দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত (কোম্পানি ভিসার দাম জানুন)

দুবাই দেশটিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে কোম্পানির কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়। কিন্তু দেশটির কোম্পানি ভিসার বেতন কেমন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা জানা নেই। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত এবং ভিসার দাম সম্পর্কে।
দুবাই বর্তমানে প্রবাসীদের কাছে উন্নত জীবন যাত্রার মান, উচ্চ বেতন, কাজের চাহিদা এবং সুযোগ সুবিধার কারণে আকর্ষণীয় গন্তব্য। তাই দেশটিতে আপনারা যারা নতুন যেতে চাচ্ছেন, নিচে জেনে নিতে পারেন, দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত এবং যেতে কত টাকা লাগে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত জানতে পড়ুন

দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জানুন

দুবাই কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। দুবাই কাজের উচ্চ বেতন,কাজের চাহিদা এবং সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে প্রায় অধিকাংশ মানুষ ভিসা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দুবাই দেশটিতে গিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন। 

দুবাই যেসব কাজের সবচেয়ে চাহিদা বেশি জেনে নিতে পারেন। দুবাই কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনি যদি আবেদন করতে চান, তাহলে নিম্নে লিখিত কিছু ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।তাহলে খুব সহজেই আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন। চলুন ধাপগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রথমে আপনাকে কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
  • আপনার পরিচিত যদি কেউ না থাকে, তবে সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি সহযোগিতা নিতে পারেন।
  • দেশটিতে যাওয়ার জন্য বিশ্বস্ত এজেন্সি যদি খুঁজে পান, তাহলে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো দিতে হবে।
  • এজেন্সি আপনার পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো আরব আমিরাতের দূতাবাসের জমা দিবে।
  • দুবাই ভিসা অনুমোদন দিলে আপনি এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা নিতে পারবেন, তবে ভিসা পাওয়ার সাথে সাথে দুবাই ভিসা চেক করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

দুবাই কোম্পানি ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র লাগে

দুবাই কোম্পানি ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্রগুলো লাগে, সে সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। আপনার কাগজপত্র সঠিক না থাকে, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না অর্থাৎ দুবাই যেতে পারবেন না। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো লাগে, সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার বৈধও পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফরম (পূরণকৃত এবং সাক্ষরিত)
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট (বাধ্যতামূলক)
  • পুলিশ ক্লিয়ার এন্ড সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকল সার্টিফিকেট
উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো আপনার কোম্পানি ভিসা আবেদন করার জন্য লাগবে। আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। কেন পরবর্তীতে কাগজপত্রগুলো খুঁজতে আপনার জন্য ঝামেলা পোহাতে হবে না। দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক। দুবাই কোন কাজের সুযোগ সুবিধা বেশি জেনে নিন।

দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত

দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা সহজেই আশা করি জানতে পারবেন। দুবাই শহরটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রবাসীদের গন্তব্যস্থল। দেশটিতে কাজের চাহিদা, উচ্চ বেতন, করমুক্ত আয়, উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য 

প্রবাসীদের কাছে আকর্ষণীয়। কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি এই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন, তাহলে দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্য ঢুকতে পারবেন। কোম্পানি ভিসাতে দুবাই সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। কাজ ভেদে বেতনের কিছুটা পার্থক্য হয়ে থাকে। 

  • দুবাই কোম্পানি ভিসার সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কোম্পানির উপরে ভিত্তি করে সর্বনিম্ন বেতন ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
তবে আপনি যদি ওভারটাইম করেন, সেক্ষেত্রে বেতনের পরিমাণ বেশি হতে পারে। নতুন অবস্থায় সাধারণত দুবাই শ্রমিকদের বেতন কম হয়ে থাকে। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে ধীরে ধীরে কাজের বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দুবাই যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই( কোন কাজের বেতন এবং চাহিদা বেশি) সে সম্পর্কে জেনে যাওয়া যেতে পারেন। দুবাই কোন কাজের বেতন কত জেনে নিন।

দুবাই কোম্পানি ভিসা দাম কত টাকা

দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম কত, সে সম্পর্কে জানাটা দুবাই প্রবাসগামী মানুষের জন্য জানাটা অবশ্যই জরুরী। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, দুবাই কোম্পানির দাম কেমন, সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সহজেই জেনি নিন।
  • সরকারিভাবে দুবাই কোম্পানি ভিসা দাম প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে।
  • বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে দুবাই কোম্পানি ভিসা দাম প্রায় ৪ লক্ষ করে ৮ লক্ষ টাকার পর্যন্ত। দুবাই ভিসার দাম কত জেনে নিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে কোম্পানি যদি শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে, তাহলে বাংলাদেশীরা স্পন্সর ভিসা পাবেন। এ ভিসাটি মূলত কোম্পানির ভিসা নামেই পরিচিত। কিছু কিছু ভাগ্যবান নাগরিক রয়েছেন, তাদের ভিসা তৈরি থেকে শুরু করে, বিমান ভাড়া সহ পুরো খরচ কোম্পানির মাধ্যমে ভোগ করতে পারে। তবে এই সুযোগটা সকলের জন্য আসলে উন্মুক্ত নয়।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

