পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও আবেদন করার নিয়ম

 পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?মালয়েশিয়ার ভিসা সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে একটি নরমাল বা কলিং ভিসা আরেকটি ই ভিসা- মালেশিয়ার ভিসা চেক নিয়ে নিচে বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আপনি যদি আবেদন করে থাকেন। তবে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন স্ট্যাটাস গুলো যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আপনার নিবন্ধিত পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে আপনি মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। নিচে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক সম্পর্কে জানুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ  মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন এবং পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা চেক- বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম 

বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ পারমিট ভিসা বা ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চায়। আপনিও ইচ্ছা করলে কোনরকম দালালের সাহায্য ছাড়াই নির্দিষ্ট অনুসরণ করে আপনিও যেতে পারবেন মালয়েশিয়ায়। কিন্তু কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সেগুলো অনেকেই জানেন না। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে সকল প্রকার প্রয়োজনের ডকুমেন্ট এবং ভিসা ফি গুলো পরিশোধ করে আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন মালয়েশিয়ার ভিসা।

মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করা থেকে শুরু করে ভিসা গ্রহণ সকল প্রকার কার্যক্রম নিচে আলোচনা করছি বিস্তারিত পড়ুন।আপনি যদি মালেশিয়ার ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিএমইটি ( BMET-Bureau of Manpower Employment And Trining)  এর ডাটাবেজে অবশ্যই আপনাকে রেজিস্টার করতে হবে। এরপরে আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যে কাজের উপর দক্ষ সেই কাজ অনুযায়ী অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে হবে। 

আপনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সি অথবা সরকারিভাবেও মালয়েশিয়ার ভিসা প্রসেস করতে পারবেন। নিচে  পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও আবেদন করার নিয়ম    জানতে পড়ুন।

  • মালয়েশিয়া ই-ভিসা 
  • বিএমইটি (BMET)এর কার্যালয় থেকে 
  • "আমি প্রবাসী"অ্যাপের মাধ্যমে 

আপনি সরকারিভাবে কম খরচে বিএমইটি (BMET) এবং আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

 আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু কক্সবাজার বিমান ভাড়া কত ও সময়সূচি ২০২৪ জেনে নিন

মালয়েশিয়া ই-ভিসা আবেদন 

  • ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ান ভিসা আবেদন করতে চাইলে ,তাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ঢুকতে হবে বা প্রবেশ করতে হবে। এবং আবেদন করতে হবে। 
  • আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে যাবতীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে কোন ভুল ইনফরমেশন দেওয়া যাবে না। 
  • পূরনকৃত আবেদন ফরম এবং যাবতীয় প্রয়োজনে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করবেন।
  • এরপর আপনার ভিসার ফি প্রদান করে আপনার কাঙ্খিত ভিসা গ্রহণ করুন। 
  • বিএমইটি (BMET) কার্যালয় থেকে আবেদন করার নিয়ম 
  • BMET কার্যালয় থেকে যদি আপনি ভিসার আবেদন করেন, তাহলে আবেদন করার জন্য আপনার পাসপোর্ট,পাসপোর্ট  সাইজের ছবি এবং দক্ষতা ভিত্তিক সনদপত্র গুলো লাগবে। 
  • আপনার সকল প্রকার যাবতীয় তথ্যগুলো বা ডকুমেন্ট নিয়ে BMET কার্যালয়ে গিয়ে আপনার মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে দেশের বিভিন্ন জেলাতে সর্বমোট প্রায় ৪২ টি বিএমইটির (BMET) কার্যালয় গুলো রয়েছে। সেসব জেলার মানুষগুলো নিরজেলা থেকে আবেদন করতে পারছে।
  • এছাড়াও আপনি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়েও আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন । বাংলাদেশের সর্বমোট প্রায় ১১ টি "বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে" এবং সেখান থেকে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। 
  • সবশেষ আপনার আবেদনটি যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে বিএমইটি এর ডাটাবেজ থেকে আপনাকে মোবাইল নাম্বারে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

