গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকাগুলো জেনে নিন
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা জানতে পড়ুন।
- গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার
- গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কতটুকু বেশি খাবার খেতে হবে
- গর্ভবতী মায়ের ১ থেকে ৩ মাসের পুষ্টিকর খবার তালিকা
- গর্ভবতী মা গর্ভাবস্তায় যেভাবে খাবার খাবেন
- ৪ মাস থেকে ৯ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
- গর্ভবতী মায়ের যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা
- গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর
- গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
- গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাবেন
- গর্ভাবস্থায় শর্করা জাতীয় খাবার
- গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর শাকসবজি
- ৭ মাসের গর্ভবতী মায়ের প্রোটিন জাতীয় খাবার
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার সে সম্পর্ক অনেকে জানতে চান বা জানা অতি প্রয়োজন। একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকাতে কখনই একই জাতীয় খাবার রাখা ঠিক নয়। আপনাকে প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা তে সবসময় পুষ্টিকর জাতীয় খাবার গুলো রাখার।তাহলে গর্ভবতী মায়ের খাবারের প্রতি কোনো
একঘেয়েমি আসবেনা। গর্ভবতী মায়ের যে খাবারগুলোতে রুচি আসবে সেই খাবারগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। তবে রুচি আসবে বলে পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। আগে সবসময় চেষ্টা করতে হবে পরিমিত পরিমান খাওয়ার। অনেক গর্ভবতী মহিলা আছেন যাদের গর্ভাবস্থায় খাওয়ার অরুচি হয়।এই অবস্থায় আবার আপনার রুচি আসবে সেই খাবারগুলো
কখনো প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ খাবেন না। অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় বমি বমি লাগা কিংবা বুক জ্বালাপোড়া করে খেতে ইচ্ছে করে না বললেই চলে। এই অবস্থাতে আপনি অল্প অল্প করে দিনে ৫-৬ বার খাবার খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং কিছু টিপস জানুন
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কতটুকু বেশি খাবার খেতে হবে
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা তে সবসময় নজর দিতে হবে। গর্ভধারণ করেছেন বলেই গর্ভাবস্থায় খাওয়া দাওয়া অনেক পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে সাধারণত বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। তবে পরবর্তী মাসগুলোতে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা তে আপনার খাবারে পরিমাণ একটু একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে
গর্ভবতী মায়েদের অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো কখনোই খাওয়া ঠিক নয়। এবং ওজন যেন বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য একই ধরনের খাবার বেশি না খেয়ে ক্যালোরিযুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবারগুলো খাওয়া অতি জরুরী। প্রতিদিন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা তে পুষ্টিকর খাবারগুলো থাকলে গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
গর্ভবতী মায়ের ১ থেকে ৩ মাসের পুষ্টিকর খবার তালিকা
গর্ভবতী মায়ের ১ থেকে ৩ মাসের খাবার তালিকাতে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার রাখা খুবই প্রয়োজন। তাই এই খাবারগুলো গ্রহণ করা আপনার জন্য খুবই উপকারী। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও খাবার
ফলিক অ্যাসিডঃ ফলিক এসিড আছে এমন জাতীয় খাবার গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিকর জাতীয় খাবার, যেগুলো গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। আখরোট, বাদাম,ছোলা,মুগ, চিয়াসিড ইত্যাদি।
আয়রনঃ গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে সেগুলো হলো পালং শাক, ডিম,মুরগী,কলা,খেজুর, ছোলা ইত্যাদি।
ক্যালসিয়ামঃ গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসাবে ক্যালসিয়াম অতি প্রয়োজনীয়। এসব খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে সেগুলো হলো। দুধ,দই,পনির,মাছ,পালং শাক, ডিম,তিল,ডুমুর চিয়াসিড ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় কোন গর্ভবতী মা যদি এসব খাবারগুলো খেয়ে থাকে তাহলে তার ক্যালসিয়ামের চাহিদা গুলো পূরণ হয়ে যাবে।
প্রোটিনঃ গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য প্রোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেসব খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী হবে সেই খাবারগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। ডাল,ডিম,আমন্ড,ছোলা,শিমের বিচি,মুরগির মাংস,গরুর মাংস,চিনা বাদাম ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় আপনার প্রোটনের চাহিদাগুলো পূরণের জন্য এসব প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো আপনার খাবারে তালিকাতে রাখতে পারেন।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার হিসাবে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এর পুষ্টি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পুষ্টি উপাদানগুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য অতি জরুরী। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাবারগুলোর মধ্যে মাছ,আখরোট,ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড ইত্যাদি খুবই প্রয়োজনীয় খাবার।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আমলকি খাওয়ার ১৫টি অলৌকিক উপকারিতা
