বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়
পোস্ট সূচীপত্রঃ বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়
- রাসেল ভাইপোর সাপ যেভাবে চিনবেন
- রাসেল ভাইয়ের সাপের কামড়ানোর লক্ষণ গুলো কী?
- রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয় কী?
- রাসেল ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- রাসেল ভাই ভাই সাপের প্রজননকাল
- রাসেল ভাইপো সাথে আক্রমন
- সাপে কামড়ালে কখনোই যে কাজটি করবেন না
- রাসেল ভাইপরে সতর্কতা
- রাসেল ভাইপার সাপের প্রজাতি দুটো
- রাসেল ভাই পায় সাপের বাসস্থান
- রাসেল ভাইবারে বিস্তৃতি
রাসেল ভাইবার সাপ যেভাবে চিনবেন
রাসেল ভাইপার সাপের দেহটা সাধারণত মোটা ছোট হয়, লেজ ছোট ও সরু হয়ে থাকে। রাসেল ভাইপার সাপের শরীরের রং বাদামি এবং হলদে বাদামি রংয়ের হয়ে থাকে। রাসেল ভাইপার সাপটি সাধারণত কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনো পাতার ভিতরে এই সাপটি নিজেকে লুকিয়ে রাখে।রাসেল ভাইপার সাপের জিব্বার রং বাদামি বা কালো রঙ্গের হয়। রাসেল ভাইয়ের সাপের গায়ে স্পষ্ট বড় গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ দেখা যায় বা থাকে এই দাগগুলোর মাথা সূচালো প্রকৃতির হয়।
এভাবে রাসেল ভাইপার সাপটি চিনতে পারবেন। আবার অনেক সময় রাসেল পাইকার সাপের দাগগুলো একসঙ্গে শিকলের মত দেখা যায়। গোলাকার দাগগুলো আবার অনেক সময় চাঁদের মত লাগে। দাগগুলোর পাশে কালো রঙ্গের বর্ডার থাকে। এবং সাদা বা হলুদের সিটও দেখা যায়। রাসেল ভাই ভাই সাপের বেশি দাঁতগুলো লম্বা প্রকৃতির হয়। এবং এই দাঁতের দৈর্ঘ্য ১৫-১৬ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রাসেল ভাইপার সাপের বিষ দাঁত সবচেয়ে বৃহৎ দাঁত।অনেক প্রজাতির সাপ আছে সেগুলো মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু রাসেল ভাইপের সাপটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা এরা সচরাচর মানুষ দেখলে পালিয়ে যায় না, বিপন্ন মনে করলে তারা আক্রমণ করে বসে। বিষধর সাপের হিসাব অনুযায়ী রাসেল ভাইবার সাপের অবস্থান পঞ্চম। তবে হিংস্রতার দিক বিবেচনা করলে রাসেল ভাই ভাই সাপের অবস্থান প্রথম স্থান।
আক্রমণের দিক থেকে রাসেল ভাইপার সাপটি এত প্রচন্ড ক্ষিপ্র যে,এক সেকেন্ডে 16 ভাগের এক ভাগ সময়ের ভেতরে কামড়ের কাজ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। রাসেল ভাই ভাই সব টিভি প্রচন্ড জোরে জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে রাসেল ভাই ভাই সাপটি চিনবেন।
রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ানোর লক্ষণগুলো কী?
রাসেল ভাইপার সাপ কোন মানুষের শরীরে যদি কামড় দেয়, তাহলে দংশিত স্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। ব্যথার পাশাপাশি যে স্থানটিতে সাপ দংশিত করেছে সেখানে ফুলে যায়। এবং কামড়ানোর ঘন্টাখানেকের মধ্য দংশিত স্থানের কাছে এবং শরীরের আরো কয়েকটি অংশ আলাদাভাবে ফুলে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয় কী?