দুবাই ক্লিনার ভিসার বেতন কত

দুবাই সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজের ভেতরে ক্লিনারের কাজের চাহিদাটা সবচেয়ে বেশি। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই কাজে চাহিদা অনুযায়ী বেতনের পরিমাণটা অনেকটাই কম হয়ে থাকে। দুবাই ক্লিনার ভিসার বেতন কেমন সে সম্পর্কে আপনাদের জানার সুবিধার্থে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • দুবাই ক্লিনার ভিসার বেতন  সাধারণত সর্বনিম্ন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
তবে আপনার যদি এই কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বেতনে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনারা যারা নতুন অবস্থায় দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন, ক্লিনার ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা বাধ্যতামূলক নয়।  

দুবাই কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত

দুবাই দেশটিতে কনস্ট্রাকশন কাজের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে এবং বেতনের পরিমাণও বেশি পাওয়া যায়। তাই আপনি কোম্পানির ভিসার মাধ্যমে কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য দুবাই দেশটিতে আসতে পারেন। কেননা এই কাজটিতে বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তবে আসার পূর্বে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে আসার চেষ্টা করবেন।

  • দুবাই কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন হয়ে থাকে ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

দুুবাই ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন কত 

দুবাই দেশটিতে ইলেকট্রিশিয়ান কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং সর্বোচ্চ বেতন হয়ে থাকে। তাই দেশটিতে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান কাজে যেতে পারেন, তাহলে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক দুবাই ইলেক্ট্রিশিয়ান কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে।

  • দুবাই ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন হয়ে থাকেন ন্যূনতম প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে ওভারটাইম করলে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

দুবাই প্লাম্বিং কাজের বেতন কত 

দুবাই প্লাম্বিং কাজের ভালো চাহিদা রয়েছে এবং বেতনের পরিমানও অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই দুবাই কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে আপনি প্লাম্বিং কাজে যেতে পারেন। তবে এই কাজটিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাওয়া উচিত। 

দুবাই কোম্পানি ভিসায় কত বছর বয়স লাগে

দুবাই কাজের ভিসায় যেতে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর। দুবাই দেশটি ১৮ বছর বয়সকে তারা কাজের জন্য উপযুক্ত মনে করে থাকেন। তবে তাদের কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সর্বনিম্ন বয়স কত, তারা উল্লেখ করে থাকেন। বয়সসীমা সাধারণত আপনাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেখতে হবে।দুবাই দেশটিতে যারা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন, ১৮ বছরের কম বয়সী হলে 
তাদের অবশ্যই অভিভাবকের অনুমতিপত্র বা অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া যারা স্টুডেন্ট ভিসায় দুবাই যেতে চাচ্ছেন,তাদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হলে ভালো হয়। অবশ্য কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ১৮ বছরের বেশি হলে স্টুডেন্টরা ভিসা পেয়ে থাকেন। দুবাই যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন ভিসার বেতন কত জানতে পড়ুন।

দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা

দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা, আপনারা যারা দুবাই যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য জানাটা অবশ্যই জরুরী। কেননা একটি দেশের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলে, সেই দেশে যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, দুবাই দেশটিতে সর্বনিম্ন বেতন কত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে।

  • দুবাই একজন শ্রমিকে সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়াও ওভার টাইম করার সুযোগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে ওভারটাইম করলে একজন কর্মী বেতন পেতে পারেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

লেখকের শেষ মন্তব্য - দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, দুবাই কোম্পানি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া, কোম্পানি ভিসায যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন কত,দুবাই কোম্পানি ভিসার দাম কত টাকা, দুবাই কোম্পানি ভিসায় কত বছর বয়স লাগে এবং সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনারা যারা কোম্পানি ভিসায় দুবাই দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন, 

অবশ্যই যাওয়ার আগে কোম্পানির ভিসা বেতন কত এবং ভিসার দাম কেমন সেই সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে যাবেন। এবং কোম্পানি ভিসাতে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি সে সম্পর্কেও জেনে যাবেন। তাহলে যাবার পূর্বে আপনি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলেই শেয়ার করতে ভুলবেন না। দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায় জেনে নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url