মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত (ভিসার দাম ও আবেদন)
মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসায় প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশ
থেকে গিয়ে থাকেন। কেননা ফ্যাক্টরি কাজের সুযোগ সুবিধা এবং বেতনের পরিমাণ বেশি
হয়ে থাকে। তাছাড়া এই কাজের অনেক চাহিদাও রয়েছে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার
বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ফ্যাক্টরি ভিসার। কেননা
ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পাশাপাশি মালিকের অনুমতি নিয়ে, বাহিরেও কাজ করার সুযোগ
পাওয়া যায়। তাই মালয়েশিয়াতে গেলে অবশ্যই ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যাওয়া উচিত, তবে
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কেও জেনে যাওয়া উচিত।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত জানতে পড়ুন
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত জানুন
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত টাকা
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার সর্বনিম্ন বেতন কত
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম সুবিধা কেমন জানুন
- মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ
মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানাই সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি যদি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন, আশা করি জানতে এবং বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন
জেনে নেওয়া যাক, মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আপনি নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
তবে আপনার যদি বুঝতে সমস্যা হয়,
তাহলে একজন অভিজ্ঞ মানুষ কিংবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে কাজটি
সম্পন্ন করতে পারেন। আমরা আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন
ধাপ সম্পর্কে ধারণা দিবো। মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করতে হয়,
সেটা যেন আপনি সহজেই বুঝতে পারেন সেজন্য। এর ফলে দালাল বা প্রতারক আপনাকে ভুল
বোঝাতে পারবেনা।
বর্তমানে দালাল ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে সরকারিভাবে যাওয়া যায়। তাই দালাল থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা বা সাবধানতা অবলম্বন করবেন। তাহলে
দেরি না করে,জেনে নেওয়া যাক, মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
সম্পর্কে।
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য প্রথমে আপনাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর সেজন্য আপনাকে গুগল-প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপটি ডাউনলোড করে করতে হবে। তারপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করে আপনাকে স্মার্ট কার্ডটি ডাউনলোড করতে হবে।
- সরকারিভাবে আপনি যদি মালয়েশিয়াতে যেতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- আপনারা হাতের নাগালে যদি বিশ্বস্ত কোনো এজেন্সি থাকে, তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে সেখানে জমা দিতে হবে। তবে অবশ্যই মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- তারপর কোম্পানির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে স্পেশাল ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে।
- মেডিকেল টেস্ট করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক।
- উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো যদি আমি অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে পারবেন।
- সর্বশেষে আপনি ভিসা আপডেটটা জেনে, আপনার ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কেননা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো এবং আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে তা পরিবর্তন হতে পারে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পাওয়ার জন্য, অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কিছু
কাগজপত্র বাধ্যতামূলক লাগবে। এই কাগজপত্রগুলো ছাড়া আপনি কোন ভাবেই মালয়েশিয়া
ফ্যক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার
জন্য, যেসব কাগজপত্রগুলো লাগে, সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে
দেওয়া হলো।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট (সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী)
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকল সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি লাগে)
ফ্যাক্টরি ভিসাতে আপনি যদি মালয়েশিয়াতে যেতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত
কাগজপত্রগুলো আবশ্যিক লাগবে। তাই ভিসা আবেদন করার পূর্বে কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে
রাখতে পারেন। তাহলে পরবর্তীতে কাগজগুলো খুঁজতে আপনার কোন ঝামেলা বলতে হবে না।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত নিচে জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে
খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আপনারা যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন,
আশা করি জানতে পারবেন। মালয়েশিয়া একজন ফ্যাক্টরি ভিসার শ্রমিকের বেতন কেমন হবে,
সেটা নির্ভর করবে তার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে। নতুন অবস্থায়
সাধারণত
একজন শ্রমিকের বেতন কম হয়ে থাকে।তবে ধীরে ধীরে যখন অভিজ্ঞতা লাভ করবে তখন
ফ্যাক্টরি কাজের বেতন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। নতুন অবস্থায় আপনি যদি বেতন বেশি পেতে
চান, তাহলে অবশ্যই সেই কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন নতুন শ্রমিকদের বর্তমানে আনুমানিক প্রায় ৪৫
হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে যেসব শ্রমিকের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেসব শ্রমিকদের বেতন প্রায়
আনুমানিক ৬০ হাজারের উপরে হয়ে থাকে। যেসব শ্রমিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন
সেই শ্রমিকদের ওভারটাইমের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, যার কারণে তারা বেশি অর্থ
উপার্জন করতে পারে। যদিও ফ্যাক্টরির কাজে একটু গরমের পরিমাণ বেশি লাগে,
তবে ফ্যাক্টরিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। নতুন অবস্থায় শ্রমিকদের
সাধারণত ওভারটাইম বেশি দেওয়া হয়ে থাকে না। আর এজন্য ও বেতনের পরিমাণ একটু কম
আসে, তবে এ বিষয় নিয়ে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। মালয়েশিয়ার কোম্পানি ভিসার বেতন কত জেনে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত জানুন
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া দেশটিতে ফ্যাক্টরি ভিসায় যাওয়া বা ভিসা পাওয়াটা খুবই
সহজ। আপনি যদি সরকারিভাবে ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে যেতে পারেন তাহলে
খরচের পরিমাণ খুবই কম হবে। কিন্তু আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোনো এজেন্সির সহযোগিতা
নিয়ে যেতে চান, তাহলে খরচের পরিমাণ বেশি পড়বে। বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে
বেশি টাকা লাগে,
কেননা সুযোগ-সুবিধা এবং বেতনের পরিমাণ বেশি সেজন্য। মালয়েশিয়ায় আপনি যদি
ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ পড়তে পারে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪
লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে এটি একটি সাধারণ ধারণা দিলাম মাত্র। বাস্তবে খরচ পরিমাণ
কম হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার খরচের ভিতর সকল
ধরনের অর্থাৎ যাবতীয় খরচ গুলো
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাধারণত একজন শ্রমিকের পাসপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে
মালয়েশিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ এর ভিতরেই অন্তর্ভুক্ত। মালয়েশিয়া কোন ভিসার দাম কত জানুন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত টাকা
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে আপনি অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে পারবেন। নতুন
অবস্থায় এজন্য আপনি বেতনের পরিমাণ একটু কম পাবেন, তবে ধীরে ধীরে বেতন বৃদ্ধি
পাবে। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসাতে যাওয়ার চাহিদা খুবই বাড়ছে। আপনি
যদি মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে ফ্যাক্টরির কাজ করতে চান, তবে আপনাকে
সর্বপ্রথম
ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর এই আবেদনের জন্য আপনাকে অবশ্যই ফি
প্রদান করতে হবে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা তৈরি করতে চান, তবে সর্বনিম্ন
প্রায় ১৮ হাজার টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। এছাড়া আপনার যদি পরিচিত কেউ
থাকে, তাহলে ১৫ হাজার টাকার ভিতরে আবেদন কার্যক্রম প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে
পারবেন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার সর্বনিম্ন বেতন কত
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার সর্বনিম্ন বেতন কেমন সেই সম্পর্কে অনেকেই জানার
আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, মালয়েশিয়া দেশটিতে সাধারণত
ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি
ভিসার বেতন একজন কর্মীর সর্বনিম্ন বেতন পদ-পদবী, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে
অনেকটাই নির্ভর করে থাকে। যেমন একজন লেবারের বেতন কম হলেও, যদি দক্ষতা থাকে তাহলে
তার ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- মালয়েশিয়ায় একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন বেশি জেনে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম সুবিধা কেমন জানুন
মালয়শিয়া ওভারটাইমের সুযোগ সুবিধা কেমন, সে সম্পর্ক অনেকেই জানতে চান।
মালয়েশিতে সাধারণত যারা নতুন অবস্থায় ফ্যাক্টরিতে কাজ করে তাদের ওভারটাইমের
পরিমাণ কম হয়ে থাকে। যার ফলে বেতনের পরিমাণও একটু কম এসে থাকে।
এছাড়া যারা
অভিজ্ঞতায় সম্পন্ন বা দক্ষতাপূর্ণ তাদের বেতনের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে
বেতনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি পেয়ে থাকেন। মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে, সে সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কাজের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী বয়স নির্ধারণ করে
দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি মালয়েশিয়ায় কাজের ভিসা নিয়ে অর্থাৎ ফ্যাক্টরি
ভিসা যেতে চান, তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স লাগবে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর
পর্যন্ত।
লেখকের শেষ মন্তব্য - মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে,মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার
নিয়ম, বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে কি কি লাগে, মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার
বেতন কত, মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম কত, ফ্যাক্টরি ভিসার আবেদন ফি কত টাকা,
সর্বনিম্ন বেতন কত এবং ফ্যাক্টরি কাজে ওভারটাইমের সুবিধা কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে।
আপনি যদি মালয়েশিয়াতে
ফ্যাক্টরি ভিসায় যেতে চান, তবে অবশ্যই সেই কাজের উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন
করে যাবেন। তাহলে প্রথম থেকেই ভালো পরিমাণ বেতন আশা করতে পারেন। দালাল বা প্রতারক
থেকে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url