সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত
সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে চাইলে, অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। সিঙ্গাপুর যেতে যে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো না জানলেই নয়, সেগুলো জানতে নিচে পড়ুন।
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসগামী ভাইয়েরা আপনারা যারা সম্পদ বিক্রি বা ধার করে নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন। তাদের অবশ্যই জানা দরকার কোন সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি কোন কাজের বেতন সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সে সম্পর্কে ধারণা থাকা। যাবতীয় তথ্যগুলো নিজে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন সম্পর্কে জানতে পড়ুন
- সিঙ্গাপুর বেতন কত
- সিঙ্গাপুর সর্বনিম্ন বেতন কত
- সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ বেতন কত
- সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং কাজের বেতন কত
- সিঙ্গাপুরে ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত
- সিঙ্গাপুরের কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত
- সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা
- সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে
- সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে
- বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে
- সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা কত টাকা
সিঙ্গাপুর বেতন কত
সিঙ্গাপুর একজন প্রবাসী কর্মীর বেতন নির্ভর করে তার বিভিন্ন দক্ষতার উপর। একজন প্রবাসী কর্মীর যোগ্যতা,দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে বেতনের তারতম্য হযে থাকে। বিদেশের মাটিতে অভিবাসীদের বেতন সাধারণত তুলনামূলকভাবে একটু কম হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি বড় কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন তাহলে পরিমাণটা বেশি পাবেন। সিঙ্গাপুরের ছোট
ছোট কোম্পানিগুলো কম বেতন প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশী টাকায় মাসিক বেতনের পরিমাণ যদি হিসাব করা হয়, তবে দাঁড়াবে ৪০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আপনারা যারা নতুন সিঙ্গাপুরে আসবেন তাদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম হবে। সেজন্য আপনি যদি সিঙ্গাপুরের কাজ করতে আসেন তাহলে অবশ্যই যে কাজ করবেন, সেই কাজের
উপরে ট্রেনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে আসবেন। আপনি যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন, তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না এবং বেতনের পরিমাণও বেশি পাবেন। অন্যান্য প্রবাসী দের চাইতে সিঙ্গাপুর নাগরিকের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে তাদের আনুমানিক গড় মাসিক বেতন ৪ লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
সিঙ্গাপুর সর্বনিম্ন বেতন কত
সিঙ্গাপুর সরকার ন্যূনতম কোন কাজের মজুরি এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি। সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি তার জন্য সঠিক তথ্য জানাটা খুবই দরকার। প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা এবং অদক্ষতার উপরে নির্ভর করে বেতনের তারতম্য কম বেশি হয়ে থাকে। একজন দক্ষ সিঙ্গাপুর প্রবাসী ব্যক্তির মাসিক গড় বেতন প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং অদক্ষ প্রবাসী শ্রমিকের বেতন প্রায় ২৫ হাজার টাকা।এই তথ্যটি
পেয়েছি বঙ্গ আইটি ব্লক থেকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে অধিকাংশ মানুষই সিঙ্গাপুর যাচ্ছে কাজের উদ্দেশ্য। অনেক প্রবাসগামী ভাই আছেন, যারা সম্পত্তি বিক্রি করে এবং ধারের উপর টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুর যাচ্ছে, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। তাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন সিঙ্গাপুরের সর্বনিম্ন বেতন কত? বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্য যারা যায় তাদের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকার আশেপাশে হয়ে থাকে।
সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ বেতন কত
সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ বেতন নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে। সাধারণত যাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেসব পেশাজীবীদের জন্য বেতন সর্বোচ্চ হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসাবে যদি বলি তাহলে বলতে হবে : তথ্য প্রযুক্তি, ব্যাংকিং এবং চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে পেশাজীবীরা কাজ করেন।সিঙ্গাপুরে তাদের বেতন সর্বোচ্চ
হয়ে থাকে। এসব দক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিদের বেতন সিঙ্গাপুর প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে বা তার বেশি হতে পারে। আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান এবং বেশি পরিমাণের বেতন উপার্জন করতে চান। তবে অবশ্যই আপনাকে যে কাজ করবেন, সেই কাজের উপরে ট্রেনিং নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে যান। পৃথিবীর যে কোন দেশে দক্ষতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব
