কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত - কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা

কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিবছর শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় অধিকাংশ মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত দেশটিতে যেতে চান। কিন্তুু কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে জানেন না। তাই কুয়েতের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।
কোম্পানি ভিসাতে আপনি যদি কুয়েত যান, তবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন: রেস্টুরেন্ট, কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি। আপনারা যারা কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, অবশ্যই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা সে সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত জানতে পড়ুন

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়সমূহ

কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। কুয়েত সাধারণত আপনি বৈধভাবে দুটি মাধ্যমে যেতে পারবেন। প্রথমটি হলো সরকারিভাবে আর দ্বিতীয়টি হলো বেসরকারিভাবে। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েত যেতে চান, তবে অবশ্যই আপনাকে সরকারি ওয়েবসাইট বোয়েসেলে নজর রাখতে হবে নিয়মিতভাবে। 

এটা হলো বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সরকারিভাবে কর্মী পাঠিয়ে থাকেন। এছাড়া আপনি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে, কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে পারবেন।প্রথমে আপনাকে কুয়েত কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আপনি এজেন্সির সাহায্য নিবেন এবং তারা কুয়েত কাজের ভিসা প্রসেসিং করে দিবে। 

তবে এজন্য এজেন্সিকে অবশ্যই আপনার মোটামুটি টাকা গুনতে হবে। আপনি যদি চান, তবে অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেই কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।এজন্য অবশ্যই আপনাকে কুয়েতের কাজের অফার লেটার পেতে হবে। কুয়েতের চাকরির জন্য অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি চাকরির জন্য অনুমোদন পান।

তবে তারা আপনাকে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা এবং কাজের অফার লেটার দিবে। এরপর আপনাকে কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করেনা নিয়ম

আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে চান,তবে অবশ্যই নিকটস্থ কোন এম্বাসিতে গিয়ে আবেদন ফরম নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে বসিয়ে পূরণ করতে হবে। অথবা Kuwait. mofa.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

এরপর আপনি আবেদন ফরমটি প্রিন্ট আউট করে নিজের কাছে রেখে দিন। তারপর নিকটস্থ কুয়েতের এম্বাসিতে গিয়ে, আপনি পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ আপনার পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

এই আবেদনটি আপনি দুটি মাধ্যমেই করতে পারবেনল, একটি সরকারিভাবে এবং অন্যটি বেসরকারি ভাবে। যদি সরকারিভাবে করেন, তাহলে অল্প খরচের মাধ্যমে কুয়েত যেতে পারবেন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির সাহায্য নিয়ে করেন তাহলে খরচ তুলনামূলক বেশি পড়বে। কুয়েত প্রবাসীদের বেতন কত জেনে নিতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত টাকা

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত? সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষের ধারণা নেই, অথচ কুয়েত যেতে চাচ্ছেন। তবে আপনার কোন চিন্তার কারণ নেই। কেননা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন, কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে। কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাজের উপরে নির্ভর করে। এছাড়াও কুয়েত কাজের বেতন দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরেও নির্ভর করে। 
আপনার যদি কাজের উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বেশি পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।বর্তমানে কুয়েতের সর্বনিম্ন একটি বেতন কাঠামো রয়েছে, যার কারণে সবাই সর্বনিম্ন বেতন অবশ্যই পাবেন। কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন সাধারণত সর্বনিম্ন প্রায় ৩০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। নিচে কুয়েতের কোম্পানি 

ভিসার বেতনের গড় হিসাব তুলে ধরা হলো। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। এছাড়াও কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা সে সম্পর্কে নিচে জানতে পারবেন।

ক্রমিক নং কুয়েতের কাজ বেতন (কুয়েত দিনার) বেতন (বাংলাদেশী টাকা)
০১ শ্রমিক হেল্পার ১০০ দিনার ৩৫,৫০০ টাকা
০২ ডেলিভারি বয় ১২৫ দিনার ৪৪,৩৭৫ টাকা
০৩ ইলেক্ট্রিশিয়ান ১২৫ দিনার ৪৪,৩৭৫ টাকা
০৪ এসি মেকানিক ১৩৫ দিনার ৪৮,১৭৫ টাকা
০৫ ড্রাইভিং ১৩৫ দিনার ৪৮,১৭৫ টাকা
০৬ প্লাম্বার ১১০ দিনার ৩৮,৫০০ টাকা
০৭ ওয়েল্ডার ১১০ দিনার ৩৮,৫০০ টাকা

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো জানার জন্য অনেকেই ইন্টানেটে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে কুয়েত কোম্পানি ভিসাতে যে যে কাগজপত্র লাগে, সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  • আপনার জীবন বৃত্তান্ত
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • কাজের অনুমতিপত্র
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • ভিসা আবেদনপত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
  • কাজের প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  • করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো আপনি যদি কুয়েত যেতে চান, তাহলে কুয়েত কোম্পানি ভিসা করতে প্রয়োজন পড়বে। তাই কাগজপত্র সংগ্রহ রাখার চেষ্টা করুন, যখন প্রয়োজন পড়বে তখন আর খুঁজতে হবে না। কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত জানতে নিচে পড়ুন। কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা লাগে

কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করেন। কুয়েত বর্তমানে কোম্পানির ভিসার চাহিদা অনেক বেশি হয়ে গেছে। কুয়েতে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো আপনাকে ফ্রি থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। আপনার কোম্পানি ভিসার বেতন যদি কমও হয়, তবে থাকা খাওয়ার যে খরচটা হয় সেটা আপনার বেঁচে যাবে। 

 আর এই সুবিধাটার জন্যই মানুষ কোম্পানি ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে চায়। আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েত যেতে চান, তবে অনেক কম টাকার ভিতরে যেতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি বেসরকারিভাবে কুয়েতে এজেন্সি সাহায্য যান, তাহলে অনেক বেশি টাকা খরচ পড়বে। বর্তমানে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা,কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়সমূহ, কুয়েত কোম্পানি ভিসা আবেদন করার নিয়ম, কুয়েতে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি, পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। তবে অবশ্যই কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসার মূল্য কত টাকা সে সম্পর্কে ধারনা নিযে তারপর যাওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url