বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন এখনই
আপনি কি এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এলার্জি প্রতিটি মানুষের অল্প হলেও থেকে থাকে এটা কমন একটি সমস্যা। আপনি যদি আপনি যদু চান তবে এলার্জি দূর করতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ে। কিন্তু কিভাবে দূর করবেন সেগুলো বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।
এলার্জি যেকোনো মানুষের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। এলার্জির কারণে অনেক মানুষকে ভুগতে হয়। এলার্জির কারণে অনেক মানুষ সুস্বাদু সব ধরনের খাবার খেতে পারে না। ফলে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। তাই নিচে বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে পড়ুন
- এলার্জি নিয়ে কিছু কথা
- এলার্জির কারণগুলো
- যেসব খাবারে এলার্জি থাকে
- এলার্জির লক্ষণগুলো
- যেভাবে এলার্জি থেকে বাঁচবেন
- ত্বকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ঠান্ডা থেকে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- মাথার এলার্জি দূর করার উপায়
- নাকের এলার্জি দূর করার উপায়
- কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
এলার্জি নিয়ে কিছু কথা
বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জি যদিও মানুষের কমন একটি সমস্যা তবে এলার্জি থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আমরা যদি সেই উপায়গুলো মেনে চলি তাহলে এলার্জি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সাধারণত শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা গুলো বেশি থাকে। তবে বয়স হওয়ার সাথে
সাথে কমে যায়। আবার অনেক সময় ছোটবেলায় এলার্জি না থাকলেও পরবর্তীতে এলার্জি দেখা দিতে পারে।তাই কিছু বিধিনিষেধ মানলে এলার্জি থেকে পরিধান পাওয়া যাবে। নিম্নে আর্টিকেলটি পড়ে বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন।
এলার্জির কারণগুলো
এলার্জি মানুষের সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তবে আমাদের দেহের যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো ক্ষতিকর জিনিসগুলো থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো কিছু জিনিসকে ভুল করে, ক্ষতিকর ভেবে বসে আমরা বসে থাকি, যা আদৌও ক্ষতিকর নয়। আর এসব জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়াতেই এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। অনেক সময় চামড়া
লাল হয়ে যায় এবং চুলকায়। নিম্নে যেসব জিনিসের সংস্পর্শে আসলে শরীরে এলার্জি দেখা দেয় আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন নিচে উল্লেখ করা হল।
- যেকোনো নির্দিষ্ট কিছু খাবার
- অতিরিক্ত ঘাম
- গৃহপালিত পশু পাখি থেকে
- ধুলাবালি
- গরম এবং ঠান্ডা আবহাওয়া
- পরাগরেণু ও ফুলের রেণু
- সূর্য-রশ্মি থেকে
- মানসিক চাপ থেকে
- বিভিন্ন ধরনের রাবারের তৈরী গ্লোভস বা কনডম থেকে এলার্জি হতে পারে।
- বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ
- কীটনাশকের সংস্পর্শে
- ছত্রাক এবং বিভিন্ন ঔষুধ থেকে
- যেসব খাবারে এলার্জি থাকে জেনে নিন
সাধারণত সব খাবারেই এলার্জি থাকে না। যেসব খাবারে এলার্জি থাকে সে খাবারগুলো আমাদের পরিহার করে চলার চেষ্টা করা উচিত।
এলার্জির লক্ষণগুলো
এলার্জির লক্ষণগুলো সাধারণত একেক মানুষের কাছে একেক ধরনের হয়ে থাকে। এলার্জির সাধারণত বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ আছে। সেই এলার্জির লক্ষণগুলোর মধ্য রয়েছে চোখ ওঠা, হ্যাঁচি,ত্বক চুলকানো, শ্বাস কষ্ট, রক্তচাপ, বমি হওয়া ইত্যাদি।প্রতিটি মানুষের শরীর রোগ জীবনু প্রতিরোধ করে থাকে। শরীরের এই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার ত্রুটিগুলোই হলো এলার্জি। এলার্জি
যন্ত্রণাদায়ক রোগ। যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তাদের শরীরে জীবাণুর পাশাপাশি শরীরের জন্য কোনো ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুকেও ক্ষতিকর মনে করা হয়ে থাকে এবং এবং তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিন্তু ক্ষতিকর নয় অথচ এমন বস্তুর প্রতি শরীরের জন্য অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে এলার্জি বলা হয়ে থাকে।
