বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক জানুন
ব্যাংক থেকে ঋণ চাচ্ছেন অথচ আপনার হাতে কোন জামানত নেই? তাহলে সমস্যা নেই! কোন
ব্যাংকগুলো জামানত ছাড়াই ঋণ প্রদান করে থাকে, অর্থাৎ বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন
ব্যাংক, এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, আশা করি যাবতীয় তথ্যগুলো
জানতে পারবেন।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইলে জামানত লাগে। তবে বেশ কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলো থেকে
ঋণ নিতে কোন প্রকার জামানত লাগে না। কিন্তু সে সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না।
তাহলে বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত নিচে
পড়তে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক জানতে পড়ুন
জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার উপায়
জমানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার উপায়, সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে
সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, কিভাবে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে
পারবেন, আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার
সহজ পদ্ধতি হচ্ছে আপনার জন্য মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে
সাধারণত
অল্প পরিমাণ ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। জামানত নেওয়া হয় না বলে, গ্রাম থেকে শহর
প্রায় সকলেই প্রয়োজনের সময় দিন গ্রহণ করতে পারছেন।বাংলাদেশের বেশ কিছু
মাইক্রোফাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব মাইক্রোফাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে
অন্যতম হচ্ছে, গ্রামীণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যুরো, আশা এনজিও এবং উদ্দীপন অন্যতম।
যারা বিনা জামানতের লোন নিতে চান,
তারা সহজেই এসব ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। লোন নিতে অবশ্যই এসব মাইক্রোফাইনান্স
প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ব্যাংকের রুলস অনুযায়ী তাদের ফরম পূরণ করে,
সঙ্গে ছবি এবং বেশ কিছু তথ্য জমা দিলে বিনা জামাতে ঋণ পেয়ে জাবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম জানুন।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক, সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেটে
খোঁজাখুজি করে থাকেন। কিন্তু সঠিক তথ্যটি খুঁজে পান না। তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে সহজেই জেনে নিতে পারেন, বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক সে
সম্পর্কে। বিনা জামানতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শুরু করে ব্র্যাক ব্যাংক,বিকাশসহ
বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যাংক রয়েছে
যেগুলো বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে থাকে। আপনারা যারা জামানত ছাড়া ঋণ নিতে
চাচ্ছেন, তারা এসব ব্যাংকগুলো থেকে সহজেই জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়াও ঋণ
নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, যেগুলো থেকে
জামানত ছাড়াই সল্প পরিমাণ ঋণ প্রদান করে থাকে, যা ইতিমধ্যে উপরে জানতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে সাধারণত বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার জন্য,
বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিয়ে থাকেন।
এসব ঋণ নেওযার জন্য জমি বা কোন স্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখতে হয় না। যাদের
জামানত রাখার সামর্থ্য নেই,তারা সহজেই জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারে। তবে
মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও আমাদের দেশটিতে বেশ কিছু ব্যাংকগুলো
জামানতহীন ঋণ প্রদান করে থাকে।
জামানত না থাকার কারণে এসব থেকে ঋণ পেতে পারেন। তবে বেশি পরিমাণ ঋণ পাওয়া যায়
না। যাদের অল্প পরিমাণ ঋণের প্রয়োজন তারা এসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। তাহলে
চলুন জেনে নেই, বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংকগুলো তার তালিকা সম্পর্কে।
জামানতহীন ঋণ দেয় যে ব্যাংকগুলো তার তালিকা
জামানতহীন ঋণ দেয় যে ব্যাংকগুলো তার তালিকা সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না।
মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও বেশি কিছু ব্যাংকে জামানতহীন ঋণ দিয়ে
থাকে। আমাদের জানার সুবিধার্থে সেসব ব্যাংকের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেওয়া
হচ্ছে।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় সে ব্যাংকগুলোর তালিকা
ক্রমিক নং | বিনা জামানতে যে ব্যাংক ঋণ দেয় তার তালিকা |
---|---|
০১ | গ্রামীণ ব্যাংক |
০২ | আশা এনজিও |
০৩ | বাংলাদেশ ব্যুরো |
০৪ | উদ্দীপন |
০৫ | আমার বাড়ি আমার খামার |
০৬ | ব্র্যাক ব্যাংক |
০৭ | ইসলামী ব্যাংক |
০৮ | বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক |
০৯ | জনতা ব্যাংক |
১০ | কর্মসন্থান ব্যাংক |
উপরে উল্লেখিত ব্যাংকগুলো ছাড়াও আরও অনেকগুলো ব্যাংক থেকেই জামানতহীন ঋণ প্রদান
করা হয়। এই তালিকাতে মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কিছু ব্যাংক উল্লেখ করা
হয়েছে। মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠান থেকে খুব সহজেই জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবেন।
তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন সেটা হচ্ছে, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর থেকে ঋণ
নিতে
বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। তবে আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো
থেকে সহজেই ঋণ পেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের অবস্থানরত প্রবাসীরা বিভিন্ন
ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়াই ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