"আমি প্রবাসী অ্যাপ" এর মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম 

  • প্রিয় পাঠক আপনি সাধারণত ঘরে বসেই আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে "আমি প্রবাসী" নামক অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন। 
  • আপনাকে সর্বপ্রথম যে কাজটা করতে হবে সেটা হলো গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে "আমি প্রবাসী" (Ami Probashi) অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
  • "আমি প্রবাসী" অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর, আপনার পাসপোর্টটি স্ক্যান করে এবং যাবতীয় তথ্য প্রদান করে বি এমইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করে ফেলবেন।
  • আপনার দোয়া সকল যাবতীয় তথ্য যাচাই করতে ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। যাবতীয় তথ্য যাচাই করা হলে বা যাচাই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হলে বিকাশ বা অন্যান্য মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফ্রি পরিশোধ করে সম্পূর্ণ করতে হবে আপনার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
  • "আমি প্রবাসী" অ্যাপটি আপনার মোবাইলে লগইন করলে, দেখতে পারবেন বিএমইটি (BMET)এর রেজিস্ট্রেশন এর আশেপাশে চাকরি খোঁজার অপশন পাবেন। 
  • এরপর আপনি বিভিন্ন রকম চাকরির বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আপনার পছন্দের চাকরি যেটা বা আপনি যেটা করতে পারবেন বা আপনার দক্ষতা আছে, সেই অনুযায়ী অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। 
  • আপনার যদি সাবমিট করার  আবেদন মনজুর হয়ে যায়, তাহলে আপনি "প্রবাসী অ্যাপে" মেসেজ ইনবক্স থেকে জানতে পারবেন। 
  • আপনি কয়েকদিন পর পরই "আমি প্রবাসী অ্যাপের" মেসেজ চেক করবেন। আর প্রবাসী আপের মাধ্যমে এভাবেই খুব কম খরচে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। 

দুই মিনিটে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করুন 

আপনি কি মালয়েশিয়া ভিসা হাতে পেয়েছেন? আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা হাতে পেয়ে থাকেন তাহলে এখনই ভিসা চেক করে নিন। আর চেক করার ফলে খুব সহজে ভিসা প্রতারণা এড়াতে পারবেন। সকলের উচিত মালয়েশিয়া ভিসা হাতে পাওয়ার পর মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে চেক করে নেওয়া। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশে অহরহ জাল ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। 

দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া গেলে, অনেক সময় প্রতারণা করে নকল ভিসা লাগিয়ে দেয়। আর এর ফলে মালয়েশিয়া গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় বা শিকার হতে পারেন। তাই এসব হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই মালয়েশিয়ার ভিসার কাগজ হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই চেক করে নিবেন।

মালয়েশিয়ান ভিসা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে 

  • সাধারণ ভিসা বা কলিং ভিসা 
  • ই ভিসা 

 আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়- দ.কোরিয়া  লটারি আবেদন  

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চেকিং পদ্ধতি 

মালয়েশিয়া কলিং ভিসাগুলো সাধারণত গ্রুপ আকারে করা হয়ে থাকে। এর ফলে গ্রুপে থাকাই সকল শ্রমিকদের ভিসা সহদে চেক করতে পারবেন। আর এজন্য আপনার শুধু এপ্লিকেশন নাম্বার বা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রয়োজন হবে। আপনি ভাবছেন যে অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার কোথায় পাবো? আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি 

  • আপনার কলিং পেপারের উপরের দিকে অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি পাবেন। এবং এছাড়াও সেখানে কোম্পানির অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার থাকবে আপনি ইচ্ছে করলে সেটি দিয়েও মালয়েশিয়া কলিং ভিসা  চেক করতে পারবেন।
  • আপনাকে প্রথমে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের লিঙ্কে এ প্রবেশ করতে হবে  
  • এরপর একটা ইন্টারফেস আপনার সামনে আসবে।তারপর  নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনার ইনফরমেশন গুলো বসাতে হবে
  • Application Number:  আপনার কলিং পেপারের যে অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি আছে সিটি হুবহু আপনাকে টাইপ করে বসাতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি সার্চ দেন আপনার ভিসা ইনফরমেশন গুলো আসবেনা। তাই টাইপ করে বসাতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে নিচের  সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনি যখন সার্চ করবেন তখন সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাবে গ্রুপে থাকে সকল শ্রমিকদের ইনফরমেশন যা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসবে। এরপর আপনাদের নাম এবং ভিসা নাম্বার ইত্যাদি সকল যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া ই-ভিসা চেক করার নিয়ম  

