বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার ১০টি কার্যকারী নিয়ম জেনে নিন

আপনি কি বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা করার কথা ভাবছেন? বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা করার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণ অর্জন করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম এবং এজেন্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা সম্পর্কে। 
বিকাশ কোম্পানি বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধাগুলো দিচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ে। আপনিও চাইলে এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন কিছু শর্ত পূরণ করে, আপনি হয়ে যেতে পারেন বিকাশ এজেন্টের মালিক। আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন, বিকাশে এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম, লাভ কেমন হয় কি কি লাগে সে সম্পর্কে। মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম জানতে পড়ুন।

বিকাশ এজেন্ট এর ব্যবসা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেের অসংখ্য মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন। তাই আর ঘরে বসে না থেকে শুরু করুন বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা। বিকাশ এজেন্ট এর ব্যবসা করতে আপনার কেমন মূলধন লাগবে এবং নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমরা আপনাদের সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার দিব এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে জানুন 

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার আগে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন এবং কিছু কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে হবে বা থাকা প্রয়োজন। যেগুলো না থাকলেই নয়। আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে চান, তবে কি কি প্রয়োজন হবে আপনার সুবিধার্থে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।


  • বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করেন যে বিকাশ কোম্পানির এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে? আসলে বিকাশ এজেন্ট হতে আপনার এক্সট্রা কোন টাকা লাগবে না। কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো যদি আপনি পূরণ করেন তাহলে ফ্রিতে বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন। আপনার শুধু সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দিয়ে একটা সিম কিনতে হবে।
  • আপনি যদি এজেন্ট ব্যবসা করতে চান তবে আপনার নিজস্ব একটা দোকান থাকতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে লোকসমাগম থাকে এমন একটা জায়গাতে দোকান ভাড়া নিয়েও এজেন্ট ব্যবসা করতে পারবেন। তবে আপনার ব্যবসা ভালো চলবে এমন একটা যায়গাতে দোকান থাকতে হবে। 
  • আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবম্যই একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে এবং আপনার টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • এছাড়া বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী হতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন, আপনার সত্যায়িত ছবি এবং সিম কার্ড প্রয়োজন পড়বে। এজেন্ট ব্যবসার করার জন্য এগুলো আপনার জন্য বাধ্যতামূলক।

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম

বিকাশ কোম্পানির সকল শর্তাবলী যদি আপনি পূরণ করতে পারেন তাহলে আবেদনের মাধ্যমে একজন বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন। তবে অবশ্যই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য যে সকল নিয়ম কানুনগুলো রয়েছে আপনাকে সেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে  বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরছি।

  • বিকাশ এজেন্ট হিসাবে আপনার এজেন্ট একাউন্ট থেকে কমপক্ষে সর্বনিম্ন প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকা অবশ্যই লেনদেন করতে হবে।
  • আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের ব্যালেন্স সর্বনিময় ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক রাখতে হবে। আপনার যদি  বিকাশ এজেন্ট হয়ে যায়, তবে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবার আপনাকে সর্বনিময় এক লক্ষ টাকা লোড করতে হবে। 
  • বিকাশে এজেন্ট ব্যবসা করার নিয়ম অনুযায়ী, আপনার বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কে টিকে রাখার জন্য। প্রতি মাসে সর্বনিম্ন আপনাকে পাঁচটি পারসোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। 

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায় কমিশন কত টাকা 

আপনি যেই ব্যবসা করতে যান না কেন, প্রতিটি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কিছু না কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।  বিকাশের ক্ষেত্রেও এমন প্রশ্ন আসবে এটাই স্বাভাবিক, প্রশ্নটা হচ্ছে বিকাশ ব্যবসায় লাভ কেমন হয়? একজন এজেন্ট কর্তৃপক্ষ একজন এজেন্টকে কত টাকা কমিশন দিয়ে থাকে সেগুলো জানা প্রয়োজন। বিকাশ এজন্টদের কে কত টাকা কমিশন প্রদান করে থাকে। সে সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে যাবতীয় তথ্য জানাবো। 

