বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা
পোস্ট সূচীপত্রঃ বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে পড়ুন
- বরই ফলের পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা
- বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কতগুলো বরই খাওয়া যাবে
- টক বরই খাওয়ার উপকারিতা
- বরই পাতার উপকারিতা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
বরই ফলের পুষ্টিগুণ
বরই ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। বরই খেলে কি হয় সেগুলো জানার পূর্বে, বরই ফলে কোন পুষ্টি উপাদানগুলো বিদ্যামান রয়েছে, আগে সেগুলো জানতে হবে। বরই একটি সুমিষ্টি এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। নিচে বরই এর পুষ্টি উপাদান গুলো উল্লেখ করা হলো।
উপাদানের নাম | পরিমাণ |
---|---|
শক্তি | ৫৮.৫ কিলোক্যাালোরি |
আমিষ | ০.৮ গ্রাম |
চর্বি | ০.১০ গ্রাম |
কার্বহাইড্রেট | ৭.০০ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৭ গ্রাম |
চিনি | ৫,৮-১০.৫ গ্রাম |
স্নেহ পদার্থ | r০.০৭ গ্রাম |
থায়ামিন (বি১) | ০.০২২ মিলিগ্রাম |
রিবোফ্লাভিন (বি২) | ০.০২৯ মিলিগ্রাম |
নায়াসিন (বি৩) | ০.৭৮ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ২৫.৬ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ১৯২ মিলিগ্রাম |
লৌহ | ১.১ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ২৬.৮ মিলিগ্রাম |
পানি | ৮১.৬-৮৩.৬ |
বরই এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। ত্বকের জন্য বরই ভীষণ উপকারী। বড়ই মৌসুমী ফল হলেও সহজলভ্য হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় বড়ই খাওয়ার উপকারিতা
বরই ফলের বহু উপকারিতা রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখযোগ্য। বরইয়ে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। গর্ভাবস্থায় বরই খেলে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। নিম্নে গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করব পড়তে থাকুন। নিচে গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা এবং বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে পড়তে থাকুন।
পেটের ব্যথা দূর করেঃ গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা করে থাকে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা যদি বরই খায় তবে পেটে ব্যথা ভালো হয়ে যায়।গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েরা বরই ফল খেতে পারেন বা বরই টক খেতে পারেন এতে আপনার বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে। তাছাড়া বরই এ প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন খাবারের ফল-মূলের তালিকায় বরই ফল রাখার।
দুধকে বিশুদ্ধ করেঃ বরই গর্ভবতী মায়ের দুধকে বিশুদ্ধ করে থাকে। গর্ভবতী মায়ের দুধে অনেক ক্ষতিকর পদার্থগুলো থাকে। যেগুলো শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। বরই এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গর্ভবতী মায়ের দুধের ক্ষতিকর পদার্থগুলো নষ্ট করে ফেলে। এছাড়াও বরই গর্ভবতী মায়ের দুধ কে বিশুদ্ধ করে যা সন্তানের জন্য খুবই উপকারী।
তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বরই এর ভূমিকা অপরিসীম। এটি মৌসুমী ফল হলেও, প্রতিনিয়ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা।
বরই ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ বরই গর্ভাবস্থায় ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বরই এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং বরই সর্দি কাশির জন্য কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বরই খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। যদিও বরই মৌসুমী ফল তবে বরই খুবই সহজলভ্য ফল হাতের নাগালে পাওয়া যায়। দামে সস্তা হওয়ায় এটি প্রায় মানুষ হই খেয়ে থাকেন।
বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জন্য জরুরী। বরই একটি পুষ্টিকর ও সুমিষ্ট মৌসুমী ফল। বরই খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। বরই প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই প্রিয় একটি ফল। বরই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রিয় পাঠক নিম্নে বরই ফলের ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আলোকপাত করবো বিস্তারিত পড়তে থাকুন।
হার্ট ভালো রাখেঃ আপনি যদি নিয়মিতভাবে বরই খান তবে আপনার হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বরই এ রয়েছে পলিফেনোলস যা কার্ডিওভাসকুলারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফল-মূলের খাদ্য তালিকায় রাখুন বরই। বরই এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকায় শুধু হার্ট নয় শরীরের আরো বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ বরই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বরই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে থাকে। রক্তানালীকে প্রশস্ত করতে পটাশিয়াম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন সি রক্তনালীর প্রদান কমায় এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন বরই খাওয়ার মৌসুমী ফল হলেও তবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তাই নিয়মিতভাবে ফলমূলের খাদ্য তালিকায় রাখুন বরই।ক্যান্সার হতে ঝুঁকি কমিয়ে থাকেঃ বরই এ প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ, এবং লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করা ক্ষমতা। ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য বরই এর কার্যকারী ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বরইকে বলা হয়ে থাকে অ্যান্টিক্যান্সার ফল। অন্তত ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে হলেও প্রতিনিয়ত আপনারা বরই খাবেন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকেঃ বরই এ উপস্থিত ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া বরই এ ভিটামিন সি থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। তাই আপনি যদি হৃদরোগ থেকে সুস্থতা চান তবে নিয়মিত বরই খান।
ইমিউনিটি শক্তির বৃদ্ধি করেঃ বরই খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বরই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে বরই খান তাহলে বরই এ থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরের প্রদাহ গুলো দূর করে দিবে। এছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশিতেও কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
হজমে সহায়তা করেঃ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে বরই খান তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বরই এ প্রচুর পরিমানে এনজাইম যা পরিপাকতন্ত্রকে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে আপনি যদি, ভরা পেটেও বরই খান তবে খুব দ্রুত হজম হয়।
