সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - সাইপ্রাস থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

গ্রিক সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে, আপনি চাইলেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশটিতে যেতে পারবেন। সাইপ্রাস দেশটির মুদ্রা ইউরো হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সাইপ্রাস কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি নিচে পড়তে পারেন।
সাইপ্রাস দেশটি অর্থনৈতিকভাবে অনেক অনেক শক্তিশালী। আপনি যদি দেশটিতে যেতে পারেন, তাহলে উচ্চ বেতন শিক্ষা, চিকিৎসা এবং জীবন যাত্রার মান ভালো পাবেন। তাই নিচে সাইপ্রাস কাজের ভিসা এবং সাইপ্রাস থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় নেনে নিতে পারেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে পড়ুন

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে সহজেই বুঝতে পারবেন। সাইপ্রাস কাজের ভিসা নিয়ে যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারেন, তবে খুব ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তুলনামূলকভাবে এই দেশে নাগরিকত্ব পাওয়াটা খুবই কঠিন। দেশটিতে আপনি পার্মানেন্ট নাগরিকত্ব হতে পারবেন না।

সাইপ্রাস দেশটিতে বেশিরভাগ মানুষ স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে থাকেন। দেশটির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণত ১ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। আপনি যদি চান, তবে নবায়ন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসাধারীরা দেশটিতে পরিবারসহ থাকার সুযোগ রয়েছে। সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিতে পারেন। আপনি সাধারণত ৩ ধরনের ভিসার মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন। ভিসা তিনটির নাম আমাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  1. কর্মসংস্থান ভিসা
  2. বিজনেস ভিসা
  3. ফ্রিল্যান্সিং ভিসা
সাইপ্রাস বেতন কত, সে সম্পর্কে আপনি যদি যেনে যেতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো হবে। কেননা সেদেশে ইচ্ছেমত ঘন্টা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। সাইপ্রাস সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিতে পারেন। আশা করি বিষয়টা ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন। নিচে সাইপ্রাস ভিসা চেক করার নিয়ম জেনে নিতে পারেন মাত্র দুই মিনিটে। এছাড়াও সাইপ্রাস যেতে কি কি কাগজপত্রগুলো লাগে সেগুলো জেনে নিন।

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কি কি কাগজপত্র লাগে

ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতা ও কাগজপত্রগুলো লাগে, সে সম্পর্কে অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করেন। কাজের ভিসাতে যেতে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত। না হলে আপনি দেশটিতে যেতে পারবেন না। চলুন যেনে নেওয়া যাক, কি কি কাগজপত্রগুলো লাগে সে সম্পর্কে।

  • ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট ( ২ পাতা খালি থাকতে হবে)
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ইংরেজী অথবা গ্রিক ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • কাজের অফার লেটার
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণপত্র ( ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
  • আপনার কাজের চুক্তিপত্র
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো ছাড়াও সাইপ্রাস দূতাবাস/কনস্যুলেট আপনাকে অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলতে পারে। সকল কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করে, হয়তো অনুবাদ ইংরেজী কিংবা গ্রিক ভাষাতে করার প্রয়োজন পড়তে পারে। বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার উপায় যেনে নিতে পারেন।

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যদি কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে নিয়োগকর্তার অনুমোদন পেতে হবে। সাইপ্রাসের নিয়োগকর্তাকে আবার শ্রম মন্ত্রণালয় কাছে আবেদন করতে হবে। কেননা সাইপ্রাসের নিয়োগকর্তা কে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা দেশের স্থানীয় ব্যক্তিকে শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করতে পারেনি। আবেদনটি যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে নিয়োগকর্তা আপনার পক্ষ থেকে ভিসার জন্য আবেদন করবে।
এরপর আপনাকে গ্রিক সাইপ্রাসের দূতাবাসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সাইপ্রাস কাজের ভিসার ফরমটি দূতাবাস থেকে আপনাকে সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রগুলোসহ ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লেগে থাকে, প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত। আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি যদি সম্পন্ন হয়ে যায়, 

