ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - ইলিশ মাছ চেনার সহজ উপায়
ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - ইলিশ মাছ চেনার সহজ উপায় এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। ইলিশ মাছ শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও রয়েছে ভরপুর। বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।
ইলিশ বাঙালিদের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। ইলিশ মাছ ভালো লাগে না এমন মানুষ আসলে পাওয়া কঠিন। ইলিশে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। সব কিছুরই ভালো দিক এবং খাবার দিক রয়েছে, তেমনি ইলিশ মাছেরও। ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - ইলিশ মাছ চেনার সহজ উপায় জানতে আপনাকে নিচে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা - ইলিশ মাছ চেনার সহজ উপায় জানতে পড়ুন
- ইলিশ নিয়ে কিছু কথা
- যেভাবে ইলিশ মাছ চিনবেন
- ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ
- ইলিম মাছের বৈশিষ্ট্য
- ইলিশ মাছের উপকারিতাগুলো
- ইলিশ মাছের অপকারিতাগুলো
- ইলিশ মাছ খাওয়ার নিয়ম
- ইলিশ মাছ রোগ প্রতিরোধ করে
- যেভাবে ইলিশের বিরিয়ানি করবেন
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ইলিশ নিয়ে কিছু কথা
কিভাবে আপনি ইলিশ মাছ চিনবেন ইলিশ মাছের উপকারিতা এবং অপকারিতা কি, ইলিশের বৈশিষ্ট্য ইলিশ মাছ কত ধরনের আমরা সবই এই পোস্টের ভিতরে আপনারা জানতে পারবেন। ইলিশ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার আর এই ইলিশ সম্পর্কে আমরা যদি কিছু না জানতে পারি তাহলে কেমন হয়ে যায় না? ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ইলিশ মাছ চেনার সহজ উপায় ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ কীভাবে শাকসবজি খেলে আপনি অধিক পুষ্টিগুণ পাবেন
যেভাবে ইলিশ মাছ চিনবেন
সাধারণত ইলিশ মাছ প্রায় মানুষই খেয়ে থাকবেন তবে কয়জনই বা এই ইলিশ মাছ চিনে থাকি। শুধু বছরের পর বছর খেয়েই যাই। তাই আপনারা যদি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে ইলিশ মাছ চেনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কষ্ট করে একটু আর্টিকেলটি ধর্য্য নিয়ে পড়বেন। তাই দেরি না করে ইলিশ মাছ কিভাবে চিনবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করছি। আমাদের আশে পাশেবাজারগুলোতে ইলিশ মাছের মত বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখতে পাবেন। বিশেষ করে সামদ্রিক মাছগুলো। সামদ্রিক এই মাছের মধ্যে রয়েছে সার্ডিন,চন্দনা এগুলো দেখতে মূলত ইলিশ মাছের মত মনে হবে,তবে এগুলো কিন্তু ইলিশ না। এ মাছ গুলোর স্বাদ ইলিশ মাছের মত হবে না।আপনি যদি কখনো ইলিশ মাছ খেয়ে থাকেন তাহলে
সহজেই বুঝতে পারবেন যে এটা ইলিশ মাছ না।ইলিশ মাছের স্বাদ অতুলনীয় বলেই। ইলিশ মাছকে আমাদের দেশে জাতীয় মাছ বলে। কোনো বড় বড় উৎসবে যেন ইলিশ মাছ ছাড়া চলেই না।ইলিশ মাছের যে গন্ধটা থাকে সেটাই আপনাকে বলে দিবে ইলিশের বৈশিষ্ট্য।আপনি যেটা অন্য কোনো মাছের ভিতরে পাবেন না। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে,সামদ্রিক সার্ডিন
