গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন কাজের বেতন কত

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন কাজের বেতন কত, আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? গ্রীস যেতে কত টাকা লাগবে, সেটা সাধারণত নির্ধারণ হয়ে থাকবে ভিসা ফি, ভিসা তৈরী,মেডিকেল রিপোর্ট, বিমান ভাড়া ইত্যাদি বিষয়ের উপরে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত নিচে জেনে নিতে পারেন।
গ্রীসে বাংলাদেশীদের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি অর্থ উপার্জন করে, ভালোভাবে জীবন যাপন করতে চান, তাহলে গ্রীস যেতে পারেন। গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত, কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি জানতে নিচে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে জানতে পড়ুন

গ্রীসে সর্বনিম্ন বেতন কত জানুন

গ্রীসে সর্বনিম্ন বেতন কত, সেটা সাধারণত দেশটির সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকে। দেশটিতে সাধারণত ঘন্টা অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে এই দেশটিতে যারা কাজের উদ্দেশ্যে নতুন যায়, কিংবা অবৈধ হিসেবে যায়, তাদের বেতনের পরিমাণ কম হয়ে থাকে বা হতে পারে। তবে সর্বনিম্ন যে বেতনটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, এর নিচে কেউ পায় না। 

গ্রীসের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে প্রায় ৭৬৫ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাঁড়ায়, প্রায় ১ লক্ষ টাকার আশেপাশে। আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে পারেন, তবে সর্বনিম্ন যে বেতনটা রয়েছে এর চেয়ে কম পাবেন না। গ্রীস ভিসার দাম কত জেনে নিতে পারেন।

গ্রীসে কোন কাজের বেতন কত

গ্রীসে কোন কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন। গ্রীস অর্থনীতি সেবা খাতের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। গ্রীসে পর্যটন শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধাগুলো রয়েছে। এছাড়া জাহাজ শিল্পের জন্যও দেশটি বিখ্যাত। 

গ্রীসে গেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন বা রয়েছে। দেশটিতে আপনার বেতন কেমন হতে পারে, সেটা সম্পন্ন নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরন, লোকেশ,যোগ্যতা, ভাষা শিক্ষা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপরে। বড় বড় কোম্পানিগুলোতে যদি কাজ করতে পারেন, তাহলে বেতনের পরিমাণ বেশি পাবেন। এছাড়াও শহর এলাকাগুলোতে বেতনের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। 

গ্রীসে কোন কাজের বেতন কত এবং গ্রীসের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন কত, আপনাদের জানার সুবিধার্থে কোন কাজের বেতন কত উল্লেখ করে দেওয়া হলো। তবে বেতন কিছুটা কমবেশি হতে পারে। গ্রীস আবেদন করার নিয়ম জানতে পড়ুন।

ক্রমিক নং কাজের নাম মাসিক বেতন (টাকায়)
০১ কৃষি কাজ প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ
০২ কনস্ট্রাকশন শ্রমিক প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
০৩ ড্রাইভিং কাজ প্রায় ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা
০৪ গার্মেন্টস শ্রমিক প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা
০৫ রেস্টুরেন্ট কর্মী প্রায় ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা
০৬ রং মিস্ত্রি কাজ প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হজার থেকে ২ লক্ষ টাকা

গ্রীসে কোন কাজের চাহিদা বেশি

গ্রীসে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সে সম্পর্কে গ্রীস প্রবাসগামী অনেকেই জানতে চান, তাই এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো, দেশটির কোন কাজগুলোতে চাহিদা বেশি থাকে। যদিও গ্রীস দেশটি পর্যটন শিল্পের উপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তবে দেশটিতে কৃষি কাজের চাহিদার পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। গ্রীসে কোন কাজগুলোর চাহিদার পরিমাণ বেশি, সেগুলো আপনাদের জানার জন্য নিচে উপস্থাপন করা হলো।

  • রেস্টুরেন্ট কর্মী
  • গার্মেন্টস কর্মী
  • কনস্ট্রাকশন কর্মী
  • কৃষি শ্রমিক
  • ড্রাইভিং
  • রংমিস্ত্রি
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • ডাক্তার
  • ইঞ্জিনিয়ার
গ্রীসে উপরে উল্লেখিত কাজগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এসব কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। তাহলে প্রথম থেকেই ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। সব সময় চেষ্টা করবেন আপনি যেকোন দেশে যান না কেন, অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করার। গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে, নিচে জেনে নিন।

