জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং জার্মানিতে কোন কাজের বেতন কত? সে সম্পর্কে জানা,
আপনারা যারা কাজের ভিসা নিয়ে জার্মানিতে পাড়ি দিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খুবই জরুরী।
জার্মানিতে প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ রয়েছে এবং অধিক বেতন, উন্নত জীবনযাত্রার
মান ইত্যাদি রয়েছে।
জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সেনজেনভুক্ত দেশ। জার্মানির
অর্থনীতি বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির মধ্য একটি। এর ফলে এখানে অনেক কাজের সুযোগ
রয়েছে , অন্যান্য দেশের তুলনায় বেতনের পরিমাণও বেশি। তাই জেনে নিন জার্মানিতে
কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত জানতে পড়ুন
জার্মানির কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জানুন
জার্মানির কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, আপনি যদি জার্মানিতে কাজের
উদ্দেশ্যে যেতে চান, তবে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। এসব ভিসা
ক্যাটাগরি গুলোর মধ্য আপনার জন্য কোন ভিসাটি উপযুক্ত, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে
আপনার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আপনি জার্মানিতে কি করতে চান সে বিষয়ের উপরে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য জার্মানিতে যেতে চান, তবে আপনাকে জাতীয়
পরিচয় নিতে হবে। এই ভিসাটি সাধারণত আপনাকে দেশটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার জন্য
কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। আর এটাই হলো জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের
ভিসা।আপনি যদি জার্মানিতে কাজ করতে চান, তবে অবশ্যই কাজের অফার লেটার পেতে
হবে।
অবশ্য আপনি চাইলে নিজে নিজে জার্মানিতে কাজ করার পারমিট ভিসা নিতে পারবেন। আর
এজন্য আপনাকে জার্মানিতে ভিজিট করে চাকরির জন্য ইউরোপীয় স্টাইলে সিভি লিখে
আপনাকে আবেদন করতে হবে। এরপর আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট পান তবে নিজে নিজে আবেদন
করতে পারবেন। আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে জার্মানিতে যেতে চান, তবে অনেক টাকা
খরচ হবে।
জার্মানির ভিসা পাওয়ার উপায়
জেনে নিতে পারেন।
জার্মানি কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে
জার্মানি কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে সেগুলো সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানে
না। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট
- আপনার সম্পূর্ণ বায়োডেটা
- ভিসা আবেদনপত্র
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ
- আপনার কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ (যদি থাকে)
- আপনার দক্ষতা সার্টিফিকেট
- হেলথ ইন্সুরেন্স
- আপনার চাকরির অফার লেটার
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- জার্মান ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (কিছু কিছ ক্ষেত্রে)
- আপনার মেডিকেল সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
জার্মানিতে কাজের ভিসা পেতে হলে আপনার উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো লাগবে। তাই
আপনি জার্মানির ভিসা আবেদনের পূর্বেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহে রাখুন। তাহলে আপনার
জন্য খুবই সহজ হবে।
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি, যারা জার্মানিতে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। জার্মানিতে বিভিন্ন
ধরনের কাজ রয়েছে, এ কাজগুলোর মধ্য কিছু কিছু কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়ে
থাকে। একজন প্রবাসী হিসেবে আপনি যদি, এসব কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে যেতে
পারেন।
তাহলে আপনি খুব সহজেই কাজ খুঁজে পাবেন। জার্মানিতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞ লোকের
সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি দেশটিতে যে কাজের জন্য যান না কেন, অবশ্যই
সেই কাজের উপরে দক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে অল্প সময়ের মধ্য বেশি অর্থ
