কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে - কুয়েত ভিসার দাম কত

কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েত ভিসার দাম কত আপনি কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই পোস্টির মাধ্যমে জানতে পারবেন, কুয়েত যাওয়ার নিয়ম, যেতে কি কি লাগে এবং কত বয়স লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে নিচে জেনে নিন।
কুয়েতে উন্নত একটি দেশ হওয়ায়, কাজের সুযোগ এবং উচ্চ বেতনের ফলে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে পারি জমিয়ে থাকেন। আপনি যদি দেশটিতে যেতে চান, তবে কোন কাজের চাহিদা এবং কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে, এই আর্টিকেলটি নিচে পড়তে পারেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে জানতে পড়ুন

কুয়েত যাওয়ার নিয়ম জানুন

কুয়েত দেশটি যদিও ছোট তবে উন্নত একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রায় অসংখ্য শ্রমিক রয়েছে যারা কুয়েতে কর্মরত রয়েছেন। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে দেশটিতে যেতে চান তবে একটি ভিসার প্রয়োজন হবে। কুয়েত বেশিরভাগ মানুষ কাজের ভিসার মাধ্যমে গিয়ে থাকেন। এছাড়াও দেশটিতে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে যাওয়া যায়। আপনারা যারা কুয়েত যেতে চাচ্ছেন 

অবশ্যই কুয়েত যেতে কত টাকা লাগবে সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যাবেন। তাহলে কুয়েত ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে আপনার জানা হয়ে যাবে। কুয়েত আমি বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন। এতে ভিসার দামের পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে বা খরচের পরিমাণ আপনার বেশি হবে। অবশ্যই যে কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন  এবং প্রয়োজনীয় 

কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে তাদের কাছে দিবেন তার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে দিবে। তাছাড়া আপনার যদি সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে তাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিতভাবে নজর রাখতে হবে। কুয়েত যখন তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে তখন আবেদন করতে হবে।

কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

কুয়েতে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে, সেই সম্পর্কে জানা আপনার জন্য আবশ্যক। কেননা এই ডকুমেন্টগুলো যদি না থাকে, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে সে সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট
  • জীবন বৃত্তান্ত
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • কাজের অনুমতিপত্র
  • কাজের চুক্তিপত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতায় সকল সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
  • কাজের প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
  • কাজের প্রমাণপত্র সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
  • করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো লাগবে। তাই কুয়েত ভিসা করার পূর্বে অবশ্যই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা কাগজপত্রগুলো যদি সঠিক না থাকে, তাহলে কুয়েত ভিসা আবেদন করতে পারবেন না অর্থাৎ আপনার কুয়েত যাওয়া হবে না। কুয়েত ক্লিনার ভিসা বেতন কত জানতে পড়ুন।

কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, আশা করি কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কুয়েত কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। আর এই ভিসা ক্যাটাগরি উপরে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে 
সেটা সাধারণত নির্ভর করে থাকে। কুয়েত ভিসার দাম কত সেটা যদিও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবেনা, তবে আনুমানিক অবশ্যই ধারণা পাবেন। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে আপনার আনুমানিক খরচ হতে পারে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কোন দালাল বা এজেন্সি সহযোগিতার মাধ্যমে করলে এর বেশিও লাগতে পারে। তবে দেশটির টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার দাম 

অনেকটাই কম হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কুয়েত যেতে কেমন টাকা লাগে, সে সম্পর্কে আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত জেনে নিতে পারেন।  

                        কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে 
ক্রমিক নং ভিসা ক্যাটাগরি ভিসার দাম (টাকায়)
০১ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা
০২ স্টুডেন্ট ভিসা প্রায় ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা
০৩ টুরিস্ট ভিস প্রায় ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাক

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি

কুয়েত কোন কাজে চাহিদা বেশি, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন।কুয়েত যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি রয়েছে, সেগুলো জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আগে থেকেই জানা থাকলে, সেই কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা যেতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। 

