সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - কোন কাজের চাহিদা বেশি

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি, আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সার্বিয়া ইউরোপের উন্নত একটি রাষ্ট্র। সার্বিয়াতে কাজের চাহিদা এবং সুযোগ সুবিধা বেশি থাকার কারণে প্রায় অধিকাংশ মানুষ যেতে চাচ্ছেন। বিস্তারিত নিচে পড়ুন।
সার্বিয়া সরকার যখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ দিবে, তখন আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও এজেন্সির সাথে কথা বলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। সার্বিয়া দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে নিচে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে পড়ুন

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, সার্বিয়া ইউরোপের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র। তাই আপনি যদি ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে যেতে চান, তবে অবশ্যই আপনার খরচ বেশি পড়বে। তবে আপনি যদি সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, তাহলে অল্প টাকাতে আপনি সার্বয়াতে যেতে পারবেন। 

তবে দুঃখের বিষয় হলো, সব সময় সরকারিভাবে সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না। যখন সার্বিয়া সরকার তাদের কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে, তখন আপনারা সাধারণত অনলাইনে মাধ্যমে সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোনো এজেন্সির সাথে আলাপ করে সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তবে পারবেন। 

সেক্ষেত্রে আপনার খরচের পরিমাণটা একটু বেশি পড়বে। আপনি যদি সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান, তবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আর এসব একেক কাজের বেতন একেক রকম হয়ে থাকে। আপনি যদি ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৭ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল। 

  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • মেকানিক্যাল
  • ড্রাইভিং
  • ইলেকট্রনিক্স
  • প্লাম্বারের কাজ
  • হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • শেফের কাজ
উপরে উল্লেখিত কাজগুলো আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে যান তাহলে করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সার্বয়া যাওয়ার আগে এসব কাজের উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিতে পারেন।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন আপনি কয়েকটি উপায়ে করতে পারবেন। সার্বিয়া সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী যদি কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কোন এজেন্সির সাহায্য নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তবে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ভিসার খরচের পরিমাণটা অনেক বেশি পড়বে।

সার্বিয়া দেশটিতে আপনার যদি পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে তাদের সাহায্যে নিয়ে কোন এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে  ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে google carom এ প্রবেশ করে সার্চ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে "সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন" লিখলে দেখবেন সর্বপ্রথম ভিসা আবেদনের জন্য একটি ওয়েবসাইট চলে এসেছে। 

আর এই ওয়েবসাইটটিতে আপনার সকল যাবতীয় সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে হবে। আর এজন্য আবেদন করতে অবশ্যই আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন কাগজপত্রগুলো আবেদনের জন্য লাগবে সেই সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো। সার্বিয়া ভিসা চেক করার উপায় জেনে নিতে পারেন।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ইনভাইটেশন লেটার
  • আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • আপনার ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা
  • আপনার করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট
  • আপনার ইনকাম ট্যাক্স রিপোর্ট ফটোকপি
  • আপনার নিজের হাতে লেখা একটি কভার লেটার
  • যে ভিসাতে যাবেন তার আবেদন ফরম
ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে ভিসা আবেদনে করতে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো আপনার অবশ্যই লাগবে। তাই আবেদনের পূর্বে কাগজপত্রগুলো আপনার কাছে সংগ্রহ করে রাখুন। তাহলে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সহজ হবে।

সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষের ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। সার্বিয়া ইউরোপের একটি উন্নত দেশ। এর ফলে এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি সার্বিয়া দেশটিতে যেতে চান, তবে অবশ্যই আপনারা জানতে হবে কোন কাজে চাহিদাগুলো বেশি সে সম্পর্কে। 
আপনাদের জানার সুবিধার্থে ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায় কোন কাজের চাহিদাগুলো বেশি সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • নির্মাণ শ্রমিক
  • হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট
  • ড্রাইভিং
  • কৃষি কাজ
  • স্বাস্থ্য সেবা
উপরে উল্লেখিত এসব কাজগুলোর চাহিদা সার্বিয়া দেশটিতে সবচেয়ে বেশি। আপনি যদি এসব কাজের উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন, তাহলে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করে থাকে। সার্বিয়াতে কাজের বেতন সর্বোচ্চ কত জেনে নিচে পারেন। তাই আপনি সার্বিয়াতে যাওয়ার আগে এসব কাজের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। তাহলে আপনি অল্প সময়ে বেশি টাকা উপার্জন করে ঘুরে সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

সার্বিয়া বেতন কত

সার্বিয়া বেতন কত সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপরে। আপনার যত দক্ষতা থাকবে তত বেতন বেশি পাবেন। পৃথিবীর যেকোনো দেশ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে সবসময় মূল্যায়ন করে আসছে। সার্বিয়া দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোতে কাজে তুলনায় অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়। সার্বিয়াতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, 

এগুলো একেকে কাজের বেতনের একেক রকম। সার্বিয়াতে নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং এসব কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে এবং বেতনের পরিমাণও বেশি। বর্তমানে সার্বিয়াতে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কাজের ধরন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার যদি বেশি থাকে তাহলে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক

ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী সার্বিয়া কাজের ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রায় অনেকেই আবেদন করে থাকেন। আবার কিছু কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা সরাসরি এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়ার ভিসা আবেদন করে থাকেন। এছাড়াও আরো কিছু মানুষ দালালের মাধ্যমে সার্ভিয়ার ভিসা আবেদন করেন। তবে আপনাকে সার্বিয়ার ভিসার ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

কেননা কিছু প্রতারক দালাল এবং কিছু অসৎ এজেন্সির লোক রয়েছে যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে নকল ভিসা হাতে ধরিয়ে দিয়ে থাকে। তবে সব এজেন্সির লোক একই রকম নয়, এর ভিতরে অনেকেই ভালো রয়েছে।আপনার হাতে থাকা সার্বিয়ার ভিসাটি আসল না নকল কিভাবে চেক করবেন? আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা সার্বিয়া ভিসাটি চেক করতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে https://www.companywall.rs এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে এবং আপনার যাবতীয় প্রয়োজনীয় সকল সঠিক তথ্য দিয়ে খুব সহজে সার্বিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। আশা করি, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে চেক করবেন বুঝতে পেরেছেন।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং টাইম

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন অনেকেই সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী করেন, আবার কেউ বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে। এ সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ এই ধারণা রাখেন না। আপনি যদি সার্বিয়া ভিসা আবেদনের সময় কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন, তাহলে সার্বিয়া ভিসা হাতে পেতে আপনার বেশি সময় লাগবে না।
 কিন্তু কাগজপত্রগুলোতে যদি ভুল তথ্য দেন, তাহলে আপনার ভিসা পেতে অনেক বেশি সময় লাগবে। এমনকি ভিসা রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার ভিসা পেতে আপনার সময় লাগবে ৯০ থেকে ১২০ দিন। সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় বেশিও লেগে যেতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন যে, সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং এবং সার্বিয়া বেতন কত ইত্যাদি সে সম্পর্কে। আশা করি, পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সার্বিয়া যেতে চান, 

তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী যাওয়ার। তাহলে আপনার খরচের পরিমান কম পড়বে। এছাড়া আপনি যদি কোন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যান। তাহলে দালাল বা প্রতারক থেকে সবসময় সাবধানে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url