কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা এবং ভিসা পাওয়ার উপায় জেনে নিন
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা জানা আপনার খুবই জরুরী। কেননা কানাডা যাওয়ার উপায় জানা
থাকলেও, আপনি কানাডাতে পারি জমাতে পারবেন না। কারণ উন্নত একটি দেশ কানাডাতে যেতে
হলে অবশ্যই আপনাকে যোগ্যতার মানদন্ড পূরণ করতে হবে। কানাডা যাওয়ার জন্য যোগ্যতা জানতে
নিচে পড়ুন।
কানাডা দেশটিতে স্টুডেন্ট, টুরিস্ট এবং জব প্রার্থীরাও কাজের জন্য পছন্দ করেন।
কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার যদি যোগ্যতা থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই স্বপ্নের এই
দেশে যেতে পারবেন। নিচে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা এবং ভিসা পাওয়ার উপায়
সম্পর্কে জানতে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা জানতে পড়ুন
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতাসমূহ
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতার সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের
জানার সুবিধার্থে, কানাডা যাওয়ার জন্য যোগ্যতা সাধারণত নির্ভর করবে, আপনার ভিসা
ক্যাটাগরির উপরে। আপনি কানাডা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে যাবেন,
তার উপরে নির্ভর করে
ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কানাডাতে মানুষ
স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকেন। কানাডা
যাওয়ার যোগ্যতা গুলো কি সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া
হলো।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট
- আপনার সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের তোলা ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- জাতীয় পরিচয়পত্র কপি
উপরে উল্লেখিত আবশ্যিক ডকুমেন্টগুলো সকল ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটা হতে পারে
স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট
ভিসা, টুরিস্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে কানাডা যেতে চান, তবে আরো কিছু
প্রয়োজন পড়বে। এগুলো সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
নিচে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেগুলো উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
স্টুডেন্ট ভিসা
- আপনার IELTS পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর থাকতে হবে ৬
- কানাডার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনাকে লেটার অফার পেতে হবে।
- আপনার সার্টিফিকেটগুলো সত্যায়িত করতে হবে
- আপনার স্টুডেন্ট আইডেন্টিটি প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো লাগবে।
টুরিস্ট ভিসা
- আপনার হোটেল বুকিং ডকুমেন্টস লাগবে
- আপনার ব্যাংকের সর্বনিম্ন ব্যালেন্স ১০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে
- আপনি অতীতের কোন দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন তার প্রমাণপত্র লাগবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- কানাডাতে যেতে আবাসিক কাগজপত্র লাগবে
- আপনার এলএমআইএ নাম্বার লাগবে
- আপনার বয়স ৪৫ বছরের কম হবে
- জব অফার লেটার থাকতে হবে
উঠলে উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো লাগবে আপনি যদি কানাডাতে যেতে চান। তবে এসব যোগ্যতা
ছাড়া আপনার কোন ভাবেই আপনার সামনে দেশ কানাডাতে যেতে পারবেন না। তাই যোগ্যতাগুলো
অর্জন করুন এবং আপনার স্বপ্নের দেশ কানাডাতে পাড়ি জমান। কানাডা কৃষি ভিসা আবেদনের নিয়ম
জানতে পড়তে পারেন। নিচে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় জানতে পড়ুন।
কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় জানুন
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনি যদি কানাডা যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে এই
আর্টিকেলটি শুরু থেকে যদি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন। কানাডাতে
আপনি বিভিন্ন উপায়ে যেতে পারবেন। তবে কানাডাতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো
ফ্যামিলি স্পন্সরশীপ ভিসাতে।
