ইতালি ভিসা খরচ ২০২৪ - ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

ইতালি হাজারো প্রবাসীর স্বপ্নের দেশ। জীবনযাত্রার মান উন্নত, কাজের সুযোগ সুবিধা বেশি এবং উচ্চ বেতন পাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের জন্য ইতালি একটি জনপ্রিয় স্থান। ইতালি ভিসা খরচ এবং ইতালি যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত নিচে জানুন।
ইতালিতে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ: ওযার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার ধরণ এবং খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই নিচে জেনে নিন ইতালি ভিসা খরচ, ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ইতালি ভিসা খরচ এবং ইতালি যেতে কত টাকা লাগে জানতে

ইতালি ভিসা খরচ কেমন জানুন

ইটালি ভিসা খরচ কেমন, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। ইতালিতে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। আপনি চাইলেই ইতালির ভিসা তৈরি করতে পারবেন না। ইতালি সাধারণত দুই ধরনের ভিসা দিয়ে থাকেন। 

প্রথমটি হলো সর্ট টার্ম ভিসা যেটাকে নন সিজনাল ভিসা বলা হয় এবং অন্যটি হচ্ছে লং টার্ম ভিসা যেটাকে আমরা সিজনাল ভিসা হিসাবে জেনে থাকি।তবে প্রায় অধিকাংশ মানুষ সিজনাল ভিসা পেতে চান। আপনি ইতালি কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবেন, সেই ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে আবেদন করার সময়। ইতালিতে যেতে আপনার কত খরচ হতে পারে, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ এবং আপনার অবস্থানের উপরে। ইতালিতে কৃষি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারেন।

ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা খরচ

ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। ইতালি সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি কৃষি ভিসাতে ইতালি যেতে চান তবে আপনার খরচ পরবে প্রায় আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। তবে আপনি যদি ইতালিতে সরকারিভাবে যেতে পারেন, তাহলে খরচ পরবে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। 

কৃষি ভিসাতে গেলে যেনে নিতে পারেন কৃষি কাজের বেতন কত। তাহলে বেতন সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। এর ফলে আপনি খুব সহজেই ভালো-মন্দ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ইতালিতে যে কাজের বেতন বেশি জেনে নিতে পারেন।

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

ইতালি বিশ্বের জনপ্রিয় একটি দেশ হওয়াতে, প্রতিবছর উচ্চ শিক্ষার জন্য অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী গিয়ে থাকেন। আপনি যদি অল্প পরিমাণ টিউশন ফি এবং আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চান, তাহলে এই দেশের কোন বিকল্প নেই। ইতালিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য সুন্দর একটি মাধ্যম। আপনার এই ভিসার মেয়াদ তো সাধারণত ৫ বছর।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালিতে যেতে চান, তবে আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে আপনি যদি ফুল স্কলারশিপে যেতে পারেন, তাহলে আরো কম খরচে যাওয়া যাবে। ইতালিতে পার্ট টাইম জব পাওয়া কি খুবই কঠিন জেনে নিতে পারেন।

ইতালি স্পন্সর ভিসা খরচ

ইতালি সরকার স্পন্সর ভিসাতে প্রতিবছর অসংখ্য শ্রমিক নিযোগ দিয়ে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাধারণত স্পন্সর ভিসাতে আবেদন করে থাকে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্পন্সর ভিসা নিয়ে ইতালিতে যেতে চান, তবে আনুমানিক খরচ পড়বে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তবে খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। স্পন্সর ভিসা এক ধরনের কর্মসংস্থান ভিসা, এটা যদি আপনি পান, তবে ইতালি শহরে কাজের অনুমোদন পাবেন।
তবে আপনি যদি এই ভিসা পেতে চান, অবশ্যই কোন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর লাগবে। স্পন্সর ভিসা কে অনেকেই কাজের ভিসা হিসেবে চিনে থাকেন। আপনি সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমে ভিসা তৈরি করে ইতালিতে যেতে পারবেন। তবে  ভিসা আবেদন করবে পূর্বে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত ইতালি বেতন কেমন হয়। যারা কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত সেই সম্পর্কেও জেনে নিতে পারেন।

ইতালি টুরিস্ট ভিসা খরচ

ইতালি বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং সৌন্দর্যতম রাষ্ট্র। ইতালিতে পর্যটকদের দেখার মত অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এদেশে রোমান সম্রাজ্যর জন্মস্থান এবং ঐতিহাসিক স্থাপণ্য, প্রত্নতাত্তিক স্থানে সমৃদ্ধ রয়েছে, যা টুরিস্টদেরকে আকৃষ্ট করে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা ইতালিতে যেতে চান তবে আনুমানিক খরচ পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। এই খরচের ভিতরে আপনার সব ধরনের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইতালিতে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

আপনি যদি ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তবে যে সব কাগজপত্র লাগবে, সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার ডিজিটাল বৈধ পাসপোর্ট
  • আপনারা জাতীয় পরিচয়পত্র
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আপনার ভিসা আবেদন ফরম
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • আমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
  • করোনা টিকা সনদ
  • কোম্পানি থেকে পাওয়া স্পন্সরের সত্যায়িত পত্র
আপনি যদি ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো আবশ্যিক লাগবে। তাই ভিসা আবেদন করা পূর্বে কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখুন, যেন পরবর্তীতে খুঁজতে ঝামেলা না হয়।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ইতালিতে যেতে চান, তবে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট লাগবে। এরপর আপনি কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবেন, সেই উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে আবেদন করতে হবে। তারপর ভিসা অনুমোদন নিতে হবে। আপনার কাঙ্খিত ভিসাটি হয়ে গেলে, স্বপ্নের দেশ ইতালিতে বিমানের টিকিট নিয়ে খুব সহজে উড়ে যেতে পারবেন।

অনেকেই রয়েছেন যারা অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার জন্য গেম দিয়ে থাকেন। ইতালিতে অবৈধভাবে যেতে জীবনের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে ঝুঁকি থাকে। প্রতিবছর প্রায় অসংখ্য মানুষ রাস্তায় মারা যায়। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আপনি বৈধ উপায়ে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যেতে পারবেন। ভিসা আবেদন করার  পূর্বে অবশ্যই জেনে নিতে হবে 

বা জেনে রাখা খুবই জরুরী যে, ইতালি ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে। ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো জেনে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিভাবে ইতালিতে ভালো বেতনের চাকরি পাবে জেনে নিতে পারেন। ইতালিতে কিভাবে বৈধ হতে পারেন বিস্তারিত জেনে নিন।

লেখকেরই শেষ মন্তব্য - ইতালি ভিসা খরচ এবং ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে  সম্পর্কে

উপরিক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, ইতালি ভিসা খরচ, ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা খরচ, ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা খরচ, ইতালির স্পন্সর ভিসা খরচ, ইতালি টুরিস্ট ভিসা খরচ, ইতালি যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি ইতালি যেতে চান, তবে ভিসা খরচ সাধারণত নির্ভর করবে ভিসা ক্যাটাগরির উপরে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ ভিন্ন ভিন্ন হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url