হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা - হরিতকীর ব্যবহারবিধি ও খাওয়ার নিয়ম

হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা - হরিতকীর ব্যবহাবিধি ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জানতে পারবেন হরিতকীর  উপকারিতা,অপকারিতা,ব্যবহারবিধি, খাওয়ার নিয়ম এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে


হরিতকী হলো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে পরিচিত তিনটি ফলের একটি ফল। হরিতকীর নানান গুণ রয়েছে, যে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানেন না। আজকে আমরা আপনাদেরকে হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হরিতকীর ব্যবহারবিধি ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।

পোস্ট সূচীপত্রঃ হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম জানতে পড়ুন

ভেষজ হরিতকীর ১১টি উপকারিতা 

হরিতকীকে প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুবই মূল্যবান একটি ভেষজের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জটিল রোগের ওষুধ থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য কাজে হরিতকী ব্যবহার করা হয়। হরিতকীর ব্যবহারবিধী অসীম।হরিতকী পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত সব সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ উপকারী। নিচে হরিতকীর  উপকারিতা ও অপকারিতা এবং হরিতকীর ব্যবহারবিধী ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।

আরো পড়ুনঃ  গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকাগুলো জেনে নিন

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে

আপনার খাবারের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণগুলো যদি আপনার শরীরে ভালোভাবে না মেশে। তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সমস্যা হবে। শরীরের পাকস্থলী যদি সঠিকভাবে খাবার পরিপাক না করতে পারে, তাহলে হজমের এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আপনার হজমের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পাকস্থলির যাবতীয় কাজ  ঠিকঠাক  মতো করা  প্রয়োজন। হরিতকী ঠিক এই 

কাজগুলোরই উপকার করে থাকে। আপনি যদি হরিতকীর গুঁড়ো অল্প উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে দুপুরে বা রাতের খাবারের পর খেতে পারেন। তাহলে অনেক উপকারিতা পাবেন। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাগুলও দূর হয়ে যাবে।  

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে  

হজমগত সমস্যার কারণে প্রায় অধিকাংশ মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটি হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া এবং শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই সব সময় তরল জাতীয় কিছু খেতে হবে। আপনি যদি হরিতকীর গুঁড়ো এবং অল্প পরিমাণ আদার রস পেস্ট করে নিয়ে, সেটা রাতে খাবার পর খেয়ে থাকেন। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগগুলো থেকে আপনি সহজেই দ্রুত সমাধান পাবেন। 

সর্দি-কাশি দূর করতে 

সর্দি-কাশি জনিত সমস্যা আমাদের সারা বছরের সমস্যা। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে, গরমকালে ঘামে জমে,শীতকালে ঠান্ডা লেগে এমন সারা বছরই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আমাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে। তাই সর্দি কাশি দূর করতে মধু এবং তুলসী এ ধরনের উপাদানের সাথে যোগ করতে পারেন হরিতকী।আপনি যদি গরম পানিতে হরিতকীর গুঁড়ো এবং অল্প লবণ মিশিয়ে

খেতে পারেন, তাহলে আপনার সর্দি কাশি থেকে সহজেই সেফা পাবেন। হরিতকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কফ উপাদান ব্যালেন্স করার মত ক্ষমতা রয়েছে।আপনি যদি হরিতকী সারা বছর খেতে পারেন তবে ভালো থাকতে পারবেন।

ওজন কমাতে হরিতকী

ওজন কমাতে আমরা প্রতিনিয়তই কত কিছুই না করি, নিজেকে ফিট রাখার জন্য। কিন্তু কাজের কাজ হয় না। আপনি কি কখনো হরিতকী কি ব্যবহার করে দেখেছেন? আপনি যদি হরিতকী ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখুন না কেমন ফল পান। হরিতকী আপনার মেটাবলিজম ক্ষমতা অনেক পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে। এর ফলে আপনার খাবার ভালোভাবে 


