বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা যেভাবে করবেন-(বিস্তারিত জানুন)

বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা কিভাবে করবেন, বনসাই চারা কোথায় পওয়া যায় সে কথা ভাবছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বনসাই গাছের চাষ থেকে শুরু করে পরিচর্যা এবং কোন দেশ থেকে এর উৎপত্তি যাবতীয় বিষয় জানাবো এই পোস্টের মাধ্যমে পড়তে থাকুন।


একটি ছোট পাত্রে বা পটে শক্ত কান্ড বিশিষ্ট গাছকে বছরের পর বছর বাঁচিয়ে রাখার শিল্পই হল বনসাই। বনসাইকে বলা হয় একটি জীবন্ত শিল্প। প্রিয় পাঠকগণ,বনসাই গাছের উৎপত্তি,বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ  বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা জানতে পড়ুন

বনসাই শব্দের অর্থ 

বনসাই জাপানি ভাষার শব্দ, যার অর্থ হলো পাত্রের মধ্যে গাছ। বনসাই শব্দটি হলো চীনা শব্দ "পুন- সাই" বা পেনজিং থেকে এসেছে। কলমকে চীনা ভাষায় পাত্র বোঝানো হয়ে থাকে এবং দৃশ্য বোঝানো হয়ে থাকে বা ল্যান্ড স্কেপ। বনসাই গাছগুলো দেখতে অনেকটা ছোট এবং  সুন্দর আকৃতির হয়ে থাকে। যা মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করে এর সৌন্দর্যতা দিয়ে। বনসাই গাছ ভালো লাগেনা আসলে এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। বিশাল বৃক্ষ আকৃতি শ্রেণীর গাছকে বিশেষ পদ্ধতিতে একটি পাত্রে পালন করাটাই বনসাই শিল্প।

বনসাইয়ের ইতিহাস চীন

আমরা সাধারণত প্রাচীনকাল থেকে যে শিল্প গুলো দেখে আসছি, সেই শিল্প গুলোর বেশিরভাগই জন্ম চীনে। আর বিশেষ করে যেদেশের মানুষের ফুল এবং উদ্যানের প্রতি ভালোবাসা বা দুর্বলতা রয়েছে সেই দেশে বনসাইয়ের মতো এত সুন্দর একটা শিল্পের আবিষ্কার কাকতালীয় বলা যায় না। তাই চীনের মানুষের কাছে বনসাইয়ের আবির্ভাব নিয়ে  কিছু চমকপ্রদ ধারনা রয়েছে।চীন দেশের মানুষ বা চীনা ভ্রমণকারীরা পাহাড়ের চূড়াগুলোতে যখন ভ্রমণ করতো  তখন তারা  অনেক বড় আকৃতির 

মত ছোট ছোট গাছগুলো দেখতে পেত। বিশাল আকৃতির এই গাছগুলো ছোট হওয়ার মূল কারণ ছিল প্রাকৃতিক জলবায়ু। আর এই প্রাকৃতিক জলবায়ুর কারণেই গাছগুলো ছোট আকৃতির হয়ে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক জলবায়ুর কারণে এই গাছগুলো এতটা পরিমাণই ছোট যে সেগুলোর সমভূমিতে নিয়ে আসা যেত।অন্যদিকে চীনের "তাও" ধর্মালম্বীরা মনে করে থাকেন যে, যদি মানুষের হাতের মাধ্যমে এই বড় আকৃতির গাছের অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ প্রতিরূপ তৈরি করা যায়।তাহলে এর মধ্যে এক ধরনের

অতি প্রাকৃতিক শক্তিশালী জমা হতে পারে।চীনাদের সেই প্রাচীনকাল থেকেই, এক ধরনের মুগ্ধতা ছিল যে বড় আকৃতির গাছ গাছকে ছোট রুপ দেওয়া।এরকম সৃজনশীল মূলক শিল্পের দেখা চীনেই মিলে থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা করলে বোঝা যায় যে, চীনারা বনসাইয়ের   প্রতি সবার আগে আকৃষ্ট হবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। চীনারা প্রায় ২ হাজার থেকে ৩০০ বছর পূর্বে "ফাইভ এজেন্ট থিওরি" যেমন কাঠ, ধাতু, পানি, আগুন, এসব থেকে উৎসাহিত হয়ে ছোট প্রকৃতির "বামনের রূপ"তৈরির এই বুদ্ধি চীনাদের মাথা থেকে এসেছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

