কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা,কানাডা ভিসা পেতে কি কি লাগে,আবেদ এবং খরচ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কানাডা কাজের ভিসার যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে নিচে জেনে নিতে পারেন। 
কানাডা কাজের ভিসা নিয়ে প্রতিবছর দেশ থেকে পাড়ি জমিয়ে থাকেন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই পার্মানেন্ট ভিসা নিয়ে আসে, আবার কেউ চাকরি করার উদ্দেশ্যে আসে, অনেকে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এসে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি নিয়ে থেকে যান।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জানতে পড়ুন।

কানাডা নিয়ে কিছু কথা

কানাডা যাওয়া যেকোনো মানুষের জন্য স্বপ্নের মত। আপনি যদি স্বপ্নের দেশ কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে  কয়েক বছর কাজ করেন, আপনি খুব সহজেই কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করতে পারবেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা কানাডাতে আসতে চান। বেশির ভাগ মানুষ দালাল বা এজেন্টের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকেন।আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়লে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।  তাই সম্পর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন জানুন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাং মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। কানাডাতে যাওয়ার সরাসরি যেতে পারবেন না, কেননা কানাডাতে সরাসরি যাওয়ার কোন সুযোগ বা অফশন নেই। প্রায় অধিকাংশ মানুষ মনে থাকেন, কানাডায় গিয়ে যে কোন একটা কাজ খুঁজে নিবেন। কিন্তু এটা আসলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কখনই এমন কাজ করবেন না। আপনি যদি কানাডায় চাকরির উদ্দেশ্যে যান

তাহলে অবশ্যই  আপনার কানাডার  ওয়ার্ক পারমিট  ভিসা  লাগবে। কানাডা এ ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এমনি এমনি দেয় না।কানাডার কোম্পানিগুলো যখন নিজ দেশে কাজের জন্য যোগ্যতা সম্পর্ণ লোক খুঁজে পায় না, তখন সাধারণত বিদেশ থেকে সার্কুলার প্রকাশ করার মাধ্যমে যোগ্যতায় সম্পন্ন লোক  নিয়োগ দিয়ে থাকে। কানাডা কোম্পানিগুলো বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইট থেকে কাজের  জন্য  নিয়োগ দিয়ে থাকে। প্রথমে সেখানে তারা 

বিজ্ঞাপন দেবে এরপর অনলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক যোগ্যতাগুলো যাচাই করে নিশ্চিত করে থাকে। কানাডায় চাকরির বিজ্ঞাপন এই www.indeed.com ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি যদি গুগলে LMIA(Labor Market Impact Assessment) সার্চ করেন তাহলে এ ধরনের  চাকরি গুলো  আশা করি  খুঁজে  পাবেন।

কানাডার কোম্পানিগুলো যদি আপনাদের যোগ্য মনে করে, তাহলে আপনাকে LMIA ইস্যু করবে। আপনি যখন কানাডা সরকার থেকে কানাডার কোম্পানিগুলো থেকে যখন আপনি চাকরির অফার লেটার পাবেন। তখন আপনি কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে 

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট লাগবে। যেগুলো ছাড়া ভিসা করতে পারবেন না। প্রায় অনেকেই রয়েছেন যারা ভিসা করতে কি কি কাগজপত্রগুলো লাগে সে সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জেনে নিতে পারেন, যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো লাগে সে সম্পর্কে। 

  • আপনার শিক্ষার যাবতীয় সনদপত্র 
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র 
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট বা প্রমাণপত্র
  • ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট 
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • আপনার পাসপোর্ট 
  • ভিসা আবেদনের ফরম 
  • আপনার চাকরির অফার লেটার 
  • মেডিকেল রিপোর্ট 
  • করোনা টিকা সনদ
  • LMIA কপি
  • আপনার বয়স ৪৫ বছরের নিচে হতে হবে 
  • ভিসা আবেদন ফি
  • আপনার জন্ম নিবন্ধন 

