মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা জানুন
পোস্ট সুচীপত্রঃ মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা জানতে পড়ুন
- মিষ্টি কুমড়ার বীজের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
- মিষ্টি কুমড়া বীজের ১০টি উপকারিতা
- মিষ্টি কুমড়া বীজের অপকারিতা
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
- মিষ্টি কুমড়া বীজের দাম
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে যা হয়
- মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ
মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমাদের সকলের পরিচিত একটি সুস্বাদু সবজি হলো মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়ায় সবজিটি স্বাদের হয় বলে, সকলের কাছে এই সবজিটি অনেক পছন্দের। তবে অনেকেই মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। যার ফলে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পর মিষ্টি কুমড়ার বীজ অবহেলা করে ফেলে দেন।
মিষ্টি কুমড়া বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তা আমরা অনেকেই জানিনা শরীরের জন্য প্রয়োজনে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান মিষ্টি কুমড়ার ভিতর রয়েছে। নিচে পুষ্টি উপাদান গুলো উল্লেখ করা হলো। মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিতে পারেন।
- আইরন
- প্রোটিন
- ফসফরাস
- ফাইবার
- জিংক
- ম্যাগনেসিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- ফাইটোকেমিক্যাল
- বিটা ক্যারোটিন
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড
উপরের এসব উপাদানগুলো মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে। এসব প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পর আবর্জনা ভেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ কখনোই ফেলে দেবো না এ বিষয়ে আপনারা খুবই সতর্ক থাকবেন।
মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা
কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ মানুষের দেহের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এই বীজে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে আরজেনিন নামক এমাইনো এসিড এবং নাইট্রিক অক্সাইড। বিভিন্ন গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে,
নাইট্রিক এসিড স্নায়ু শীতল করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।তাই আপনার হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা রাখুন কুমড়োর বীজ। তবে এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা খুবই জরুরী।
মিষ্টি কুমড়া বীজ অনিদ্রা দূর করেঃ একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য শরীরের দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। কোন মানুষ যদি নিয়ম অনুযায়ী ঠিকমতো ঘুমাতে না পারেন তাহলে নানান ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। আর এই সমস্যা হল অনিদ্রায় সমস্যা। অনেক যায় সমস্যা দূরীকরণে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজ,
ছেরোটোনির নামক রাসায়নিক উপাদান তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে। আরে এই উপাদান স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রা জনিত সমস্যাগুলো কাটাতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিডের এটি একটি প্রাকৃতিক উৎস। গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, প্রতিদিন এক গ্রাম ট্রিপটোফ্যান ঘুমের উন্নতির জন্য সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বা অপরিহার্য।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে থাকেঃ বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত। আর যে মানুষগুলোর ডায়াবেটিকস রয়েছে বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু ধরনের খাবার রাখা প্রয়োজন, যে খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আর সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ
বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।যা ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীদের বা টাইপ টু ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীদের ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী যদি নিয়মিতভাবে মিষ্টি
কুমড়ার বীজ সেবন করে, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মিষ্টি কুমড়ার এই উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কম করে ডায়াবেটিকসের মত ভয়ংকর সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
কুমড়ার বীজ পুরুষদের জন্য উপকারী ঃ বিভিন্ন পুষ্টিবিদগণ বিভিন্ন গবেষণা করে দেখেছেন যে, মিষ্টি কুমড়ার বীজ একজন পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে বা পাওয়া যায়, যার ফলে শুক্রাণুর গুণগত মান ভালো হয়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিকে শক্তিশালী করতে এবং স্বাস্থ্যকর হরমোনের
