রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত জানুন
রয়েল এনফিল্ড বাইক দুই চাকার জগতে ঐতিহ্য ও রাজকীয়তায় অভিহিত। আপনি কি রয়েল
এনফিল্ড বাংলাদেশ দাম কত, কোন দেশে তৈরি এবং জনপ্রিয় মডেল গুলো কি, সে সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য নিচে পড়তে থাকুন।
রয়েল এনফিল্ড বাইক বর্তমানে জনপ্রিয় একটি বাইকের নাম। সম্প্রীতি বাইকটি কিছুদিন
আগে বাংলাদেশে লঞ্চ করেছে। যার ফলে বাইক প্রেমিদের কেনার হিরিক পড়ে গিয়েছে। তবে
বাইকটি কেনার পূর্বে অবশ্যই জেনে শুনে কিনতে পারেন। রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ
দাম কত, এই আর্টিকেলটিতে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পড়ুন
- রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত
- রয়েল এনফিল্ড বাইক কোন দেশে তৈরি করা হয়
- রয়েল এনফিল্ড বাইকের কোন মডেলগুলো জনপ্রিয়
- রয়েল এনফিল্ড বাইক কেনার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
- রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে কবে আসছে
- বাংলাদেশের কারা আনলো এনফিল্ড বাইকটি
- রয়েল এনফিল্ড বাইক মাইলেজ কত?
- রয়েল এনফিল্ড লং রাইডের জন্য কি উপযুক্ত?
- রয়েল এনফিল্ড বাইকের সার্ভিস ইন্টারভ্যাল কত
- রয়েল এনফিল্ড বাইক কি অফ লোডিং এর জন্য ভালো?
- লেখকের শেষ মন্তব্য
রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত
রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্ধে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়লে, আশা করি রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত, সে সম্পর্কে
যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রয়েল এনফিল্ড বাইক
বাংলাদেশ দাম কেমন হয় সে সম্পর্কে।
ক্রমিক নং | বাইকের নাম | ক্লাসিক | বাইকের দাম শুরু |
---|---|---|---|
০১ | রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক | ৩৫০ | ৪.০৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু |
০২ | বুলেট | ৩৫০ | ৪.১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু |
০৩ | হান্টার | ৩৫০ | ৩.৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু |
রয়েল এনফিল্ড বাইক কোন দেশে তৈরি করা হয়
অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন রয়েল এনফিল্ড বাইক কোন দেশে তৈরি করা হয়। আপনারা
জানার জন্য সঠিক জায়গাটিতেই এসেছেন। রয়েল এনফিল্ড বাইক মূলত ভারতীয় একটি
কোম্পানি। তবে যদিও এর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে যুক্তরাজ্য। রয়েল এনফিল্ড বাইকগুলো
বর্তমানে ভারতের চেন্নাই শহরে তৈরি করা হয়ে থাকে।
রয়েল এনফিল্ড বাইকের কোন মডেলগুলো জনপ্রিয়
রয়েল এনফিল্ড বাইক সবার কাছেই জনপ্রিয়। তবে সব মডেলগুলোই একজন মানুষের কাছে
পছন্দ হতে পারে না। একেক জন মানুষের কাছে একেক রকম বাইকের মডেল পছন্দ হয়ে থাকে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রয়েল এনফিল্ড এর কিছু জনপ্রিয় কিছু মডেল গুলো
সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
ক্রমিক নং | বাইকের নাম | ক্লাসিক |
---|---|---|
০১ | রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক | ৩৫০ |
০২ | রয়েল এনফিল্ড বুলেট | ৩৫০ |
০৩ | রয়েল এনফিল্ড মেথিওর | ৩৫০ |
০৪ | রয়েল এনফিল্ড ইন্টারসেপ্টর | ৬৫০ |
০৫ | রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান | ৪৫২ |
রয়েল এনফিল্ড বাইক কেনার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
রয়েল এনফিল্ড বাইক কেনার সময় আপনি যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন, সেগুলো জানা
আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার পছন্দের বাইকটি যখন কিনবেন অবশ্যই
অনেক অর্থ খরচ করে কিনবেন। তাই কেনার সময় যে যে বিষয়গুলো আপনার জন্য লক্ষনীয়
সেগুলো জেনে নিতে পারেন।
- বাইকের ইঞ্জিন ক্ষমতা অর্থাৎ (CC)
- ফুয়েল ইকোনোমি
- বাইকের ওজন কেমন এবং হ্যান্ডেলিং
- সার্ভিসিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
- বাজেট অনুযায়ী সঠিক মডেল নির্বাচন
রযেল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত সে সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন। তবে রয়েল