কানাডা কাজের পারমিট ভিসা করতে উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং যোগ্যতা গুলো লাগবে তাছাড়া আপনি সরাসরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারবেন না। আপনি যদি কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রগুলো সংগ্রহে রাখুন।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন যেভাবে করবেন

কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হলো LMIA নম্বর। এ ধরনের ডকুমেন্টগুলো কানাডার কোম্পানি ও সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়। আপনি যদি এটা পেতে চান তাহলে অনলাইনে কানাডা জবের অফার দিলে ওয়েবসাইটে জবের জন্য আবেদন করতে হবে এবং অনুমোদন দিলে, তারপর কানাডার ভিসা প্রসেসিং
করতে পারবেন এবং LMIA অনুমোদন পাওয়ার পর আপনাকে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আপনাকে সেই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। আপনি এই কাজটি অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন। তবে কোন বিষয় নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে

অবশ্যই অভিজ্ঞ লোকের সহযোগিতা নিতে পারেন এতে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনাটা থাকবে না। এছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদান করতে পারবেন। 

কানাডা অনলাইন আবেদন লিঙ্ক দেখুনঃ www.canada.ca/en

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ 

আপনি যদি সরকারিভাবে কানাডাতে যেতে পারেন, তাহলে আপনার খরচের পরিমাণ অনেকগুণ কম হবে। আপনি যদি বেসরকারিভাবে কানাডা যেতে চান, তাহলে খরচের পরিমাণ বেশি হবে। তাই চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে কানাডাতে যাওয়ার। আপনি যদি কানাডাতে বেসরকারিভাবে যান, তাহলে বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে। তবে আপনার খরচের পরিমাণটা বেশি পড়বে।

আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার আনুমানিক খরচ পড়তে পারে প্রায় ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে এই খরচের ভিতরে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন: সরকারি কিংবা বেসরকারি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, মেডিকেল টেস্ট খরচ,বিমান ভাড়া ইত্যাদি।আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

সাধারণত ১ থেকে ২ বছরের জন্য হয়ে থাকে।  ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করবে আপনার খরচ কম হবে নাকি বেশি হবে। তাই সঠিক তথ্যগুলো পেতে অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা নিন।

কানাডা যেতে যেসব যোগ্যতা লাগে

কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসা ক্যাটাগরির উপরে আপনার যোগ্যতা নির্ভর করবে। যদি সহজ করে বলি, একেক জনের একেক ধরনের উদ্দেশ্য আছে তবে আপনি কোন উদ্দেশ্য কানাডা যাবেন সেটার উপর নির্ধারণ করে ভিসা দেওয়া হয়। কানাডাতে যাওয়ার আবশ্যিক ডকুমেন্টসগুলো বা যোগ্যতাগুলো উল্লেখ করা হলো।  

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট 
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি
  • আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ 
  • আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • করোনা টিকা সনদ

উপরের এই কাগজপত্রগুলো সকল ভিসার জন্যই  অতি প্রয়োজনীয়। সেটা  আপনার যে কোন ধরনের ভিসা হতে পারে। সেটা হতে পারে আপনার স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সেগুলো আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে যা লাগে 

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগবে, সেগুলো সম্পর্কে আপনারা যারা যানেন না,তাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। 

  • আপনার IELTS  পরীক্ষায় সর্বনিম্ন থাকতে হবে ৬ 
  • কানাডার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া লেটার অফার। 
  • সত্যায়িত সকল সার্টিফিকেট 
  • আপনার স্টুডেন্ট আইডেন্টিটি প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

কানাডা টুরিস্ট ভিসা পেতে যা যা লাগে

কানাডা টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাই আপনাদের জনার জন্য যেসব ডকুমেন্টগুলো লাগবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়ার চেষ্টা কছি।

  • আপনার হোটেল বুকিং ডকুমেন্টগুলো 
  • আপনার ব্যাংকের সর্বনিম্ন ব্যালেন্স ১০ লক্ষ টাকা 
  • অতীতে যে দেশ ভ্রমণ করেছেন তার প্রমাণপত্র গুলো।

কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

কানাডাতে সাধারণত বিভিন্ন উপায়ে যাওয়া যায়। তবে আপনি যদি সহজ উপায়টি খোঁজেন, তাহলে বলবো ফ্যামিলি স্পন্সরশি ভিসা। এই বিষের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার স্বপ্নের দেশ কানাডাতে যেতে পারবেন। কানাডাতে যদি আপনার আত্মীয়-স্বজন থাকে, তাহলে আপনার জন্য এই ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। বলা যেতে পারে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার

শতভাগ। এ ভিসাতে আপনি কানাডায় গিয়ে পড়াশোনাসহ, ভ্রমণ কিংবা চাকরি করতে পারবেন। যদি টুরিস্ট ভিসায় আপনি কানাডা যাওয়ার জন্য ইছুক হন, তবে আপনাকে কানাডার নিয়ম অনুযায়ী কিছু উন্নত দেশগুলো ভ্রমণ করতে হবে। তাহলে আপনার ভিজিট হিস্ট্রি অনেক শক্তিশালী হবে। কেননা তারা যেন বিশ্বাস করে আসলেই আপনি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ এবং ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে জাবেন।
আপনাকে কিছু দেশ সম্পর্কে জানাচ্ছি, প্রথমে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করুন এরপর সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া যেতে পারেন। তারপর মাসখানেক বিরতি দিয়ে কম্বোডিয়া থেকে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্যর যে কোন দেশ, যেমন দুবাই থেকে মিশর আপনি প্যাকেজ টুর দিতে পারেন। আপনি যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করতে পারেন। যদিও অতীতের তুলনায় বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়া খুবই সহজ।

একটু সময় বেশি লাগে। তবে যদি আপনার ডকুমেন্টগুলো ঠিক থাকে তাহলে সঠিক সময় পেয়ে যাবেন। আপনার যুক্তরাজ্যের ভিসার মেয়াদ থাকাকালীন অবস্থায় সেনজেনের ভিসার আবেদন করবেন। তাহলে একসাথে দেশ ট্রাভেল করতে পারবেন। এভাবে আপনার শক্তিশালী স্ট্রং ট্রাভেল হিস্ট্রিগুলো তৈরি করুন। তারপর কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করুন। 

আশা করি আপনি যদি এই কৌশলগুলো অবলম্বন করে ভিজিট ভিসার আবেদন করেন, তাহলে আশা করি অ্যাপ্রুভাল পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

কানাডায় যেসব কাজের চাহিদা বেশি জানুন 

কানাডায় অনেক ধরনের কাজ রয়েছে তবে একেক ধরনের কাজের চাহিদায় এক এক রকমের হয়ে থাকে। নিচে কানাডার চাহিদার  ভিত্তিতে যেসব কাজের চাহিদাগুলো বেশি পরিমাণ রয়েছে, সেগুলো কাজ সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো বিস্তারিত পড়তে থাকুন। 

  • রেজিস্টার্ড নার্স
  • ইলেকট্রিশিয়ান 
  • ট্রাক ডাইভার 
  • ডেলিভারি বয় 
  • মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান 
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার 
  • প্রকল্প ব্যবস্থাপক 
  • ফার্মাসিস্ট
  • বিক্রয় প্রতিনিধ 
  • মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ 
  • শিক্ষক
  • প্রশাসনিক সহকারী
  • নির্মাণ ব্যবস্থাপক
  • ফিজিওথেরাপিস্ট 
  • তথ্য সিস্টেম বিশ্লেষ 
  • আর্থিক বিশ্লেষক 
  • হিসাব রক্ষক 
  • ফুড সার্ভিস ওয়ারকার 
  • শেফ এন্ড কুক 
  • গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি 
  • হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার 
  • ছুতার

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন যে, কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে,কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে যেসব কাগজপত্র লাগে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন যেভাবে করবেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ, কানাডা যেতে যে যে যোগ্যতা লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি সম্পর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url