মালয়েশিয়া ই-ভিসা চেক করার জন্য যারা যারা আবেদন করেছিলেন বা করেছেন। তারা চাইলেই অনলাইনে ঘরে বসে মালয়েশিয়া ভিসার সর্বশেষ আপডেট স্ট্যাটাস আপনারা ঘরে বসেই অনলাইনে চেক করে নিতে পারবেন। আর এজন্য আপনার দরকার হবে শুধু পাসপোর্ট নাম্বার এবং স্টিকার নাম্বার এ দুটো নাম্বার আপনার প্রয়োজন হবে। আর এই দুটো ইনফরমেশন যদি আপনার থাকে তাহলে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেও মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক সম্পর্ণ করতে পারবেন। তাই সবসময় কাগজপত্রগুলো সাবধানে রাখবেন কেননা কখন কোন কাজে কোন পেপার লাগে। 

  • আপনাকে প্রথমে মালয়েশিয়া ই-ভিসা স্ট্যাটাস চেক করার ওয়েবসাইটের একটি পেজ ভিজিট করতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং স্টিকার নাম্বার সঠিকভাবে বসাতে হবে। ভুল করা যাবে না। আপনি অনলাইনে ই-ভিসার  আবেদন কপিতে আপনি আপনার স্টিকার নাম্বারটি সহজেই খুঁজে পাবেন। আপনি দেখবেন স্টিকার নাম্বারটি সাধারণত শুরু হয়ে থাকে ইংরেজি অক্ষর EV এভাবে। 
  • এরপর সঠিকভাবে আপনাকে ইমেজ ক্যাপচাটি পূরণ করতে হবে। ইমেজে যা যা লেখা থাকবে সেগুলো সঠিকভাবে কখনোই ভুল করা যাবে না সঠিকভাবে Answer  বক্সে বসাতে হবে। প্রয়োজনের সময় নিন কিন্তু ভুল করা যাবে না। আপনি যদি মেয়েদের লেখাগুলো বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি কি করবেন? আপনি যদি মেয়েদের লেখাগুলো বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি রিপ্লেস ইমেজে গিয়ে ক্লিক করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে নতুন ক্যাপচা আসবে। 
  • এরপর আপনি যখন সঠিকভাবে ইমেজ ক্যাপচাটি বসাবেন তারপর I have obtained my E-VISA এই লেখাটার ঠিক বাম পাশে একটি চিহ্ন আছে। সেখানকার টিক চিহ্ন তুলে  দিতে হবে। তারপর আপনাকে নিচে থাকা CHECK অপশনে গিয়ে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরে আপনি আপনার মালেশিয়া এ ভিসা যাবতীয় ইনফরমেশন বা তথ্যগুলো দেখতে পারবেন। 
  • প্রিয় বন্ধুরা আপনি ঠিক এভাবেই খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে মালয়েশিয়া ই-ভিসা চেক করতে পারবেন। 

আপনি যদি কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে চান, তাহলে ভিসা হাতে  পাওয়ার সাথে সাথেই ভালোভাবে  অনলাইনে চেক করে নিবেন। কেননা বর্তমানে অনেক দালাল বা এজেন্সি ভিসা নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তবে সবাই সমান হয় না অনেকেই আবার ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। তাই মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার সাথে সাথেই অনলাইনে চেকিং করে আপনি নিশ্চিত হবেন যে ভিসাটি আসল কিনা নকল। 

আপনার মালায়েশিয়ার ভিসাটি যদি আসল হয়ে থাকে দেখবেন ভিসা চেক করার পর আপনার যাবতীয় তথ্যগুলো চলে আসছে। অনেকেই ভাবতে পারেন ভিসাতে কি কি তথ্য থাকতে পারে? ভিসাতে যে তথ্যগুলো থাকে সেগুলো হলো আপনার নাম, ভিসার টাইপ, ভিসার মেয়াদ, কোম্পানির নাম, ভিসা নাম্বার ইত্যাদি। আর যখন আপনি মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য অনলাইনে সার্চ দেবেন যদি সেটা জাল ভিসা হয়, তাহলে দেখবেন আপনার কোন সঠিক ইনফরমেশন আসছে না। 