উপার্জন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি নিচে সেগুলো
উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- ডাক্তার
- নার্স
- ক্লিনার
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ডেলিভারি ম্যান
- ফুড সার্ভিস
- মেকানিক
- প্লাম্বার
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- ড্রাইভিং
- সিকিউরিটি গার্ড
উপরে উল্লেখিত কাজগুলো জার্মানিতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।আপনি যদি এই কাজগুলোর
উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন, তাহলে আপনি সহজেই কাজ খুঁজে পাবেন
এবং ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন।তাই জার্মানি যাওয়ার আগে অবশ্যই কাজগুলোর উপরে
অভিজ্ঞতা দক্ষতা অর্জন করে যাওয়া উচিত।
জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগে
যেনে নিতে পারেন।
জার্মানিতে কোন কাজের বেতন কত
জার্মানিতে বর্তমানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী বৈধ বা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন।
কিন্তু তাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষের জানা নেই, জার্মানিতে কোন কাজের বেতন কত
টাকা। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কাজের বেতন কত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে
পারবেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তবে একটা বিষয় জানা দরকার সেটা হলো, জার্মানিতে কোন কাজের বেতন কত জানতে হলে,
তার আগে আপনাকে জানতে হবে, জার্মানির সরকার কোন কাজের উপর কত টাকা বেতন নির্ধারণ
করে দিয়েছেন। জার্মানি সরকার কোন কাজগুলোর বেতন কত তার একটি লিস্ট নির্ধারণ করে
দিয়েছেন নিচে দেখে নিন।
কন্সট্রাকশন কাজের বেতনঃ জার্মানিতে কনস্ট্রাকশন কাজের সর্বনিম্ন মাসিক
বেতন হচ্ছে ৩ হাজার ইউরো থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত।
ডাক্তারি পেশার বেতনঃ জার্মানিতে একজন ডাক্তারের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৫
ইউরো থেকে ৭ হাজার ইউরো পর্যন্ত।
কম্পিউটার অপারেটরের কাজের বেতনঃ জার্মানিতে একজন কম্পিউটার অপারেটরের
মাসিক বেতন হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৩,৫০০ ইউরো থেকে ৪,৫০০ ইউরো পর্যন্ত।
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বেতনঃ জার্মানিতে একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারের
সর্বনিম্ন মাসিক বেতন হচ্ছে ৪ হাজার ইউরো থেকে ৬ ইউরো পর্যন্ত।
শিক্ষকের বেতনঃ অন্যান্য সকল দেশের মতো জার্মানি শিক্ষকের বেশি সম্মান
করে। জার্মানিতে একজন শিক্ষকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৪ হাজার ইউরো থেকে ৬ হাজার
ইউরো পর্যন্ত।
ড্রাইভিং পেশার বেতনঃ জার্মানিকে একজন ড্রাইভিং পেশার মানুষে সর্বনিম্ন
মাসিক বেতন হয়ে থাকে ২,৫০০ ইউরো থেকে ৩,৫০০ ইউরো পর্যন্ত।
রোস্তোরা কাজের বেতনঃ জার্মানিতে একজন রেস্টুরেন্ট শ্রমিকের সর্বনিম্ন
মাসিক বেতন হয়ে থাকে ৩ ইউরো থেকে ৪ ইউরো পর্যন্ত।
ফুড ডেলিভারি বয়ের বেতনঃ জার্মানিতে ফুড ডেলিভারি বয়ের নির্দিষ্ট কোনো
বেতন নেই তবে তাদের অর্ডারের উপর নির্ভর করে বেতন সাধারণত নির্ধারিত হয়ে থাকে।
ওয়েল্ডিং ও মেকানিক্যাল কাজের বেতনঃ জার্মানিতে ওয়েল্ডিং এবং মেকানিক্যাল
কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই কাজের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন হচ্ছে, ৪ হাজার
ইউরো থেকে ৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত।
শপিংমল বা মেডিকেল ক্লিনারের বেতনঃ জার্মানিতে একজন শপিং মল মেডিকেল
ক্লিনারের বেতন হয়ে থাকে সর্বনিম্ন মাসে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ইউরো পর্যন্ত।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, জার্মানি
কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে, জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং জার্মানিতে
কোন কোন কাজ্গুলোর বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি জার্মানিতে যেতে চান,তবে অবশ্যই
জেনে যাবেন জার্মানি কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কোন কাজের বেতন কত সে
সম্পর্ক।আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url