দিয়ে থাকে। তাই প্রবাসগামী ভাইয়েরা অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করে প্রবাসে যাওয়া উচিত। সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো জেনে জাবেন। কেননা এত টাকা খরচ করে আপনি যখন প্রবাসী হচ্ছেন যদি সেই টাকা দ্রুত সময় তুলতে না পারেন তাহলে দুঃখের অন্ত থাকে না। তাই বিষয়গুলো মাথায় রাখা আপনার জন্য শুভকর।
সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং কাজের বেতন কত
সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা বলে কোনো ভিসা নেই। পূর্বে ড্রাইভিং পেশার চাহিদা সিঙ্গাপুরে প্রচুর ছিল কিন্তু বর্তমানে চাহিদাগুলো কমে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসার কথা বলে টাকা নেয়। তাহলে আপনি বুঝবেন সে হলো প্রতারক।ডাইভিং ভিসাতে নয় আপনি এমনিতেই বিভিন্ন কোম্পানিতে ড্রাইভিং জব
করতে পারবেন। ড্রাইভিং জব এর পাশাপাশি আপনি কনস্ট্রাকশনের জব করতে পারবেন। সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং পেশার ধরা-বাঁধা কোন নির্দিষ্ট বেতন পাবেন না।তবে যারা সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং পেশাতে কাজ করে তাদের তথ্য অনুযায়ী আনুমানিক একটা হিসাব রয়েছে। বর্তমানে ড্রাইভিং পেশায় যারা সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন তাদের মাসিক বেতন প্রায় ১০০০ থেকে ১৮০০ ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে দাঁড়ায় ৮১,০০০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
সিঙ্গাপুরে ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত
বিভিন্ন ধরনের ওয়েল্ডিং এর কাজ সিঙ্গাপুর প্রচুর রয়েছে। ওয়েল্ডিং কাজের ধরন অনুযায়ী আপনি বেতন পাবেন। সিঙ্গাপুরের যারা ওয়েল্ডিং কাজ করে কিছু কিছু শ্রমিকের বেতন বেশি আবার কিছু কিছু শ্রমিকের বেতন কম হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী একজন শ্রমিকের ওয়েল্ডিং কাজের মাসিক বেতন হয় ৭০০ থেকে ৮০০ ডলার। তবে আপনি যদি ওভারটাইম কাজ
করেন তাহলে আপনার বেতন বাড়বে। সেটা ডলারে দাঁড়াবে ১৪০০ থেকে ১৫০০ ডলার। আপনি যদি বাংলা টাকায় কনভার্ট করেন তাহলে মাসিক বেতনের পরিমাণ দাঁড়াবে টোটাল প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি প্রতি মাসে ওভারটাইম করতে পারেন। তবে আপনার বেতনের চেয়ে ওভারটাইমের বেতনেরনের টাকার পরিমান বেশি হবে।
আপনি যদি আপনার পরিবারের সচ্ছলতা আনতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন ওভার টাইম করতে হবে। ওভারটাইম করার মাধ্যমে আপনি আপনার বেতন দ্বিগুন করতে পারেন। এবং সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো খোঁজ রাখার চেষ্টা করবেন।
সিঙ্গাপুরের কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত
সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো প্রতিটি প্রবাসীর জানা প্রয়োজন। কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে। সিঙ্গাপুরের কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন সাধারণত বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭২ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে আপনার কাজের বেতন কমবেশি হতে পারে।
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সিঙ্গাপুরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে মানুষ বসবাস করছে। কেননা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সিঙ্গাপুর দেশটি অনেক শক্তিশালী এবং ধনী একটি রাষ্ট্র। সিঙ্গাপুর দেশটি উন্নত বলেই এখানে প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে।তাই আপনি যদি সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা
বেশি এই সম্পর্কে। সিঙ্গাপুরে বর্তমানে কিছু কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরে বাংলাদেশীদের জন্য চাকরির বাজার বর্তমানে বেশ আশঙ্কাজনক হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুর দেশটি উন্নয়নশীল বলে এদেশের অর্থনীতির কারণে নির্মাণ শিল্পে দক্ষ এবং অদক্ষ প্রবাসী শ্রমিকের চাহিদা সব সময় বেশি থেকে থাকে। ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে, পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, শিল্প ফ্যাক্টরি এসব
প্রতিটি কাজে শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়। সিঙ্গাপুর হলো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান তাই শিপেইয়ার্ডে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেশি থেকে থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন তাই এসব বিষের উপর দক্ষতা অর্জন করে যদি আপনি সিঙ্গাপুর যেতে পারেন তাহলে সর্বোচ্চ বেতন পাবেন।আপনি যদি সিঙ্গাপুরে যেতে চান তবে যে সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি , এরমধ্যে ইলেকট্রিক্যাল
টেকনেশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা এগুলোর চাহিদা সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি । আপনে যদি এইসব যোগ্যতা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন তবে আপনার বেতন হবে সর্বোচ্চ। এবং এসব কাজ করলে আপনার ভাগ্য ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
ক্রমিক নং | কাজের নাম |
---|---|
০১ | নির্মাণ শ্রমিক |