বনসাইয়ের  ইতিহাস জাপান 

বনসাই গাছ ধর্মীয় কারণে এর  যাত্রা চীন থেকে জাপানে। ধারণা করা হয়ে থাকে যে, প্রায় ১ হাজার ২০০ বছর পূর্বে ভিক্ষুরা জাপানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এবং ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এবং সে সময় হান রাজবংশের শাসনামল ছিল। যেহেতু তারা বনসাই গাছকে পবিত্র মনে করত। সেজন্য নিজেদের সঙ্গে উপহার হিসেবে বনসাই গাছগুলো নিয়ে যেত। জাপানের লোকদের সব সময়ই চীনাদের প্রতি এক ধরনের মুগ্ধতা ছিল, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।জাপানিরা কিভাবে বনসাই বানানো

যায় সেগুলোর কায়দা কানুন শিখে ফেলে এবং এটা কে আরো কিভাবে সৃজনশীল রূপ দেওয়া যায় তার চেষ্টা করতে থাকে।সময়ের পরিক্রমায় বনসাইকে  জাপানের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে  ভাবতে শুরু করল জাপানিরা। জাপানিদের বিভিন্ন লোকগাথাও আছে বনসাই গাছ নিয়ে। এর মধ্য সামুরাই যোদ্ধাকে নিয়ে একটি গল্প খুবই পরিচিত। গল্পটি হল তার সর্বশেষ তিনটি বনসাই গাছ একজন সীতার্ত ভিক্ষুকে উষ্ণতা দেওয়ার জন্য আগুনে পুড়ে ফেলা হয়। এই লোক গাথাটি মঞ্চ নাটকে 

রূপান্তর দেওয়া হয় এবং আঁকা হয় অনেক শিল্পকর্ম। জাপানিদের কাছে বনসাই গাছটি মধ্যযুগের দিকে অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেল।যার ফলে বনসাই শিল্পীদের কদর বেড়ে গেল। অনেক জাপানিজরা নিজে নিজেই ঘরে বসে বনসাই তৈরি করতে লাগলো। জাপানিজ নারীদের সুচিকর্ম যেমন বিশেষগুণ তেমনি বনসাই তৈরি করতে পারেন এমন জাপানি নারীদেরকে বিশেষ গুণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিজেদের সংগ্রহ করা বনসাই দিয়ে অনেক সময় প্রদর্শনের জন্য আয়োজন করত। ১৭০০ 

শতকের দিকে বনসাই গাছের প্রচার প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকে। ইংল্যান্ডের রানী শার্লট উপহার হিসেবে জাপানের কাছ থেকে ১৮০৬ সালের দিকে একটি বনসাই গাছ পান। এভাবেই বনসাই গাছগুলো জাপানিদের কাছ থেকে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো।

বনসাই গাছকে যার  প্রতীক মানা হয়

বনসাই গাছ যখন প্রথম চীনে চালু হয়েছিল। তখন চীনাদের সমাজের, উচ্চবিত্তদের মধ্যে বনসাই গাছকে সামাজিক মর্যাদা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর সেই বনসাই গাছ সারা বিশ্বের মাঝে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বনসাই গাছকে জাপানের সম্প্রীতি, ভারসাম্য, ধৈর্যর পথিক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের বিশ্বাস হল বনসাই ধ্যান ধারণা বা চিন্তার বস্তু। 

বাংলাদেশের বনসাই

বাংলাদেশের দিন দিন বনসাই গাছ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বনসাই গাছ নিয়ে গড়ে উঠেছে "বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি "। বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, প্রতি বছরই বনসাই প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্নভাবে আয়োজন করা হয়। বনসাই ইনডোর প্লান্ট হিসাবে প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। 

বনসাই গাছের চাষ  ও পরিচর্যা

বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা সম্পর্কে গাছ প্রেমিদের ধারণা থাকা আবশক। গাছ নির্বাচনের আগে যে বিষয়গুলো দেখতে হবে সেগুলো হল- যে সকল গাছের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে হয় এমন গাছ নির্বাচন করতে হবে। গাছের কান্ডগুলো সাধারণত মোটা প্রকৃতির হয় এবং বছরে পাতা ঝরে যায় সাধারণত একবার। গাছের যদি বয়স হয়ে যায়, গাছের ছাল মোটা হবে। যে গাছগুলোতে ঝুরি নামে এমন গাছ নির্বাচন করতে হবে।বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা দিকে নজর দিতে হবে।


এমনকি শেকর কেটে দিলেও ঝুরি শিকরের কাজ করবে। গাছ অনেকদিন পরিমাণ সতেজ থাকে এবং গাছ তার বয়স অনুযায়ী বেঁচে থাকে। বনসাই যেখানে বা যে দেশেই করা হোক না কেন সে স্থানের অবশ্যই আবহাওয়া উপযোগী হতে হবে। যে গাছগুলো নির্বাচন করা যায়। বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা সময়মত নিতে হবে।

বনসাই গাছ নির্বাচন 

  • বট
  • পাকুড়
  • ছাতিম
  • তেঁতুল
  • বাবলা 
  • পলাশ
  • বিলিতি বেল
  • হিজল
  • জাম
  • নিম
  • বেলি
  • গাব
  • বকুল
  • শিমুল
  • শিরিষ