তাহলে আপনি বুঝে নিবেন সেটা নকল ভিসা বা জাল ভিসা। এরপরেও যদি আপনার বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে প্রয়োজনে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার পর অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করবেন এবং নিশ্চিত হবে বিষয়টি আসলেই আসল বা জাল ভিসা কিনা। ভিসা পাওয়ার পর বুঝতে না পারলে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে যেতে হবে, ভিসা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। 

কেননা আপনি যদি নকল ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যান তবে আপনি হয়রানির শিকার হবেন। তাই যাওয়ার আগেই আপনাকে সকল যাবতীয় তথ্য এবং আসল ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় পার হবেন। বর্তমানে অনেক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে তাই বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং সতর্ক থাকবেন কোন কিছু না বুঝলে অভিজ্ঞ লোকের সাথে যোগাযোগ করবেন।

 আরো পড়ুনঃ ইতালিতে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন কত  এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক

আপনি সহজেই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এবং পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আপনি আপনার মালয়েশিয়া ভিসা চেকিং করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হলো 

 

  • সর্বপ্রথম আপনাকে মালয়েশিয়ার য়ে ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট আছে সেটি ভিজিট করতে হবে। 
  • আপনি মালয়েশিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করার পর প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে সকল ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে। কখনোই ভুল ইনফরমেশন দেওয়া যাবে না। 

Document No: এই বক্সে আপনাকে আপনার বৈধ পাসপোর্টের সঠিক নাম্বারটি বসাতে হবে। 

Country Issue: এই বক্সে গিয়ে আপনাকে আপনার দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। আপনি সাধারণত যে দেশের নাগরিক সে দেশের নামই বসাতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হন তাহলে "Bangladesh" এবং যদি ভারতীয় নাগরিক হন তাহলে আপনাকে" India" বসাতে হবে। একটা বিষয় খেয়াল করবেন, আপনি এক দেশের নাগরিক হয়ে   অন্য দেশে নাম সিলেক্ট অপশনে বসাতে পারবেন না। তাই এই বিষয়গুলো সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। 

SEARCH: আপনি আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি এবং আপনার জাতীয়তা সঠিকভাবে বসানোর পর "Search" অপশনে গিয়ে ক্লিক করতে হবে। আর এভাবেই আপনি আপনার পাসপোর্ট দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা খুব সহজেই চেক করতে পারবেন। আপনি যখন থাক অপসনে ক্লিক করবেন তখন আপনার ভিসার সকল যাবতীয় ইনফরমেশন চলে আসবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আবারো বলছি কখনোই ভিসা চেক করার সময় ভুল ইনফর্মেশন দেবেন না।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপের ৫০ টি দেশের নাম- ইউরোপ মহাদেশের আয়তন

মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে? 

প্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য  ENTRI মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার মালয়েশিয়ার ভিসা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রসেস করা উচিত। আর যদি আপনি মালয়েশিয়া ভিসার জন্য ম্যানুয়ালিভাবে আবেদন করেন, তাহলে প্রক্রিয়াকরণের সময় নির্ভর করে আপনার আবেদনটি পরিচালনাকারী অফিসের উপর থাকে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার ভিসা ৭ থেকে ৮ কর্ম দিবসের মধ্যেও প্রক্রিয়া করা হয়।

মালয়েশিয়া ভিসার প্রকারভেদ জেনে নিন

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। আপনি কোন কারণে সাধারণত মালয়েশিয়া যাবেন বা যেতে চান তার উপর নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরন। নিচে মালয়েশিয়ার যার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো-

  • ভিজিট ভিসা (VISIT VISA)
  • টুরিস্ট ভিসা (TOURIST VISA)
  • স্টুডেন্ট ভিসা (STUDENT VISA)
  • ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা (IMMIGRATION PERMIT  VISA)
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ( WORK PERMIT VISA)

