নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা - নিমপাতার গুণাগুণ ও ব্যবহার

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা, শরীর ও ত্বকের যত্নের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, সে সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। চুল, ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে নিমপাতার উপকারিতা জানতে, এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিচে পড়তে পারেন।
প্রতিটি মানুষ চায় সুন্দর ও মসৃণ ত্বক পেতে। আর সেজন্য আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়াটা খুবই জরুরী। প্রতিনিয়ত ত্বকের জন্য কেমিক্যালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে, কেননা সৌন্দর্য বন্ধনকারী প্রাকৃতিক উপকরণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে চলুন প্রাকৃতিক উপকরণ নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা নিচে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা জানতে পড়ুন

ত্বক উজ্জল ও মসৃণ করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ

ত্বক উজ্জল ও মসৃণ করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। আপনারা যারা এই প্রাকৃতিক উপাদানের উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, আশা করি নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জলতা ও মসৃণতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে নিচে জানতে পড়ুন।

  • আপনি যদি কাঁচা হলুদ বাটা, চালের গুড়া, বেসন এবং টক দই একসাথে মিশিয়ে আপনার মুখে এবং গলায় লাগিয়ে দেন। তারপরে শুকিয়ে গেলে হালকা ঘষে তুলে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি যদি আপনি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধি পাবে।
  • কাঁচা হলুদ বাটা, মুসুর ডাল বাটা, মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে, আপনি যদি ত্বকে লাগাতে পারেন। এভাবে আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
  • এছাড়াও কাঁচা হলুদ এবং শুকনো কমলার খোসা একত্রে করে ভালো করে মিশিয়ে বেটে, আপনি যদি শরীরে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো ফল পেতে পারেন।  ত্বকের যত্ন, রূপচর্চা, চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার জানতে পড়ুন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারীতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। শরীর এবং ত্বকের মসৃণতার জন্য 

প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল এর পরিমাণ বেড়েই চলেছিল কিন্তু বর্তমানে অনেকটাই কমে গিয়েছে। কেননা প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে।

  • আপনার মুখের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের মতো প্রিয় বন্ধু আর কোথাও পাবেন না।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের বড়ি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা করতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে।
  • কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিজেন রয়েছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা ব্যবহারের ফলে একজন মানুষের বার্থক্য জনিত নানাবিধ সমস্যার প্রতিরোধ করে কোনো রকম প্বার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ শরীরের পরিপাক যন্ত্রকে সচল রাখে এবং বিপাক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে থাকে।
  • নিমপাতা শরীরের এলার্জিজনিত সমস্যাগুলো, উদাহরণস্বরূপ: চুলকানি,ফুসকড়ি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • চোখের কালো দাগ দূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতার অপকারিতা জানতে পড়ুন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট যেভাবে তৈরি করবেন

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করার আগে আপনাকে জানতে হবে কি কি উপকরণগুলো লাগবে সে সম্পর্কে। কেননা উপকরণগুলো সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করতে পারবেন না। তাহলে চলুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জেনে নেই কিভাবে পেস্ট তৈরি করা যায় সেই সম্পর্কে। যেসব উপকরণগুলো লাগবে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • নিমপাতা গুড়ো
  • কাঁচা হলুদ বাটা
  • মসুর ডাল বাটা
  • মধু
  • কাঁচা দুধ
উপরে উল্লেখিত এসব উপকরণগুলো একসঙ্গে করে ব্লেন্ডিং অথবা পাটায় বেটে নিতে পারেন তারপর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রোদে শুকিয়ে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন এবং ঠান্ডা জায়গাতেই রাখতে হবে। আপনি প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে যেভাবে ফেসপ্যাক বানাবেন

কিভাবে ফেসপ্যাক বানাবেন সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আপনি প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বাসায় বসে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন। 
শুধুমাত্র জানতে হবে আপনাকে বানানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপকরণগুলো লাগে সেই সম্পর্কে।

  • নিমপাতা ৮-১০টি
  • কাঁচা হলুদ
  • তুরসী পাতা
  • মুলতানি
  • চন্দন
  • লবঙ্গ
  • কর্পূর
উপরে উল্লেখিত উপকরণগুলো ভালোভাবে বেটে নিয়ে আপনি খুব সহজেই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন।আশাকরি সহজেই বুঝতে পেরেছেন। নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম জানতে পড়তে পারেন। 

নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। নিমপাতা ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। এটি আপনার ত্বক পরিষ্কার করবে, ব্রণ ও দাগ দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। কিভাবে ত্বক ফর্সা হবে, নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওযার উপায় নিচে উল্লেখ করে দেওযা হলো।

নিমপাতার পেস্টঃ প্রথমে কিছু তাজা নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপরে সেই পেস্ট মুখে ও গলায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর আপনাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে আপনি যদি পেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বক পরিষ্কার থাকবে এবং আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

নিম ও হলুদের মিশ্রণঃ নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি আপনার মুখে মেখে ২০ মিনিটে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিম পাতা এবং হলুদে থাকায অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালেটরি এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ আপনার ত্বককে ফর্সা ও মসৃণ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।

নিম মুলতানি মাটির প্যাকঃ ১ চামচ নিমপাতা পেস্ট এবং দুই চামচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে আপনাকে প্যাক তৈরি করতে হবে। এই প্যাকটি যদি আপনি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে ধুয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করবে এবং ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

নিম পাতার টোনারঃ নিম পাতার পানি ফুটিয়ে সেই পানি যদি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন অর্থাৎ স্প্রে বোতলে। এই পানি যদি নিয়মিত মুখে ব্যবহার করেন, আপনার ত্বক টানটান রাখবে এবং ত্বকের দাগ ও ছোপ কমাতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করবে। চুলের জন্য নিমপাতার উপকারিতা জানতে পড়ুন। 