বনসাই এর জন্য মাটি তৈরি 

বনসাই চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী মাটি হচ্ছে দো-অ্যাঁশ মাটি। এছাড়া এতে কম্পোস্ট সার,বালি পাথর, ইটের গুড়া, ছাই এবং পোড়ামাটির গুড়া ইত্যাদি মেশাতে হবে। আবার যদি সম্ভব হয়, কেঁচো সার গোবর সার ইত্যাদি মেশাতে পারেন। বনসাই গাছের জন্য মাটি এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে পানি করা যায়। সময়মত বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা করতে হবে।

বনসাই গাছের চারা সংগ্রহ 

বনসাই গাছের চারা আপনি যে কোনো যায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন সেটা দেশ হোক বা দেশের বাহির থেকে হোক। আপনি বনসাই গাছের বীজ থেকেও চারা সংগ্রহ করতে পারবেন। কলম থেকেও চারা সংগ্রহ করা যায় এবং কলামের মধ্যেও কাটিং, লেয়ারিং,এয়ার লেয়ারিং ইত্যাদি উপায়ের মাধ্যমেও করা যায়। আপনি নার্সারির মাধ্যমেও চারা লাগাতে পারবেন।প্রিয় পাঠকগণ, আপনি গাছের চারা পুরাতন দেওয়াল,পুরাতন স্তুপ থেকেও চারা সংগ্রহ করতে পারবেন।

বনসাইয়ে পানি দেওয়া 

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা জানেন যে বনসাই গাছগুলো অন্যান্য গাছের তুলনায় ভিন্ন হয়ে থাকে তাই কোন ভাবেই বেশি পরিমাণে পানি দেওয়া যাবে না। বনসাই গাছের মাটি যখন শুকিয়ে যাবে তখন পানি দিতে হবে। বনসাই গাছে সকাল বেলা সন্ধ্যায় পানি দাও উত্তম। যখন প্রচুর পরিমাণে রোদ থাকে তখন বনসাই গাছের পানি দেওয়া যাবে না।বনসাই গাছে কোনভাবেই তাড়াহুড়া করে পানি দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বনসাই গাছে পানি দিতে ঝাঁজরি ব্যবহার করবেন। ঝাঁজরি ব্যবহার করার ফলে মাটি ধুয়ে যাবে না। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে গাছটি ধুয়ে পরিষ্কার করবেন।বনসাই গাছের চাষ ও পরিচর্যা ক্ষেত্রে কোন কমতি রাখা যাবে না।

বনসাই গাছে সার দেওয়া 

বনসাই গাছের আপনি যখন  মাটি বদলাবেন তখন  তার ছয় থেকে আট সপ্তাহ সার না দেওয়াই ভালো। আপনি যখন বনসাই গাছে সার দিবেন তখন অবশ্যই আপনাকে  গাছের গোড়া পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। এর ফলে গাছটির সার শোষণের সময় পাবে। এছাড়া জৈব সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারে  রয়েছে সঠিক  পরিমাণও সেটা জেনে 

নিতে হবে।বনসাই গাছের জন্য জৈব সার বেশি উপকারী। জৈব সার তৈরি করতে, তিন ভাগ সরিষা বা তিলের খোল ও এক ভাগ হারের মিহি গুঁড়ো পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ১৫ দিন পচাতে হবে। অপরদিকে এক কাপ ঘন সার এক লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।বড় গাছগুলোতে দুই কাপ এবং ছোট গাছগুলোতে এক কাপ পরিমাণই যথেষ্ট। 

বনসাই গাছের রোগ প্রতিরোধ 

বনসাইয়ের কান্ড গুলোকে বা মোটা ডাল গুলোকে দাঁতের ব্রাশ দিয়ে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তাহলে কি হবে, পোকা জন্মাতে পারবে না। আপনি যখন গাছে ঔষধ ব্যবহার করবেন গাছের গায়ে পানি ব্যবহার করা যাবে না।কিন্তু আপনি মাটিতে পানি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে ছয় মাস পর পর টবের মাটি পরিবর্তন করতে হবে। 

বনসাই গাছের পাত্র

বনসাই ছোটো পাত্রতেই তৈরী করা যায়। তবে পাত্রটি অবশ্যই ছিদ্র থাকতে হবে পানি নিষ্কাশনের জন্য।

আরো যা যা জানতে হবে 

  • বনসাই চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী মাটি হচ্ছে দে-অ্যাঁশ মাটি।
  • বর্ষাকালে সাধারণত বনসাই গাছ আপনি রোপন করতে পারবেন তবে বছরের অন্যান্য ঋতুতেও বনসাই রোপন করা যায়। 
  • বনসাই গাছ দুই থেকে তিন দিনের বেশি ঘরে রাখবেন না।
  • বনসাই গাছে শীতকালে যদি মাটি শুকিয়ে যায় তবেই পানি দেওয়া যাবে। 
  • দুই মাসের মধ্যই বনসাই ছাঁটাই হবে 2 ইঞ্চির বেশি ছাঁটা ঠিক নয়। 