বিনা জামানতে ঋণ নিতে কি কি লাগে
বিনা জামানতে ঋণ নিতে কি কি লাগে, সে সম্পর্কে যারা ঋণ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন,
আপনাদের জন্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোফাইনান্স
প্রতিষ্ঠানগুলোতে বা এন্জিও থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন পড়বে।
যদিও লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত নেওয়া হয় না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক,
মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জামানত ছাড়া কি কি ডকুমেন্ট বা
কাগজপত্রগুলো লাগে সে সম্পর্কে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- স্বামী/স্ত্রী/পিতা/ মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- স্বামী/স্ত্রী অথবা পিতা-মাতার সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- আপনাকে লোন নেওয়ার পর পূরণ করতে হবে
- স্বামী/স্ত্রী অথবা পিতা-মাতার স্বাক্ষর দিতে হবে।
- অল্প পরিমাণ টাকা আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে।
- প্রতি সপ্তাহে সঞ্চয়ের টাকা জমা করতে হবে
বিনা জামানতে এসব মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে চাইলে অবশ্যই উপরে
উল্লেখিত কাগজগুলো লাগবে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে লোনের বিপরীতে প্রতি সপ্তাহে
কিস্তি প্রদান করতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে।
মাসিক কিন্তি হোক কিংবা সাপ্তাহিক কিন্তি হোক এর সাথে আপনি সঞ্চয় জমা করতে
পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে
ইচ্ছেমত পরিমাণ সঞ্চয় জমা করতে পারেন। আপনি যদি চান, লোন পরিশোধ হওয়ার আগ
মুহূর্তে সঞ্চয় দিয়ে লোন পরিশোধ করবেন, তবে করতে পারেন।
জামানত ছাড়া ঋণ নিতে করণীয় কি
জামানো ছাড়া ঋণ নিতে করণীয় কি, সে সম্পর্কে আপনাদের জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি জামানত ছাড়া ঋণ নিতে চান, সেক্ষেত্রে মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানের
কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি একটু খেয়াল করে দেখবেন, আপনার এলাকাতে
বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের মাসিক কিস্তি বা সাপ্তাহিক
কিস্তি তোলার জন্য কর্মকর্তারা আসেন।
আপনাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি মাইক্রো ফাইন্যান্স
প্রতিষ্ঠানের অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আপনি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে
সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণ নিতে পারেন। এর সাথে সঞ্চয় জমা করতে পারেন। এই
ব্যাংকগুলো থেকে সাধারণত স্বল্প পরিমাণ ঋণ অর্থাৎ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
গ্রামীণ ব্যাংক, আশা এনজিও, বাংলাদেশ ব্যুরোসহ আরো এনজিগুলো এই ধরনের ঋণ প্রদান
করে থাকে। এ ধরনের ঋণের মাধ্যমে খামার করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও যদি
কৃষকরা চায় তাহলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে পারবেন।
ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ
ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, আপনার যদি ব্যাংকে হিসাব থাকে এবং
সেখানে লেনদেন করে থাকেন, তাহলে সেই একাউন্টে আপনি ঋণ নিতে পারবেন। আর যদি
একাউন্ট না থাকে, তাহলে ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার আবেদন করতে
পারবেন।ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা FDR করে রাখার মাধ্যমে আপনি
সহজেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
আপনার কাছে যদি ভালো অঙ্কের টাকা থাকে, তাহলে যে কোন ব্যাংকে এফডিআর করে টাকা
রেখে, প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা নিতে পারবেন। ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ
নেওয়া খুবই কঠিন। কেননা তারা জামানত ছাড়া ঋণ দিতে চায়না। তবে স্বল্প পরিমাণ ঋণ
নিতে চাইলে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঋণ নেওযার জন্য সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে
ঋণের পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন।
বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা
বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কোন সম্পত্তি বা জামানত ছাড়াই
ঋণ পাওয়া। এই সুবিধাটি আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের অনেক দরিদ্রতম মানুষ রয়েছেন জামানতের জন্য ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে
পারেন না।
চলুন জেনে নেওযা যাক বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা গুলো কি কি সে
সম্পর্কে।
- ঋণ গ্রহনের ক্ষেত্রে বাড়ি, সোনা, জমি এবং গাড়ি ইত্যাদি জামানত রাখার প্রয়োজন হয় না।
- বিনা জামানতের জন্য ব্যাংকগুলো কম কাগজপত্র চায় এবং দ্রুত প্রক্রিয়া হয়।
- দিন মজুর শ্রমিকরা জামানত ছাড়া সহজেই ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন এটাই বড় সুবিধা।
- এই ঋণ বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা যায় কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যেমনঃ চিকিৎসা,শিক্ষা, বিবাহ ইত্যাদি।
- কিস্তি ঋণ দেওযার সুযোগ থাকায় সহজেই ঋণ পরিশোধ করা যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার সহজ উপায়,
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক, জামানত ছাড়া ঋণ দিয়ে থাকে যে সব ব্যাংকগুলো তার
তালিকা, বিনা জামানতে ঋণ নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়ার
করনীয়গুলো কি ইত্যাদি সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিনা
জামানতে
ঋণ দেয় যে মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো সে সম্পর্কে উপরের আলোচ্য অংশটুকু
ভালোভাবে পড়ে সহজেই বুঝতে পেরেছেন। যারা জামানত ছাড়া৷ ঋণ নিতে চান তাদের জন্য এই
পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url