সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক জানুন
আপনি কি ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ি নির্মাণ, সম্পত্তি ক্রয় ইত্যাদির জন্য ব্যাংক থেকে
কম সুদে লোন নিতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজকের এই
পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন, সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক সে
সম্পর্কে।
মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনের চাহিদা
মেটাতেও, দিন দিন লোনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয়
কোন ব্যাংক সে সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। তাহলে চলুন এই পোস্টের মাধ্যমে
নিচে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক জানতে পড়ুন
- সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
- বাংলাদেশে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
- সবচেয়ে কম সুদে যে ১০টি ব্যাংক লোন দেয়
- এবি ব্যাংক-AB Bank
- ডাচ বাংলা ব্যাংক-Dutch Bangla Bank
- বেসিক ব্যাংক-Basic Bank
- ব্র্যাক ব্যাংক-BRAC Bank
- সিটি ব্যাংক-City Bank
- সোনালী ব্যাংক-Sonali Bank
- জনতা ব্যাংক-Janata Bank
- পূবালী ব্যাংক- Pubali Bank
- রূপালী ব্যাংক- Rupali Bank
- কৃষি ব্যাংক- Agricultural Bank
- ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই
- ২ লক্ষ টাকা নিতে চাই
- সহজ কিস্তিকে লোন বাংলাদেশ
- অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
- বিকাশ থেকে লোন নেওয়া নিয়ম
- লেখকের শেষ মন্তব্য
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ
মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, এই আর্টিকেলটি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে, আশা করি যে সব ব্যাংক গুলো কম সুদে ঋণ দিয়ে থাকে,
সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কম
হওয়ার ফলে, ব্যাংকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমানে ৫৭টি তফসিলি ব্যাংক রয়েছে যার মধ্যে ৩৭টি ব্যাংকের সুদের
হার খুবই কম। এর মধ্যে ১০ ব্যাংকের ঋণের সুদের হার ১০% নিচে। বাংলাদেশ ব্যাংকের
সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটিতে দেখা গিয়েছে যে, গত
২০১৬/১৭ অর্থবছরে মে মাসের শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গড় সুদের হার ছিল ৮.৭১
শতাংশ। তবে ঋণের ক্ষেত্রে
সবচেয়ে কম সুদ নিচ্ছে বিদেশী ব্যাংকগুলো। বিদেশী ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে সুদের
হার ৭.৮৫ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের সুদের হার সাধারণত ৯.৭ শতাংশ।ঋণ নেওয়ার
ক্ষেত্রে ৮% এর নিচে ব্যাংকগুলো হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব বেসিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিদেশী হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক
অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান,
ওযারি ব্যাংক, এইচএসবিসি ও ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড এবং বেসরকারি ব্যাংক হচ্ছে
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।প্রতিবেদন থেকে বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে যে,
রাষ্ট্রায়ত্ত,বিশেষায়িত এবং বিদেশী ব্যাংকগুলো সবচেয়ে কম সুদে ঋণ প্রদান করে
থাকে। তবে ১০% এর নিচে ঋণ দিচ্ছে এমন ব্যাংকগুলোর নাম আপনাদের জানার সুবিধার্থে
নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন।
ক্রমিক নং | ব্যাংকগুলোর নাম |
---|---|
০১ | সোনালী ব্যাংক |
০২ | সিটি ব্যাংক |
০৩ | পূবালী ব্যাংক |
০৪ | ডাস বাংলা ব্যাংক |
০৫ | কৃষি ব্যাংক |
০৬ | ব্যাংক এশিয়া |
০৭ | ইসলামী ব্যাংক |
০৮ | ট্রাস্ট ব্যাংক |
০৯ | শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংক |
১০ | যমুনা ব্যাংক |
১১ | ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক |
১২ | এন সিসি ব্যাংক |
১৩ | সাউথ ইস্ট ব্যাংক |
১৪ | ঢাকা ব্যাংক |
১৫ | মার্কেন্টাইল ব্যাংক |
১৬ | স্টান্ডার্ড ব্যাংক |
১৭ | সীমান্ত ব্যাংক |
১৮ | বিসিবিএল |
১৯ | আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক |
২০ | ইস্টার্ন ব্যাংক |
বাংলাদেশে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
বাংলাদেশে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই
ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। বাংলাদেশের প্রায় অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যারা
ব্যবসা বাণিজ্য এবং ঘর নির্মাণসহ অন্যান্য কাজের জন্য কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে চায়।
আর তাই বাংলাদেশের জনসাধারণের আর্থিক চাহিদা মেটানোর জন্য বা সুবিধা দেওয়ার জন্য
বাংলাদেশের
ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। কম সুদে ঋণ দেওয়ার কারণ হচ্ছে, সাধারণ মানুষ বা
ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা।বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত
কেন্দ্রীয়ভাবে সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে। তবে যতগুলো ব্যাংক রয়েছে প্রতিটি
ব্যাংক তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুসারী সুদের হার কিছুটা পরিবর্তন করতে পারে। যেসব
ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান করে থাকে,
তাদের প্রধাণ লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে
অর্থনৈতিক উন্নতি করা। এসব ব্যাংকগুলো সাধারণত গৃহঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ এবং শিক্ষা ঋণ
প্রদান করে থাকে। ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার দরখাস্ত জানুন।
সবচেয়ে কম সুদে যে ১০টি ব্যাংক লোন দেয়
সবচেয়ে কম সুদে যে ১০টি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে, সেগুলো সম্পর্কে আপনারা যারা
জানেন না। এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের জানার সিবিধার্থে বাংলাদেশে সেই ১০টি
ব্যাংকের নাম নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আর দেরি না করে নিচে জেনে
নেওয়া যাক। ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা জানুন।
ক্রমিক নং | কম সুদে লোন দেয় যে ১০টি ব্যাংক |
---|---|
০১ | সোনালী ব্যাংক |
০২ | সিটি ব্যাংক |
০৩ | পূবালী ব্যাংক |
০৪ | ডাস বাংলা ব্যাংক |
০৫ | কৃষি ব্যাংক |
০৬ | এবি ব্যাংক |
০৭ | ব্র্যাক ব্যাংক |
০৮ | রূপালী ব্যাংক |
০৯ | জনতা ব্যাংক |
১০ | বেসিক ব্যাংক |
এবি ব্যাংক-AB Bank
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্য বর্তমান সময়ে মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যাংকের
নাম হচ্ছে এবি ব্যাংক। কেননা বাংলাদেশের সবচেয়ে কম সুদে লোন দেওয়ার ব্যাংকগুলোর
মধ্যে এক নাম্বারে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেড। এবি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের
ক্ষেত্রে সুদের হার হচ্ছে ৭.৪৩% ( তবে সময়ের সাথে সাথে সুদের হার পরিবর্তন হতে
পারে)। যারা পারসোনাল কাজের জন্য
ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান, সেক্ষেত্রে এবি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে
পারেন।সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এবি ব্যাংকের যেকোনো শাখাতে গিয়ে যোগাযোগ করতে
হবে। পারসোনাল লোন দেওযার ক্ষেত্রে এবি ব্যাংক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে
থাকে। তবে লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি কারণ দেখাতে হবে এবং লোনের
মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ৬০ মাস পর্যন্ত। আশা করি সহজেই বুঝতে পেরেছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক-Dutch Bangla Bank
ডাচ বাংলা ব্যাংক সাধারণত লোনের উপরে ভিত্তি করে সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে।
