তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
তেঁতুল মিষ্টি এবং টক হওয়ার কারণে জনপ্রিয় একটি ফল। বিশেষ করে মেয়েদের কাছে
খুবই পছন্দের একটি ফল। তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেগুলো
সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। চলুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নি তেঁতুল খাওয়ার
উপকারিতা জেনে নেই।
তেঁতুল প্রায় সকলের পছন্দের ফল বলে,তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই
জানতে চান। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়। কি কি ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে
যাবতীয় তথ্যগুলি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে নিচে জেনে নিতে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ তেতুল খাওয়ার উপকারিতা জানতে পড়ুন
- তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
- তেঁতুল খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
- ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেঁতুল
- পিরিয়ডের সময় তেতুল খেলে কি হয়
- খালি পেটে তেঁতুল খেলে কি হয়
- তেঁতুলের কোন এসিড থাকে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ
করে থাকেন। তাই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে, আশা
করি তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তেঁতুল খাওয়ার
ফলে শরীর স্বাস্থ্যর জন্য প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও তেঁতুলের
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে,
যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। তবে তেঁতুলের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু
অপকারিতা যা আপনারা, এই পোস্টের মাধ্যমে নিচে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে
নেই তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কলমি শাকের উপকারিতা এবং কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক জানুন।
তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি
করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তেঁতুলে, যেসব উপকারিতা রয়েছে সেগুলো
সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে পারবেন। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পুষ্টিগুণ
ও ভেষজ গুণ। এছাড়াও তেঁতুলের পাতা,সাল, কাচা ও পাকা ফলের খোসা এবং তেঁতুলের বিচি
সবকিছুই মানুষের জন্য উপকারি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, তেঁতুল খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে।
হজম জনিত সমস্যা দূর করে থাকেঃ তেঁতুল নিমমিত খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি
পায়। কেননা তেঁতুলে রয়েছে ফাইবার, ম্যালিক এবং টারটারিক এমিড। যা অন্ত্রের
গতিবিধি সহজ করে থাকে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলো সমাধান
করতে পারে তেঁতুল। হজমের সমস্যাগুলো দূর করতে তেঁতুলের ভূমিকা অপরিসীম।
লিভারের সমস্যা দূর করেঃ তেঁতুল একটি খনিজ সমৃদ্ধ ফল। যা শরীরের
অক্সিডেটিভ কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া তেঁতুলে ভিটামিন এবং
সেলেনিয়াম থাকার কারণে লিভারের লিপিড সামগ্রীগুলোকে ফ্রি Radical আক্রমণ থেকে
রক্ষা করে থাকে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ তেঁতুল ফাইবার সমৃদ্ধি হওযায় রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। এটি শরীরের ভেতরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে
থাকে। যার ফলে দেহের হার্ট ভালো থাকে। হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিতভাবে পরিমাণমত
তেঁতুল খেতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ তেঁতুল রক্তে শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের
কার্বোহাইড্রেট শোষণ সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তেঁতুল
বেশ উপকারী একটি ফল। তেঁতুল গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে থাকে। কেননা তেতুলে
রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরির বৈশিষ্ট্য।
চোখের জন্য উপকারীঃ তেঁতুল চোখের ভালোর জন্য ড্রপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে
থাকে। এটি সাধারণত কনজেক্টিভাইটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকে। সেই প্রাচীন কাল
থেকেই চোখের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য তেঁতুল ব্যবহৃত হতো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ তেতুলের রস খপনার শরীর স্বাস্থ্যর জন্য
জাদুর মত কাজ করতে পারে। তাছাড়া সর্দি-কাশি দূর করতে ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। যা আপনার রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকবে। তেঁতুলে অ্যান্টিসেপটিক
বৈশিষ্ট্যগুলি থাকার কারণে শরীর জীবাণুমুক্ত থাকে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করেঃ তেঁতুলে সক্সলেট মিথেনলিক এক্সট্রাক্ট
থাকার কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। তেঁতুল উচ্চ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে ক্যান্সারের কোষগুলো নির্মূল করতে কার্যকরী