ভিজিট ভিসা (VISIT VISA)

ভিজিট ভিসা হল সাধারণত মালয়েশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্যিক মিটিং, চিকিৎসা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে ভ্রমণ করার জন্য ভিজিট ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। ভিজিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়। 

টুরিস্ট ভিসা (TOURIST VISA)

মানুষ যখন কাজ করতে করতে একঘেয়েমি পোনা হয়ে পড়ে তখন রিলাক্স করার জন্য, অনেক মানুষ দেশের বাইরে যায় ভ্রমণ করার জন্য। আবার অনেকে প্রকৃতি প্রিয় মানুষ রয়েছে যাদের কাজ হল প্রকৃতির নেশায় বিভোর থাকা। তাই তারা টুরিস্ট ভিসায় বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকেন মনের শান্তির জন্য বাড়ি লাক্স করার জন্য।  মালয়েশিয়াতে অল্পদিনের কোন কাজ বা পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য ভ্রমণ অথবা পারিবারিক অনুষ্ঠানের যোগদান করার জন্য টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হয়। টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিনের হয়।

স্টুডেন্ট ভিসা (STUDENT VISA)

শুধু বাংলাদেশ নয় বিভিন্ন দেশের বিত্তবান মানুষেরা তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।অনেকে মনে করেন, দেশের শিক্ষার ব্যবস্থার চেয়ে বিদেশে শিক্ষার ব্যবস্থা উন্নত তাই তারা তাদের ছেলেমেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। মালয়েশিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাত্রছাত্রী পাড়ি জমান। মালয়েশিয়ায় শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান করা হয়। আর এ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত থাকে। 

ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা (IMMIGRATION PERMIT  VISA)

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তার জন্য মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসা প্রদান করে।অনেক বৃত্তশালী মানুষ আছেন যারা, দেশের বাইরে থাকতে ভালোবাসেন। তারা ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসার মাধ্যমে থেকে থাকেন। ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। 

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ( WORK PERMIT VISA)

কোন দক্ষ শ্রমিক যদি কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চায় তবে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করে থাকে। এ ভিসার মেয়াদ এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত থাকে। এবং সত্য সাপেক্ষে এ ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে মানুষ মালয়েশিয়ার গমন করছে কাজের সন্ধানে। দক্ষ শ্রমিকরা মালয়েশিয়া গিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। মালয়েশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ শ্রমিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়েছেন এবং টাকা ইনকাম করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

 আরো পড়ুনঃ আরব দেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ও খরচ 

মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কি কি লাগে 

মালয়েশিয়ায় কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে যা যা লাগে-

  • মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য ভিসা আবেদনকারীর অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর থাকতে হবে।  
  • আবেদনকারীর অবশ্য জাতীয় পরিচয় পত্র (NID ID)বা ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। 
  • আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছর। 
  • বিএমইটি (BMET) ডাটাবেজ রেজিস্ট্রেশন। 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সেটার ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে সাদা। 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 
  • করোনাভাইরাসের টিকা কার্ড 
  • ভিসার আবেদন থাকতে হবে বিএমইটি কার্যালয়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে। 

মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসা পেতে যা লাগে 

  • টুরিস্ট ভিসা ভিজিট ভিসা পেতে আবেদনকারী অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং তার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে সেটার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড। 
  • অনলাইনে মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন ফরম। 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট কবে থাকতে হবে। 
  • রিটার্ন বিমান টিকিট কাটতে হবে। 
  • হোটেল বুকিং কপি রাখতে হবে। 
  • রেফারেন্স লেটার ( আপনি যদি কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ায় যান তবে সে ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য) 
  • আপনি যদি মালয়েশিয়ায় পূর্বে ভ্রমণ করে থাকেন তবে সেটার কপি লাগবে।