অর্থাৎ আপনি কি পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করবে তাদের সুদের
হার। ডাচ বাংলা ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে সুদের ৮% হয়ে থাকে। তবে এই
ব্যাংকে দিয়ে সুদের হার মূলত নির্ধারিত হয়ে থাকে সময় এবং অর্থের উপরে। ডাচ
বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে
গ্রাহক কত দিনের ভিতরে ঋণ পরিশোধ করবে তার উপরে সুদের হার নির্ধারণ করতে ব্যাংকটি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, সর্বোচ্চ
সুদের হার কেমন হতে পারে? আপনার চৌধুরীর হার হতে পারে ১০% থেকে ১২%। (সেক্ষেত্রে
সুদের হার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে)। ঋণ গ্রহনের জন্য আপনি নিকটস্থ ডাচ
বাংলা ব্যাংকের শাখাতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় জেনে নিতে পারেন।
বেসিক ব্যাংক-Basic Bank
বেসিক ব্যাংকের সুদের হার মূলত ০৯.০০%( তবে সময়ের সাথে সাথে ব্যাংকের বিবেচনায়
পরিবর্তনযোগ্য)। বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধার সীমা হচ্ছে ২৫ হাজার থেকে ২৫ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত। আপনারা যদি কম সুদে ঋণ নিতে চান, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বেসিক ব্যাংকের শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। যারা ব্যবসা বানিজ্য থেকে
শুরু করে ঘর নির্মাণের আর্থিক সংকটে ভুগছেন, আপনারা চাইলে এই ব্যাংক থেকে ঋণ
গ্রহন করতে পারেন।
ব্র্যাক ব্যাংক-BRAC Bank
ব্র্যাক ব্যাংক মূলত ৯% সুদের হারে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারসোনাল লোন প্রদান করে
থাকে। (ব্যাংকের বিবেচনায় সুদের হার পরিবর্তন যোগ্য)। তবে আপনি ব্র্যাক ব্যাংক
থেকে কি উদ্দেশ্যে বা কি কাজের জন্য লোন নিচ্ছেন, সে বিষয়টির গুরুত্বপূর্ণ
তথ্যগুলো জমা দিতে হবে। ব্র্যাক ব্যাংক ৯% সুদে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকে। এছাড়াও
অন্যান্য ব্যাংকের মতো ব্যাংটি লোন প্রসেসিং কি ২% নিয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা
লোন গ্রহণ করতে চাচ্ছেন ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
সিটি ব্যাংক-City Bank
সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের ব্যবসা বানিজ্য এবং
ব্যক্তিগত উভয় ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। সেগুলো ঋণের জন্য সুদের হার বিভিন্ন
ধরণের হয়ে থাকে, ঋণগুলোর মধ্যে হচ্ছে, আবাসন, ভোক্তা, কৃষি এবং ব্যবসায়ীক। গ্রাহক পর্যায়ে
সুদের হার সাধারণত ৯%। তবে গ্রাহক যদি ৭দিনের ভিতরে টাকা ফেরৎ দিতে পারে তাহলে
সুদ দিতে হবে না।(ব্যাংকের বিবেচনাতে সুদের হার পরিবর্তনযোগ্য)
সোনালী ব্যাংক-Sonali Bank
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয়
ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। কেননা সবচেয়ে কম সুদে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর
মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক শতকরা ৩ বছরের জন্য ৯.০০% সরল
হারে এবং ১০.০০% হারে লোন প্রদান করে থাকে।(তবে ব্যাংকের বিবেচনায়
পরিবর্তনযোগ্য)। যারা নিজের পার্সোনাল প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করতে চান, সেক্ষেত্রে
সোনালী ব্যাংক শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।
জনতা ব্যাংক-Janata Bank
জনতা ব্যাংকের সুদের হার সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ঋণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত
হয়ে থাকে। আপনার ব্যক্তিগত এবং গৃহঋণের জন্য সুদের হার হবে ৯.০০%, তবে
চক্রবৃদ্ধি হারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আরোপযোগ্য।(সুদের হার পরিবর্তন যোগ্য)।
আপনারা যারা ব্যবসা কিংবা কৃষির জন্য ঋণ নিতে চান সেক্ষেত্রে সুদের হার আরো বেশি
হতে পারে। জনতা ব্যাংক সাধারণ
গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীকদের বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা গুলো প্রদান করে থাকেন। বিশেষ
করে ঋণের শর্ত এবং গ্যারান্টির বিষয়গুলোর উপরে সুদের হারের প্রভাব ফেলে। আপনি
যদি আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান, সেক্ষেত্রে জনতা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে
যোগাযোগ করতে পারেন।
পূবালী ব্যাংক- Pubali Bank
পূবালী ব্যাংকের সুদের হার সাধারণত বিভিন্ন ধরণের লোন এবং সেবার উপর নির্ভর করে ঋণ দিয়ে থাকে। পূবালী ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এবং
ব্যাক্তিগত উভয় গ্রাহককেই ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যাংকটি আবাসন, ভোক্তা, কৃষি এবং
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সুদের হার ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে যেসব সরকারি
কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে আবাসন
লোন প্রদান করা হয় এবং বার্ষিক সুদের হার হচ্ছে ৯.০০%(তবে ব্যাংকের বিবেচনায়
পরিবর্তন যোগ্য)। পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চাইলে নিকটস্থ শাখা অফিসে
গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
রূপালী ব্যাংক- Rupali Bank
রূপালী ব্যাংকের সুদের হারে বিভিন্ন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বিভিন্ন ধরনের
হয়ে থাকে। যেসব ঋণ রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে, সাধারণ ঋণ, বাণিজ্যিক ঋণ, ক্ষুদ্র বা
মাঝারি ঋণ। এসব ঋণগুলোর বার্ষিক সুদের হার ০৯.০০% তবে ব্যাংকের বিবেচনায়
পরিবর্তনশীল। তবে রুপালী ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য SME ঋণের জন্য বিশেষ
সুবিধা হিসাবে সুদের হার হচ্ছে ০৯.০০%
(সময়ের সাথে সাথে ব্যাংকের বিবেচনাতে পরিবর্তনযোগ্য)। রূপালী ব্যাংক থেকে ঋণ
গ্রহনের ক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
কৃষি ব্যাংক- Agricultural Bank
কৃষি ব্যাংকের সুদের হার বিভিন্ন ধরনের লোন এবং সেবার উপরে নির্ভর করে থাকে। কৃষি
ব্যাংক সাধারণত ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তি উভয় ধরনের গ্রাহক বিভিন্ন প্রদান করে
থাকে। যেসব ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে থাকে সেগুলো হচ্ছে - কৃষি,আবাসন, ভোক্তা এবং
ব্যবসায়ীক। এসব ঋণের জন্য আপনার সুদের হার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কৃষি ব্যাংক
থেকে লোন প্রদানে সুদের হার
বাষিক ০৯.০০%। কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিকটস্থ
ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।(ব্যাংকের বিবেচনায় সময়ের সাথে সাথে সুদের হার
পরিবর্তনশীল) প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম জানুন।
১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই
আপনি যদি পার্সোনাল লোন নিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার ঋণগ্রহনের জন্য নির্ধারিত
যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনি ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন। ১ লক্ষ টাকা
লোন প্রার্থীর কি যোগ্যতামান হতে হবে, সেটা ভাবী ঋণগ্রহীতারা এলিজিবিলিটি
ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনি সহজেই অনলাইনে দেখে নিতে পারবেন। এক লক্ষ টাকা লোন
নেওয়ার সঠিক
উপায়টি হচ্ছে অনলাইনে ইনস্ট্যান্ট লোন (Instant Loan App) এর মাধ্যমে আপনি চাইলে
অনেক দ্রুত ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন। এটি বর্তমানে এমন একটি অনলাইন পারসোনার
ইনস্ট্যান্ট লোন, যার মাধ্যমে আপনি ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, ঋণদাতার নির্ধারিত
যোগ্যতা গুলো পূরণ করতে হবে।
২ লক্ষ টাকা নিতে চাই
পারসোনাল লোন অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি চাইলে একদিনে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে
পারেন। এই লোনটি পাওয়ার জন্য আপনার কোন ধরনের ক্রাইটেরিয়া প্রয়োজন পডবে না।
সেক্ষেত্রে আপনি চাইলেই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ২ লক্ষ টাকার লোন অনুমোদন পেতে
পারেন। আপনি অনলাইনে মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ১ লক্ষ টাকা লোন পেতে চাইলে
ইনস্ট্যান্ট
পার্সোনাল লোন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে, একই দিনের ভিতরে ১ লক্ষ টাকা লোন পেতে
পারেন। আপনার KYC কাগজপত্রগুলো হাতের কাছে রখে, জিজিটাল লোন অ্যাপের মাধ্যমে ১
লক্ষ টাকার ক্যাশ লোনের আবেদন করতে পারেন। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে ঋণদাতার
নির্ধারিত যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হবে।
সহজ কিস্তিকে লোন বাংলাদেশ
যেকোনো ধরণের ব্যাংক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে,
অবশ্যই আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। যেগুলো কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস
না থাকলে আসলে ঋণ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাহলে চলুন ঋণের ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতা
বা কাগজপত্র লাগে সেগুলো জেনে নেই।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র কপি লাগবে
- আপনার মিনিমাম বয়স ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর হতে হবে।
- আপনার মাসিক আয়-ব্যয়ের প্রমাণ থাকতে হবে
- লোন গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত যোগ্যতা গুলো যদি থাকে, তাহলে আপনি সহজেই কিস্তিতে লোন নিতে
পারবেন।
সহজ কিস্তিতে যে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে সেগুলো
আপনাদের জানার জন্য নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- আশা ব্যাংক
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- গণমূখী ব্যাংক
- গ্রামীণ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- এক্সিম ব্যাংক
- জয়েন্ট স্টেট ব্যাংক
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও অনলাইন মোবাইল লোন পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিকাশ হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। মোবাইল
ব্যাংকিং বিকাশ ব্যবহার করে সিটি ব্যাংক দেশের প্রথম অনলাইন মোবাইল লোন পদ্ধতি
চালু করেছে। এক্ষেত্রে একজন বিকাশ গ্রাহক ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন
নিতে পারবেন। সেজন্য অবশ্যই যোগ্যতা লাগবে। কি কি যোগ্যতাগুলো লাগবে নিচে জেনে
নিন।
- বিকাশের নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে
- অনলাইন পেমেন্ট,অ্যাড মানি,পে বিল করতে হবে
- নিয়মিত টাকা লেনদেন করতে হবে
বিকাশ থেকে লোন নেওয়া নিয়ম
- প্রথমে বিকাশ অ্যাপটি লগইন করতে জবে
- তারপরে লোন অফশনে ক্লিক করতে হবে
- এরপর আপনাকে গেট লোন অফশনে ক্লিক করে, আপনি কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন,সেই টাকার পরিমাণ লিখতে হবে।
- তারপরে একসিপ্ট অফশনে ক্লিক করতে হবে
- এরপর আপনার বিকাশ পিন নাম্বারটি দিয়ে ক্লিক করলেই, আপনার বিকাশ একাউন্টে জমা হয়ে জাবে।
- মূলত এভাবে বিকাশ থেকে লোন নিতে হয়।
লেখকের শেষ মন্তব্য - সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক সে সম্পর্কে
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক,
বাংলাদেশে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, কম সুদে লোন দেয় যে দশটি ব্যাংক ইত্যাদি
সম্পর্কে। আপনারা যারা সবচেয়ে কম সুদে লোন নিতে চাচ্ছেন, অবশ্যই উপরে উল্লেখিত
ব্যাংকগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে যে ব্যাংকগুলো কম সুদে লোন দিয়ে
থাকে,
সময়ের সাথে সাথে সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে। যা ইতিমধ্যে আমরা উপরে আলোচনা
করেছি, আশানকরি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং সহজেই বুঝতে পেরেছেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url