কুয়েতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি দক্ষতায় এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে নতুন অবস্থায় গিয়ে কাজের অভাব হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলোর বেশি চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে। কুয়েত প্রবাসীদের বেতন কত জানতে পড়ুন।

  • কনস্ট্রাকশনের কাজ
  • ইলেকট্রিশিযানের কাজ
  • মেকানিকালের কাজ
  • শেফের কাজ
  • ক্লিনারের কাজ
  • ওয়েল্ডিং এর কাজ
  • শপিংমলের কাজ
  • ড্রাইভিং কাজ
  • হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের কাজ
  • প্লাম্বারের কাজ
  • কোম্পানি জব ইত্যাদি।
কুয়েতে উপরে উল্লেখিত কাজগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে, তাই যাওয়ার পূর্বে কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। তাহলে প্রথম থেকেই ভালো বেতনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। কুয়েত কোন ভিসা ভালো জানতে পড়ুন।

কুয়েত ভিসার দাম কত টাকা

কুয়েত ভিসার দাম কত টাকা, সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষই ধারণা রাখেন না। তবে কুয়েতের ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ থেকে আপনি কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরির মাধ্যমে কুয়েত যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়া বর্তমানে অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আপনার পরিচিত কোন আত্মীয়-স্বজন থাকলে যাওয়া 

আপনার জন্য সহজ হবে বা খরচের পনিমাণটা কম হবে। এছাড়া কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যদি যান, খরচের পরিমাণ বেশি পড়বে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে কুয়েতের ভিসা করতে চাইলে আপনার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে ভিসা খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিতে পারেন।  

কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত

কুয়েতে ফ্রি ভিসারের দাম কত? সেটা জানার আগে, আপনাকে জেনে নিতে হবে, কুয়েত ফ্রি ভিসা বর্তমানে চালু রয়েছে নাকি বন্ধ রয়েছে সে সম্পর্কে। অনেক দালাল বা প্রতারক রয়েছে যারা কিছু সাধারন মানুষকে কুয়েত ফ্রি ভিসার কথা বলে প্রতারণা করে থাকেন। কুয়েত ফ্রি ভিসায় সাধারণত অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় যেমন নিজের ইচ্ছামত চাকরি করতে পারবেন। 

এছাড়াও ফ্রি ভিসার বেতন অন্যান্য ভিসার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।তবে দুঃখের বিষয় হলো কুয়েতে ফ্রি ভিসা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে অসংখ্য দালাল বা প্রতারক রয়েছে যারা কুয়েতের বিভিন্ন বন্ধ কোম্পানির নামে ফ্রি ভিসা বানিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই খুঁজে যাওয়ার পূর্ব অবশ্যই সঠিক তথ্যগুলো জেনে তারপরে যাবেন। কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম সাধারণত ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কুয়েতে কত বছর বয়স লাগে

যারা কুয়েত যেতে চাচ্ছেন, কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে অবশ্যই বিষয়টা জানা জরুরী। তাই চলুন কুয়েত দিতে কত বছর বয়স লাগে আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো বিস্তারিত দেখে নিন।
  • টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে কোন বয়সীমা নেই। তবে ১৮ বছরের কম হলে অনুমতি পত্র বা অভিভাবক লাগতে পারে।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা কুয়েত যেতে চাচ্ছেন, আপনাদের বয়স লাগবে ২১ বছরে এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হলে ভালো হয়। যদিও কাজের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর।

কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা?

কুয়েত বর্তমানে ভিসা খোলা রয়েছে। কুয়েত সরকার বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েত যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, কুয়েত যাওয়ার নিয়ম, কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে,কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে, কুয়েত ভিসার দাম কত টাকা, কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে, কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত এবং কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনারা যারা কুয়েত চাচ্ছেন অবশ্যই কুয়েত যেতে কেমন টাকা লাগে 

এবং কুয়েত ভিসার দাম কেমন সে সম্পর্কে জেনে যাবেন। এছাড়া কোন কাজগুলো চাহিদা রয়েছে, সে কাজের উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারে। তাহলে আশা করি, প্রথম থেকে ভালো পরিমান পেত না আশা করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url