নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি জানুন
আপনি কি নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। নিচে এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন, নিম পাতার সমস্ত গুণাগুণ উপকারিতা,অপকারিতা, ব্যবহারবিধি ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আমরা বেশিরভাগ মানুষই নিম গাছের সাথে পরিচিত থাকলেও, আমরা অনেকেই নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা পোষণ করি না। তবে নিম পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে। নিচে নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি জানতে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি জানতে পড়ুন
- নিম পাতা নিয়ে কিছু কথা
- নিম পাতার ২০টি উপকারিতা
- চুলের জন্য নিমপাতার উপকারিতা
- নিম পাতার অপকারিতা
- নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
- রূপচর্চা/ ত্বকের যত্ন /চুলকানি /এলার্জি ইত্যাদিতে নিম পাতার ব্যবহার
- ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিম পাতা
- ওজন কমাতে নিমপাতা
- এলার্জির সমস্যার সমাধানে নিম পাতা
- পেটের সমস্যা দূর করতে নিমপাতা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
নিম পাতা নিয়ে কিছু কথা
নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জানা প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য খুবই জরুরী। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নিম পাতার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে। নিম পাতাতে ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে কিন্তু আমাদের সঠিক তথ্য বা নিম পাতার সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে জানিনা। নিম্নে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।
নিম পাতা থেকে শুরু করে নিম গাছের শিকড় পর্যন্ত সবগুলোই আমাদের শরীর স্বাস্থ্য জন্য উপকারে আসে।নিমপাতা একটি ঔষধই বৃক্ষ। যার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ভারত উপমহাদেশে খ্রিস্ট জন্মের ৫০০০ বছর পূর্বে নিম গাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নিমের গুণাগুণ গুলো বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম গাছকে "২১ শতকের বৃক্ষ"হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
নিম পাতার মধ্য এমন কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।একজন মানুষ যদি নিয়মিত নিম পাতার রস খায়, তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া এই গাছটির প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। নিম পাতার স্বাদ সাধারণত তিতো ধরনের হয়।
নিম পাতার ২০টি উপকারিতা
নিমপাতের উপকারিতার শেষ নেই। নিম পাতার গাছ আমাদের জন্য একটি উপকারী বৃক্ষ। নিমপাতা গাছের উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিম গাছের পাতা থেকে শিকড় পর্যন্ত, বাকোল, ফুল,এমনকি ফল থেকেও আমরা উপকার পেয়ে থাকি। নিম পাতার গাছ একটি ঔষধি বৃক্ষ। নিম পাতার কাছে প্রচুর উপকারিতা বলে এই গাছকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাছ বলা হয় আর সেজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে "২১ শতকের বৃক্ষ" বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রিয় পাঠক নিচে জানতে পারবেন নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে।
রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে নিম পাতাঃ নিম পাতার রস রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিম পাতার রস, রক্তে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ গুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে থাকে। আর এজন্যই নিম পাতাগুলো পরিষ্কার পাত্রে ভালো করে বেটে রস বের করে সেই রস সেবন করা উচিত। তাহলে আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
খোস পাঁচরা নিরাময় নিমপাতাঃ খোশ পাঁচড়া নিরাময়ের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অপরিহার্য। খোস পাঁচরার জন্য নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে যে স্থানটিতে খোস পাঁচরা হয়েছে সেই আক্রান্ত স্থানে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করলে খোশ পাঁচড়া ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও আপনার যদি পুরনো দিনের ক্ষত/ঘা থাকে সেটাতে যদি লাগানো যায় তবে সেটাও কিছুদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি কুমড়া বীজের ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা- পুষ্টিগুণ জেনে নিন