মালয়েশিয়া ভিসার দাম কেমন জানুন 

  • যারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য মালয়েশিয়ার ভিসার দাম মূলত ৭৮ থেকে ৯৯০ টাকা মাত্র। 
  • আর আপনি যদি বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে বিচার দাম প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা 
  • টুরিস্ট ভিসা বাতুরি ভিসা প্রসেসিং ফি সাধারণত পাঁচ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা মাত্র। 
  • সাধারণত বেসরকারিভাবে টুরিস্ট ভিসার দাম ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত এর বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। আপনি আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী প্যাকেজ নিতে পারেন। 

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার নিয়ম 

আপনি যদি মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করতে চান ,তবে আপনার প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা আবেদন নাম্বার। 

  • মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য যে ওয়েবসাইট আছে সেটাতে ভিজিট করবেন। 
  • এরপর আপনি "Visa Application Status" অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  • এরপর পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা আবেদন নাম্বারটি লিখতে হবে। 
  • এরপর সাবমিট বাটনে (Submit Button) ক্লিক করতে হবে 
  • এরপর আপনাকে ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাসটি দেখানো হবে। 
  • আপনার ভিসা আবেদনটি যদি প্রত্যাখ্যান করা হয় তবে তার কারণগুলো উল্লেখ করা হবে।
  • কলিং ভিসার প্রথম পাতায় দেওয়া কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বিয়ে সার্চ করলে আপনার ভিসা চেক করতে পারবেন। 

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করতে সতর্কতাসমূহ 

  • ভিসা আবেদন করার সময় ভিসার আবেদন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে লিখতে হবে। ভুল করা যাবে না। 
  • ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রসেসিং এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় দিতে হবে 
  • যদি আপনার ভিসা কোন কারনে প্রত্যাখ্যান হয় তাহলে আপনি প্রত্যাখ্যানের কারণগুলো ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করবেন। যেন পরবর্তীতে সময়ে বা ভবিষ্যতে আপনার আবেদনটি ঠিকঠাকভাবে করতে পারেন। 
  • আপনি যদি মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন চেক করার সময় যেকোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে দ্রুত যোগাযোগ করবেন। 

মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট লিস্ট বাংলাদেশ ২০২৪ 

বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া তে যেতে চাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই জানা উচিত মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্টলিস্ট ইন বাংলাদেশ ২০২৪ সম্পর্কে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বাইরের দেশে চলে যায়। তেমনি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের পরে সবচেয়ে বেশি কাজের উদ্দেশ্যে মানুষ প্রবাসে যায় মালয়েশিয়াতে। মালয়েশিয়াতে এত মানুষ যাওয়ার কারণ হলো অন্য দেশের  তুলনায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা পরিমাণটা বেশি দেওয়া হয়। 

আর এর ফলেই বাংলাদেশীদের কাছে কাজের পছন্দের দেশ হলো মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা করতে চাচ্ছেন তাহারা নিচে উল্লেখ করা ভিসা প্রসেসিং গুলোর সাথে আপনারা যদি যোগাযোগ করেন তাহলে সহজেই মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। কেননা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১১ টি লাইসেন্সধারী মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোম্পানির নাম প্রকাশ করেছে। আপনি যদি এই এজেন্সি গুলোর 

মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে যেতে চান, তবে খুব সহজে যেতে পারবেন। প্রিয় বন্ধুগণ তাহলে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক এজেন্সি কোম্পানি গুলোর নাম, ফোন নাম্বার, আর এল নাম্বার, জেনে আসি।

  • মেসার্স আমিয়ান ইন্টারন্যাশনাল, আর এল নাম্বার হলো-১৩২৬
  • নিউ এস ইন্টারন্যাশনাল, আর এল নাম্বার -০৭০৩
  • মেসার্স শাখ ফাউন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, আর এল নাম্বার-১২৯৮
  • মেসার্স আল বুখারী ইন্টারন্যাশনাল, আর এল নাম্বার ৩০১
  • গ্রীণল্যান্ড ওভানসীজ, আর এল নাম্বার -০৪০
  • মেসার্স আহমেন ইন্টারন্যাশনাল, আর এল নাম্বার ১১৪৬ 
  • ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেড, আরে নাম্বার ১২৭৪ 
  • মেসার্স সাউথ পয়েন্ট ওভারসিস লিমিটেড, আর এল নাম্বার ৬২২
  • মেসার্স আকাশ ভ্রমণ, আর এল নাম্বার ০৩৮৪
  • বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল আর এল নাম্বার ধন্যবাদ ০৫৩১ 
  • আরভিং এন্টারপ্রাইজ, আর এল নাম্বার ০২১৫