এলার্জি রয়েছে যে সব মাছে সেসব মাছগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- ইলিশ মাছ
- চিংড়ি মাছ
গরুর মাংসতেও এলার্জি রয়েছে। তাই জাদের এলার্জিগত সমস্যা রয়েছে তারা এসব খাবার এরিয়ে চলুন।
যেভাবে এলার্জি থেকে বাঁচবেন
এলার্জি কখনো একজন মানুষের শরীর থেকে পুরোপুরি দূর হয়ে যায় না। তবে এলার্জির প্রকোপটা কিছুটা পরিমাণ কমে যায়। যে সব বস্তুগুলোতে এলার্জি রয়েছে, সে সব থেকে ১০০ হাত দূরে থাকলেই আপনি সহজেই এলার্জি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। মানুষের শরীরের রোগভেদে একেক বস্তুতে একেক ধরনের এলার্জি থাকতে পারে। যেমন উদাহরণ হিসাবে যদি বলা যায়।
এলার্জি আপনার তাই সমাধান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে নিজেকেই। আর সেগুলো যদি আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন, তাহলে এলার্জির হাত থেকে নিজেকে সহজেই রক্ষা করতে পারবেন।
ত্বকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
ত্বকের এলার্জির কারণে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ভুগে থাকেন। শীতকালে যেমন মানুষের মনে এক ধরনের আনন্দ এনে দেয়, তেমনি আবার সমস্যারও সৃষ্টি করে থাকে। শীতকালে সাধারণত সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে এলার্জি। আর এই এলার্জির ফলে অনেক মানুষ অস্বস্তিতে ভুলে থাকেন। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে কত মানুষ কত কিনা
করেন কিন্তু ফলাফল আশানুরূপ হয়না। তবে আপনি যদি একটু যত্ন নেন তাহলে এই অস্বস্তিকার অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। এক্ষেত্রে এলার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় বেশ কার্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক তোদের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো।
নিমপাতাঃ নিমপাতার বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে, এর উপকারিতার কথা সাধারণত বলে শেষ করা যাবে না। এলার্জি দূর করতে নিমপাতা বিশেষ কার্যকারী। যেমন- আপনার ত্বকের লালচে ভাব, ফোলা ভাব, এবং চুলকানি দূর করতে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার যদি এলার্জি হয় তবে নিম পাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন ৩০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অলিভ অয়েলঃ এলার্জির জন্য জলপাই তেল দারুনভাবে কাজ করে। কেননা জলপাইয়ের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। সেজন্য এলার্জির জন্য জলপাই এর তেল বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যা চুলকানি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করা। প্রথমে তুলসী পাতাগুলো ধুয়ে নিন এরপর পাতাগুলো পেটে পেস্ট করুন। পেস্ট করার পর আক্রান্ত স্থানে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার স্বস্তিতার জন্য দিনে কয়েকবার লাগাতে পারবেন।
নারিকেল তেলঃ শিশুদের এলার্জির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি ঘরোয়া উপায় হল নারিকেল তেল। নারিকেল তেল হালকা গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। ৩০ মিনিট নারকেল তেল লাগানোর পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ত্বক শুকিয়ে নিন। এলার্জি নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত আপনি দিনে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা এক ধরনের প্রাকৃতিক ঔষধ। অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা ফলে এলার্জি দূর হয়ে যায়। এলোভেরার পাতা থেকে এক চামচ জেল বের করে নিন। এরপর সে জেলটি এলার্জিতে আক্রান্ত স্থানটিতে লাগিয়ে দিন। আক্রান্ত স্থানে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে কয়েকদিন লাগানোর ফলে, আশা করি দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