মুখের রুচি ফেরাতে নিম পাতাঃ মুখের রুচি ফেরাতে নিম পাতার গুড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই যাদের মুখের রুচিগত সমস্যা রয়েছে তারা সুজির হালুয়ার সাথে অল্প কিছুদিন নিম পাতার গুড়া যদি মিশিয়ে খান, তাহলে মুখের রুচি ফিরে পাবেন। নিম পাতার গুড়া মুখে রুচি বেড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কৃমি নিরাসনে নিম পাতাঃ আপনি যদি কৃমি নিরেশন করতে চান, তাহলে প্রতিদিন আপনাকে খালি পেটে খেতে হবে নিম পাতার রস। আপনি যদি নিয়মিত নিম পাতার রস এক সপ্তাহ সেবন করেন তাহলে কৃমি থেকে মুক্তি পাবেন। তবে নিম পাতার রস বাচ্চাদের খাওয়ানোর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কখনই ভুলক্রমে একদিনে একাধিক পরিমাণ রস খাওয়া যাবে না। এতে বাচ্চাদের নানান ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চুলকানি ভালো করতে নিমপাতাঃ চুলকানি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম পাতা বিশেষ কার্যকরী ঔষধ। চুলকানি ভালো করতে নিম পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে। চুলকানি ভালো করতে আপনি যদি নিম পাতার পানি গরম করে, সেই পানিতে গোসল করেন, তাহলে চুলকানি দ্রুত ভালো হয়ে যায়। সেই সাথে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে করে পিষে চুলকানির স্থানে যদি লাগিয়ে দেন, তাহলে দ্রুত চুলকানি ভালো হয়ে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
বাত ব্যথা নিরাময়ঃ বাত ব্যথা নিরাময় নিমের তেল বিশেষ উপকারী। এই তেল দিয়ে মেসেজ করলে বাত ব্যথা অনেকটা কমে যায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে, বাতের ব্যথার কমাতে নিম পাতা এবং নিম ফলের ব্যবহার করা হতো। এখনো বর্তমানে বাতের চিকিৎসার জন্য বাত ব্যথার ওষুধ হিসেবে এসব ব্যবহার করা হচ্ছে।
খুশকি দূর করতে নিমপাতাঃ নিম পাতা খুশকি দূর করতে ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। খুশকি দূর করার জন্য নিম পাতা ভালো করে বেটে মাথায় লাগাতে হবে। সেই নিম পাতার সাথে সিদ্ধ/গরম করা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে তাহলেই আপনি খুশির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। নিমপাতা খুব কি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি খুশকিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এবং খুশি থেকে পরিত্রাণ পেতে চান। তাহলে উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করে খুশকি দূর করতে পারেন।
কাশি ভালো করতে নিমপাতাঃ কাশি ভালো করতেন নিম পাতার রস এক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। সাধারণত যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে যার ফলে অনেকের কাশি হয়ে থাকে। তারা ঘরোয়া উপায়ে কাশি ভালো করার জন্য নিম পাতার রস খেতে পারেন। কেননা নিম পাতার রস কাশি ভালো করার জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে এছাড়াও কাশি ভালো করার জন্য নিম পাতার রসের সাথে মধু মিশেও খেতে পারে। আপনার কাশি ভালো করার জন্য উপরের উল্লেখিত কাজগুলো করতে পারেন আশা করি ফলাফল পাবেন।
ভাইরাস প্রতিরোধ করে নিম পাতাঃ ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত নিম পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমান রোগগুলো যেমন- পক্স, হাম, অন্যান্য ভাইরাস জনিত রোগ নিরাময় করার জন্য নিম পাতার লাগানো হচ্ছে। সেই সাথে নিম পাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে গোসল করলে এসব রোগ থেকে খুব দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি ভাইরাস জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে উপরের কাজগুলো করতে পারেন। আশা করি ভাইরাস জনিস রোগ থেকে প্রতিরোধ পাবেন।জন্ডিস ভালো করতে নিমপাতাঃ জন্ডিস ভালো করতে নিম পাতার রস এটি কার্যকরী ঔষধ। নিম পাতার রস জন্ডিস ভালো করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। আপনার যদি জন্ডিস হয়ে থাকে, তবে আপনি নিয়মিতভাবে নিম পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদিও রসটা তেতো তবুও খেতে হবে। যদি আপনি নিয়মিতভাবে নিম পাতার রসটা খান তাহলে আপনার জন্ডিস দূর হয়ে যাবে আশা করি।
মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিম পাতাঃ মুখে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দরকার নিমপাতা। কেননা নিমপাতা তে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়া নামক উপাদান। আপনি যদি প্রতিনিয়ত নিম পাতা খান আর এর ফলে মুখের ভিতর অবস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিম পাতা খাওয়ার ফলে আর সেই সাথে মুখের দুর্গন্ধ ও মাঠে থেকে রক্ত পড়া রোদ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আর এজন্য প্রতিনিয়ত নিম পাতার রস খাওয়ার পাশাপাশি নিমের নির্যাস দিয়ে তৈরীকৃত টুটপেস্ট, মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
রক্তনালীকে প্রসারিত করেঃ নিম পাতার রক্তনালী প্রসারিত করে রক্ত সরবরাহ উন্নত করে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে নিম পাতার রস খান, তাহলে আপনার রক্তনালী প্রসারিত হবে। আরো অনেক উপকার পেতে নিয়মিত খালি পেটে কচি নিম পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনি দারুন উপকার পাবেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিমপাতাঃ নিমপাতা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মত অনুসারে, প্রতিনিয়ত নিয়মিত খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্ভাবনা গুলো কেউ অনেক গুণ পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এবং ত্বক হয় অনেক বেশি প্রাণবন্ত। তাই ত্বকে সৌন্দর্য রক্ষা করতে নিম পাতার বিকল্প নেই। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিয়মিতভাবে সেবন করুন নিমপাতা। আর এর ফলে পাবেন অনেক ধরনের উপকারিতা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
উকুনের সমস্যার সমাধানে নিমপাতাঃ উকুনের সমস্যার সমাধানে নিম পাতা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। উকুনের সমস্যার সমাধানের জন্য নিম পাতা ভালোভাবে বেটে মাথায় ব্যবহার করে ৩০ মিনিট রেখে দিলে এবং তারপর সেগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে। আর আপনি যদি এভাবে নিম পাতা কিছুদিন ব্যবহার করেন তাহলে মাথা থেকে উকুন চলে যাবে। উকুন দূর করতে নিম পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই যাদের মাথায় উকুন রয়েছে তারা উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো নিতে পারেন, আশা করি মাথা থেকে উকুন দূর হয়ে যাবে।
ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেঃ ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর টক্সিন এর প্রবেশ ঘটে। আর এসব টক্সিন যদি আপনি শরীর থেকে বের না করেন, তাহলে নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এই ক্ষতিকর টক্সিন গুলো বের করতে নিম পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতা তে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে, আর এসব উপকারী উপাদানগুলো টক্সিন শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। নিম পাতার উপকারিতা কথা বলে আসলে শেষ করা যাবে না।
বসন্ত রোগীদের জীবনানাশক হিসেবে নিম পাতাঃ বসন্ত রোগীদের জীবানুনাশক হিসেবে নিম পাতা কাজ করে।বসন্ত রোগীদের যদি নিম পাতার বিছানায় শোয়ানো যায়, তবে নিম পাতার রোগী বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হওয়ার হাত দেখে রক্ষা পায়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফোড়া, একজিমা, চুলকানি ইত্যাদির চর্ম রোগে নিম পাতা বেটে এর প্রলেপ লাগালে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। বসন্ত রোগীদের জন্য নিম পাতার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাই যারা বসন্ত রোগী আছেন তারা উপরে উল্লেখিত রোগ ভালো হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিবেন।
ফোরা ভালো করতেঃ আপনার যদি ফোড়া হয়ে থাকে তাহলে নিম পাতা পেটে হুরের উপরে প্রলেপ করতে পারেন। আর এর ফলে পুরা দ্রুত পেকে ফেটে গিয়ে পরে তাই শুকিয়ে যাবে এবং ব্যথাও অনেক পরিমাণ কম হবে।
