোপীয় দেশ পর্তুগাল কে সাগরকন্যা বলেও ডাকা হয় কারণ দেশটি আটলান্টিক মহাসাগরের পাশে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দীর্ঘতম ঝুলন্ত ব্রিজ পর্তুগালে অবস্থিত। পর্তুগাল সবুজ শ্যামলে ঘেরা একটি দেশ।পর্তুগালে আসার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো চাকরির ভিসা নিয়ে। পর্তুগালে বিষয়ে আসলে 
সফলতা পাওয়ার চান্সটা একটু বেশি থাকে। বাংলাদেশ থেকেই পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ILTS থাকতে হবে।     

ফ্রান্স 

ফ্রান্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় লোকবহুল পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত। ফ্রান্সের নামটা মাথায় আসলে আমাদের যে বিষয়টা মনে পড়ে সেটা হল ফুটবল খেলা। বিশেষ করে পৃথিবীর সেরা ফুটবলার জিনেদিন জিদানের কথা। অসাধারণ নিদর্শন ফ্রান্সের প্যারিস শহরের চিত্র।ফ্রান্সেই অবস্থিত সেই বিখ্যাত সেই আইফেল টাওয়ার।শিল্প এবং সাহিত্যের জন্য ফ্রান্স বিখ্যাত এবং 

অন্যতম একটি দেশ। ফ্রান্সে চাকরির ভিসা পাওয়া দুষ্কর। আপনি যদি ফ্রান্সের চাকরির ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে এটা নিছক বোকামি। কেননা চাকরির ভিসা পাওয়ার জন্য অ্যাপ্রুভাল পাওয়া টা খুব কঠিন। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন তাদের ILTS করা থাকে।  কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের মানুষ নিচে  ফ্রান্সের ভিসা পেতে পারেন। তবে অনেক কঠিন। 

  • পারিবারিক ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা 
  • ব্যবসা ভিসা
  • পর্যটন ভিসা

লিশটেনস্টাইন 

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটোতম দেশ হচ্ছে লিশটেনস্টাইন। তবে লিশটেনস্টাইন দেশটি ছবির মত দেখতে সুন্দর।সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে লিশটেনস্টাইন দেশটির অবস্থান। প্রাকৃতিক সোন্দর্যে ঘেরা এই দেশটি। লিশটেনস্টাইন দৃষ্টির আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটার।  বাংলাদেশের যে কোন একটা জেলার আয়তনের চেয়েও কম। এবং জনসংখ্যার পরিমাণ খুবই কম। এই দেশটিতে অন্য দেশেরও মানুষ আছে।

লাটভিয়া

উত্তর ইউরোপের দেশ লাটভিয়া ছোটো একটি দেশ। লাটভিয়া দেশটি বাল্টিক সাগরের পূর্বে অবস্থিত। এবং এই দেশটির আয়তন প্রায় বাংলাদেশের অর্ধেকেরও কম। জব ভিসা নিয়ে আপনি লাটভিয়া তে যেতে পারবেন। ইতিমধ্য অনেক বাংলাদেশী লাটভিয়া তে আছেন। সহজে ইউরোপ ভ্রমণের জন্য এটি একটি উপায় হতে পারে। 

মাল্টা

মাল্টা দেশটি ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রচুর পরিমাণ দিয়ে থাকেন। এবং এর সাথে তো স্টুডেন্ট ভিসা আছেই। আপনারা খুব সহজেই ভিসা নিয়ে মাল্টাতে আসতে পারবেন এবং বসবাস করতে পারবেন। মাল্টা মূলত একটি দ্বীপতম দেশ। মাল্টাতে সাতটি দ্বীপ রয়েছে। এই দেশটি ইউরোপ মহাদেশের ভিতরে অবস্থিত। ইউরোপ ভ্রমণের জন্য এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে। 

ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 

Vfsglobal ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে যাচাই করতে পারেন। আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর নিজদেশ সিলেক্ট করে, আপনি ইউরোপের যে দেশে যেতে চান, সেটি সিলেক্ট করবেন এবং সার্চ এ ক্লিক করলেই জানতে পারবেন, ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগবে। আমরা সাধারণত বিদেশে গেলে দালালের হাত ধরেই বেশিরভাগ মানুষ গিয়ে থাকি।
এতে আমাদের অনেক টাকা এবং সময় নষ্ট হয়। এসব কারণে অনেক সময় আমরা বিদেশে গিয়ে পৌঁছাতে পারিনা। সাধারণত এক এক দেশের ভিসার দাম একেক রকম হয়ে থাকে। দেশের দাম কমতে পারতে বা কম বেশি হতে পারে। মানুষ এক এক সময় এক এক ধরনের কথা বলে। যেমন অমুক দেশে যেতে এত টাকা লাগে, তমক দেশে যেতে এত টাকা লাগে

ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই আপনি নিজেই অনলাইন থেকে আপনি চেক করে নিতে পারবেন, কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য - ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন  যে, কিভাবে অতি সহজেই ইউরোপের যে ৭টি দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় এবং ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে। কোন দেশগুলোতে যাওয়া উচিত নয় এবং কম খরচে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে সহজে  যাওয়া যায়। আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে  পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url