মালয়েশিয়ার রিকরুটিং এজেন্সি তালিকা ২০২৪ জানুন

  • আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল-আর এল ১১৪৬ 
  • বিএম ট্রাভেল-আর এল ১৪২১ 
  • শাহিন ট্রাভেলস-আর এল ২১৪ 
  • আভিং এন্টারপ্রাইজ-আর এল ০২১৫ 
  • আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল-আর এল ১৩২৬ 
  • ৫ম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-আর এল ১৩২৭
  • নিউ এস ইন্টারন্যাশনাল -আর এল ০৬২২
  • এমইএফ গ্লোবাল বাংলাদেশ লিঃ- আর এল ১৯৬৩

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এজেন্সি 

বাংলাদেশ থেকে যারা কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যেতে চাচ্ছেন তারা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশন ভিসা এজেন্সি কোম্পানির  সাথে যোগাযোগ করে মালয়েশিয়া যেতে পারেন।আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশন ভিসা এজেন্সি কোম্পানির মাধ্যমে, মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং করেন। তাহলে আপনার সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা তারা দেখবে এবং খুব সহজেই অল্প সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা পেয়ে যাবেন। 

মালয়েশিয়া ভিসা এজেন্সির নাম

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনেকগুলো ভিসা এজেন্সি কোম্পানি রয়েছে এরমধ্য বাংলাদেশ প্রবাসী মন্ত্রণালয় থেকে যে 11 টি এজেন্সির নাম উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর নাম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এই এজেন্সি গুলো ভালো। তাছাড়া এ ভিসা এজেন্সি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আপনারা সব সময় সাপোর্ট পেয়ে থাকবেন। তাই আপনারা যদি মালয়েশিয়া যান তবে এই ১১ টি ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারেন। আশা করা যায় দালাল বা প্রতারকের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। 

মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা এজেন্সি ছাড়াই ই-ভিসা নিতে পারবেন। 

কোন এজেন্সির সহায়তা লাগবেনা বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে ই-ভিসা আবেদনের জন্য। মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা সরাসরি ইমিগ্রেশন বিভাগের মাই-ভিসা পোর্টালের মাধ্যমে ই- ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন। তাই তাদের ই-ভিসার জন্য এজেন্সির কোন সহায়তা লাগবে না। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন , সরকার কর্মী নিয়োগকর্তাদের  তাদের সক্রিয় আইডি এবং ব্যবহারকারী ম্যানুয়াল দেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য কয়েকটি পদ্ধতিতে বা ধাপে হয়ে থাকে। আর সেই ধাপের একটি ধাপ হচ্ছে ই-ভিসা । মালয়েশিয়া প্রবেশের জন্য মূলত তিন মাসের সময় দিয়ে এই বিষয়ে ইস্যু করা হয়েছে। পূর্বে কোন এজেন্সি বা মনোনীত কোন প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে ই-ভিসার আবেদন করতে হতো। কিন্তু নতুন ঘোষণা অনুযায়ী মালাইশিয়ার নিয়োগকর্তারা সরাসরি তাদের জন্য নির্ধারিত মাই ভিসা (MY VISA) পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন। এটাই সময় রোধ বা সময় কম লাগবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ,কারণ- প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

মালয়েশিয়ার ওয়ান এরাইভাল ভিসা যেভাবে পাওয়া যায়

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ওয়ান এরাইভাল ভিসা পেতে চান তাহলে আগে আপনাকে মালয়েশিয়ায় আগমনের ভিসা পেতে এবং আপনাকে তারপরে মালয়েশিয়া অভিবাসন কাউন্টারে যেতে হবে। মালয়েশিয়ার ওয়ান এরাইভাল ভিসা পেতে আপনাকে একটি বৈধ পাসপোর্ট রিটার্ন টিকিট এবং তহবিলের  যাবতীয় প্রমাণ সহ  প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে। প্রযোজ্য ভিসার যে ফি সেটা আপনাকে প্রদান করতে হবে এবং নথিপত্র যাচাই বাচাইয়ের  পর  অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আপনার ভিসা মঞ্জুর করবে। 

মালয়েশিয়ার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কি হয়?