প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত খাবারের সাথে পুষ্টিকর কুমড়ার বীজ খাওয়া অপরিহার্য। মিষ্টি কুমড়ার বীজ পুরুষের যৌন এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রযোজন ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।মিষ্টি কুমড়ার বীজ চুল ভালো রাখ ঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে। মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড, জিংক, সালফার, ভিটামিন এ ইত্যাদি বিভিন্ন উপাদান। আর এ উপাদানগুলো একজন মানুষের চুল উজ্জল ও ঘন করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রীপটোফ্যান এবং টাইরোনিন নামক অ্যামাইনো এসিড যার শরীর সাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। এগুলো হলো ছোরোটোনিন ও ডোপামিনের পূর্বসরী। আপনি যদি অ্যাংজাইটি ও স্ট্রেস সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন
তাহলে আপনি মানসিকভাবে চাঙ্কা থাকবেন। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখবেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ। কেননা শরীর স্বাস্থ্য একজন মানুষের কাছে অমূল্য সম্পদ। কোন মানুষের যদি শরীর-স্বাস্থ্য ভালো না থাকে তাহলে তার চেয়ে দুঃখী পৃথিবীতে আর কেউ হয় না। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন খাবারের তালিকাতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখার।
হাড় ভালো রাখনঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে আপনার হাড় ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক। আর এগুলো আপনার হাড় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অস্টিওপরোসিস মত হাড়ের সমস্যা গুলো দূর করতে সাহায্য করে থাকে। উপরে উল্লেখিত উপকারিতা গুলো ছাড়াও মিষ্টি
কুমড়ার বীজে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। উপকারিতাগুলো হল মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ ত্বক ভালো রাখেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ত্বক ভালো রাখতে কিসের ভূমিকা পালন করে। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিনয়েড এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এগুলো ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বিদেশ রয়েছে হাইড্রক্সি এসিড যা ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে বা সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়া বীজের অপকারিতা
উপরে মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনেছি এখন মিষ্টি কুমড়া বীজের অপকারিতাগুলো জেনে নিন। মিষ্টি কুমড়া বীজে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে সব জিনিসেরই প্রযোজনা তুলনায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেলে অবশ্যই তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তেমনি মিষ্টি কুমড়ার বীজেও রয়েছে এর অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৩০ গ্রাম বা দুই টেবিল চামচ পরিমাণ মতো মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারবেন। তবে এমনও কিছু কারণ থাকে যার কারণে মিষ্টি কুমড়ার বীজ একদমই খাওয়া উচিত নয়। চলুন তাহলে জেনে নেই নিম্নে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার অপকারিতা গুলো আলোকপাত হলো।
- যাদের সাধারণত এলার্জি আছে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার পর এলার্জি অনুভব করেন। তাদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ না খাওয়াই উচিত।
- প্রেগনেন্ট মহিলা ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বিষ খাওয়া উচিত নয়।
- এছাড়া আপনি যদি কম ক্যালোরিযুক্ত ডায়েটে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার মিষ্টি কুমড়ার বীজের ব্যবহার সীমিত পরিমানে করা উচিত। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজে ক্যালোরি পরিমাণ বেশি থাকে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রয়োজনের তুলনায় কখনোই অতিরিক্ত পনিমাণ খাওয়া ঠিক নয়,তাহলে আপনার না ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: পেটের ব্যথা, পেট ফাঁপা, ফোলা ভাব, এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- এছাড়া আপনাদের ভিতরে যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বীজ না খাওয়াই উচিত।
- প্রিয় পাঠকগণ আশা করি উপরে উল্লেখিত মিষ্টি কুমড়ার বীজের অপকারিতাগুলো বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি কুমড়ার বীজ যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমনি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা মনে করেন যে, মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার জন্য যে সময়টা সবচেয়ে ভালো সেটা হলো সকালের খাবার বা নাস্তা খাওয়ার সাথে। তবে আপনি যদি চান তবে বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন। এরপর আপনি মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজ রান্নার সাথে ব্যবহার করেও খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে কাঁচা ও খেতে পারেন। এভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে আপনি প্রচুর উপকার পাবেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে এবং এগুলো প্রোটিন সমৃদ্ধ।তাই সঠিক পরিমাণে পরিমাণ মত কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী। একজন সুস্থ মানুষ দৈনিক মিষ্টি কুমড়ার বীজ একমুঠো অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ টির মত বীজ খেতে পারবেন।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংরক্ষণ করেও রাখা যায়। এতে আপনি যেটা করবেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। আপনি চাইলে শালার অথবা তরকারির মধ্যেও মিষ্টি কুমড়ার বীজ যোগ করে খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করতে পারবেন। এমনকি আপনি যদি মিষ্টি বীজ ড্রাই ফ্রুট হিসাবে খেতে চান তবে সেটাও খেতে পারেন। প্রতিদিনের খাবারের সাথে অবশ্যই মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখবেন কেন না এর উপকারিতা অপরিসীম।
