তুরস্ক কাজের ভিসা ২০২৪ (আবেদন,বেতন,ভিসার দাম)

তুরস্ক সরকার প্রতিবছর তাদের কাজের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তুরস্ক দেশটিতে কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম থাকায়, অনলাইনের মাধ্যমে শ্রমিক দিচ্ছে। তাই তুরস্ক কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।
তুরস্ক দেশেটিতে আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে পারেন, তাহলে খরচ কম হবে। এছাড়া আপনাকে কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তবে অনেকেই তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে ধারণা রাখেন না, তাই নিচে জেনে নিতে পারেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ তুরস্ক কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে পড়ুন

তুরস্ক কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

তুরস্ক কাজের ভিসা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এর প্রথমটি হচ্ছে নিয়মিত কাজের ভিসা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে সিজনাল শ্রমিক ভিসা। তুরস্কে নিয়মিত কাজের ভিসার মেয়াদ সাধারণত হয়ে থাকে ১ বছর এবং সিজনাল শ্রমিক ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৬ মাস। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যাওয়ার জন্য কাজের ভিসার আবেদন করতে চান, তাহলে এজেন্সির মাধ্যমে করতে হবে। 

তবে আপনি যদি চান, তাহলে নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভুল হলে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।আপনি যদি তুরস্কের কাজের ভিসা পেতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি চাকরির স্কলারশিপ পেতে হবে। আপনার এই চাকরির অফার লেটারটা থাকলে খুব সহজেই তুরস্ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে, সেই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে এবং আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে।

আপনি আপনার আবেদন ফরমটি নিকটস্থ কোনো তুর্কি দূতাবাসে গিয়ে আপনার ভিসা ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিন। এরপর আপনাকে এপয়েন্টমেন্টে নিতে হবে, আপনি ভিসার জন্য যদি যোগ্য হন তাহলে আপনার পাসপোর্টসহ তুরস্কের কাজের ভিসা দেওয়া হবে। নিচে জেনে নিন তুরস্ক যাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা এবং কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো সম্পর্কে। তুরস্ক ভিসার দাম কত জেনে নিতে পারেন।

তুরস্ক কাজের ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে

তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই আপনাদের জানার সুবিধা থেকে কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র
  • চাকরির অফার লেটার/স্পন্সরশিপ
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • অনন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো (যদি লাগে)
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রগুলো অবশ্যই লাগবে। তাই ভিসা করা পূর্বেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখার চেষ্টা করুন, যেন পরবর্তীতে আপনার খুঁজতে না হয়।তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে পড়তে পারেন।

তুরস্ক কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত

তুরস্ক কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত? সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় তুরস্কে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতনের পরিমাণ বেশি হওয়াতে, প্রায় অধিকাংশ প্রবাসগামী মানুষ তুরস্কের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। বেশি টাকা ইনকামের জন্য প্রায় অধিকাংশ প্রবাসীগামী মানুষ তুরস্কে কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ভিসা করে থাকেন।
তুরস্কে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কেমন হয়, সে সম্পর্কে প্রায় অনেকেই ধারণা রাখেন না। তুরস্কে কোন প্রবাসী শ্রমিক যদি নতুন অবস্থায় কনস্ট্রাকশন কাজে যান, তাহলে আপনার বেতন হবে প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

এছাড়া আপনার যদি কয়েকজন কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত পাবেন। তবে দেশটিতে এর বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার বেতন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগবে জেনে নিন।

তুরস্কে যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে

তুরস্কে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে খোঁচাখুঁজি করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে যেসব কাজের চাহিদা গুলো বেশি রয়েছে সেগুলো আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • হোটেল রেস্টুরেন্টের কাজ
  • ক্লিনারের কাজ
  • সাইবার সিকিউরিটির কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
  • ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ ইত্যাদি
উপরে উল্লেখিত কাজগুলোতে তুরস্কে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এসব কাজের উপরে যদি আপনি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন, তাহলে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

তুরস্ক সর্বোচ্চ বেতন কত

তুরস্ক সর্বোচ্চ বেতন কত সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।আপনাদের জানার সুবিধার্থে কোন কাজগুলোতে তুরস্কের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া যায় সেই কাজগুলো এবং বেতন উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • ডেভলপার 
  • কনস্ট্রাকশন
এসব কাজগুলোতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। যদি আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা গুলো থাকে। এসব কাজে সর্বোচ্চ বেতন হয়ে থাকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তুরস্ক সর্বনিম্ন বেতন কত জানুন।

লেখকের শেষ মন্তব্য - তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, তুরস্ক কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, তুরস্ক যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, তুরস্ক কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন কত, যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে এবং তুরস্কের সর্বোচ্চ বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। 

আপনারা যদি তুরস্কে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তবে অবশ্যই যে কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। তাহলে শুরু থেকেই ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন এবং বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url