তাহলে সাইপ্রাসে থাকে, এমন কোনো ব্যক্তি বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি প্রয়োজনে যে কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। গ্রিক সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে সেটা যদি আপনি যেতে নিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো হয়। সাইপ্রাস কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন।

সাইপ্রাসের বর্তমান অবস্থা কি সে সম্পর্কে জানুন

সাইপ্রাস দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বীপ বিভাজনের সমাধানের আলোচনাটি এখনো চলমান রয়েছে। তুর্কি সাইপ্রাসের সাথে পুনঃএকত্রীকরণের আলোচনার অগ্রগতি অতি সামান্য। জনসংখ্যা ও অভিবাসীদের সংখ্যা এবং বয়স্কদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল এর দিকে যাচ্ছে। গ্রিক সাইপ্রাস দেশটির অবস্থা বর্তমানে খুব বেশি ভালো নয়।

তবে তুর্কি সাইপ্রাসের অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই ভালো রয়েছে। আপনি যদি চান, তবে ভিজিট ভিসা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সাইপ্রাস দেশটি থেকে। কেননা সাইপ্রাস দেশটি অনেক সুন্দর। সাইপ্রাস দেশটিতে আপনারা যদি পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে সাইপ্রাসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারেন।

সাইপ্রাস থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় জানুন

সাইপ্রাস থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি জানতে পারবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে গ্রিক সাইপ্রাস দেশটিতে প্রায় অধিকাংশ মানুষ যায়, ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানোর স্বপ্নটা সাধারণত হাতে গোনা কয়েকজনের পূরণ হয়ে থাকে।

সাইপ্রাস দেশটি থেকে সাধারণত নরমাল রেসিডেন্ট কার্ডধারীরা ইতালিতে যেতে পারবে না। ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কারো যদি পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্ট কার্ড থাকে বা সাইপ্রাস ভিসা থাকে তাহলে সে যেতে পারবে। অনেক সময় স্টুডেন্টরা ভালো রেজাল্ট করার কারনে, ভিজিট ভিসার মাধ্যমে কিংবা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে কিংবা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে পারেন।

সাইপ্রাস থেকে আপনি সরাসরি ইউরোপের দেশ ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। অনেকে রয়েছেন যারা প্রথমে নন-সেনজেনভুক্ত দেশের প্রথমে ভ্রমণ করে(সার্বিয়া,রোমানিয়া) তারপরে সেই দেশ থেকে অন্য যে কোন উপায়ে ইতালিতে প্রবেশ করে থাকেন। নন-সেনজেনভুক্ত দেশ কোনগুলো তার তালিকা দেখে নিতে পারেন।

সাইপ্রাস টাকার মান কত বাংলাদেশ

সাইপ্রাস টাকার মান কত এবং বাংলাদেশী টাকার রেট কত চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সাইপ্রাসের এক ইউরো সমান বাংলাদেশি টাকার মূল্য হচ্ছে ১২৭.৫ টাকা। আপনি এই টাকার এক্সচেঞ্জ রেট পাবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে সাইপ্রাসের ১ ইউরো সমান আজকে বাংলাদেশের টাকার মূল্য হচ্ছে ১২৭.৫ টাকা।
এছাড়াও যদি আপনি আজকে এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে নেন তাহলে রেট পাবেন ১২৭.৫ টাকা। বর্তমানে সাইপ্রাসের বিনিময় হার অনুযায়ী, ১ সাইপ্রাস ইউরো সমান বাংলাদেশের টাকায় হচ্ছে ১২৭.৫ টাকা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,সাইপ্রাস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, সাইপ্রাস যেতে যোগ্যতা এবং কি কি কাগজপত্র লাগে, সাইপ্রাস ভিসা আবেদন করার নিয়ম, সাইপ্রাসের বর্তমান অবস্থা এবং সাইপ্রাস থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনারা যদি সাইপ্রাস দেশটিতে যেতে চান, তবে অবশ্যই জেনে যাওয়া উচিত, যে সাইপ্রাসের বর্তমান অবস্থা কি সে সম্পর্কে। 

আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও বুঝতে যদি কোন ঝামেলা থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url