ভূমিকা রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তেঁতুল অনেকটাই কার্যকরী একটি
উপাদান। ওজনের পরিমাণ বেশি হলে, একজন মানুষের হৃদরোগ,কিডনি এবং লিভারের সমস্যা
গুলি বেড়ে গিয়ে থাকে। এছাড়া তেঁতুল খাওয়ার ফলে শরীরের ভালো কোলেস্ট্ররল বৃদ্ধি
পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়।
সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করেঃ তেঁতুল আপনার দেহের এলার্জির প্রতিরোধক
হিসেবে কাজ করতে পারে। কেননা তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে থাকে। সর্দি কাশি সারাতে তেঁতুল খাওয়ার কোন বিকল্প নেই তবে অবশ্যই
পরিমাণ মতো খেতে হবে।
চুলের যত্নে তেঁতুলঃ চুলের যত্নে তেঁতুল একটি উপকারী ফল। তেঁতুলের রস আপনি
যদি মাথায় লাগান, তাহলে চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও তেঁতুলে যে
ভিটামিন সি রয়েছে, সেগুলো চুলের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে। টমেটোর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন।
তেঁতুল খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
তেঁতুল খাওয়ার ক্ষতিকর দিক, সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ ইচ্ছে পোষণ
করেন, আপনারা উপরে তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে
তেঁতুল খাওয়ার কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই ধারণা
রাখেন না। এই পোষ্টের মাধ্যমে তেঁতুল খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে
নিতে পারেন।
- কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে, সেগুলো ঔষুধ খাওয়ার সাথে আপনি যদি তেঁতুল খান, তাহলে আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
- অতিরিক্ত পরিমাণ তেঁতুল খাওয়ার ফলে, রক্তের সিরাম গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে আপনার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
- তেঁতুল খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকার কারণে, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খান, তাহলে শরীরের ক্ষতির পাশাপাশি দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে পারে।
- প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে আপনার পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
তেঁতুল প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে পছন্দের একটি ফল। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়
গর্ভবতী মহিলাদের কাছে এই টক জাতীয় তেঁতুল ফলটি ভীষণ প্রিয়। তবে গর্ভাবস্থায়
তেঁতুল খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। বিশেষজ্ঞরা মনে
করে থাকেন, গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া যাবে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত
পরিমাণ নয়। কেননা গর্ভাস্থায় বেশি পরিমাণ
তেঁতুল খাওয়া একজন মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা
গিয়েছে যে, গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রোজেস্টেরন উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে দিয়ে থাকে।
আর প্রোজেস্টেরণ কমে যাওয়ার ফলে শিশু সময়ের আগেই জন্ম আশঙ্কা অর্থাৎ প্রিথার্ম
বার্থের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কাও হতে
পারে।
- তাই গর্ভাবস্থায় তেঁতুল পরিমাণমতো খেতে পারেন, অত্যধিক পরিমাণ খাওয়া কোন জিনিস আপনার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
- প্রতিদিন তেঁতুল না খাওয়াটাই আপনার জন্য ভালো, তবে ১০ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
- সকালে খালি পেটে কোনভাবেই তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়।
- যদি তেঁতুল খেতে হয়, তবে খাবার গ্রহণের আধা ঘন্টা পর তেঁতুল খেতে পারেন।
ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বেশি পরিমাণ ওজন হওয়ার ক্রণে মানুষের নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই
আপনারা যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, এই পোস্টটি নিচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে
পারেন। কিভাবে তেঁতুল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি, আপনার অতিরিক্ত পরিমাণ ওজন কমাতে
পারেন
সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমাতে কার্যকরী
ভূমিকা রাখবে কিন্তু আপনাকে জানতে হবে খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে ওজন
কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তেঁতুলের শরবতঃ তেঁতুলের শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে
পারেন। এর ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যাগুলো দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি
করতে সাহায্য করবে। যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
খাবারের সাথেঃ খাবারের সাথে তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনারা পেট দীর্ঘক্ষণ পেট
ভরা রাখবে যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করবে। এর ফলে আপনার ওজন কমতে পারে।
নাস্তা হিসাবেঃ তেঁতুল আপনি নাস্তা হিসেবে শুকনো খেতে পারেন, এতে আপনার
শরীরে শক্তি দেবে এবং খুদা নিয়ন্ত্রণ করবে। যার ফলে ওজন কমতে পারে।
সতর্কতাঃ প্রয়োজনের তুলনায় কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত
নয়, এতে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ওজন কমাতে শুধুমাত্র তেঁতুলই নয় ওর সাথে আরো অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো
গ্রহণ করা উচিত। উদাহরণস্বরূপঃ ফল, চর্বিহীন সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি। খালি পেটে তুলসি পাতা খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক জানুন।
গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নটা গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন মায়ের মনে
জেগে থাকে। কেননা এমনিতেই মহিলারা টক জাতীয় ফল বেশি পছন্দ করে থাকেন। সেটা যদি
হয় তেঁতুল তাহলে তো কথাই নেই। গর্ভাবস্থায় আপনি নিঃসন্দেহে তেঁতুল খেতে পারেন।
এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেঁতুল
খাওয়া আপনার জন্য কখনোই ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী তেঁতুল খাওয়া আপনার জন্য ভালো হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেঁতুল
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে তেঁতুল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তেঁতুল আমাদের
দেশের টক জাতীয় ফল হলেও সারা বছর এই ফলটি পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করে থাকেন যে,
তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর এবং খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়।
কিন্তু ধারণাটি সঠিক নয়, তবে হ্যাঁ পরিমাণ মতো খেতে হবে। কখনোই প্রয়োজনের
তুলনায় বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ এবং
ভেষজগুল রয়েছে, যা আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
পিড়িয়ডের সময় তেঁতুল খেলে কি হয়
পিড়িয়ডের সময় তেঁতুল খেলে কি হয়, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকে মহিলারাই
জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। এমন প্রশ্নটা প্রায় প্রতিটি মহিলার মাঝেই জানার
আগ্রহ জাগে। অনেকের মুখে শোনা যায় যে, পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে ব্লিডিং এর
পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। তবে এসবের বৈজ্ঞানিকভাবে কোনো প্রমাণ নেই। এক কথায় বলতে
গেলে ঋতুকালে
এমন কোন খাবারের সম্পর্ক নাই ঋতুস্রাব বেশি হবে। তাই বলাই যায় যে, মহিলাদের জন্য
পুষ্টিকর একটি ফল। এছাড়াও অনেকে মনে করে থাকেন যে, তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে
যায়, এটারও কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা জানুন।
খালি পেটে তেতুল খেলে কি হয়
তেঁতুল খেতে যারা পছন্দ করে থাকেন বা পছন্দের একটি ফল। আপনাদের খালি পেটে তেঁতুল
খেলে কি হয়, সে সম্পর্কে ধারণা রাখাটা খুবই জরুরী। কেননা তেঁতুল হচ্ছে এসিডিক
জাতীয় ফল,যার ফলে খালি পেটে খাওয়া একেবারেই আপনার জন্য উচিত নয়। কেননা আপনি
যদি তেঁতুল খালি পেটে খেয়ে থাকেন তাহলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে।
খালি পেটে তেঁতুল
খাওয়ার উপকারিতার চাইতে অপকারিতা পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। তাই খালি পেটে তেঁতুল
খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলাই উচিত। খালি পেটে তেঁতুল খেলে আপনার যা যা হতে পারে নিচে
উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- খালি পেটে তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার পেশাল লো হয়ে যেতে পারে।
- খালি পেটে তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার পিত্তথলিতে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- নিয়মিত তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণ তেতুল খাওয়ার ফলে, আপনার জন্ডিসের মত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।
- খালি পেটে তেতুল খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমে যেতে পারে
- খালি পেটে তেঁতুল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
তেঁতুলে কেন এসিড থাকে
তেঁতুলে কোন এসিড থাকে, সে সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই প্রশ্ন থেকে যায়।
জানার ক্ষেত্রে হোক বা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যই হোক অনেকেই জানতে চান। তাই
আপনাদের জানার সুবিধার্থে তেঁতুলে কোন এসিড থাকে সেটি নিচে উল্লেখ করে দেওয়া
হচ্ছে। কাঁচা পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং যত পুষ্টিগুণ জানুন।
- তেঁতুলে থাকে হচ্ছে টারটারিক এসিড।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায়
তেঁতুল খেলে কি হয়, ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়মগুলো, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
তেতুলের ভূমিকা, পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে কি হয় এবং খালি পেটে তেঁতুল খেলে কি
হতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে। তেঁতুল খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু
অপকারিতাও রয়েছে।
তাই প্রয়োজনে তুলনায় কখনোই অতিরিক্ত পরিমান তেঁতুল খাওয়া
উচিত হবে না। আশাকরি উপরের আলোচ্য অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে
পেরেছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url