আপনি মালয়েশিয়াতে অবস্থানকালে যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন আপনি যদি মালয়েশিয়াতে অতিরিক্ত  সময় বা দিন বা মাস অবস্থান করে থাকেন। তাহলে সেটা মালয়েশিয়ান আইনে গুরু তোর অপরাধ। মালয়েশিয়ায় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কোনো ব্যক্তি যদি মালয়েশিয়াতে অবস্থান করে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

এবং আটকের পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। আপনার জরিমানাটা মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্বারা জারি করা হয়। তাই কখনো ভুল করবেন না সময় থাকতে  আর ভিসার মেয়াদ থাকতেই আপনি মালয়েশিয়া থেকে ব্যাক করবেন। এটাই হবে আপনার উত্তম পন্থা। 

মালয়েশিয়া ই-ভিসা পেতে কতদিন লাগে 

প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে এমন সেটা হল মালয়েশিয়া ই-ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে? মালয়েশিয়া ই-ভিসা পেতে সময় লাগে বা এটি প্রক্রিয়া করতে সময় লাগে দুই কার্যদিবস। আর এই দুই কার্য দিবসের প্রক্রিয়াকরণ সময়কাল শুধুমাত্র কার্য দিবসের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে এবং এতে সাপ্তাহিক ছুটি সরকারি ছুটি ছুটি এবং অন্য কোন নির্দিষ্ট দেশের ছুটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

মালেশিয়ার ভিসা রিজেক্ট হয় যে কারণে 

আপনার মালয়েশিয়ার ভিসা রিজেক্ট হওয়া বা প্রত্যাখ্যান হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে সেগুলোর মধ্যে অস্পষ্টতা বা মিথ্যা নথি, অসম্পূর্ণ কাজকাম বা ভুল আবেদন ফরম ইত্যাদির কারণে মালয়েশিয়ান ভিসা রিজেক্ট হতে পারে। মালয়েশিয়া ভিসার যোগ্যতা পূরণের অস্পষ্ট উদ্দেশ্য বা যাবতীয় ডকুমেন্ট যদি কোন ভুল ভ্রান্তি থাকে তাহলে মালয়েশিয়ান ভিসা রিজেক্ট হয়ে যায় বা প্রত্যাখ্যান হয়। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন সঠিক এবং যাবতীয় তথ্য বা ডকুমেন্ট দিয়ে মালয়েশিয়ান ভিসা করার তাহলে রিজেক্ট বা প্রত্যাখ্যান হবে না আশা করি বুঝতে পেরেছেন 

মালয়েশিয়ার ইভিসা প্রিন্ট করতে হয়

আপনাকে মালয়েশিয়ার ই-ভিসা সাধারণত প্রিন্ট করতে হবে এবং একটি a4 সাইজের প্রিন্ট আউট ফরম্যাটে আপনার ই ভিসা EVISA পাবেন।সব সময় মাথায় রাখবেন বা মনে রাখবেন আপনার এ ভিসা প্রিন্ট আউট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মালয়েশিয়ায় এন্টি চেক পয়েন্টে আপনার আগমনের পরে অবশ্যই প্রিন্ট আউট এ ভিসা আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য -  পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও আবেদন করার নিয়ম  সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনায় মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও আবেদন করার নিয়ম, মালয়েশিয়ার ই ভিসা চেক করার নিয়ম, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক, মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে কতদিন লাগে, মালয়েশিয়া ভিসা কত প্রকার এবং ভিসা পেতে কি কি লাগে ভিসার দাম কেমন মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন চেক করার নিয়ম এবং সতর্কতা গুলো উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। সমস্ত আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক, আমরা সব সময় তথ্যনির্ভর আর্টিকেলগুলো পোস্ট করে থাকি। আমাদের ওয়েব সাইটের সাথেই থাকুন এবং পড়তে থাকুন। ধন্যবাদ.


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url