ফ্যামিলি স্পন্সরশীপ ভিসাতে আপনি খুব সহজেই আপনার স্বপ্নের দেশ কানাডাতে যেতে
পারবেন।কানাডাতে যদি আপনার পরিবারের কোন সদস্য বা কোনো আত্নীয় স্বজন থেকে থাকে
তাহলে খুব সহজেই আপনার স্বপ্ন দেশ কানাডার ভিসা পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার
ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ রয়েছে। এই ভিসাতে আপনি কানাডাতে গিয়ে
পড়াশোনা, ভ্রমণ কিংবা চাকরি করতে পারবেন। আর এভাবে সাধারণত কানাডা নাগরিত্ব
পাওয়ার সহজ হয়ে যায়।
তবে আরেকটা বিষয় হলো, আপনার পরিবারের সদস্য বা আত্মীয় স্বজন ছাড়া, যদি কানাডার
কোনো স্থানীয় নাগরিক স্পন্সর করে থাকে, তাহলে খুব সহজেই আপনার স্বপ্ন দেশ
কানাডাতে ভিসা পাওয়া সম্ভব। আপনি যদি কানাডাতে ভ্রমণ করতে যেতে চান, তবে অবশ্যই
আপনাকে প্রথমে অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করতে হবে। তবে সাধারণত কোনো দেশ ভ্রমণ করলে
চলবে না,
আপনাকে বেশ উন্নত মানের দেশ ভ্রমণ করতে হবে। কেননা এতে আপনার প্রোফাইল আরো বেশি
শক্তিশালী হবে। আর এটা সাধারণত আপনাকে অল্প সময়ের জন্য করতে হবে। যেন তারা বুঝতে
পারে আপনি ভ্রমণ প্রিয় একজন মানুষ। প্রথমে আপনি থাইল্যান্ড যেতে পারেন কোন সমস্যা
নেই, এরপর থাইল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া যেতে পারেন। এরপর একমাস
বিরতি দিয়ে কম্বোডিয়া থেকে আপনি ভিয়েতনাম ভ্রমণ করতে পারেন।
এভাবে যদি আপনি ভ্রমন করতে পারে তাহলে আপনার প্রোফাইল বেশ শক্তিশালী হবে। এভাবে
আপনার ভ্রমণের ট্রাভেল হিস্ট্রি যদি শক্তিশালী হয় তবে কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য
আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি এই কৌশলটাও অবলম্বন করে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে
পারেন তাহলে আশা করি আপনি Approval পাবেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায়
কানাডাতে যেতে চান,
তবে অবশ্যই আপনাকে IELTS পরীক্ষায় ৬ স্কোর করতে হবে। এরপর
আপনাকে কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। কানাডা গ্রীন কার্ড লটারি আবেদনের নিয়ম জানতে পড়তে পারেন।
কানাডা যাওয়ার খরচ কত
আপনি যদি কানাডাতে যেতে চান, তবে আপনার যাওয়ার খরচ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর
নির্ভর করবে। ধরুন আপনার ভিসার ধরন, মেডিকেল পরীক্ষা, বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ
ইত্যাদি আরো অন্যান্য খরচ। বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ আপনাদের জানার
সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- আপনার ভিসা আবেদন ফি প্রায় CAD $150
- মেডিকেল পরীক্ষার ফি CAD $250 থেকে CAD $300
- বায়োমেট্রিক কি CAD $85
আপনার কানাডাতে যাওয়ার মোট খরচ হতে পারে প্রায় ৬ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত। তবে সাধারণত ভিসার ধরণ এবং অন্যান্য খরচের উপরে নির্ভর করে।
কানাডা ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে
আপনার কানাডার ভিজিট ভিসার প্রসেসিং টাইম সাধারণত প্রায় ৪ সপ্তাহ থেকে ৫ সপ্তাহ
পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর চেয়েও আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
যেমন আপনার অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন বা নিরাপত্তা পরীক্ষার প্রয়োজন পরে। আপনি যদি
আপনার ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং সহজ করতে চান, তাহলে আপনি অনলাইনে
মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াতে সাধারণত ভিসা দ্রুত প্রসেস হয় এবং
আপনি আপনার আবেদন স্ট্যাটাস অনলাইন সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা, কানাডা ভিসা
পাওয়ার সহজ উপায়, কানাডা যাওয়ার খরচ কত এবং কানাডা ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে
ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে
পেরেছেন। আপনি যদি কানাডাতে যেতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো লাগবে। এসব
যোগ্যতা ছাড়া আপনি কোনভাবেই আপনার স্বপ্নের দেশ কানাডাতে যেতে পারবেন না।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url