আর চন্দনা থেকে ইলিশের সাইজটা বড় হয়ে থাকে।ইলিশের চেয়ে চন্দনা ছোটো হয়ে থাকে। অপর দিকে ইলিশ লম্বাতে বড় হয়ে থাকে।তাহলে তফাৎটা কোথায অবশ্যই আপনি বুঝতে পেরেছেন। আপনি আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন ইলিশ মাছের পেট এবং পিঠ উভয় দিকই কিন্ত বাঁকানো হয়ে থাকে। ইলিশ মাছের প্রকৃত গন্ধটা পেতে হলে আপনাকে নাকের কাছে
নিতে হবে তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন। ইলিম মাছ খুব সহজেই চেনা যায়কেননা এর গন্ধটা আঁশঠে প্রকৃতির হয়। ইলিশ মাছের পাখনা ঝল ঝলে প্রকৃতির হয়। তাই ইলিম মাছ না চেনার কোনো অফশন থাকে না।আপনারা জানেন যে, ইলিশ মাছ যত বড় ধরনের হবে তত স্বাদের পরিমাণটা বাড়ে। তাই সব সময় লক্ষ্য করবেন ডিম ছাড়া ইলিশ মাছ কিনতে।
কেননা ডিম ছাড়া ইলিশ মাছেরস্বাদের পরিমাণটা বেশি পাবেন। ইলিশ মাছের রং এ আপনি ভিন্নতা পাবেন। ইলিশের রং সাধারণত ফ্যাকাসে ধরনের হয।হিমায়িত করা ইলিশের রং অনুজ্জল প্রকৃতির হয়।খেয়াল রাখবেন টাটকা ইলিশ শক্ত প্রকৃতির হয়। টাটকা ইলিশ যদি আপনি হাত দ্বারা উঁচু করে ধরেন দেখবেন আকার পরিবর্তন হবে না।আর যদি আপনি বাশি ইলিশ
দেখেন, তাহলে পেটের কাছে ধরলে মাথা, লেজ নষ্কেটিগুণ ঝুলে থাকবে। টাটকা ইলিশের রংটা দেখবেন সব সময় লাল রঙের হয়। অন্যদিকে হিমায়িত করা বাশিইলিশগুলো কান হবে বাদামি বা কালচে ধরনের। তাই বিষযগুলো খেয়াল রাখবেন বন্ধুগন। টাটকা ইলিশের চোখগুলো স্বচ্ছ আর উজ্জল ধরনের হয়।আর হিময়িত ইলিশের চোখ ভিতরে ঢুকে যায়।আরেকটি
বিষয় দেখবেন, নদীতে যে ইলিশ পাওয়া যায় তারচেয়ে সাগরের ইলিশ বেশি চকচক করে।আর আপনি মাছের মাঝ বরাবর একটা লাল রঙ দেখতে পাবেন। নদীর ইলিশের ঘার মোটা হয়। আর সাগরের ইলিশ লম্বা,চোখ বড় প্রকৃতির এবং কালচে ধরনের হয়। ইলিশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা জানা যেমন জরুরী তেমনি ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানাও জরুরী।
আরো পড়ুনঃ পাকা কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা
ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ
ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শরীরের জন্য বিশেষ উপকারি। একজন মানুষের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান দরকার যা ইলিশ মাছের ভিতরে রয়েছে। ইলিশ মাছে কি কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে নিচে এই উপাদানগুলো করছি-
- ক্যালোরি
- সোডিয়াম
- কোলেস্টেরল
- কার্বোহাইড্রেড
- ভিটামিন ডি
- ভিটামি বি-১২
- ক্যালসিয়াম
- পটাশিয়াম
- প্রোটিন
উপরের উপাদানগুলো ইলিশে প্রচুর পরিমাণে আছে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের তালিকাতে ইলিশ রাখাটা জরুরী।ইলিশ মাছের উপকারিতা অনেক বিশেষ করে শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য হলেও ইলিশ খাবেন। ইলিশ খাওয়ার কোনো বকল্প নাই।
আরো পড়ুনঃ ভাতের মাড়ের ১২টি উপকারিতা-ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ জানুন
ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশসহ ভিন্ন দেশের মানুষেরাও ইলিশ মাছ কে পছন্দ করে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছ জাতীয় মাছ হলেও এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সবাই তেমন কোনো ধারণা রাখেন না। তাই আজকে ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিব পড়তে থাকুন।আপনারা জানেন যে,ইলিশ মাছের যে দেহটা আছে সেটা কিন্তু চ্যাপ্টা প্রকৃতির হয়ে