মানসিক চাপ কমায়ঃ বরই এ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যেগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে থাকে। দেহ এবং মনকে ভালো রাখার বড়ই এর কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে।
যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আপনি যদি নিয়মিতভাবে বরই খান, তবে আপনার যকৃদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বরই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এর ফলে যকৃতের প্রদাহ কমিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফলে যকৃতের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
বরই মুখের রুচি বৃদ্ধি করেঃ বরই এর আচার পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। বরই এর আচার হলো প্রতিটা মানুষের কাছে মুখরোচক খাবার। আপনি যদি বরই এর আচার খান, তবে আপনার মুখের রুচি বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ধরনের খাবারেরও স্বাদ পাবেন।
বরই ব্রেণ কে সচল রাখেঃ বরই সাধারণত ব্রেণকে সচল রাখতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। বরই এ প্রচুর পরিমাণে পলিফোলন পদার্থ রয়েছে যা ব্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
বরই হাড় ও পেশীর সুরক্ষা দেয়ঃ বরই এ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা হাড় এবং পেশীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বরই এ থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামগুলো হাড় ও পেশীর সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
অনিদ্রা দূর করে থাকেঃ বরই ফল খাওয়ার ফলে ঘুমের পরিমাণ ভালো হয়। বরই এ এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রেণ কে ঠান্ডা রাখে এবং ঘুমের ক্ষেত্রে ভালো কাজে করে। তাই রাতের অনিদ্রা দূর করতে নিয়মিতভাবে বরই খান।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বরই খান, তাহলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে। আর পেট পরিষ্কার থাকলে আপনার কোষ্ঠোকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বরই ফাইবার জাতীয় খাদ্য। তাই বরই খাওয়ার ফলে, পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গাণু ভালো রাখে। এর ফলে পায়খান ক্লিয়ার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়ে যায়।
কর্মসংস্থানঃ বরই এর বাগান করার ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের হয়ে থাকে। চারা লাগান থেকে শুরু করে ফল ধরা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। আর এই কাজ থাকার ফলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
অর্থ উপার্জনঃ বরই গাছ রোপন করার পর, বরই গাছ বড় হয়ে, যখন ফল ধরে। তখন ফল থেকে উৎপন্ন হয় বিভিন্ন আচার , জ্যাম,জেলি ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করা হয়। আর এর ফলে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
গর্ভাবস্থায় কতগুলো বরই খাওয়া যাবে
বরই একটি সুমিষ্ট এবং পুষ্টি সমৃদ্ধি ফল। বরই এ অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বরই খাওয়া ভালো তবে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাওয়া কখনো উচিত নয়। আপনি যদি বেশি পরিমাণ বরই খান তবে আপনার উপকারিতার চাইতে ক্ষতির পরিমাণটাই বেশি হবে। আপনি প্রতিদিন ১০টি করে বড়ই খেতে পারবেন। এর ফলে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গর্ভবতীরা তাজা বড়ই ১৫০ গ্রাম খেতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় কিমবা অন্য কোনো অবস্থাতেই হোক সবার শরীর কিন্তু সমান নয়। তেমনি সবার বরই খাবার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। বরই শরীরের মানানসই অনুযায়ী যে কয়েকটা খেতে পারেন। আপনি যদি প্রয়োজনীয় তুলনায় বেশি পরিমাণ পরেই খান, তাহলে আপনার পেট ব্যথা করবে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বরই খেতে চান, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বরই খাওয়া উচিত।
টক বরই খাওয়ার উপকারিতা
- টক বরই খাওয়াতে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়
- বরই এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা মুখের রুচি বৃদ্ধি করে ।
- যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে টক বরই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
- বরই এ ভিটামিন সি থাকার জন্য জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে থাকে।
- টক বরই এ প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
- টক বরই এ শর্করা না থাকার কারণে ডাইবেটিকস রোগীরা সহজেই খেতে পারেন
- মুখের ঘা এবং চামড়া ওঠা জাতীয় সমস্যা গুলো টক বরই খেলে দূর হয়ে যায়
- টক বরই রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে
- টক বরই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে
বরই পাতার উপকারিতা
বরই পাতার বহু উপকারিতা রয়েছে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই বরই পাতা ঔষধি হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম্নে বরই পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো পড়তে থাকুন।
রক্ত পরিশোধন করেঃ বরই পাতাতে রয়েছে স্যাপোনিন,অ্যালকায়েডও যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে থাকে
দুচিন্তা দূর করেঃ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে বরই পাতা খান তবে হতাশা এবং দুশ্চিন্তাগুলো দূর হয়ে যাবে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ বরই পাতাতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকেঃ বরই পাতাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামি বি২ ইত্যাদি রয়েছে। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ করে থাকে।
চর্মরোগ দূর করেঃ সেই প্রাচীন কাল থেকেই বরই পাতা দিয়ে চর্মরোগের চিকিৎসা হয়ে আসছে।
লিভারকে সুরক্ষা করেঃ বরই পাতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল এর হাত থেকে, দেহের কোষ কে রক্ষা করে থাকে। আর এর ফলে লিভারের কার্যকারিতা বেড়ে গিয়ে থাকে।
হাড় ও পেশী মজবুত করেঃ বাড়াতে বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে যেমন ক্যালসিয়, ফরফরাস, আয়রন ইত্যাদি। আর এগুলো হাড় ও পেশী মজবুত করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য - বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনায় বরই এর পুষ্টিগুণ, বরই খাওয়ার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা, বরই খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। বরই একটি সুমিষ্ট ফল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। বরই ফলে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে উপরে আলোচিত হয়েছে। আপনারা যদি নিয়মিতভাবে বরই খান তবে এই উপকারিতাগুলো পাবেন। তাই প্রতিদিনের ফলমূলের খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন বরই।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url