বনসাই গাছ রোপনের ধাপগুলো

বনসাই গাছগুলো সাধারণত বর্ষাকালে রোপন করা হয়ে থাকে। তবে বছরের বিভিন্ন ঋতুতেও আপনি রোপন করতে পারবেন। বনসাই গাছের রোপনের ধাপগুলো নিচে দেওয়া হল।


  • থাকা প্রশাখা কান্ড শেকড় ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 
  • টবের গাছটিকে বয়স্ক গাছের ভঙ্গিমা রাখারজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। 
  • বনসাইয়ের শাখা বাছাই করে যে মডেলের রূপ দিতে চান সেই অনুযায়ী স্থির করতে হবে। 
  • বনসাইয়ের সাধারণত জোড়া পাতা দুটি কক্ষ থেকে কাণ্ডের দুপাশের দুটি শাখা গজিয়ে থাকে। বাছাই পদ্ধতি অনুযায়ী আপনাকে এর একটিকে রাখতে হবে। 
  • কুড়ি ভাঙ্গা চারার ক্ষেত্রে আপনাকে বেঁটে রাখতে হবে এবং ঝোপালো রাখার জন্য কুড়িকে ভেঙ্গে দেওয়া উচিত। 
  • বনসাই এর বাড়ন্ত মাত্র দুটি পাতা রেখে কেটে না দিলে গাছ বড় দ্রুত বড় হয়ে যেতে পারে। 

বনসাই গাছের শিকড় যেভাবে বের করবেন 

  • আপনাকে প্রথমে গাছের ধরণ অনুযায়ী গাছের গঠন ঠিক করে নিতে হবে। বনসাই গাছের গঠন আসতে কমপক্ষে দুই তিন বছর সময় লাগে এবং এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভালো দক্ষতার উপরে। 
  •  বনসাই গাছ মাটিসহ লাগিয়ে দিতে হবে এবং এর উত্তম সময় হচ্ছে মার্চ,ও এপ্রিল মাস। 
  • গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যেও ডাল কাটিং না করলে, শিকড় বের হয় এবং ডালগুলো পূর্ণ পরিপক্ক হওয়াতে কুঁড়ি বেশি পরিমাণে বের হয়। 
  • গাছের গঠন যদি সঠিক না হয় তাহলে এরিয়াল রুটগুলো কেটে ফেলতে হবে কারণ গাছের গঠন হওয়ার আগে এরিয়াল রুট অ্যালাও করলে গাছের আগা মোটা এবং গোরা চিকন হয়ে যেতে পারে। 

বনসাই গাছের তার বাধা বা ওয়ারিং 

  • আমাদের দেশের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যে, গোটা গাছে যদি তার প্যাঁচানো যায় তাহলে বনসাই হয়ে যাবে। আসলে সঠিক তথ্য হলো, সব ডাল ওয়ারিং করার দরকার হয় না। 
  • বর্ষাকালে কখনই গাছের ওয়ারিং করবেন না, কারণ ডালের নমনীয়তা অনেকটা পরিমাণ কমে যায়।
  • আপনি যখন ওয়ারিং করবেন তখন তামার তার ব্যবহার করবেন সেটাই ভালো।
  •  দুই ভাবে ওয়ারিং করতে পারবেন এটি তার টানা দিয়ে অপরটি  হচ্ছে পেঁচিয়ে। তার পেঁচিয়ে ওয়ারিং করলে ৪০ দিন পর খুলে দিতে হবে। ডালপালা সঠিকভাবে না থাকলে তবে পুনরায় ওয়ারিং করতে হবে। 
  • গাছের গ্রোথের উপরে ওয়ারিং নির্গাভর করে। গাছের  গ্রোথ ভালো থাকলে তাহলে অল্প ওয়ারিং করেও সম্পন্ন করা যায়। 
  • আপনাকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছে গভীর কোন দাগ না পরে। আছে যদি দাগ করে তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যদি দেখেন গাছে দাগ পরেছে তখন ওয়ারিং খুলে ফেলবেন। 

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগন উপরোক্ত আলোচনায় বনসাই গাছের উৎপত্তি,চাষ, পরিচর্যা এবং বনসাইয়ের ইতিহাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন। কিভাবে বনসাই চাষ করা হয়, কিভাবে চারা রোপন করতে হয় কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয় কিভাবে সার দিতে হয় ইত্যাদি সবগুলো বিষয় সুন্দরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রিয় পাঠকগণ ওয়েবসাইটের  সকল আপডেট পোস্ট পেটে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ফলো করুন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url