সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত জেনে নিন
ইউরোপের দেশ সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক যায়গাতেই এসেছেন। সার্বিয়া ইউরোপের একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের
দেশ। বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে লোক নিচ্ছে।
বিস্তারিত নিচে জানুন।
সার্বিয়া বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জনবল নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে বেতনের পরিমাণ ভালো। বর্তমানে অনেক তরুণরা ইউরোপের দেশ
হওয়াতে সার্বিয়া যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত
জানতে নিচে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং বেতন কত জানতে পড়ুন
সার্বিয়া কাজের ভিসা
সার্বিয়া কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সুযোগ থাকাতে, অধিকাংশ তরুণরা
ইউরোপীয় দেশ সার্বিয়াতে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। তরুণদের সার্বিয়াতে যাওয়ার
অন্যতম একটি কারণ হলো, সার্বিয়া ইউরোপের উচ্চ মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এবং কাজের
বেতনের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। আর এজন্যই বর্তমানে তরুণদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে
ইউরোপ মহাদেশ। সার্বিয়াতে আপনি যেসব কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন, সেগুলো
আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে তুলে ধরা হলো।
- ড্রাইভিং ভিসা
- ফ্যাক্টরি ভিসা
- কনস্ট্রাকশন ভিসা
- হোটেল ভিসা
- প্লাম্বিং ভিসা ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত যে কাজের ভিসাগুলো দেখলেন, এর ভিতরে সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে
প্লাম্বিং ভিসাতে। এছাড়াও ড্রাইভিং ভিসা হোটেল ভিসা এসব ভিসার বেতন প্রায় ১,০০০
ইউরোর মতো হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সার্বিয়া যেতে
পারেন, তবে আপনার বেতন হবে প্রায় ৩,০০০ ইউরো। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন,
অভিজ্ঞতার কতটা মূল্যায়ন করা হয়।
তাই আপনি ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে যাওয়ার আগে
অবশ্যই কাজের উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে আপনি আশা করি, অল্প
সময়ের মধ্যেই অর্থ উপার্জন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। সার্বিয়া ভিসা চেক করার উপায় জেনে নিতে পারেন।
সার্বিয়া বেতন কত জানুন
সার্বিয়া ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত উচ্চ মধ্যম আয়ের একটি দেশ হওয়ায় বেতনের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে।
সার্বিয়াতে কনস্ট্রাকশন শ্রমিকদের বেতন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই বেতন হলো কর্মীদের বেসিক ডিউটি ৮ ঘণ্টার। আপনি যদি ওভার টাইম করেন তাহলে
আপনার বেতন হবে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ ইউরো। তবে আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যান
তাহলে আপনার বেতন হবে ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরো। তবে স্থানভেদে বেতন কিছুটা কম বেশি হতে
পারে।
আপনি যদি সার্বিয়াতে ফ্যাক্টরি ভিসাতে যান, তবে আপনার বেতন হবে প্রায় ৭০০ থেকে
৮০০ ইউরো। তবে আপনার হোটেল এবং ফ্যাক্টরি ভিসাতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনার
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হোটেল বহন করে থাকে। ফলে এখানে থাকা খাওয়ার জন্য
যে বাড়তি একটা খরচটা রয়েছে সেটা আপনার প্রয়োজন হবে না। সার্বিয়া যেতে কত টাকা
লাগে জানতে নিচে পড়ুন। সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন।
সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে
সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা সম্পন্ন নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে।
ইউরোপে দেশ সার্বিয়াতে আপনি তিনটি ভিসা ক্যাটাগরিতে যেতে পারবেন। ভিসা ক্যাটাগরি
গুলো হলো।
- স্টুডেন্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
উপরে উল্লেখিত একেকটা ভিসার খরচ ভিন্ন রকম হয়ে থাকবে। সার্বিয়াতে যাওয়ার প্রথম
দিকে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হতো। কিন্তু বর্তমানে ডলার জনিত সমস্যা এবং
দালালদের প্রতারণার কারণে বেশি টাকা লেগে যায়। আপনি যদি ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে
স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চান, তবে আপনার খরচ পরবে প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত।
এছাড়া আপনি যদি সার্বিয়াতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে পড়তে চান, তাহলে
সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণটা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি কাজের
উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সার্বিয়াতে দিয়ে যেতে চান, তবে আপনার কাজের
উপর নির্ভর করবে খরচ। ইউরোপে দেখে সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনার খরচ হবে
প্রায় ৭ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
সার্বিয়াতে যে কাজ কিছুটা সহজ এবং বেতনের পরিমাণ বেশি সেই সব কাজের জন্য যেতে
খরচের পরিমাণটা বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে বিজনেস করার উদ্দেশ্য নিয়ে
সার্বিয়া দেশটিতে যেতে পারেন। সার্বিয়া ভিসা হতে কতদিন সময় লাগে জেনে নিতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৭ থেকে
থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়া আপনার যদি পরিচিত কেউ থাকে সার্বিয়া দেশটিতে, সে যদি
আপনার জন্য ভিসা পাঠিয়ে থাকে। তবে আপনার খরচ প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার
ভিতরেই হয়ে যাবে। তাই আপনার পরিচিত কেউ সার্বিয়াতে থাকলে তার মাধ্যমে ভিসা নিতে
পারেন।
আর যদি কেউ না থাকে তাহলে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে
আপনি সার্বিয়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা ভালোভাবে চেক করে নিবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি ভাল কোন অভিজ্ঞ মানুষের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন। সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে কেমন জেনে নিন।
সার্বিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
আপনি যদি সার্বিয়া দেশটিতে যেতে চান তবে আপনার নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র ভিসা
আবেদনের জন্য জমা দিতে হবে। সার্বিয়া ভিসা আবেদনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে,
আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে তুলে ধরা হলো।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি লাগবে
- ইংরেজিতে জন্ম সনদের কপি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
- আপনার সম্পূর্ণ বায়োডাটা বা সিভি লাগবে
- আপনার শিক্ষাগত সনদ লাগবে
- কাজের অভিজ্ঞতাই সনদ লাগবে
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো বাদেও আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিবিন্ন ধরনের
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে।
সার্বিয়াতে সর্বোচ্চ বেতন কত
ইউরোপের দেশ সার্বিয়াতে কাজের বেতন সর্বোচ্চ ২০০০ থেকে ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত। এ বেতন
সাধারণত বাহিরের দেশের নাগরিকদের জন্য। তবে আপনি যদি এই বেতন পেতে চান, তবে
অবশ্যই আপনাকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে। এবং পদোন্নতি পাওয়ার পরে এই বেতন
পাবেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে বেতন গুলো কারা পেতে পারে? হেবি দিনগুলো পেয়ে থাকেন
সাধারণত অফিস সহকারী এবং বিশ্বস্ত ড্রাইভার এসব কর্মীরা। এছাড়া হোটেলের
ক্যাশিয়ার কর্মীরাও এমন বেতন পেয়ে থাকেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, সার্বয়াতে যেতে কত টাকা লাগে,
সার্বিয়াতে বেতন কত, বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে, সার্বিয়া
সর্বোচ্চ বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের যদি সার্বয়া সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে
তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আমরা সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব
ইনশাআল্লাহ।পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url