পোকামাকড় দমনে নেম পাতাঃ পোকামাকড় দমনের জন্য বর্তমানে নিম পাতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি শুকনো নিম পাতা, চাল, ডাল, গম ইত্যাদি বিভিন্ন পাত্রে রাখেন যেসব পাত্রে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না। এছাড়া নিম পাতা বেটে তাতে ১ঃ১০ অনুপাত পানি মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেন তাহলে সে ফসলী জমি পোকামাকড় আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। আবার আপনি যদি বর্ষাকালে আলমারিতে রাখা কাপড়-চোপড়ে বাজে গন্ধ পায় সেসব জায়গায়, আপনি যদি নিমপাতা রেখে দেন তাহলে পোকামাকড় হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি বাজে গন্ধ দূর হবে।
ব্রণের সমস্যা সমাধানেঃ ব্রণের সমস্যা সমাধানে নিম পাতার রস উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে নিম পাতার রস সেবন করে তাহলে আপনার তো অপশন থাকবে এবং ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিতভাবে নিম পাতার গুড়া পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে মুখ ধৌত করেন তাহলে প্রাণের সমস্যা দূর হয়ে যায়। সেই সাথে ব্রণ হওয়ার ফলে আপনার যে জ্বালাপোড়া হয় সেটা কমে জাবে।
এছাড়াও নিম গাছের বাকল, ফুল,ফল, বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এক কথায় বলা যেতে পারে নিম গাছ পুরোটাই একটি উপকারী বৃক্ষ। নিম গাছের বিভিন্ন অংশ মানুষের বিভিন্ন উপকারে আসে। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের বাড়ির পাশে বা প্রতিটি বাড়িতে একটি করে নিম গাছগাড়ার এবং সে গাছ সঠিকভাবে পরিচর্যা করা।
আরো পড়ুনঃ জলপাই ফলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা এবং সতর্কতা সম্পর্কে- বিস্তারিত জেনে নিন
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে
নিমপাতা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কেননা নিম পাতা রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। বর্তমানে অসংখ্য মানুষের ভয়ংকর রোগ ডায়াবেটিকস রয়েছে। তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিতভাবে নিমপাতা রস খায়, তাহলে ডাইবেটিকস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এছাড়াও আপনি যদি নিম পাতার রস নিয়মিত খান, তাহলে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন নিয়মিতভাবে নিম পাতার রস খাওয়ার আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিমপাতা
নিম পাতার রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। নিম পাতার রসে থাকা বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউনো সিস্টেমকে শক্তিশালী করে থাকে। আর এজন্যই সহজে শরীরে কোন রোগ আক্রমণ করতে পারে না। আপনি যদি নিয়মিত নিম পাতার রস সেবন করেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবেন। তাই নিয়মিত রাখুন প্রতিদিনের তালিকায় রাখুন নিম
ওজন কমাতে নিমপাতা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে নিয়মিত খেতে হবে আপনাকে নিম পাতা। নিম পাতা ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়ে আমি তো নিম পাতা খান তাহলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গুলো ঝরে যাবে। তাছাড়াও নিম পাতার রস শরীরের অতিরিক্ত চর্বি হওয়া থেকে বিরত রেখে থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন প্রতিনিয়ত নিম পাতার রস সেবন করার।
আরো পড়ুনঃ সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন পেতে প্রতিদিন খান জীবন্ত খাবার
এলার্জির সমস্যার সমাধানে নিমপাতা
এলার্জির সমস্যা সমাধানের জন্য নিম পাতা একটি মহা ঔষধ। যাদের সাধারণত এলার্জি রয়েছে তারা যদি নিম পাতার সেদ্ধ করে সেই পানিতে গোসল করতে পারেন তাহলে আপনার এলার্জির সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিতভাবে নিম পাতার রস সেবন করতে পারেন। তাহলে আপনার এলার্জি চিরতরে নিরাময় হয়ে যাবে। তাই আলা যেই সমস্যার জন্য নিম পাতার বিকল্প নাই। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবেন নিমপাতা রস খাওয়ার জন্য
পেটের সমস্যা দূর করতে নিমপাতা
পেটের সমস্যা মানুষের বড় সমস্যা তাই পেটের সমস্যা দূর করতে নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার। আপনি যদি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতার রস খান, তাহলে আপনার পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। নিম পাতার রসে রয়েছে এক ধরনের উপকারী উপাদান যা পাকস্থলীতে অবস্থিত খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