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে কি হয়

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে কি হয়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ আপনি যদি মুখে মাখেন তাকে তাহলে ত্বকের অনেক উপকারিতা পাবেন। নিমপাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাংগাল এবং ভিটামিন। যা আপনার ত্বকের ব্রণ, ফুসকড়ি এবং অন্যান্য সংক্রমণ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকবে। 

এছাড়া কাঁচা হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ ও লালচে ভাব দূর করে থাকে।এ দুটো উপকরণ আপনার ত্বকের দাগ- ছোপ পিগমেন্টেশন কমাবে। তারাও ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা বৃদ্ধি করে তুলবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতে নিম পাতার উপকারিতা জেনে নিতে পারেন। 

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ খেলে কি হয়, সে সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

  • নিম পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল গুণ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে এবং রক্ত পরিষ্কার করবে।
  • আপনার ত্বকের সমস্যাগুলো যেমন: দাউদ, ফুসকড়ি, ব্রণ ইত্যাদি কমাতে বেশি ভাবে সাহায্য করবে।
  • নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়ক হবে।
  • কাঁচা হলুদে থাকা আন্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ আপনার শরীরের প্রদাহ কমাবে, হজম শক্তি উন্নত করবে এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে থাকবে।
  • কাঁচা হলুদ আপনার রক্ত পরিষ্কার করবে এই শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করবে।

আপনি যদি উপরে দুটি উপাদান একসঙ্গে খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে ব্যহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে পার্থক্য সৃষ্টি হতে পারে।

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের গুণাগুণ জানুন

নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই ধারণা রাখি না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদে যেসব গুণাগুণগুলো রয়েছে, সেগুলো আপনাদের জানানোর সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

নিমপাতার গুণাগুণ

  • ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে
  • ফাংগাল ইনফেকশন এবং দাদ রোগ নিরাময়ের জন্য খুবই কার্যকরী উপাদান।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তোলে
  • রক্তের টক্সিন দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে
  • রক্তে সর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
  • চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে খুবই কার্যকর।
  • মুখের দুর্গন্ধ কমাতে খুবই কার্যকর
  • ত্বকের ক্ষত এবং প্রদাহ নিরাময়ের সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • হজম শক্তি উন্নত করে থাকে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।

কাঁচা হলুদের গুণাগুণ

  • শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
  • কাঁচা হলুদ বার্থক্য ও প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • সর্দি-কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে
  • কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ রোগের ঝুকি হ্রাস করে থাকে।
  • মুখের দাগ ও ছোপ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে

ব্রণের জন্য নিমপাতার ব্যবহার

ব্রণেন জন্য নিম পাতার ব্যবহার একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিমপাতাতে যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা ব্রণের সংক্রামন এবং প্রদাহ কমাতে বিশোষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্রনের জন্য নিম পাতা ব্যবহারের কিছু উপায় আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
নিম পাতার পেস্টঃ তাজা নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে, এরপর পেস্টটি সরাসরি ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনার ব্রণের উপরে রেখে দিন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনারা ব্রনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ব্রণের প্রদাহ কমে গিয়েছে।

নিমের ফেসপ্যাকঃ অল্প কিছু নিম পাতা বেটে তার সাথে মুলতানি মাটি ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। এরপর সেই প্যাকটি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিটে রেখে দিন, শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে আপনার ত্বকে থাকা অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে আসবে এর ফলে ব্রণ প্রতিরোধের সাহায্য করবে।

নিমের তেলঃ নিমের তেল যদি আপনি সরাসরি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে দিতে পারেন, তাহলে ব্রণ দ্রুত শুকিয়ে যাবে এবং ত্বক সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।

নিমের টোনারঃ নিমপাতা পানি ফুটিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। প্রতিদিন সেই পানি মুখ ধৌত করার সময় ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বক টানটান করবে।

নিমপাতার ব্যবহার ত্বক,চুল ও সাস্থ্য রক্ষার্থে

নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই ধারণা নিতে চান, তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে ত্বক,চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

  • নিমপাতার ত্বকের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না, আপনি যদি নিমপাতা থেঁতো করে বেটে সংক্রামিত স্থানে লাগাতে পারেন উপকার পাবেন।
  • মাথার ত্বকে অনেকেরই দেখা যায় চুলকানির ভাব হয়। আপনি যদি নিম পাতার রস মাথায় প্রতিনিয়ত লাগিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার চুলকানি কমে যাবে এবং চুল শক্ত হবে, চুলের শুষ্কতা কমে যায় নতুন চুল গজাবে।
  • শুধুমাত্র আপনার চুলের জন্য নয়, ত্বকের চুলকানিতেও যদি নিমপাতা বেটে লাগান তাহলে ভালো উপকার পাবেন।
  • আপনি যদি নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।
  • যাদের গায়ে গন্ধ এবং চুলকানি রয়েছে আপনারা নিমপাতা সিদ্ধ করা পানি, গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করলে উপকারিতা পেতে পারেন।
  • নিমপাতার ডাল দাঁতের জন্য খুবই উপকারী এতে মুখের দুর্গন্ধ এবং রোগজীবাণু ধ্বংসে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • নিমপাতা রোদে শুকিয়ে নিলে পরবর্তীতে ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

লেখের শেষ মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, ত্বক উজ্জল ও মসৃণ করতে কাঁচা হলুদ, নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা, কাঁচা হলুদের যেভাবে তৈরি করতে হয়,কিভাবে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে হয়, নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে কি হয় ইত্যাদি সম্পর্কে। উপরে আলোচ্য অংশটুকু পড়ে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আশাকরি পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url