মিষ্টি কুমড়া বীজের দাম
শরীর স্বাস্থ্যর জন্য বুখারী পুষ্টি উপাদান হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এর ফলে এই বীজের চাহিদা অনেক। দামের পরিমাণটাও একটু বেশি হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ কম পাওয়া যায় বলে বর্তমানে অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রি করছেন। বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায় যে মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রতি কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে আপনি যদি চান অল্প কিনতে পারেন যেমন ১০০ গ্রাম ২০০ গ্রাম এমনকি ৫০০ গ্রাম ভিডিও কিনতে পারেন।তবে আপনি যখন মিষ্টি কুমড়া বীজ ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই দাম এবং বীজ যাচাই করে কিনবেন।
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। কেননা এগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শরীর সাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। নিচে মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয় জানুন।
- আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
- আমরা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ থাকবে
- আপনার ঘুমের পরিমাণ ভালো হবে
- আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে
- আমার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
মিষ্টি কুমড়ার বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয়
মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রায় প্রতিটি মানুষের জন্যই নিরাপদ এবং উপকারী। তবে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এরিয়ে চলা উচিত। কাদের খাওয়া উচিত নয় নিচে জানুন।
- মিষ্টি কুমড়া বীজে যাদের সাধারণত অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এগিয়ে চলা উচিত।
- জাদের গ্যাস্টিক কিংবা পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের এড়িয়ে চলা উচিত, কেননা সমস্যা বাড়তে পারে।
- মিষ্টি কুমড়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে যা হয়
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয় সেগুলো জেনে নিন। প্রথমত মিষ্টি কুমড়ার বীজ শরীর-স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ উপকারী। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই একটি উপকারী উপাদান। এবং যাদের যৌন সমস্যা আছে বা যৌন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ ম্যাজিক এর মত কাজ করে থাকে।শুধু যৌন বা ডায়াবেটিস নয় এছাড়াও
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে আপনি প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাবেন। আপনি যদি মিষ্টি কুমড়ার বীজ না খান তাহলে বুঝবেন না। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ। এবং সাথে রয়েছে পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। আপনি যদি নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খান, তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং হজম শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে অনিদ্রা জনিত সমস্যা,বাতের সমস্যার জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ ম্যাজিক এর মত কাজ করে থাকে এবং চুল ও ত্বকের যত্নের জন্য খুবই উপকারী।মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা এবং অপকারিতা জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
FAQ প্রশ্ন/ উত্তর
দিনে কতগুলো কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত?
প্রতিদিন এক চতুর্থ্যাংশ কাপ ৩০ গ্রাম বা এক মুঠো অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আমরা কি সরাসরি কুমড়ার বীজ খেতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি সরাসরি কমরার বীজ খেতে পারবেন। তবে আপনি যদি এগুলোকে কিছু সময় জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখেন, তবে তাদের খোসা থেকে সজ্জা অপসরণ করতে সহায়তা করবে।
কাঁচা বা ভাজা কুমড়ার বীজ খাওয়া ভালো?
কাঁচা কুমড়ার বীজে বেশি পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন কাঁচা খাওয়ার তবে ভেজেও খাওয়া যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য - মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, অপকারিতাে এবং খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা অপরিসীম।
মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো শরীর স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ উপকারী এবং মিষ্টি কুমড়ার বীজে ঔষধি গুণাগুলো রয়েছে। উপরে সমস্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন পুরো আর্টিকেলটি পড়ে।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url