এর ফলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। সেই সাথে আপনার গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তাই আপনি যদি পেটের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে প্রতিনিয়ত খান। নিম পাতা উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না একটা করে বুঝতে পেরেছেন।
চুলের জন্য নিমপাতার উপকারিতা
- আপনি যদি নিয়মিতভাবে নিম পাতার রস মাথায় লাগান এর ফলে মাথার চুলকানি ভালো হয়ে যায়। নিম পাতার রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- খুশকি দূর করতে নিম পাতার রস বিশেষ উপকারী। আপনি যদি নিমপাতার সিদ্ধ করা পানিটা গোসল করেন তাহলে খুশকি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়
- আমি বাজার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে এবং ফ্যাটি এসিড থাকে। যা চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিয়মিত নিমিতের ব্যবহারে ফলে চুল ঘন কালো হয়।
- উকুনের সমস্যার সমাধান নিম পাতার রস বিশেষ কার্যকর। টক দই ও নিমপাতার গুড়া আপনি যদি মাথায় ব্যবহার করেন, তাহলে মাথার উকুন দূর হয়ে যায় এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এটা বিশেষ ভূমিকা পালন করা।
- আপনি যদি নিম পাতার রস এবং নারকেল তেলের ক্ষেতে মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে মাথার চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া শক্ত মজবুত হয়।
নিম পাতার অপকারিতা
উপরে আপনারা নিম পাতার ২০টি উপকারিতা জেনেছেন এখন জানুন এর কিছু অপকারিতা সম্পর্কে। আমরা নিম পাতার নানান উপকারিতাগুলো সম্পর্কে উপরে জেনেছি, তবে নিম পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। নিম্নে নিম পাতার অপকারিতা গুলো আলোকপাত করা হলো।
- কোন কিছুই প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত হওয়া ভালো না। নিম পাতার রস আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- প্রয়োজনের তুলনায় আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ নিম পাতা খান তাহলে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যাবে কমে যায় সম্ভাবনা থাকে। এজন্য প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিমপাতা খাবেন।
- আপনারা জানেন নিম পাতায় সাধারণত তিতা ধরনের হয়। আর এ কারণে নিম পাতা খেলে আপনার বমি হতে পারে।
- আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ নিম পাতা খান, তাহলে ডায়রিয়া, মাথা ব্যথার মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। যাদের এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে বন্ধ করে দিতে হবে।
- যেকোনো ধরনের অপরেশনের আগে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে কেননা সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ায় শ্রেয়।
- যাদের সাধারণত নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর কারণ হলো নিম পাতা খাওয়ার ফলে তাদের রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
- এছাড়াও কারো কারো ক্ষেত্রে নিম পাতা খাওয়ার ফলে এ এলাকায় সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত না খাওয়াই বেটার।
আরো পড়ুনঃ সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় যে ৫ টি খাবার খেতে পারেন
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
উপরে আমরা নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ব্যবহারবিধি জেনেছি।এখন আমরা নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। নিম গাছের পাতা শরীর স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ উপকারী। নিম গাছ একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। আমাদের প্রতিটি মানুষের দেহের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিম পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিম পাতায় সাধারণত বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।
তবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে,নিম পাতা মধুর সংগে মিশিয়ে খেলে সাধারণত অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর ফলে মানুষের খুসখুসে কাশি দূর হয়। এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিমপাতা সকালে খালি খালি পেটে চিবিয়ে খেতে পারেন, অনেক উপকার পাবেন। নিম পাতা যেহেতু টিটা ধরনের তাই এর সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এরফলে নিমপাতার তিতা স্বাদটা চলে যাবে। আপনার কাছে যদি প্রতিদিন নিম পাতা পাওয়া কষ্টকর হয় তবে আপনি এই সংরক্ষণ করে রেখে প্রতিদিন খেতে পারেন। আর এর জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হল, নিম পাতার ডাল থেকে ছাড়িয়ে ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর ছোট ছোট বড়ি করে সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই বড়িগুলো কাজের বদলে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত থাকে এবং নিম পাতার গুণাগুণ গুলো সাধারণত নষ্ট হয় না।