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে জানুন

গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, এই আর্টিকেলটি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন, তাহলে আশা করি জানতে পারবেন। গ্রীস দেশটি ইউরোপের সেনজনভুক্ত একটি দেশ। আর সেজন্য এদেশের ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। ভিসা প্রসেসিং হতেই সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত।
আর এজন্য গ্রীসের ভিসা চাহিদা অনেকটাই বেশি। গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে, এই প্রশ্নের উত্তরটা আসলে সঠিকভাবে কেউ দিতে পারে না বা পারবে না। আর এর কারণ হলো ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ভিসার খরচটা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে আপনারা ভিসা খরচ সম্পর্কে আনুমানিক একটা ধারণা পাবেন। বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে 

বাংলাদেশ থেকে যদি গ্রীসে যেতে চান, তাহলে আপনার আনুমানিক খরচ পড়বে ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে আপনি যদি দেশটিতে সরকারিভাবে যেতে পারেন, তাহলে খরচের পরিমাণ অনেক কম পড়বে। এছাড়া আপনি যদি কোন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যান, তাহলে খরচ পরিমাণটা কয়েকগুণ বেশি পড়বর। তবে সবসময় দালাল থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। গ্রীসে যেতে কি কাগজপত্র লাগে নিচে জেনে নিতে পারেন।

গ্রীসে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

গ্রীসে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে। কেননা আপনার যাত্রার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাগরিটা ভিন্ন হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ: স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা। গ্রীসে যেতে যেসব কাগজপত্রগুলো লাগে সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • অফিসিয়াল বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক তোলা ছবি
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সকল সার্টিফিকেট
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণপত্র (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • আপনার কাজের অফার লেটার
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি লেটার
  • ভ্রমণ বীমা
  • ট্রাভেল রেকর্ড
আপনি যদি গ্রীসে যেতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো অবশ্যই লাগবে। তাই ভিসা আবেদন করার পূর্বেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখার চেষ্টা করুন। যেন পরবর্তীতে আপনার খুঁজতে কোন ঝামেলা পোহাতে না হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সরকারিভাবে গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে অনেকেই জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাই এই পোস্টটিতে চোখ রাখুন, আশা করি জানতে পারবেন। আপনি যদি দেশটিতে সরকারিভাবে যেতে চান, তবে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে একটা দুঃখের বিষয় হলো, সব সময় সরকারি ভিসাটা পাওয়া যায়না। 

আর সেজন্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে ভিসা বানাতে হয়। কিছু কিছু সময় গ্রীস কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগের সুযোগ আসে। তখন যেসব যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছেন, তারা মাত্র ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে গ্রীসের ভিসা পেয়ে যান। তবে ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে এই ভিসার দাম সাধারণত কম বেশি হতে পারে। তবে ৬ লক্ষ টাকার ভিতরেই সবকিছু কমপ্লিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশ থেকে গ্রীস বিমান ভাড়া কত টাকা

বাংলাদেশ থেকে গ্রীস বিমান ভাড়া কত, সেটা গ্রীস প্রবাসগামী মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি গ্রীসে যেতে চান, তবে অবশ্যই বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। আপনি যদি গ্রীস যেতে চান, তবে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্লাইট রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাংলাদেশ থেকে গ্রীস বিমান ভাড়া কত টাকা সে সম্পর্কে।
  • আপনি যদি ইকোনমিক ফ্লাইটে গ্রীসে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
  • এছাড়া আপনি যদি বিজনেস ক্লাসে যান, তাহলে খরচ পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
  • বাংলাদেশ থেকে আপনাদের যদি গ্রীসে যেতে চান, তবে সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমান ভাড়া লাগবে।
বিমানের টিকিটের মূল্য পরিবর্তনশীল বলে সময়ের সাথে বিমানের ভাড়া কম বেশি হতে পারে। তাই যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিতে পারেন। দালাল বা প্রতারক থেকে সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য - গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, গ্রীসে সর্বনিম্ন বেতন কেমন, গ্রীসে কোন কাজের বেতন কত, গ্রীসে কোন কাজের চাহিদা বেশি, গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে, গ্রীসে যেতে কি কি কাগজপত্রগুলো লাগে, সরকারিভাবে গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে গ্রীসের বিমান ভাড়া কত ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনি যদি গ্রীসে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান,

তবে অবশ্যই যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো জানবেন এবং কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জেনে যেতে পারেন। এছাড়াও যে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তার উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে জাবেন, তাহলে প্রথম থেকেই আপনি ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url