ওমান যেতে কত টাকা লাগে - ওমান কোন কাজের বেতন কত

ওমান যেতে কত টাকা লাগে এবং ওমান কোন কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন, ওমান ভিসা খরচ,বেতন এবং কাজের চাহিদা যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে।
ওমান সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে আপনারা যারা দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন, জেনে নিতে পারেন ওমান ভিসা কবে খুলবে সে সম্পর্কে। ওমান দেশটির বর্তমান অবস্থা কি সে বিষয়ে জানতে বিস্তারিত নিচে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ওমান যেতে কত টাকা লাগে জানতে পড়ুন

ওমান কাজের বেতন কত জানুন

ওমান কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে অনেকেই জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। কেননা এই প্রশ্নটা ওমান প্রবাসগামী মানুষের মনে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ওমান কাজের বেতন কত সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, কাজের ধরন এবং ওভারটাইম এর উপরে। ওমানে আপনি নতুন অবস্থা থেকে ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন তুলতে পারবেন। 

তবে আপনার যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ে তাহলে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। কোম্পানির ভালো হলে আরও বেশি বেতন পায় সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন।

ওমান কোন কাজের বেতন কত জেনে নিন

ওমান কোন কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে ওমান কোন কাজের বেতন কত সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

ক্রমিক নং কাজের নাম ওমান বেতন (রিয়াল) বাংলাদেশী বেতন (টাকা)
০১ ড্রাইভিং ১৫০ থেকে ২০০ রিয়াল ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা
০২ ক্লিনার ৯০ থেকে ১২০ রিয়াল ২৫,২৪৩ থেকে ৩৪,২৫৮ টাকা
০৩ সুপার মার্কেট ১২০ থেকে ১৫০ রিয়াল ৩৪,২৫৮ থেকে ৪২,৮২২ টাকা
০৪ বাগানের কাজ ১০০ থেকে ১২০ রিয়াল ২৮,৫৪৮ থেকে ৩৪,২৫৮ টাকা
০৫ ওয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ রিয়াল ২৮,৫৪৮ থেকে ৪২,৮২২ টাকা
০৬ শেফ ২০০ থেকে ২৫০ রিয়াল ৫৭,০৯৬ থেকে ৭১,৩৭০ টাকা
০৭ রাজমিস্ত্রী ৩০০ থেকে ৪০০ রিয়াল ৮৫,৬৪৪ থেকে ১,১৪,১৯২ টাকা
০৮ ইলেক্ট্রিশিয়ান ২৮০ থেকে ৩৬০ রিয়াল ৭৮,৮৩৬ থেকে ১,০২,৪৫৬ টাকা

উপরে উল্লেখিত কাজগুলো ওমানে সবচেয়ে চাহিদা বেশি তাই এই কাজগুলোর ভিসা নিয়ে যদি যেতে চান, অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে প্রথম থেকেই বেশি বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

ওমান কোন কাজের চাহিদা বেশি

ওমানে সবচাইতে কনস্ট্রাকশন এবং ইলেকট্রনিক্স কাজের চাহিদা বেশি। আপনি যদি এসব কাজ করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে ভালো বেতন পেতে পারেন। এছাড়াও ওমানের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, যেগুলো কাজে যাওয়ার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জন করে যাবেন। 

আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে কাজের অভাব হবে না এবং প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ বেতন পাওয়ায় সম্ভাবনা থাকবে। ওমানে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • ইলেকট্রনিক্সের কাজ
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • প্লাম্বারের কাজ
  • রংমিস্ত্রির কাজ
  • রাজমিস্ত্রির কাজ
  • এসি টেকনিশিয়ানের কাজ ইত্যাদি।
ওমানে উপরে উল্লেখিত কাজগুলোতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই ওমান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই কাজগুলোর উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবে। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশি অর্থ উপার্জন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ওমান যেতে কত টাকা লাগে নিচে জেনে নিন।

