জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ - জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপনি কি জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? জাম একটি গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল। জাম ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। জামের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।
জাম ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলের বীজ থেকে শুরু করে, পাতা এবং ছাল বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোতে ব্যবহার করা হয়।আপনি যদি জামের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তবে নিচে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ - জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে পড়ুন

জামের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ

জামের বিভিন্ন পুষ্টিগণ সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষই ধারণা রাখেন না। অথচ মৌসুমী ফল হিসেবে খেয়ে থাকেন। জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং জামের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই জরুরী। জাম গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফল হলেও, খেতে অনেকটাই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। জাম পছন্দ করে না, এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। নিচের জাম ফলের পুষ্টিগুণ গুলো উল্লেখ করা হলো।

ভিটামিন এঃ জাম ফলে ভিটামিন এ ভালো একটি উৎস রয়েছে। আপনার চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চোখের সমস্যাগুলো দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তাই চোখ সুস্থ রাখতে, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ জাম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

ভিটামিন সিঃ জাম ভিটামিন সি এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে অনেক শক্তিশালী করবে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করবে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে।

ফাইবারঃ জামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আপনার হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরত্ব করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জাম ফল খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

আয়রনঃ যা বলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। তাই জাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করবে। জাম ফল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যালসিয়ামঃ জাম হলো ক্যালসিয়ামের উৎস যা আপনার হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকাতে জাম ফল রাখার কোন বিকল্প নেই।

পটাশিয়ামঃ জাম ফল পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

ফসফরাসঃ জাম ফসফরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস যা আপনার হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

সোডিয়ামঃ জাম সাধারণত কম সোডিয়ামযুক্ত এর কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টঃ জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে থাকে, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এবং প্রদাহ করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে ।

জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

উপরে আমরা জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনেছি, জামের বিভিন্ন পুষ্টিগুণের সাথে অনেক উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু সেই সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ধারণা রাখি না। অথচ মৌসুম ফল হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি। অনেকে জাম ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো। বিস্তারিত পড়তে থাকুন।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ জাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী। কেননা জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি- ডায়াবেটিক প্রোপারর্টিজ যা রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে।

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিঃ জাম ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা আপনার হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ যাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ খুবই কম, তাদের জন্য জাম গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। জামে থাকা ভিটামিন সি কাউন্ট বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। জাম আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করবে। তাই মৌসুম কালে খাবারের ফলের তালিকাতে রাখতে পারেন জাম।

ইনফেকশন দূর করেঃ জামে প্রচুর পরিমানে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড, গ্যালিক অ্যাসিড এবং ট্যানিনস। যা আপনার দেহের ইনফেকশন দূর করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জাম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে, কেননা জামের নির্যাস ক্যান্সার কোষকে প্রিভেন্ট করতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে জাম খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

হার্টের সুস্বাস্থ্যঃ জাম আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং আপনার হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। তাই আপনার হার্টের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে, ফলের খাবারের তালিকাতে রাখতে পারেন জাম।

ত্বকের যত্নে জামঃ জাম ত্বকের যত্নের জন্য খুবই উপকারী। জামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। তাই ত্বকের যত্নে জাম খাওয়ার বিকল্প নেই।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ আপনার যদি ওজনের পরিমাণ বেশি থাকে তবে খেতে পারেন জাম। কেননা জামে কম ক্যালোরি রয়েছে এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকবে।

পাচনতন্ত্রের উন্নতি করতেঃ জাম আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাগুলো থেকে সহজেই দূর করতে সহায়তা করবে। তাই মৌসুমি ফল জাম খাওয়ার সব সময় চেষ্টা করবেন।

ভিটামিন ও মিনারেলঃ জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করবে।

জাম খাওয়ার নিয়ম

উপরের আলোচনায় জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু জানা হয়নি জাম খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, জাম খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে।

  • জাম খাওয়ার ফলে তৃষ্ণা পেলেও পানি পান করা যাবে না। কেননা ডাইরিয়া এবং বদ হজমের মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
  • খালি পেটে জাম না খাওয়াই ভালো। কেননা এটি আপনার বদ হজম এবং অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
  • জাম খাওয়ার পরে কখনো দুধ, দইয়ের মতো দুদ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
  • জাম এবং হলুদ এই দুটো জিনিস মারাত্মক জুড়ি কখনো একসাথে খাবেন না। জাম খাওয়ার পরে হলুদ দিয়ে তৈরি এমন কোন জিনিস না খাওয়াই ভালো।
  • জাম খাওয়ার সাথে সাথে আচার জাতীয় কোন জিনিস না খাওয়াই ভালো।

জামের অপকারিতা

জাম খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই নিরাপদ এবং অনেক উপকারী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে। কোন জিনিস প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। উপরে জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনেছেন এখন জানতে পারবেন জামের অপকারিতা সম্পর্কে। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে জামের অপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত হলো।
  • জাম প্রয়োজনীয় তুলনায় অতিরিক খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা জামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
  • জাম খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
  • জাম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে, তাই যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা জাম এড়িয়ে চলুন।
  • যাদের ডাইবেটিকস রয়েছে তারা জাম খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

জাম খেলে কি ওজন বাড়ে

জাম খাওয়ার ফলে সাধারণত আপনার ওজন বাড়বে না।কেননা জামে কম ক্যালোরি রয়েছে এবং জাম উচ্চ ফাইবারযুক্ত একটি ফল হওয়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হতে পারে। তবে আপনি যদি অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের সাথে, অতিরিক্ত পরিমাণ জাম খান তবে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ গর্ভবতী মা ধারণা রাখেন না। তাই গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর জামঃ জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রয়েছে। যা গর্ভবতী মায়ের ভ্রণের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যর খুবই উপকারী।
হজম শক্তি উন্নত করেঃ জাম হজম শক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় জাম উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ গর্ভাবস্থায় জাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে।

শিশুর দৃষ্টি শক্তি উন্নত করেঃ জামে ভিটামিন এ থাকায় শিশুর দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা

যাবের বিচি খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। নিচে কিছু প্রধান প্রধান উপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হলো। বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।

  • জামের বিচি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করবে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
  • জামের বিচি ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
  • জামের বিচি হজম শক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • জামের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে সাহায্য করবে।
  • জামের বিচি কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

কালো জামের উপকারিতা

কালো জাম শরীর স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। কালো জামের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে নীচে কালো জামের উপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • কালো জাম ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই, কেননা কালো জাম ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • কালো জাম হজম শক্তি উন্নত করে থাকে
  • কালো জাম রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
  • কালো জাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
  • কালো জাম ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • কালো জাম হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, জাম ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ,জাম খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা, জাম খাওয়ার নিয়ম, জামের অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা, জাম খেলে কি ওজন বাড়ে, কালো জামার উপকারিতা এবং জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। জাম খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রযেছে, সে তুলনায় অপকারিতা নেই বললেই চলে। তাই মৌসুমি ফল হিসেবে খাবারের ফলের তালিকাতে নিয়মিত জাম রাখার চেষ্টা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url