টি-ট্রি অয়েলঃ টি-ট্রি অয়েল এলার্জি দূর করতে ব্যাপকভাবে কাজ করে থাকে। টি-ট্রি অয়েলে এ রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। আর এগুলো ত্বকের এলার্জি থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জি যে কোন মানুষের হতে পারে। তবে অনেক মানুষের সাধারণত চোখে এলার্জি হয়ে থাকে। চোখে এলার্জি হওয়ার ফলে চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায় এবং চোখে ঘন ঘন ময়লা জমে যায়। এলার্জি সমস্যা যেকোনো মানুষের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। তাই এলার্জি দূর করা যেকোনো মানুষের জন্য আবশ্যক। নিম্নে এলার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো।
গোলাপজলঃ গোলাপজল চোখের এলার্জি জন্য দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনাার চোখ যদি এলার্জিতে আক্রান্ত হয় তবে দুই থেকে তিন ফোটা গোলাপ জল চোখে লাগিয়ে দিতে পারেন। আর এর ফলে চোখ যে ইনফেকশনের কারণে এলার্জিতে আক্রান্ত হয় সেগুলো কেটে যাবে। আপনি যখন চোখে গোলাপ জল দেবেন তবে চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখুন। কেননা চোখ খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। আর বেরিয়ে গেলে পুরোপুরি কাজ হবে না।
লবণ পানিঃ আপনি এক গ্লাস পানিতে তিন চা-চামচ লবণ গুলিয়ে পানিগুলো ফুটিয়ে নিতে হবে। ফোটানো পানি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন আপনি এক টুকরো তুলো ভিজিয়ে চোখগুলো সুন্দর করে মুছে ফেলুন। এতে আপনার চোখে থাকা যে ময়লাগুলো রয়েছে সেগুলো বেরিয়ে যাবে। এর ফলে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।
ঠান্ডা পানিঃ চোখের এলার্জি দূর করতে ঠান্ডা পানি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার চোখ যদি এলার্জির কারণে ফুলে যায় বা চুলকায় ঠান্ডা পানি দিয়ে বারবার চোখে ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রনা অনেক কমে যাবে।
আমলকি ও মধুঃ এলার্জি দূর করার জন্য আমলকির গুঁড়া পাউডার করে নিন। আপনি যখন প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবেন তখন আমলকির পাউডারের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিনিয়ত খাওয়ার অভ্যাস তুলুন। আর এর ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর এলার্জি থেকে সহজেই মুক্ত থাকবে।
সানগ্লাসের ব্যবহারঃ আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এলার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস পরে বের হবেন। সব সময় লক্ষ্য রাখবেন আপনার এলাকা যদি ধুলাবালিপূর্ণ এলাকা হয়ে থাকে তাহলে চোখকে আপনি এলার্জি থেকে রক্ষা করতে পারবেন একমাত্র সানগ্লাসের মাধ্যমে।
পরিচ্ছন্নতাঃ এলার্জি থেকে ঘরোয়া ভাবে পরিত্রাণ পেতে চাইলে সবসময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি যেন ঘর বাড়িতে না ঢুকে সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, মোবাইল, টেলিভিশন, কম্পিউটার, সামনে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। যদি চোখ চুলকায় তবে আঙ্গুল দিয়ে রগড়ানো থেকে সবসময় বিরত রাখবেন।
ঠান্ডা থেকে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জিতে সাধারণত শীতকালে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। যদিও আজকাল সারা বছরই মানুষ এলার্জিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এলার্জি থেকে মুক্ত হতে এলার্জি প্রভাব নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ঘরোয়া নিয়ম উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত জানতে পড়ুন
পেয়ারা খেতে পারেনঃ পেয়ারা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাবেন। ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করতে, ভিটামিন সি উপাদানগুলো বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। আপনি যদি পেয়ারার পাশাপাশি লেবুর শরবত বা লেবুর চা খেতে পারেন। তাহলে সহজেই এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন।
নিয়মিত ঘি খেতে পারেনঃ ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করার জন্য ঘি বিশেষ কার্যকরী। আপনি যদি বিশুদ্ধ ঘি, খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে আপনাার ঠান্ডা জনিত সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে।
এলার্জিতে কালোজিরা একটি মহৌষধঃ আপনি যদি আপনার ঠান্ডা জনিত এলার্জি সহজে দূর করতে চান তাহলে নিয়মিতভাবে খেতে হবে কালোজিরা। আপনি খাবারের সাথে খেতে পারেন কালোজিরা ভর্তা কিংবা ঘুমানোর আগে কালোজিরা বড়িগুলো যদি খেতে পারেন, তাহলে এলার্জি থেকে ভালো উপকারিতা পাবেন।