  • আপনি যদি এজেন্ট হিসেবে বিকাশের একটি নির্দিষ্ট কোডের মাধ্যমে *২৪৭# লেনদেন করেন, তাহলে আপনি প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা করে কমিশন পাবেন। আপনি যদি ১০ হাজার টাকা লেনদেন করেন তাহলে পাবেন ৪১ টাকা এবং যদি ১ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন তাহলে ৪১০ টাকা কমিশন বোনাস পাবেন। 
  • আপনার এজেন্ট ব্যবসা যদি অ্যাপের মাধ্যমে করেন তাহলে আপনি অ্যাপস ব্যবহার করার কারণে প্রতি হাজারে কমিশন পাবেন প্রায় ৪.৫০ টাকা এবং সেই হিসাবে ১০ হাজারে দাঁড়াবে প্রায় ৪৫ টাকা। আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন কমিশন বোনাস পাবেন ৪৫০ টাকা। 
  • বিকাশের এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই  বিকাশে লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। কেননা এখানে খুব সহজে বিল পরিশোধের সুবিধা গুলো রয়েছে। তাছাড়া লেনদেনের তালিকা গুলো সুন্দর ভাবে দেখতে পারবেন।  বিকাশে লেনদেন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট পরিষ্কার ধারণা পেলেন।আশা করি উপকৃত হয়েছেন। 

বিকাশে ব্যবসা করার ১০টি উপায়ে জানুন 

বিকাশ এজেন্ট করা করতে কি কি প্রয়োজন হয়ে থাকে,ব্যবসা করার নিয়ম এবং কত টাকা কমিশন সেই সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি যদি ব্যবসা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া অস্থির করেন তাহলে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বিকাশের ব্যবসা করার জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন।


  1. বিকাশের এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠান সুন্দর ভাবে দাঁড় করাতে পারেন। 
  2. আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মূলধন রাখার চেষ্টা করুন যেন বিকাশের এজেন্ট ব্যবসাটা আপনার একবার শুরু হলে তাই শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে। 
  3. বিকাশে ব্যবসা বজায় রাখার জন্য যেহেতু আপনাকে পার্সোনাল একাউন্ট গ্রাহককে খুলে দিতে হবে সেক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।     
  4. প্রতিদিন বেশি বেশি লেনদেন করার চেষ্টা করুন সেটা যে কোন কৌশলে। 
  5. ব্যবসায়িক এরিয়াতে, বিশেষ করে যেসব জায়গাগুলোতে মানুষের সমাগম সবসময় বেশি থাকে, সেসব জায়গাতে ব্যবসা চালু করুন। কেন এসব জায়গাতে প্রচুর মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন হয়। 
  6. বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার সফলতার অন্যতম মূল মন্ত্র হলো নিজের উপর বিশ্বাস শক্ত রাখা। 
  7. আপনার ব্যক্তিগত লেনদেন আপনার এজেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে করুন। 
  8. আপনি যদি বিকাশ ব্যবসায় অতিরিক্ত লাভ করতে চান তবে অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করবেন।
  9. বিকাশের প্রতিটি লেনদেন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা সহীত অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। 
  10. বিকাশের যে কমিশনগুলো আসে সেগুলো টাকা ব্যবসার ভিতরে দিন তাহলে ব্যবসাটা আপনার আরো বড় হবে। 

উপরে উল্লেখিত নিয়ম কানুন গুলো আবার পড়ে নিন যেন বিষয়গুলো মাথায় থাকে। এবং খুব সহজেই ব্যবসা করার কৌশল গুলো বুঝতে পারেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন যে, বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি প্রয়োজন পড়ে, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার নিয়ম কানুন, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার কমিশন কত এবং ব্যবসা করার কার্যকারী ১০ টি উপায় সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন সফল বিকাশ এজেন্টের মালিক হতে 

চান, তাহলে এই পোস্ট সম্পূর্ণ ভালো করে পড়ুন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। এবং কৌশল গুলো আয়ত্তে আনতে পারবেন। এ পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হন তাহলে আপনি শেয়ার করে দিতে পারেন। যেন আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন এ ব্যবসায় সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url