থাকে এবং পুরু ধরনের হয়ে থাকে। দেশের প্রায় মানুষ ইলিশ মাছ কে পছন্দ করেন বলে এই মাছটিকে জাতীয় মাছের উপাধি দেওয়া হয়। চলুন আমরা ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আসি-
- ইলিশ মাছের শরীর ফ্যাকাসে এবং মাঝারি আকৃতির আঁশে আবৃত থাকে।
- ইলিশের দেহ চ্যাপ্টা এবং পুরু হয়ে থাকে।
- ইলিশ মাছ সাধারণত মাঝারি প্রকৃতির হয়। আর যদি দেখেন বড় তাহলে সেটা দুই থেকে তিন কেজি হয়ে থাকে।
- ইলিশ মাছের মাথার উপরে তেল থাকে এবং পুরু ত্বকে ঢাকা।
- ইলিশ মাছের মধ্যে লক্ষ্য করবেন, স্ত্রী মাছগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠে। এবং পুরুষ মাছ থেকে এরা অনেকটা বড় হয়ে থাকে।ইলিশ মাছ সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে পদ্ম ইলিশ,চন্দনা ইলিশ,গুর্তা ইলিশ।
আশা করি ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি উপরের আলাচনার মাধ্যমে।। ইলিশ মাছ যে কোনো মানুষের প্রিয় মাছ আর এই প্রিয় বলেই দেশের জাতীয় মাছে রুপান্তিত হয়েছে। ইলিশ মাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে ।নিচে ইলিশ মাছের উপকারিতা জানতে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
ইলিশ মাছের উপকারিতা
ইলিশ মাছের উপকারিতা অপরিসীম। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তবে বেশির ভাগ মানুষই ইলিশ মাছ পছন্দ করে থাকেন। কারণ এটা হলো সামদ্রিক মাছ। ইলিশ মাছ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেকেই আছেন যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারাও কোনো না কোনো দিন ইলিশ মাছ খেয়েছেন। ইলিশ ভাঁজি,শর্ষে ইলিশ, পান্তা ইলিশ হলো বাঙালির অন্যতম খাবার।
টপিকে আসা যাক, অনেক মানুষ আছে ইলিশ মাছ শুধু খেয়ে যায় কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নয়। তারা আর্টিকেলটি পড়তে থাকেন আশা করি জানতে পারবেন।
- ইলিশ মাছে চর্বির পরিমাণ কম থাকে
- ইলিশে ডিএইচএ অ্যাসিড বেশি থাকে যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রুত কমিয়ে ভালো চর্বি বাড়াতে সহযোগিতা করে, এতে মানুষের শরীরের হৃৎপৃন্ড ভালো থাকে।
- ইলিশে প্রচুর ওমেগাথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে শরীরের রক্তের সঞ্চালনের পরিমাণ টা ভালো হযে থাকে।
- ইলিশ মাছ ৪০ ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- ইলিশে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ইলিশে ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বক কে সুস্থ রাখে।
- ইলিশ খাওয়ার ফলে পেটের আলসার, কোলাইটিস ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে
- ইলিশ খাওয়ার ফলে স্মৃতিভ্রমের ঝুকি কমায়
- ইলিশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আর এই ভিটামিন ডি মানবদেহের ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- ইলিশে রয়েছে আয়োডিন, জিঙ্ক,,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এর মত বিভিন্ন খনিজ উপাদান।