হজম করতে সাহায্য করবে। হরিতকী কিভাবে খাবেন? আপনাকে প্রথমে ১০ টা হরিতকী নিতে হবে। এরপর আপনাকে হালকা ঘি দিয়ে হরিতকিগুলো ভেজে নিতে হবে। তারপর হালকা করে শুকিয়ে নিন। এরপর গুঁড়ো করে রেখে দিতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন এই হরিতকীর গুঁড়ো খাবার পর প্রতিদিন অল্প পরিমাণ করে খান, তাহলে ওজন কমাতে ভালো উপকার পাবেন। 

চুলের সমস্যা দূর করতে 

আমাদের চুলে কতইনা সমস্যা খুশকি থেকে শুরু করে চুল পড়া, মাথা চুলকানি, সাদা চুল মশার যেন শেষ নেই। কিন্তু আপনি একটু চেষ্টা করলেই এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন। সে উপায় জানবেন? আপনার জন্য হরিতকী হতে পারে এ টু জেড সমস্যার একমাত্র সমাধান। আমরা চুলের জন্য ত্রিফলা ব্যবহার করে থাক।  আপনি জানেন কি এই ত্রিফলার অন্যতম উপাদান হলো হরিতকী। তাই আপনি নিঃসন্দেহে চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন হরিতকী।

দাঁত পরিষ্কার রাখতে 

আপনার দাঁত কি হলদে ছোপ ছোপ পড়ে যায়। অনেক কিছুই তো করে দেখলেন, কিন্তু কাজ হলো না। তবে সমস্যা নেই এর সমাধান আছে। আপনি একবার হরিতকী ব্যবহার করে দেখুন এর ভালো ফল পাবেন। প্রতিদিন সকালে হরিতকীর গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি মাজন ব্যবহার করেন, তাহলে এর সাথে হরিতকীর  গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। দেখবেন দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভিতরে আপনার দাঁত সাদা হয়ে আসবে। 

আপনার ব্রণ কমাতে 

আপনার মুখে যদি ব্রণের সমস্যাগুলো থাকে। যত কিছুই ব্যবহার করেন না কেন দাগ সহজে যেতে চায় না। আপনি যদি এই দাগগুলো দূর করতে চান, তাহলে হরতকির সাহায্য নিতে পারেন। একমাত্র হরতকিরর মাধ্যমে আপনার মুখের ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব। 

চোখের কালো দাগ দূর করতে 

আপনি যদি বেশি চিন্তা করে থাকেন এজন্য অবশ্যই রাতে আপনার ঠিকমত ঘুম হয় না। এর ফলে আপনার চোখের নিচে কালি পড়ে যায় এবং সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। চোখের কালো দাগ দূর করতে হরিতকীর বিশেষ প্রয়োগ আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনার হার্টের যত্নে 

আপনার হার্টের যত্নে হরিতকী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।আপনার হার্টবিট কম হওয়া, বুক ধরফর করা, হালকা চিন চিন ব্যথা হার্টের এসব সমস্যা হরিতকীর গুণে কমে আসতে পারে । হরিতকী আপনার হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা বাড়াবে, এবং  হার্টের মাসল মজবুত করবে। হরিতকী আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে আনতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আপনার হার্ট অ্যাটাক, হার্টের ব্লক, রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যার প্রাথমিক প্রবণতা থেকে অনেক কমিয়ে আনবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করবে 

পুরুষ এবং নারীর উভয়ের ক্ষেত্রে হরিতকী সেক্সচুয়াল হেলথ মজবুত করতে পারে। আপনি যদি হরিতকী খেতে পারেন তবে আপনার সেক্সুয়াল চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে হরিতকী। পুরুষের মধ্যে সেক্সচুয়াল শক্তি ও ক্ষমতা এবং নারী-  পুরুষ উভয়ের মধ্যেই সেক্সচুয়াল উৎপাদন শক্তি অনেক বাড়াবে হরিতকী।