যেকোনো ধরনের সাপ কোন মানুষকে কামড়ালে বা শিকার হলেই ওঝার কাছে না গিয়ে, যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে। যদি সম্ভবপর হয়, তাহলে সাপ যে স্থানটিতে দংশন করেছে তা চিহ্নত করার জন্য সেই সাপের ছবি তুলে স্থানীয় বন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের স্বরণাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসকদের মত অনুসারে যদি রাসেল ভাইপার সাপ কামড়ায়, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা স্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠে। এবং রাসেল ভাই সাপ যদি কামড়ায় বা দংশনের পর চিকিৎসা নিতে দেরি হয় তবে রোগী মারা যায় সম্ভাবনা বেশি থাকে। মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে শক, পেশি প্যারালাইসিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তক্ষরণ এবং কিডনি বিকল।
অধ্যাপক মোঃ হাসান তারিক বলেন(রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) রাসেল ভাইপার সাপের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত ওকেজো হতে শুরু করে। দংশনের পরে শরীরের জ্বালাপোড়া করে এবং পাশাপাশি দংশনের স্থানে পঁচন ধরে যায়। এবং রাসেল ভাইবার সাপ যে ব্যক্তিকে দংশন করে তার রক্ত জমা বাঁধতে শুরু করে। তাই রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে বা দংশিত ব্যক্তি দ্রুত চিকিৎসা না নিলে সেই ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
রাসেল ভাইপার সাপের দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরো বলেন, রাসেল ভাইপার এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা বেশি কাজে দেয় না বা কাজ করে না।
রাসেল ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
রাসেল ভাইয়ের সাপের উপদ্রব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক পরিমাণ বেড়েছে। বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দংশনে দেশের বিভিন্ন জেলাতে মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে।রাসেল ভাইপার সাপগুলো সাধারণত কৃষি জমিতে খেতের ফসল কাটতে গেলে চাষিরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশের অন্তত প্রায় ২৭ টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেল ভাইপার সাপ।
এবং প্রায়শও এসব এলাকায় সাপের দংশনে মৃত্যুর খবরও শোনা যাচ্ছে। ভারতের বছরে যে পরিমাণ সাপে কাটার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্য অন্তত ৪৩ শতাংশ রাসেল ভাই ভাইপার সাপ দংশন করেছে। এবং শ্রীলঙ্কাতে প্রতিবছরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষকে রাসেল ভাইপার সাপ দংশন করছে। বাংলাদেশে রাসেল ভাই সাপের দংশনের সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশের যেসব প্রজাতির সাপ দেখা যায় সে হিসাবে সবগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার সাপটি সবচেয়ে বিষাক্ত
সেটাই বিশেষজ্ঞরা বলেন।এই সাপগুলো কৃষি জমিতে থাকে বলে মানুষ অনেক সময় ভুলবশত সাপের গায়ে পা দেন একে বিরক্ত করেন। তখন এই রাসেল ভাইপার সাপটি বিপন্ন বোধ করলে আক্রমণ করে বসে। এজন্য চাষী ভাইদের কে ধান ক্ষেত বা গম খেতে কাজে যাওয়ার আগে লম্বা বাড়িতে জায়গাটি নাড়াচাড়া দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন খেতে নামার আগে গামবুট পড়ে এবং জিন্সের প্যান্ট পড়ে তারপর কাজে নামতে হবে। এর ফলে সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরো পরুনঃ হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে এমন ৫ টি খাবার জেনে নিন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০১৫ সালে আমরা রাসেল ভাইপারাসেল ভয় পায় সাপের র সাপে কাটা রোগী পেয়েছিলাম। সে সময়টাতে সাপে কাটা আক্রান্ত রোগীর হাত পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাই রাসেল ভাইপার সাপটি কামর থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল সতর্কতা অবলম্বন। রাসেল ভাইপার সাপ দংশন করলে করণীয় সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ বলেন,
রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে যদি দাঁত বসে যায় তাহলে ক্ষতস্থানের ওই জায়গাটিতে উপরে নিচে হালকা করে ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে। সাপের দংশনকারি ব্যক্তি বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না। এবং রোগীকে সাহস দিতে হবে। হাঁটাচলা একদমই করা যাবে না। যাতে রক্ত চলাচল কম হয়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে।
অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ আরো বলেন, সাপে কামড়ানো ব্যক্তির যদি গ্রামাঞ্চলের হয় যদি গাড়ি না পায় তাহলে মোটরসাইকেলে মাঝখানে বসিয়ে নিয়ে আসতে হবে হসপিটাল। তাহলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাবে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হসপিটালে আনা হয় না।অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে ছোট বিষয়গুলো বড় হয়ে দাঁড়ায় এবং রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখা যায়। বিশেষ করে রাসেল ভাইপার সাপের বিষ এতটাই বিষাক্ত যে অনেক সময় রোগীর অনেকগুলো অঙ্গ আক্রান্ত হয়ে যায়।
রাসেল ভাইফাই সাপের প্রজননকাল
রাসেল ভাইপার সাপের প্রজননকাল সাধারণত মে মাস থেকে জুলা মাস পর্যন্ত। আর এই কারণেই বর্তমান বাংলাদেশের রাসেল ভাইপার সাপটির প্রচুর দেখা মিলছে।সাপের অভিযোজন ক্ষমতার প্রক্রিয়া বেড়ে যাওয়ার ফলে সাপটি সারাদেশে সরিয়ে পড়েছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সাপটির আনাগোনা সাধারণত ফসলের জমিতে ইঁদুরের গর্তগুলোতে বেশি দেখা যায়।
ফসলের জমি বেড়ে যাওয়ায় সাপটি খাবারের যোগান পাচ্ছে। ফলে সাপটিরপ্রজননও বেড়ে যাচ্ছে। সাপটি আগের চেয়ে নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। রাসেল ভাই সাপটি ভাসমান কচুরিপানার সঙ্গে ভেসে ভাটি অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলাবলি করছে রাসেল ভাইয়ের শার্ট কি ক্ষেতের সবজি ফসল বা কৃষি পণ্যের সঙ্গেও সাতটি স্থানান্তর ঘটতে পারে।
রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণ
যদিও বলা হয় রাসেল ভাই আচ্ছা শান্ত তবে সে যদি নিজেকে বিপন্ন মনে করে তাহলে আক্রমণ করতে কখনো ভুল করে না। রাসেল ভাই ভাইসব বিষাক্তর দিক থেকে অবস্থান প্রথম স্থান। আক্রমণের দিক থেকে রাসেল ভাইপার সাপটি এত প্রচন্ড ক্ষিপ্র যে,এক সেকেন্ডে 16 ভাগের এক ভাগ সময়ের ভেতরে কামড়ের কাজ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। রাসেল
ভাইপার সাবটি প্রচন্ড জোরে জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। তাই সাথে আক্রমণ করলে শান্ত থাকুন এবং অতি দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন । শরীরের যে স্থানটিতে সাপ কামড়েছে যথাসম্ভব কম নাড়াচাড়া করুন এবং ঘড়ি ও কোন অলংকার জাতীয় জিনিস পড়ে থাকলে তা খুলে ফেলুন। কাপড়ে বাঁধ হালকা করে বাধুন তবে খুলবেন না।
সাপে কামড়ালে যে কাজটি কখনই করবেন না
সাপে কামড়ানোর স্থানটিতে চুষে কখনো বিষ আনার চেষ্টা করবেন না। সাপে কাটা স্থানটিতে আরো কেটে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ করে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করবেন।কখনোই সাপে কাটা স্থানে বরফ,তাপ বা রাসায়নিক কামরু স্থানে প্রয়োগ করবেন না। এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে কখনোই একা ফেলে যাবেন না সবসময় তাকে সাহস দিবেন।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপের যে দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
কামরানোর স্থানের উপরে শক্ত করে বাঁধবেন না এর ফলে বিষ বন্ধ হবেনা এবং আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হতে পারেন হতে।সাপে কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন। যে জায়গাটিকে সাপে কামড় দিলে সেই জায়গাটি বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। সাপে কামড়ানোর পর সাধারণত ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর ওই সময়ের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া গেলে রোগী
সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। রাসেল ফাইপার সাপ যেহেতু বিষাক্ত সাপ তাই কামড়ালে দ্রুত হসপিটালে নিতে হবে কেননা এই সাপের কামড়ে রোগীর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই রোগীকে এমন একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত যেখানে ডায়ালাইসিসের সুব্যবস্থা রয়েছে।
রাসেল ভাইপারের সতর্কতা
রাসেল ভাইপার সাপ একটি বিষ ধর সাপ। এইসব থেকে সব সময় সাবধান থাকবেন। বিষের দিক থেকে এই সাপটির অবস্থান প্রথম স্থান। সব সময় বিষ ধর সাপ ধরা থেকে বিরত থাকা উচিত। এমনকি মৃত সাপ থেকেও সাবধানতা থাকা উচিত। কারণ সাপ মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেও সতেজ থাকতে পারে এবং দংশন করতে পারে । প্রিয় পাঠক তাই রাসেল ভাইপার সাপ থেকে সব সময় সতর্ক থাকবেন।
রাসেল ভাইপার সাপের প্রজাতি দুটো
রাসেল ভাইপার সাপের স্বভাব
রাসেল ভাইপারের স্বভাবটি হলো সাধারণত গরমকালে সন্ধ্যা ও রাতে বেশি সক্রিয় থাকে। তবে শীতকালে এরা দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে।
রাসেল ভাইপারের বাসস্থান
রাসেল ভাইপারের বাসস্থান মূলত ফসলের জমি, খোলা, ঘাসযুক্ত এলাকা, ঝোপঝাড়, বনের প্রান্ত, পাথরে ঢিলা, ঘন ঝোপঝাড় এবং ম্যানগ্রোভ বনের আশেপাশের এলাকা।
রাসেল ভাইপারের খাবার
রাসেল ভাইপরে খাবার হল ইঁদুর জাতীয় প্রাণী, পাখি, টিকটিকি, গিরগিটি, পোকামাকড় ও ব্যাঙ।
রাসেল ভাইয়ের সাপের বিষের ধরন
রাসেল ভাইপার সাপের বিষের ধরন স্নায়ু-পেশি -কিডনি ও রক্তবিনাশী। রাসেল ভাইপার এর প্রজনন দুই থেকে তিন বছরে। ইংরেজি মে থেকে নভেম্বর মাস। তবে জুন জুলাইয়ে বেশি প্রজনন করে থাকে। যৌন মিলনের পর স্ত্রীর পেটে রাসেল ভাইপার ডিম ধারণ করে রাখে এবং তা থেকে ছয় মাস পর ৬ থেকে ৬৩ টি বাচ্চা প্রসব করে থাকে।
রাসেল ভাইপারের এর বিস্তৃতি
৯০ এর দশকে সাধারণত আগের কৃষকেরা বছরে একটি ফসল বা কোন জমিতে দুটি ফসল চাষ করে থাকতেন। এবং সেই সময় চাষের জন্য পানির অভাবে বাকি সময় জমি পতিত থাকতো। কিন্তু বর্তমানে সেই ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কৃষকেরা বছরে তিন চারটি ফসলের চাষ করে থাকে। জমিতে সারা বছর ফসল থাকার ফলে এবং ইঁদুরের বসবাস এসবের ফসলের ক্ষেতে বলে রাসেল ভাইপার সাপের প্রাদুর্ভাব ঘরে।
কেননা রাসেল ভাইপারের এসব পোকামাকড়ই খাদ্য। আর এসব গর্তের ভিতর সাপ থাকে এবং পর্যাপ্ত খাদ্য পাওয়ার ফলে প্রজননের মাধ্যমে রাসেল ভাইপার সাপের সংখ্যার পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশেপাশের পতিত ঘাসের জমি জোর যার সীমিত হওয়ার সাপগুলো ফসলের খেতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এই সবগুলো তোর অঞ্চলেও বিস্তৃতি থাকে। বিশেষ করে রাজশাহীর পদ্মা চর, বোরহানপুরের বন বিভাগের বনায়নে গাছপালার
সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সেখানে রাসেল ভাইপার সব আশ্রয় নিয়েছে। ভারত থেকে বন্যার পানির সঙ্গে যে কচুরিপানাগুলো ভেসে আসে। আর কচুরিপানার সাথে রাসেল ভাইপার সাপ আসে।সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পশ্চিম বাংলার অনুর্বর ঝোপ যার এলাকা, আগুনে পুড়িয়ে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করার কারণে রাসেল ভাইপার সাপ বাংলাদেশ স্থানান্তর হয়ে থাকতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য - বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়, রাসেল ভয়পার সাপ ভয়ংকর বিষাক্ত একটি সাপ। রাসেল ভাই ভাই সাপ এতটাই বিষাক্ত কে যদি কাউকে কামড় দেয় অঙ্গা হানি ঘটে যায় বা ঘটতে পারে। প্রিয় পাঠকগণ, উপরোক্ত আলোচনায় রাসেল ভয় পায় সাপ কিভাবে চিনবেন এবং এই সালাত কামড়ালে করণীয় কি সাপে কামড়ালে লক্ষণ কি। রাসেল ভাইপার সাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি, রাসেল ভাইপারের আক্রমণ ইত্যাদি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা হয়েছে আশা করি সেগুলো বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url