- অনেক গবেষনায় দেখা গেছে, সামদ্রিক মাছ মানুষে ফুসফুসের এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। শিশুদের হাঁপানি রোগের ঔষুধ হিসাবে ইলিশ বিশেষ উপকারি।
আশা করি উপরের আলোচনাতে ইলিশের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছেন। খাদ্য তালিকায় ইলিশ মাছের বিকল্প নাই। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান দরকার রয়েছে। আর এর সবগুলোই ইলিশ মাছে রয়েছে। ইলিশ মাছের অপকারিতা জানতে নিচে পড়ুন।
ইলিশ মাছের অপকারিতা
ইলিশ মাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে। আমরা জানি ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগাথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক,কপার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের উপাদান রযেছে। তবে সবার জন্যই না, অনেকের জন্য ইলিশ খাওয়াটা বিপজ্জনক হতে পারে।ইলিশ মাছকে আমাদের দেশে ধনীদের মাছ বলা হয়। কেননা প্রয়োজনের তুলনায় অন্যান্য মাছের চেয়ে ইলিশের দাম অনেক পরিমাণ বেশি।
ফলে আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র পরিবারগুলো ইলিশ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। তাই ইলিশ খাওয়ার ক্ষেত্রে এটাইঅপকারিতা বলা চলে।বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, সাধারণত যাদের কিডনিগত সমস্যা রয়েছে বা এলার্জিগত সমস্যা রয়েছে তাদেরজন্য ইলিশ মাছটা এরিয়ে চলাই শ্রেয়।কেননা ইলিশ মাছ খেলে কিনডি এবং এলার্জিগত সমস্যা বাড়তে পারে। শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইলিশ মাছ না খাওযাটাই ভালো।
ইলিশ মাছ খাওয়ার নিয়ম
ইলিশ মাছ খাওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করে আপনি মজার খাবার খেতে পারবেন। নিচে ইলিশ মাছ খাওয়ার কিছু ধাপ আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরেছি।
মাছ প্রস্তুতিঃ
- ইলিশ মাছ আপনাকে সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
- রক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো আপনাকে বাদ দিতে হবে।
- ইলিশ মাছ ভালো করে মসলাযুক্ত মরিচ, আদা,হলুদ বাটা এবং এর সাথে লবণ মিশিয়ে কিছু সময় আপনাকে রেখে দিতে হবে।
রান্নাঃ
- ইলিশ মাছ আপনাকে ভেজে নিতে হবে।
- আপনি যদি মাছগুলো ভাঁজতে চাইলে, তবে মাছের টুকরাগুলো গরম তেলে দিতে হবে এবং যতক্ষণ সোনালী রং না হয় ততক্ষণ ভাঁজতে হবে।
- আপনি যদি ঝোল করতে চান, তবে মসলার সাথে মাছ রান্না করতে হবে এবং সাথে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে।
খাওয়ার উপায়ঃ
- ইলিশ মাছ আপনি ভাতের সাথে খেতে পারবেন। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে ইলিশ ভাজা কিমবা ঝোল করে পরিবেশন করতে পারবেন।
- আপনি ইলিশের সাথে তরকারি হিসাবে সাথে আলু, বেগুন বা টমেটো যোগ করতে পারেন।
খাওয়ার নিয়মঃ
- ইলিশ মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন কেননা এই মাছে প্রচুর পরিমাণে কাটা থাকে।
- আপনি যদি ইলিশের কাটা থেকে বাঁচতে চান, তবে ইলিশ মাছ বেছে খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং কাটা থেকে সতর্ক থাকুন।
আরো পড়ুনঃ পাকা কলার ২০ টি উপকারিতা- পাকা কলার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ইলিশ মাছ রোগ প্রতিরোধ করে