আপনার চোখ ঠিক রাখতে

চোখে নানান ধরনের সমস্যা যেমনঃ চোখের নার্ভ শুকিয়ে যাওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালাপোড়া করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া  ইত্যাদি এই সমস্যাগুলোর একমাত্র সমাধান হলো হরিতকী। প্রথমে  আপনি এক কাপ চায়ের সাথে হরিতকীর গুঁড়ো ভালোভাবে মিশাবেন। তারপর ঠান্ডা করে আপনাকে  ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া হয়ে গেলে  সেই পানি  দিয়ে আপনি চোখ পরিষ্কার করবেন। পানি দিয়ে আপনার চোখ পরিষ্কার করার ফলে আপনার চোখের ইনফেকশন, এবং আপনার চোখের অনেক প্রাথমিক সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং কিছু টিপস জানুন

হরিতকীর ব্যবহারবিধি

আপনি হরিতকীর গুঁড়ো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে এই প্যাকটি মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি এই হরিতকীর প্যাকটি ব্যবহার করেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন। আপনার হরিতকী নারিকেল তেলের সাথে ভিজিয়ে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া টক দই এবং ডিমের সাথে মিশেও হরিতকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারবেন।আমলকির 

গুঁড়ো এবং মেথির গুঁড়োর সাথে হরিতকীর গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল ঘন এবং মজবুত হবে,খুশকি দূর হবে। আপনি যদি হরিতকীর গুঁড়ো এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।মধু ও দই হরিতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে আপনার মুখে লাগালে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং আপনার ব্রণ অনেকটা কমে যাবে। এছাড়া এক ক্লাস পানির সাথে খালি পেটে হরিতকী মিশিয়ে খেলে আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হবে। 

হরিতকী খাওয়ার নিয়ম 

হরিতকী খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। প্রত্যেকটা জিনিসের খাওয়ার নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে তেমনি হরিতকীর ক্ষেত্রেও রয়েছে। আপনি যদি নিয়ম মেনে হরিতকী খান তবে অনেক উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, নিচে হরিতকী খাওয়ার উল্লেখযোগ্য   নিয়মগুলো আলপাত করা হলো।  

  • হরিতকী কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
  • হরিতকী গরমকালে আপনি অল্প পরিমাণ খাঁটি গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
  • আপনি যদি মিশ্রির সরবতের সাথে হরিতকী গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন 
  • হরিতকীর গুঁড়ো আপনি যদি মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে শীতকালে ভালো ফল পাওয়া যায়। 
  • হরিতকীর গুঁড়ো আপনি আদার কুচি গোলমরিচের গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।

চুলের যত্নে হরিতকীর উপকারিতা 

চুলের জন্য হরিতকীর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে,এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। চুলে  হরিতকী ব্যবহার করার ফলে চুলের সুস্থতা বজায় থাকে। আপনি যদি চুলে হরিতকী ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে নানান ধরনের উপকারিতা পাবেন। নিম্নে চুলের যত্নে হরিতকীর উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার ১০টি উপকারিতা জানুন

  • আপনার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে 
  • চুল পড়া অনেক পরিমাণ কমাবে
  • আপনার চুল পাকা রোধ করবে 
  • মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে 
  • আপনার চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত করবে।
  • হরিতকী প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে কাজ করে 
  • আপনার চুলের আসল রং ধরে রাখতে সাহায্য করবে
  • আপনার চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে 

হরিতকীর অপকারিতা জানুন 

হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা জানা প্রতিটি মানুষের জরুরী। হরিতকীর  বহু উপকারিতা রয়েছে তবে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত কোন জিনিসই সুফল বয়ে আনতে পারেনা। উপরে হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে শুধু হরিতকীর উপকারিতা জেনেছি। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক হরিতকীর অপকারিতা গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। 

  • হরিতকী আপনাকে নিয়ম মত খেতে হবে, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেলে আপনার সর্দি কাশি বেড়ে যেতে পারে। 
  • গর্ভবতী মায়ের  হরতকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। 
  • আপনার কোন কাটাস্থানে বা পাকা স্থানে কখনোই হরিতকীর পাউডার ব্যবহার করবেন না। কেনন কাঁটা স্থানে সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
  • অধিক পরিমাণে হরিতকীর গুঁড়ো খেলে আপনার পেটের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 
  • হরিতকীর গুঁড়ো খাওয়ার পরে অবশ্যই আপনাকে কুসুম কুসুম গরম পানি খেতে হবে। তাছাড়া হজমের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।  