এনফিল্ড এর চাহিদারের সাথে সাথে এবং সময়ের পরিবর্তনের দামের কিছুটা কম বেশি হতে
পারে। তাই কেনার সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কিনতে পারেন।
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে কবে আসছে
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে এসেছে ২১ অক্টোবর ২০২৪। বাংলাদেশের পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০
সিসি রয়েল এনফিল্ড বাইকটি।
বাংলাদেশের কারা আনলো এনফিল্ড বাইকটি
বাংলাদেশের বাজারে প্রথম রয়ের এনফিল্ড আনলো দেশীয় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ইফাদ
মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছেন যে, উৎপাদনের জন্য কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব
ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যা বিশ্বমানের মোটরসাইকেল
উৎপাদন করার জন্য সক্ষম। বাংলাদেশের সাধারণত এতদিনে ১৬৫ সিসির অধিক মোটরসাইকেল
চালানো নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তবে গতবছর বাংলাদেশের ৩৭৫ সিসি মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দিয়ে থাকে সরকার। তবে
শর্ত রাখা হয় যে, এই মোটরসাইকেলগুলো দেশে উৎপাদিত হতে হবে। নীতিমালা শিথিল করার
জন্য দেশের বাইকপ্রেমীদের জনপ্রিয় রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলটির চাহিদের কথা
বিবেচনা করে বাংলাদেশেই এই বাইক উৎপাদন ও বিপণনের ঘোষণা দিয়ে থাকে ইফাদ মটরস। তথ্যটি প্রবাসী দিগন্ত ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহিত।
রয়েল এনফিল্ড বাইক মাইলেজ কত?
রয়েল এনফিল্ড বাইকের বিভিন্ন মডেল রয়েছে, একেকটা মডেলের মাইলেজ এক এক রকম হয়ে
থাকে বা ভিন্ন হতে পারে। আপনাদের যদি উদাহরণস্বরূপ বলিঃ
- রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর মাইলেজ হচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার।
- রয়েল এনফিল হিমালয়ের মাইলেজ হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার।
রয়েল এনফিল্ড লং রাইডের জন্য কি উপযুক্ত?
অনেক বাইক লাভার রযেছেন, যারা লং ড্রাইভের জন্য বাইক পছন্দ করে থাকেন। তারা
অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন যে রয়েল এনফিল্ড বাইক নিয়ে লং রাইড করা যাবে
কিনা। হ্যাঁ, আপনি রয়েল এনফিল্ড বাইক দিয়ে লং ড্রাইভ করতে পারেন, এটা আপনার
জন্য খুব ভালো উপযুক্ত একটা বাইক। কেননা রয়েল এনফিল্ড এর আরামদায়ক আসন, মজবুত
গঠন এবং ইন্জিন ক্ষমতা আপনার লং ড্রাইভ আরামদায়ক হবে।
রয়েল এনফিল্ড বাইকের সার্ভিস ইন্টারভ্যাল কত
রয়েল বাইক বাইকাররা জানার আগ্রহ করেন যে,রয়েল এনফিল্ড বাইক সার্ভিস ইন্টারভিউ
কেমন সে সম্পর্কে। আমাদের জানার সুবিধার্থে,
রয়েল এনফিল্ড বাইকের প্রথম সার্ভিস
৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পরে করা হয়ে থাকে। এর পরবর্তী সার্ভিস করা হয়ে থাকে
সাধারণত প্রতি ৫০০০ কিঃমি পরপর। তবে এই বাইকটির মডেল এবং ব্যবহারের উপরে নির্ভর
করে পরিবর্তিত হতে পারে।
রয়েল এনফিল্ড বাইক কি অফ লোডিং এর জন্য ভালো?
রয়েল এনফিল্ড হিমালয়ান মডেলের বাইকটি সাধারণত অফ-রোডিংয়ের জন্য ডিজাইন করা
হয়েছে। গাড়িটির গঠন উচ্চ সাসপেনশন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন বাইকটিকে চমৎকার
অফ-রোডিংয়ের জন্য পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম করে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য - রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ সম্পর্কে
উপরের আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ দাম কত,
রয়েল এনফিল্ড বাইক কোন দেশে তৈরি করা হয়ে থাকে, রয়েল এনফিল্ড বাইকের কোন মডেল
গুলো বেশি জনপ্রিয়, রয়েল এনফিল্ড বাইক কত কিলোমিটার যায় এবং রয়েল এনফিল্ড বাইক
লং ড্রাইভের জন্য উপযুক্ত কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনি যদি রয়েল এনফিল্ড বাইকটি
কিনতে চান
অবশ্যই কেনার সময় যাচাই-বাছাই করবেন। কেননা সমযের পরিবর্তে দাম কম বেশি হতে পারে।
আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে বলেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে
উপকৃত হয়ে থাকলে বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url