ইলিশ মাছ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন যে, ইলিশ মাছ কি কি রোগের প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে। আমি বলবলো ইলিশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যা রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ডি যা শিশুদের রিকেট নামক রোগ থেকে রক্ষা করে। ইলিশ মাছ রক্ত
সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।ইলিশ মাছ বয়স্কদের চোখের সমস্যা দূর করে।ইলিশে প্রচুর পরিমানে আয়োডিন রয়েছে। এলার্জি এবং ক্যান্সার থেকেও রক্ষা করে থাকে। ইলিশ মাছ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যা দূর করে থাকে। তাই আমাদের প্রতিনিয়তই ইলিশ মাছ খাবারের তালিকাতে রাখা উচিত বন্ধুগন।
যেভাবে ইলিশের বিরিয়ানি করবেন
আমাদের দেশে কালের বিবর্তনে সাথে সাথে মানুষের খাবারের তালিকাতে যুক্ত হয়েছে ইলিশ বিরিয়ানি। পাঠকগন আপনাদের হযত নামটা নতুন শোনা যেতে পারে। তবে ইলিশ বিরিয়ানির যুগ চলে আসছে। এতদিন কম প্রসার হলেও ঠিকই চলতো দেশের নামি দামী হোটেল-রেঁস্তোরাগুলোতে। কিন্তু রেঁস্তোরা থেকে বের হয়ে এখন মানুষ নিজেই তৈরী করছে। আপনাদের দেখাবো কিভাবে তৈরী করতে হয় সাথেই থাকুন।
যা যা লাগবে
- চাউল=৩০০ গ্রাম,বাসমতি
- ইলিশ= ৬ পিছ
- জয়ফল ও জয়িত্রী= হাফ চামচ করে
- ঘি= ৫০ গ্রাম
- দারচিনি= ৩ টুকরো
- এলাচ= ১২ টি
- লবঙ্গ= ১২ টি
- আলু, পেঁয়াজ বিরিয়ানির মত করে কেটে। এক গ্লাস দুধে পরেনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক চামচ কেসর, গরম মসলা ইত্যাদি দিতে হবে।
যেভাবে বানাবেন
ইলিশ মাছ প্রথমে তেলে ভেজে নিতে হবে এবং তুলে রাখতে হতে। সাথে তেলটিও তুলে রাখতে হবে।বাসমতি চাউলের ভাত সেদ্ধ করে জলগুলো ঝরিয়ে নিতে হবে। আলাদা করে আলু পেয়াজ ভেজে নিতে হবে।এরপর হাড়ির ভিতরে নিযে ৫০ গ্রাম ঘীর বেশি পরিমাণটাই নিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।ভাতের লেয়ার তৈরী করে দু পিছ মাছ এবং আলু, পেঁয়াজের তিন ভাগের এক
ভাগ দিতে হবে।এভাবে লেয়ার হবে তিনটা প্রতিটা লেয়ারেই গরম মসলার তিন ভাগের এক ভাগ, জয়ফল, জয়িত্রীর তিন ভাগের এক ভাগ দিতে হবে। ইলিশ ভাজা তেল বাকী ঘী মিশিয়ে ছড়িযে দিতে হবে লেয়ারে। ভাত সেদ্ধ করার সময়ে লবন দিয়ে সেদ্ধ করা ভালো। কেননা পরের লেয়ারে অল্প একটু লাগবে।
প্রয়োজনে ছিটিয়ো দিতে হবে লবন
এবার লেয়ারের ভিতরে তিনটি গর্ত করে ওই গর্তের ভিতরে ঢেলে দিতে হবে কেসর ভেজানো দুধ। এরপর আটা দিয়ে হাড়ির মুখ বন্ধ করে দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। যদি রান্না হযে যায় পরিবেশন করার সময় মাছগুলো তুলে নিয়ে একবার পুরো হাড়িটা নেড়ে দিতে হবে। অবশ্য এই রান্না কে ইলিশ পোলাও বলা যেতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয পাঠকগন আশা করি পুরো আর্টিকেলটা পড়ে ইলিশ মাছের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে ুউপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাহলে আপনারা বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে এখনই মেয়ার করুন। এ ধরণের আরো আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন আমার ওয়েবসাইটে।ধন্যবাদ...
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url