হরিতকী খেলে কি হয় 

হরিতকী খাওয়ার বলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন। হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তবে হরিতকী খেলে কি হয় এবং  কি কি উপকারিতা পাবেন নিচে আলোচনা করা হলো। 


  • হরিতকী খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে। 
  • বার্ধক্য প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়তা করবে 
  • নিয়মিত হরিতকী খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করবে।
  • হরিতকী খাওয়ার পরে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে চুল শক্ত মজবুত হবে খুশকি কমাবে। 
  • হরিতকী ডাইবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে

হরিতকীর দাম 

হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি হরিতকীর দাম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তবে সেটা গুণগত মানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণত হরিতকীর দাম যেমন হতে পারে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।  

আস্ত হরিতকীঃ আস্ত হরিতকী প্রতি কেজি প্রায় ৭০ থেকে ১৫০ টাকা। 

বিচিসহ হরিতকীর গুঁড়োঃ বিচিসহ হরিতকীর গুঁড়ো প্রায় প্রতি কেজি ১২০ থেকে ২০০ টাকা নিতে পারে। 

বিচি ছাড়া হরিতকীর গুঁড়োঃ বিচিছাড়া হরিতকীর গুঁড়ো আপনার কাছ থেকে প্রতি কেজি প্রায় ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা নিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে আমলকি খাওয়ার ১৫টি অলৌকিক উপকারিতা

হরিতকী কোথায় পাওয়া যায় 

হরিতকী আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পেতে পারেন। তবে বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং টাঙ্গাইলের  বনাঞ্চল এলাকাতে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি আপনার নিকটস্থ বাজারে হারবাল দোকান ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানগুলোতে হরিতকী পাবেন। তাছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে হরিতকী ক্রয় করতে পারবেন।

হরিতকীর পুষ্টিগুণ জানুন   

হরিতকী একটি পুষ্টিকর ভেষজ যা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হরিতকীতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। 

ভিটামিন সিঃ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে 

আয়রনঃ আপনার শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে থাকবে 

সেলেনিয়ামঃ আপনার শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে থাকবে। 

ম্যাংগানিজঃ হাড়ের গঠনে সহায়তা করবে।

কপারঃ রক্তে লোহিত কণিকা উৎপাদনে সাহায্য করবে।

ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম 

ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানতে চান তাই আপনাদের সুবিধার্থে তুই ফেলা খাওয়ার নিয়ম গুলো নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলো। 

ত্রিফলা চূর্ণ খাওয়ার নিয়মঃ রাতের খাবারের দুই ঘন্টা পর নিয়মিতভাবে  ১ চামচ ত্রিফলা চূর্ণ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার হজমের উন্নতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে। 

ত্রিফল পানিঃ এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে আপনি সকালে খালি পেটে পানি পান করতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূ্র করবে। 

ত্রিফলা ট্যাবলেটঃ আপনার যদি চুর্ণ খেতে অসুবিধা হয় তবে আপনি ট্যাবলেট খেতে পারেন তবে প্রতিদিন রাতে একটা বা দুইটা ট্যাবলেট বেশি নয়।

ত্রিফলা পেস্টঃ ত্রিফলা চূর্ণের সাথে আপনি সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে দাঁতের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য 

উপযুক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা - হরিতকে ব্যবহার ভিডিও খাওয়ার নিয়ম, ভেষজ হরিতকীর ১১টি উপকারিতা,চুলের যত্নে হরিতকীর উপকারিতা, হরিতকী খেলে কি হয়, হরিতকীর  দাম, ওরে তোকে কোথায় পাওয়া যায়, ত্রিফলা খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে 

পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতা কথা বলে শেষ করা যাবে না। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে হরে তোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি ফল। জটিল রোগের চিকিৎসায় হরিতকী ফলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনারা যদি হরিতক এর ব্যবহার বিধি ও খাওয়ার নিয়ম মেনে হলে তোকে খেতে পারে। তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url