গর্ভবতী মা গর্ভাবস্তায় যেভাবে খাবার খাবেন
সকালের নাস্তাতে যেসব রাখবেনঃ আপনি সকালের নাস্তাতে, দুধ অথবা দই ফলিক এসিড জাতীয় ফল, বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন।
দুপুরে খাবারে যেসব খাবার খেতে পারেনঃ দুপুরের খাবারে আপনি পালং শাক কিংবা অন্যান্য শাকসবজি ডাল বা মুরগির মাংস খেতে পারে পারেন।
বিকালের নাস্তাতে যেসব রাখতে পারেনঃ বাদাম,ফল,দই ইত্যাদি।
রাতের খাবারে যেসব রাখতে পারেনঃ রাতে আপনি রুটি অথবা ভাত মাছ এবং মুরগির মাংস রাখতে পারেন।
৪ মাস থেকে ৯ মাসের গর্ভবতী মায়ের আমার তালিকা
গর্ভবতী মায়ের গর্ভের শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে খাবারের চাহিদা গুলো বাড়তে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। ৪ মাস থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকাতে ৩৪০ ক্যালোরি পরিমাণ অতিরিক্ত খাবার খাওয়া আপনার গর্ভাবস্থায় অতি প্রয়োজন। ৬ মাস থেকে ৯ মাসের গর্ভবতী মায়ের অন্যান্য সময় তুলনায় প্রায় ৪৫০ ক্যালোরি
খাবার গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি ওজন বেশি হয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত খাবার আপনাকে কম পরিমাণে খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় আপনার অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা গুলো পূরণের জন্য তিন বেলা খাবার পাশাপাশি আরো দুই বেলা হালকা খাবার খেতে পারেন। সেই খাওয়া হতে পারে আপনার জন্য ফরমূল। এছাড়াও আপনি পুষ্টিকর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খেতে পারেন।
গর্ভবতী মায়ের খাবার নিয়ে কিছু পরামর্শ জানুন
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
- আপনাকে সবসময় অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লেবু, আমলকি, কমলা লেবু খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার আয়রন শোষনে সহায়ক হবে।
- গর্ভাবস্থায় আপনি প্রতিদিন সকালে কিছু সময়ের জন্য রোদে বসে থাকার চেষ্টা করুন। কেননা রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
- আপনার যদি কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
গর্ভবতী মায়ের যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা তে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত তেলযুক্ত এবং চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার কখনোই খাওয়া ঠিক নয়। এসব খাবারগুলোর মধ্যে হলো ভাজাপোড়া, পরোটা,কেক, মিষ্টি ইত্যাদি। এসব খাবার গুলো সব সময় পরিহার করার চেষ্টা করুন। এসব খাবারে গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে পুষ্টি উপাদানগুলো দরকার সেগুলো থাকে না। এগুলোতে
ফ্যাট থাকতে পারে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর।আপনি যদি এসব খাবার নিয়মিতভাবে খান, তবে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার পরিমাণটাই বেশি এবং আপনার হার্টে নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। তাই গর্ভবতী মায়েরা এগুলো খাবার খাওয়া থেকে সবসময় সাবধানে থাকবেন। এছাড়াও আপনি যদি চিনিযুক্ত খাবারগুলো খান, তাহলে আপনার দাঁত ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরার ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়মসমূহ জানুন
গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা তে কখনোই মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর হবে এমন খাবার রাখা উচিত নয়। সময় এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। কেননা গর্ভবতী মা এবং শিশুদের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাবার গুলো। যে খাবারগুলো গর্ভবতী মায়ের শিশুর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
- মাখন
- ক্রিম
- চকলেট
- ঘি-ডালডা
- বিস্কিট
- ভাজাপোড়া
- চিপস
- কেক
- পেস্ট্রি
- আইসক্রিম
- পুডিং
- কোমল পানীয় (যেমনঃ কোকাকোলা)
এসব খাবার ক্যালোরিবহুল হলেও। এগুলো খাওয়ার ফলে যেমন পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে, তেমনি অন্যদিকে আপনার ওজন বেড়ে গিয়ে আপনার গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিকসসহ আপনার গর্ভের শিশুর মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ধরনের খাবারগুলো আপনার গর্ভকালীন সময়ে যতটুকু খেলেই নয় ততটুকুই খেতে হবে।এগুলো খাওয়ার পরিবর্তে
ফাইবার সমৃদ্ধ শর্করা জাতীয় খাবার গুলো বেছে নিতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, হাল চালের ভাত এবং লাল আটার রুটি। তবে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা তে অল্প পরিমাণ স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত খাবার রাখতে পারেন।
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা জেনে রাখা প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনাদের সুবিধার্থে নিচেই তালিকাটি তুলে ধরছি পড়তে থাকুন।
- গরু, ছাগল ও ভেড়ার অপাস্ত্তরিত দুধ কখনোই খাবেন না।
- ভালোভাবে সিদ্ধ না হওয়া মাছ মাংস ডিম কখনোই খাবেন।
- কাঁচা এবং অর্ধ সিদ্ধ কোন মাছ দিয়ে তৈরি কিন্তু খাবার গুলো খাবেন না।