ওমান যেতে কত টাকা লাগে

ওমান যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন থাকে। তাই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন জানতে পারবেন। ওমানে সাধারণত মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়ে থাকে, উদ্দেশ্য অনুযায়ী সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি এবং ভিসার দাম আলাদা হয়ে থাকে। আপনি যদি ওমানে পরিচিত মানুষের মাধ্যমে যেতে পারেন, তাহলে স্বল্প খরচের মাধ্যমে যেতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ওমানে যেতে চান,তাহলে ভিসার দামটা বেশি পড়বে। তবে আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে পারেন তাহলে কম টাকা দিয়ে যেতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ওমানে যেতে চান ভিসা ক্যাটাগরী অনুযায়ী আনুমানিক প্রায় তিন লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভিসার দাম কম।ওমানের টাকার মান কত জেনে নিতে পারেন।

ওমানে কোন ভিসার দাম কত জানুন

ওমানে কোন ভিসার দাম কত সেটা যদি জানতে চান, তবে নিচে পড়তে পারেন। কেননা আপনাদের জানার সুবিধার্থে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। ওমান ভিসা হাতে পাওয়ার পর অনলাইনে ওমান ভিসা চেক করে নিতে পারেন। 

ক্রমিক নং ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার দাম (টাকা)
০১ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা
০২ ভিজিট ভিসা ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা
০৩ স্টুডেন্ট ভিসা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা
০৪ ফ্রি ভিসা ৩ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার

ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

ওমান যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে জানা প্রতিটি ওমান প্রবাসগামীর জন্য খুবই জরুরী। কেননা কাগজপত্র যদি সঠিক না থাকে তাহলে আপনি ওমান যেতে পারবেন না। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  • বিমানের টিকিট
  • আপনার ভিসা
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • আপনার জব অভার লেটার
  • ভিসা আবেদন ফরম
আপনি যদি ওমান যেতে চান, তবে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো অবশ্যই লাগবে। এসব কাগজপত্র ছাড়া আপনি ওমান ভিসা করতে পারবেন না। যার ফলে ওমান যেতে পারবেন না। তাই ভিসা করা পূর্বেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখার চেষ্টা করুন।

ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে

প্রতিটি দেশের শ্রমিকদের জন্য সাধারণত শ্রম আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী সাধারণত শ্রমিকদের সর্বনিম্ন একটি বয়স থাকে তেমনি ওমানেও রয়েছে। আপনি যদি ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তবে আপনার সর্বনিম্ন বয়স লাগবে ২২ বছর। তবে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সসীমা নেই। তবে সম্প্রতি একটি আপডেট তথ্য জানা গেছে যে, ওমানে বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়স লাগে ২১ বছর।

বাংলাদেশ থেকে ওমান থেকে কত সময় লাগে

ওমান যেতে কত সময় লাগে সেটা সাধারণত বিমানের ফ্লাইটে অনুযায়ী নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি ননস্টপ ফ্লাইটে ওমানে যান, তাহলে কম সময় লাগবে অন্যদিকে আপনি যদি স্টপেজ ফ্লাইটে যান, তাহলে দুই গুণ বেশি সময় লাগবে।

  • বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা।

বাংলাদেশ থেকে ওমানের দূরত্ব কত কিলোমিটার

বাংলাদেশ থেকে ওমানের দূরত্ব কত কিলোমিটার সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
  • বাংলাদেশ থেকে ওমানের মোট দূরত্ব হলো প্রায় ৩,৫২৮ কিলোমিটার।

লেখকের শেষ মন্তব্য - ওমান যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, ওমানে কাজের বেতন কত, ওমানে কোন কাজের বেতন কত, ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি, ওমানে কোন ভিসার দাম কত, ওমান যেতে কত টাকা লাগে, ওমানের দূরত্ব কত কিলোমিটার এবং কত সময় লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। 

আপনি ওমানের যে কাজের উদ্দেশ্যে যান না কেন, অবশ্যই সেই কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে শুরু থেকেই ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url