ঠান্ডার সমস্যায় মধুঃ জাদের এলার্জি সাধারণত ঠান্ডা জনিত তারা খেতে পারেন মধু। তাহলে আপনার ঠান্ডার সমস্যাগুলো আশা করি চলে যাবে।
যেসব খাবারে এলার্জি থাকে জেনে নিন
- বেগুন
- গরুর মাংস
- হাঁসের ডিম
- বাদাম
- মসুরের ডাল
- মিষ্টি কুমড়া
- পুঁইশাক
- পুঁটি মাছ ইত্যাদি লিশ মাছ
- চিংড়ি
- ইলিশ মাছ
মাথার এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি শুধু চোখ, মুখ, শরীর নয়, এলার্জি মাথায়ও হতে পারে। মাথায় এলার্জি হওয়ার ফলে মাথা প্রচুর চুলকায়। নিম্নে মাথার চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত জানতে নিম্নে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন
- আপনি যদি মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করেন তাহলে এলার্জি ও চুলকানি থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
- আপনি যদি আপনার ঘুমানোর বালিশ এবং আপনার চিরুনি পরিষ্কার পরিছন্ন রাখেন, তাহলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
- আপনি মাথায় এলোভেরার জেল দিয়েও এলার্জি দূর করতে পারেন।
- আপনি যদি মাথায় নারিকেল তেল কিংবা অলিভওয়েল নিয়মিত দিলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- আপনি যখন আপনার মাথায় হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন সেগুলো সম্পর্কে জেনে ব্যবহার করা উচিত। কেননা বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এগুলো থেকে।
নাকের এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি একজন মানুষের নাকেও হতে পারে। তবে সময় মত এই এলার্জি চিকিৎসা না করালে সেটা আমার মারাত্বক আকার ধারণ করতে পারে। নিম্নে তাকে এলার্জি দূর করার ঘরে উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুতে থাকুন
- সব সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখুন। যেন ধুলাবালি নাকে না ঢুকতে পারে। কেন এইসব ধুলাবালি নাকে ঢুকে ছড়িয়ে পরার কারণে এলার্জি হয়। তাই এসব ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকবেন।
- নাকের এলার্জি গত কারণে ভ্যাকসিন চিকিৎসকাই বলে মনে করা হয় তবে বাংলাদেশের চিকিৎসা নেই। সেজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
- সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী "স্টেরয়েড"সেবন করা যেতে পারে। তবে দেহের জন্য স্টেরয়েড খুবই ক্ষতিকারক।
- আপনি যখন বাহিরে বের হবেন তখন অবশ্যই মার্কস পরে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন।
কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
এলার্জি হলে কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সেগুলো অনেকেই জানেন না। তাই নিচে এলার্জি হলে তিনটি ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জি একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। তাই অবহেলা করতে নেই। ক্ষেত্র তিনটি উল্লেখ করা হলো।
- আপনি যখন ঔষধ খাওয়ার পরেও এলার্জির লক্ষণ গুলো দূর না হয়।
- আপনি ডাক্তারের ঔষুধ খাওয়ার পরেও যদি এলার্জির নতুন লক্ষণ দেখা দেয় কিংবা সমস্যা যদি আরও বেড়ে যায়।
- আপনার যদি এলার্জির সমস্যা মারাত্বক আকার ধারণ করে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়, এলার্জির কারণগুলো, এলার্জির লক্ষণগুলো, এলার্জি থেকে কিভাবে বাঁচবেন, ত্বক, চোখ, ঠান্ডা, মাথার,নাকের এলার্জি থেকে কিভাবে বাঁচবেন সেগুলোর দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। প্রতিটি মানুষের কমবেশি এলার্জি থাকে।
এলার্জি সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক রোগ। আর এই রোগের জন্য অনেক মানুষকে ভুগতে হয়। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে সুস্বাদু খাবার গুলো এলার্জির সমস্যার কারণে মানুষ খেতে পারে না। আর অনেক পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে অনেক সময় পুষ্টিহীনতায় পড়তে হয়। তাছাড়া এলার্জি যন্ত্রণাদায়ক রোগ। উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো যদি আপনি মেনে চলেন, তাহলে আশা করা যায় এলার্জি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url