০২ | প্লাম্বার |
০৩ | ইলেক্ট্রিশিয়ান |
০৪ | সিভিল ইঞ্জিনিয়ার |
০৫ | ড্রাইনিং |
০৬ | বিক্রয় কর্মী |
০৭ | ওয়েল্ডিং শ্রমিক |
০৮ | হোটেল বয় |
০৯ | রেস্টুরেন্ট ওয়েটার |
১০ | রোড ক্লিনার |
১১ | গ্লাস ফিটংস জব |
১২ | ফাক্টোরি শ্রমি |
উপরে উল্লেখিত আপনে যদি চাকরি পেতে চান, তবে অবশ্যই আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সিঙ্গাপুর সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেখানে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন। আপনি যখন সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তবে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং বেতন কত সে সম্পর্কে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা
সিঙ্গাপুর যেতে আপনার কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির এবং মেয়াদের উপরে। সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তবে সেটা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, আপনি যদি পড়াশোনা করতে যেতে চান তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা, ভ্রমণের জন্য গেলে ভিজিট ভিসা,ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যদি যান তাহলে সেটা বিজনেস ভিসা ।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য এসব ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়েদের উপর নির্ভর করবে সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা হবে। আপনার যদি এলাকার কোন পরিচিত বা আত্মীয় স্বজন মানুষের মাধ্যমে যদি সিঙ্গাপুর যেতে পারেন, তাহলে খরচের পরিমাণ একটু কম পড়বে। আর যদি এজেন্টের সহযোগিতায় যেতে চান, তাহলে আপনার খরচের পরিমাণটা বেশি পড়বে। তবে এজেন্টের মাধ্যমে গেলে অবশ্যই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি বা অন্যান্য কাজের জন্য ভিসা করতে করতে কত টাকা লাকতে পারে সেগুলো জানুন।
ক্রমিক নং | ভিসা ক্যাটাগরি | আনুমানিক ভিসা খরচ(টাকা) |
---|---|---|
০১ | ভিজিট ভিসা | ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা |
০২ | স্টুডেন্ট ভিসা | ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা |
০৩ | ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে
আপনি যে কোন দেশেই যাবেন না কেন ভিসা নিয়ে গেলে অবশ্যই কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম হবে না। সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে কেননা আপনি যখন ভিসা আবেদন করবেন তখন কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন পড়বে।
সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস
- আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে (সর্বনিম্ন মেয়াদ ৬ মাস এবং সর্বনিম্ন ১টি পাতা খালি থাকতে হবে)
- সিঙ্গাপুরে থাকে এমন যে কোন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ পত্র
- আপনার আবেদন ফি দিতে হবে
- আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে দুই কপি
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে
- আপনার ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট (জন্ম নিবন্ধন /জাতীয় পরিচয় পত্র)
সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে
সিঙ্গাপুরের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী বয়সের শর্তগুলো ভিন্নরকম হবে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তবে আপনার বয়স লাগবে ১৫ বছর বা তার বেশি। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাদের অবশ্যই অভিভাবক থাকা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন,
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে আপনার সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে বিমান সংস্থা এবং বাতাসের অবস্থার উপরে। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে দ্রুততম সময় যে বিমান এয়ারলাইন্স রয়েছে সেগুলো হলো।
- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
- মালয়েশিয়ারা এয়ারলাইন্স
- থাই এয়ারওয়েজ
- এয়ার এশিয়া
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের দুরত্ব প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের দূরত্ব আপনার অতিক্রম করতে সময় লাগবে প্রায় সাত ঘন্টা থেকে সাড়ে সাত ঘন্টা। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আপনার টিকিট ভাড়া পড়বে প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা কত টাকা
সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসার জন্য আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আপনার এই খরচটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেছেন তার উপরে ।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি, সিঙ্গাপুর বেতন কত, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত, সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা,সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে, ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত, আশা করি পুরো আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে অবশ্যই সিঙ্গাপুর যাওয়ার যাবতীয় তথ্যগুলো জেনে জাবেন। যা উপরে আলোচিত হয়েছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url