ভিসা কিভাবে করবেন - ভিসা করতে কি কি লাগে
ভিসা কিভাবে করবেন বা কিভাবে করতে হয় এবং ভিসা করতে কি কি লাগে আপনি কি সে
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। ভিসা কিভাবে
করতে হয়, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন।
তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, নিচে পড়তে পারেন।
ভিসা করতে কি কি লাগবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে, আপনি কোন দেশের নাগরিক এবং কোন
দেশে যেতে চাচ্ছেন এবং কি উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন, তার ক্যাটাগরির উপরে। আপনি যদি
এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন, তাহলে জানতে পারবেন ভিসা
কিভাবে করবেন এবং ভিসা করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ভিসা কিভাবে করবেন এবং ভিসা করতে কি কি লাগে জানতে পড়ুন
- ভিসা করতে যা যা লাগে
- ভিসা কিভাবে করবেন তার সহজ উপায় জানুন
- পথম ধাপঃ দেশ নির্বাচন করতে হবে
- দ্বিতীয় ধাপঃ ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে
- তৃতীয় ধাপঃ আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
- চতুর্থ ধাপঃ আপনার ভিসা আবেদন
- পঞ্চম ধাপঃ আপনার সাক্ষাৎকার প্রদান করতে হবে
- ষষ্ঠ ধাপঃ আপনার কাঙ্খিত ভিসা সংগ্রহ
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ভিসা করতে যা যা লাগে
ভিসা করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে
সার্চ করে থাকেন। কেননা এ সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ধারণা রাখেন না। তাই
আপনারা যারা প্রবাসগামী হতে চাচ্ছেন, ভিসা করতে কি কি লাগে, সেগুলো আপনাদের জানার
সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী)
- আপনার ভিসা আবেদনপত্র
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- পলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
- আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে
- আমার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি লাগবে
- ভিসার উদ্দেশ্য প্রমাণপত্র লাগবে যেমন (মেডিকেল, স্টুডেন্ট ওয়ার্ক পারমিট, ভিজিট)
- আপনার করোনা টিকা সনদ লাগবে (সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
- আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট (আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণপত্র)
ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ভিসা ধরন এবং আবেদনকারীর জাতীয়তা ও
ভ্রমণ কি উদ্দেশ্যে করবেন তার উপরে নির্ভর করে কাজগপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি
যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিদেশ যেতে চান,সেক্ষেত্রে স্কুল/কলেজ এ ভর্তি সনদ,
আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার এবং আপনার ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে
পারে। আপনি
যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিদেশে যেতে চান, তবে সেক্ষেত্রে আপনার
কোম্পানির চুক্তিপত্র লাগবে। মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মেডিকেল
কাগজপত্রগুলো লাগবে। ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে আপনি পূর্বে কোন দেশে ভ্রমণ করেছিলেন,
তার ইতিহাস এবং ভ্রমনেন উদ্দেশ্যে ইত্যাদি ডকুমেন্টস গুলো লাগতে পারে।
আপনি যদি ভিসা করতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো আবশ্যিক লাগবে। তাই
ভিসার করার পূর্বে অবশ্যই কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। যেন ভিসা করার সময়
কাগজপত্রগুলো খুঁজতে না হয়।
ভিসা কিভাবে করবেন তার সহজ উপায় জানুন
ভিসা কিভাবে করবেন এবং কেন করবেন সেটা সম্পন্ন নির্ভর করবেন আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, আপনার গন্তব্য দেশ এবং আপনি কোন দেশের নাগরিক সাধারণত তার উপরে।
কিভাবে করতে হয় সেটা জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন।
আপনি
যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন, তাহলে ভিসা কিভাবে করতে হয় আপনি জানতে পারবেন।আপনাদের জানার সুবিধার্থে, ভিসা কিভাবে
করবেন নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
পথম ধাপঃ দেশ নির্বাচন করতে হবে
প্রথমে আপনাকে স্থির করতে হবে, যে আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করবেন সেটার উপরে। এরপরে
আপনাকে পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। আপনার ভিসা করার প্রক্রিয়া সাধারণত
দেশ এবং আপনার উদ্দেশ্য কি সেই ভেদে আপনার কাগজপত্র ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকবে। দেশ
নির্বাচন করাটা বাধ্যতামূলক।
দ্বিতীয় ধাপঃ ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে
আপনার দেশ নির্বাচন করা হয়ে গেলে, এরপর আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে
হবে। আপনি কোন দেশের ভ্রমণ করবেন, তার উদ্দেশ্য অনুযায়ী আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি
নির্বাচন করতে হবে। যেমন ধরুন, ভ্রমণ, ব্যবসায়, শিক্ষা, চিকিৎসার জন্য সাধারণত
অস্থায়ী ভিসা করা যায়।এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা এবং ভিজিট ভিসা রযেছে
ইত্যাদি।
আপনি যদি অন্য কোন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাহলে আপনাকে অভিবাসী ভিসা
করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্য বা চাকরি উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাহলে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা যায়।
তৃতীয় ধাপঃ আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
দেশ এবং ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ
করতে হবে। দেশ এবং ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করা আবশ্যিক। আপনার ভিসা ক্যাটাগরি
অনুযায়ী কাগজপত্রগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকবে। তবে কিছু কিছু কাগজপত্রগুলো
রয়েছে, যেগুলো ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সব সময় প্রয়োজন পড়ে। উদাহরণস্বরূপ যদি
বলা যায়, তাহলে
আপনার বৈধ পাসপোর্ট, ছবি, আবেদন ফরম, আবেদন ফি ইত্যাদি। আর সেজন্য আপনাকে
জানতে হবে, ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে যা আমরাও ইতিমধ্যে উপরে
আলোচনা করেছি।
চতুর্থ ধাপঃ আপনার ভিসা আবেদন
আপনার ভিসা আবেদন আপনি অনলাইনে এবং অফলাইনে দুইভাবেই করতে পারবেন। আপনি যে দেশে
যেতে চাচ্ছেন, সাধারণত সে দেশের সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে,
অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি যদি অফলাইনে আবেদন
করতে চান, তাহলে দূতাবাসে গিয়ে আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে পারবেন।
এজন্য অবশ্যই আপনাকে যে দেশে যাবেন সে দেশের ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তবে
এই ধাপটি সম্পন্ন করতে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির শরণাপন্ন হলে বেশি ভালো হবে।
প্রয়োজনে আপনি একটি বিশ্বস্ত এজেন্সির সহায়তা নিতে পারেন।
পঞ্চম ধাপঃ আপনার সাক্ষাৎকার প্রদান করতে হবে
কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো দেশ ভিসা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে সাক্ষাৎকার গ্রহণ
করে থাকে। আরে সেজন্য যে দেশে যাবেন, সে দেশে দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়া
লাগতে পারে। যখন সাক্ষাৎকার দিবেন তখন সাধারণত আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও
পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে। ভয় পাবার কিছু নেই।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ আপনার কাঙ্খিত ভিসা সংগ্রহ
আপনার সাক্ষাৎকার শেষ হলে তখন ভিসা অনুমোদনের জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার ভিসা যদি অনুমোদন পায়, তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাঙ্খিত ভিসাটি আপনি
সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার ভিসা প্রসেসিং এর সময় কত লাগবে, সেটা দেশ ভেদে ভিন্ন
হতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, ভিসা কিভাবে করবেন বা কিভাবে করতে হয়,
কিভাবে ভিসা করবেন তার সহজ উপায় এবং ভিসা করতে কি কি লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা
করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি পড়ে
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও আপনার
বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে শেয়ার করে রেখে দিতে পারেন, তাদের উপকারে
আসতে পারে।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url