আপনি ইচ্ছে করলে প্রতিদিন সেই বড়িগুলো খেতে পারেন। এরপর আপনি নিম পাতা বেটে রস খেতে পারেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাহলে আপনার পেটের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। আপনি নিম পাতার যেভাবেই খান না কেন আপনি এর উপকারিতা গুলো পেয়ে যাবেন। তবে খালি পেটে নিম পাতা খেলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ উপকারিতা পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি চাইলে গোলমরিচের সাথে নিম পাতা খেতে পারেন।
রূপচর্চা/ ত্বকের যত্ন /চুলকানি /এলার্জি ইত্যাদিতে নিম পাতার ব্যবহার
প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। এখন এই পর্বে আমরা জানব নিম পাতা দিয়ে ত্বকের যত্ন, রূপচর্চা, চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে সাথেই থাকুন...
- নিম পাতা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করে থাকে। আর এই নিম পাতা ত্বকের সুরক্ষায় কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়। আর এর জন্য কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা ভালোভাবে বেটে যদি ত্বকে লাগানো যায়, তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত লাগানোর ফলে ত্বক সাধারণত সুন্দর হয়।
- নিম পাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে যদি গোসল করা যায় তাহলে এলার্জি সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
- আপনি নিম পাতা রোদে শুঁকিয়ে গুড়া করে রাখতে পারেন। আর সেটা ফেইস বা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এতে ত্বক ভালো থাকবে।
- নিম পাতা দিয়ে ক্লিনজার তৈরি করা যায় । এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- নিম পাতা রুক্ষ ত্বক কে উজ্জলতা করতে সাহায্য করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিম পাতাটি ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে, সেটা হলো নিম পাতার গুঁড়োর সাথে চন্দন গুড়োঁ, পানির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর ব্যবহার করুন শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে স্বাভাবিকের চেয়ে।
- একমুঠো নিম পাতা বেটে আপনি এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগাবেন। এর কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন আর এভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে টক টানটান ভাব বলে থাকবে।
- ব্রণের সমস্যা দূর করতে চাইলে নিম পাতা ভালোভাবে বেটে ত্বকে লাগান। এতে কি হবে আপনারা ত্বকে আর ব্রণ উঠবে না।
- নিম পাতা যেহেতু ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এজন্য আপনার চাইলে নিম পাতা দিয়ে সাবান তৈরি করতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের সময় ব্যবহার করতে পারবেন বা পারেন। এতে করে আপনার ত্বক বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য - নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে যে, নিম পাতার ২০টি উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি, নিম পাতার অপকারিতা, নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম এবং নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে নিম পাতার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিম পাতার কিছু ক্ষতিকর দিক থাকলেও তবে ক্ষতিকারিতার চেয়ে অপকারিতার পরিমাণ বেশি।
তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিন কম পরিমান হলেও নিয়মিত নিম পাতার রস সেপন করা। এতে শরীর বিভিন্ন রোগের আক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে। নিম গাছ পরিবেশের ব্যাপক উপকার করে থাকে। তাই আমাদের উচিত প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একটি করে নিম গাছ লাগানো। ধন্যবাদ
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url