- ভালোভাবে সেদ্ধ হয় নাই এমন মাংস কখনোই খাবেন না।
- অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় পানি। উদাহরণঃ চা কফি, এনার্জি ড্রিংক এবং কোমল পানীয় জাতীয় কিছু খাবেন না।
- অ্যালকোহল জাতীয় কোন পানীয় কখনোই খাবেন না।
- এলার্জির জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- কখনোই গর্ভাবস্থায় হারবাল এবং ভেষজ জাতীয় খাবার খাবেন না।
গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাবেন
গর্ভকালীন মায়ের গর্ভাবস্থায় আপনার খাবার তালিকাতে অবশ্যই ছয় ধরনের খাবারগুলো রাখতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে এই ছয় ধরনের খাবার গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- আপনাকে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে
- গারো সবুজ ও রঙিন শাকসবজি খেতে হবে
- রঙ্গিন ফল ও সবজি খেতে পারেন।
- নিয়মিত ডিম খাবেন
- দুধ জাতীয় খাবার খাবেন
- মাছ মাংস ডাল খাবেন
গর্ভাবস্থায়ী এগুলোর পাশাপাশি আপনি টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন তবে সেটা পরিমাণ মতো প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নয়। আমলকি, জলপাই, লেবু, মাল্টা,জাম, আমড়া ইত্যাদি আপনি পরিমাণ মতো খেতে পারেন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার শিশু ত্বক এবং হাড়কে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এছাড়া আপনার শরীরের আয়রন শোষনের ক্ষেত্রেও সহায়তা করবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেটের ডান ও বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জানুন
গর্ভাবস্থায় শর্করা জাতীয় খাবার
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা তে সরকারের জাতীয় খাবার বিশেষ প্রয়োজন। শর্করা জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আঁশ পাওয়া যায়। যা গর্ভবতী মায়ের ক্যালরির চাহিদাগুলো পূরণ করে থাকে। নিচে শর্করা জাতীয় কিছু খাবার গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- আলু
- রুটি
- ভাত
- নুডুলস
- পাস্তা
- ওটস
- ভুট্টা ইত্যাদি
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর শাকসবজি
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর শাকসবজি গর্ভকালীন সময়ে, গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ও খনিজের চাহিদাগুলো পূরণ করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় শাকসবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। গর্ভাবস্থায় কি কি শাকসবজি গুলো খাওয়া যাবে সেগুলো নিচে উল্লেখ করছি।
- গাজর
- মিষ্টি আলু
- মিষ্টি কুমড়া
- পালং শাক
- টমেটো
- মটরশুঁটি
- ক্যাপসিকাম
৭ মাসের গর্ভবতী মায়ের প্রোটিন জাতীয় খাবার
গর্ভবতী মায়ের শিশুর শারীরিক গঠন এবং বৃদ্ধির জন্য দরকার পরিমাণ মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার। যেসব খাবারগুলোতে প্রোটিন রয়েছে, আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই খাবারগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
মাছঃ মাছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ রয়েছে। এগুলো আপনার মস্তিষ্ক চোখের উন্নয়ন কে সমৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। পুঁটি মাছ, বাটা মাছ, বাঁশপাতা মাছ,চাপিলা মাছ,ইলিশ মাছ ইত্যাদি তবে পরিণাম পরিমাণ মতো খেতে হবে এবং প্রয়োজনের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
ডিমঃ ডিমে রয়েছে প্রোটিন,ভিটামিন ডি,ভিটামিন বি১২, শিশুর মস্তিষ্ক কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ডিম সেদ্ধ করা অথবা অল্প তেলে প্যাঁচানো ডিম খাবেন।
ডালঃ তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের প্রোটিন কষ্ট কাটানো সমস্যা থাকলে হয়ে যাবে। মুসুর ডাল, মুগ ডাল, চিরে গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই দরকারি।
বাদামঃ বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার এবং ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। তাই অবস্থায় পরিমাণ মতো বাদাম খেতে পারেন।
শিমঃ শিম গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ উপকারী। কেন এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় দিনের চাহিদা পূরণের জন্য খেতে পারেন শিম।
লেখকের শেষ মন্তব্য
গুরুত্ব আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন যে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা, মায়ের কোন মাসে কতটুকু খাবার খেতে হবে, এক মাস থেকে তিন মাসের পুষ্টিকর খাবার তালিকা, গর্ভাবস্থায় যেভাবে খাবার খাবেন, চার মাস থেকে নয় মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা, গর্ভবতী মায়ের যেসব খাবার খাওয়া যাবে না, কোন খাবারগুলো মা ও শিশুর জন্য
ক্ষতিকর, গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা, গর্ভাবস্থায় সরকার জাতীয় খাবার, প্রোটিন জাতীয় খাবার ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। ওরে আলোচিত গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা গুলো দেখে তারপর খাবারগুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।গর্ভবতী অবস্থায় স্বাস্থ্য গত যে কোনো সমস্যায় সবসময়
চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেন আপনার ছোট একটি সমস্যা থেকে বড় ধরনের সমস্যায় পরিণত হতে পারে। গর্ভকালীন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url