আমেরিকার মাথামিছু আয় কত জানুন
আমেরিকা বিশ্বের বুকে উন্নত একটি দেশ। আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত, সে সম্পর্কে
প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানতে চান। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় ইন্ডিয়ানদের নিকট
আমেরিকা স্বপ্নের দেশ। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমেরিকার মাথাপিছু আয় সম্পর্কে
জেনে নিতে পারেন।
আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে মিশ্র অর্থনীতির একটি দেশ। আমেরিকা ২০১৯ সালের গবেষণা অনুযায়ী পৃথিবীর সর্বোচ্চ দশম জিডিপির একটি দেশ। এছাড়াও প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও অনেকটা এগিয়ে। এই পোস্টটিতে আমেরিকার মাথাপিছু আয় সম্পর্কে জানতে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত জানতে পড়ুন
- আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত
আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত
আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে
সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে, এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়লে, আশা করি আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত সে সম্পর্কে জেনে নিতে
পারবেন। আমেরিকা অন্যান্য দেশের চাইতে অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেকটাই
এগিয়ে রয়েছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি করার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে
প্রযুক্তি খাত।
- কম্পিউটার সাইন্স
- ফার্মাসিটিক্যালস
- চিকিৎসা বিজ্ঞান
- মহাকাশ ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরি।
আমেরিকান সরকারি মুদ্রার নাম হচ্ছে ডলার যা বিশ্বে সর্ববহুল ব্যবহারিত
আন্তর্জাতিক মুদ্রা। অনলাইন এবং অফলাইনে প্রায় সবখানে ডলার ব্যবহার করা হয়ে
থাকে। এই মুদ্রা হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিজার্ভ মুদ্রা। তবে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য অংশিদার দেশ হচ্ছে, কানাডা টাকার মান কত জানুন।
- জাপান
- ভারত
- মেক্সিকো
- চীন
- কানাডা
- জার্মানি
- দক্ষিণ কোরিয়া
- ফ্রান্স
- তাইওয়ান
- যুক্তরাজ্য
আমেরিকা দেশটি হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আমদানিকারক একটি দেশ এবং বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আমেরিকা দেশটির ২০১৯ সালের মাথাপিছু আয়ের গবেষণা
অনুযায়ী বিশ্বে দশম। এবং ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত আমেরিকার আয় দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২০.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায়
দাঁড়ায় প্রায় ২২,৮৪৯,৪৬৫,৬০০,০০০ টাকা। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমেরিকার
মাথাপিছু আয় কত সেটি তুলে ধরা হচ্ছে।
- ২০১৮ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৩.০%
- ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ২.২%
- ২০২০ সালে মাথাপিছু আয় ছিল -৪.৩%
- ২০২১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৩.১%
আমেরিকার বিভিন্ন খাত অনুযায়ী জিডিপি যেমন ছিল দেখুন
- কৃষি খাতে জিডিপি ছিল ০.৯%
- শিল্প খাতে জিডিপি ছিল ১৮.৯%
- পরিষেবা খাতে জিডিপি ছিল ৮০.২%
আমেরিকার বিভিন্ন বিষয় অনুযায়ী ২০১৭ সালের মাথাপিছু খরচের পরিমাণ।
- সরকারি খাতে খরচ ছিল ১৭.৩%
- গৃহস্থালি খাতে খরচের পরিমাণ ছিল ৬৮.৪%
- উদ্ভাবনগুলোতে খরচ ছিল ০.১%
- পণ্য ও পরিষেবার রপ্তানি খাতে খরচ ছিল ১২.১%
- পণ্য ও পরিষেবা আমদানি খাতে খরচ ছিল -১৫%
আমেরিকার ২০১৫ সালের অন্তর্গঠিত মূল্য ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ওআইসি যেসব সদস্য
দেশগুলো রয়েছে, তাদের মধ্য আমেরিকানদের সর্বোচ্চ গড় পারিবারিক ও কর্মচারী আয়
রয়েছে। যা গত ২০১০ সালের চতুর্থ সর্বোচ্চ পরিবারের আয়ের পরিমাণ অর্জন করেছে।
প্রায় ১৮৯০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের উৎপাদনশীল
অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে পরিচিত।
আমেরিকা প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বৃহত্তম একটি
দেশ। আমেরিকা নিজেকে ২০১৬ বৃহত্তম বানিজ্যকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সারা
বিশ্বে ৫০০টি বানিজ্য সংস্থা রয়েছে তার মধ্যে প্রায় মত ১২১টি সদর দপ্তর মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। এখান থেকে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.২$ ট্রিলিয়ন ডলার। কাতারের ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা জানুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, আমেরিকার মাথাপিছু আয় কত সেই সম্পর্ক।
আজকের এই আলোচনাটির মাধ্যমে আপনারা উপরে জানতে পারলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
বিভিন্ন সালের মাথাপিছু আয় সম্পর্কে।আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে পেরেছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url