মরিশাস ভিসার দাম কত এবং মরিশাস বেতন কত
মরিশাস দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে
অনেক প্রবাসী দেশটি যেতে চায়। কিন্তু মরিশাস ভিসার দাম কত এবং মরিশাস বেতন কত সে
সম্পর্কে প্রায় অনেকেই ধারণা রাখেন না। চলুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জেনে
নেওয়া যাক।
মরিশাস আফ্রিকার দক্ষিণ পূর্ব উপকূলের সন্নিকটে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত একটি
দ্বীপ দেশ। দেশটিতে ভালো পরিমাণ কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই যাওয়ার পূর্বে দেশটিতে
যেতে কত টাকা লাগে এবং মরিশাস ভিসার দাম কত, কোন কাজগুলো চাহিদা রয়েছে, সেগুলো
জেনে যাওয়া উচিত।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মরিশাস ভিসার দাম কত জানতে পড়ুন।
মরিশাস যেতে কত টাকা লাগে
মরিশাস যেতে কত টাকা লাগে, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে
অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, এই আর্টিকেল মাধ্যমে মরিশাস
যেতে খরচ কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে আশা করি যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি মরিশাস যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভিসা পেতে আপনার খরচের
পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে।
কেননা আপনাকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে পাসপোর্ট স্থানান্তর করে ভিসা সংগ্রহ করতে
হবে। তবে আমি চাইলে ভারতের এজেন্সি থেকে মরিশাসের ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। এখন
আপনাদের প্রশ্ন হলো মরিশাস যেতে কত টাকা লাগে? মরিশাস যেতে আপনারা খরচ হতে পারে
প্রায় সর্বনিম্ন ২ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আশা করি
মরিশাস যেতে কেমন খরচ হতে পারে, সে সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
মরিশাস সর্বনিম্ন বেতন কত
মরিশাস সর্বনিম্ন বেতন কত, আপনারা যারা দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন অবশ্যই জানা
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবেন অথচ সর্বনবম্ন বেতন কেমন
হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা নিবেন না, সেটা আপনার জন্য দুঃখজনক হতে পারে! একটি
দেশের সর্বনিম্ন বেতন কত,
সে সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে সেই দেশটি সম্পর্কে পরিমাপ করা
যায়। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে মরিশাস প্রবেশ করেন, তাহলে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন
প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তবে বেতন ধীরে ধীরে অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিতে পারেন।
মরিশাস ভিসার দাম কত
মরিশার ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে
খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে মরিশাসের ভিসার দাম কত সে
সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে পারবেন আশা করি। বাংলাদেশ থেকে আপনারা যারা
মরিশাস যেতে চাচ্ছেন অবশ্যই তিনটি মাধ্যমে যেতে পারবেন। এর একেকটা মাধ্যমের খরচ
একেক রকম হয়ে থাকে। চলুন মাধ্যম গুলো কি সেগুলো আগে জেনে নেই।
- দালাল
- এজেন্সি
- মরিশাস থেকে সরাসরি নিবে এমন লোক
উপরের এই তিনটির মাধ্যমে যেতে আপনার ভিন্ন ভিন্ন খরচ হতে পারে। দেশটি কেউ অবশ্যই
দালালের মাধ্যমে যাবেন, নয়তো এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন, আর না হয় সরাসরি মরিশাসের
লোকের মাধ্যমে যাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন মাধ্যমে গেলে মিরিশাসের
ভিসার দাম কেমন খরচ হতে পারে। সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে জানতে পড়ুন।
- আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে মরিশাসে কাজের ভিসা নিয়ে যান, তাহলে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে মরিশাসে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মতো।
- এছাড়া আপনি যদি মরিশাসের অবস্থান করছে এমন লোকের মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় দুই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আশা করি মরিশাসের ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মরিশাস যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
মরিশাস যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে বা ডকুমেন্টস গুলো লাগে সেগুলো সম্পর্কে জানা
প্রতিটি মরিশাস প্রবাসগামী মানুষের জন্য জরুরী। কেননা কাগজপত্রগুলো যদি সঠিক না
থাকে, তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না অর্থাৎ দেশটিতে আপনার যাওয়া হবে
না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেই।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- করোনা ভ্যাকসিন সনদ
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- কাজের অফার লেটার
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- তাদের দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি লাগে)
মরিশাস দেশটিতর যেতে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো লাগবে। তাই ভিসা করার পূর্বে
অবশ্যই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে দিতে পারেন। তাহলে পরবর্তীতে কাগজপত্র গুলো বা
ডকুমেন্টগুলো খুঁজতে ঝামেলা পোহাতে হবে না। ওমান যেতে কত টাকা লাগে জানুন।
মরিশাস কোন কাজের চাহিদা বেশি
মরিশাস কোন কাজের চাহিদা বেশি, সে সম্পর্কে জানাটা আপনাদের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে আপনি যদি কাজগুলো সম্পর্কে জেনে যেতে
পারেন, তাহলে সেই কাজের উপর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। মরিশাসে
বিভিন্ন ধরনের কাজে যে চাহিদা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাজগুলো কি সে
সম্পর্কে।
- রেস্টুরেন্টের কাজ
- কোম্পানি সেলারের কাজ
- ইলেকট্রনিক্সের কাজ
- ফার্নিচারের কাজ
- কনস্ট্রাকশনের কাজ
- ফুড প্যাকেজিং এর কাজ
- ক্লিনারের কাজ
- ড্রাইভিং কাজ
- উপরে উল্লেখিত কাজগুলোতে মরিশাসে ভালো পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। তাই দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে এসব কাজগুলোর উপরে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারেন। তাহলে প্রথম থেকেই বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কাতার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ জানুন।
মরিশাসে কোন কাজের বেতন কত
মরিশাসে কোন কাজের বেতন কত, আপনারা যারা দেশটিতে যেতে চাচ্ছেন অবশ্যই জেনে যাওয়া
প্রয়োজন। কেননা দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন অথচ বেতন কেমন সে সম্পর্কে জানবেন
না সেটা কেমন হয়ে যায় না? তাহলে চলুন জেনে নেই, মরিশাসে কোন কাজের বেতন গুলোর
পরিমাণ কেমন হয়ে থাকে সে সম্পর্কে।
কনস্ট্রাকশন কাজের বেতনঃ আপনি যদি কনস্ট্রাকশন কাজে মরিশাসে যেতে চান,
তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হতে পারে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেতন এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
ড্রাইভিং কাজের বেতনঃ মরিশাসে আপনারা যদি ড্রাইভিং কাজ করেন তাহলে প্রতিমাসে
সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। তবে ড্রাইভিং কাজের
পাশাপাশি আপনি অন্যান্য কাজগুলো করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া ক্লিনার, ফুড প্যাকেজিং,রেস্টুরেন্ট,ফার্নিচার ইত্যাদি কাজের বেতন প্রায়
৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইতালি স্পন্সর ভিসা সম্পর্কে জানতে পড়ুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য - মরিশাস ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, মরিশাস যেতে কত টাকা লাগে, মরিশাস
সর্বনিম্ন বেতন কেমন, মরিশাস ভিসার দাম কত, মরিশাস যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি এবং
মরিশাসে কোন কাজের বেতন কত ইত্যাদি সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক, মরিশাস ভিসার দাম
এবং কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং বেতনের পরিমাণ কেমন, খুঁটিনাটি বিষয়গুলো
ভালোভাবে জেনে তারপর যাওয়া উচিত। আশা করি উপরে আলোচ্য অংশটুকু মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url