অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন
সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিসা ফি কেমন সে সম্পর্কে জানাটা জরুরি। আজকের এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে জেনে নিতে
পারবেন।
অস্ট্রেলিয়াতে আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমাতে
চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে জানাটা
প্রয়োজন যা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ অস্ট্রেলিয়া ভিসা ভি ফর বাংলাদেশ ২০২৫ জানতে পড়ুন
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী ২০২৫
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ক্যাটাগরিগুলো জেনে নিতে পারেন
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন যেভাবে
- অস্ট্রেলিয়ার ভিসা ভি ফর বাংলাদেশী কাজের ভিসার ক্ষেত্রে
- অস্ট্রেলিয়া অস্টেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের যোগ্যতা জানুন
- অস্ট্রেলিয়ায় পার্টটাইম কাজের সেক্টরসমূহ জানুন
- অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে
- টুরিস্ট ভিসা আবেদনে যেসব কাগজপত্র লাগে
- অস্ট্রেলিয়া এম্বাসি ইন বাংলাদেশ জেনে নিন
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী ২০২৫
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ভি ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে, আশা করি অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী
সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে
যাওয়ার জন্য বাংলাদেশী
নাগরিকদের ভিসা ফি কেমন সে সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। যা এই পোস্টের মাধ্যমে
আশা করি জেনে নিতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যদি ভিসা ফি নিজে
নিজে পরিশোধ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড কিংবা মাস্টার
কার্ড প্রয়োজন পড়বে। এর মাধ্যমেই আপনি ঘরে বসেই ভিসা ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া
থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা ফি মূলত ভিসার ধরন এবং ক্যাটাগরির উপরে নির্ভর করে কম
বেশি হয়ে থাকে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ক্যাটাগরি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া ভিসা
ফি ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় জানুন।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ক্যাটাগরিগুলো জেনে নিতে পারেন
- স্টুডেন্ট ভিসা/কোড হচ্ছে ৫০০
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা/কোড হচ্ছে ৪৮২/১৮৯/১৯০
- টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা/কোড হচ্ছে ৬০০
- পার্টনার ভিসা/ কোড হচ্ছে ৮২০ এবং ৮০১
- পার্মানেন্ট ভিসা/কোড হচ্ছে ১৮৯ এবং ১৯০
- ইনভেস্টমেন্ট ভিসা/ কোড হচ্ছে ১৮৮
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে
অস্ট্রেলিয়াতে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় অসংখ্য স্টুডেন্ট উচ্চ শিক্ষার
জন্য পাড়ি জমায়। উচ্চ শিক্ষার জন্য কেউ কেউ নিজের খরচ আবার অনেকেই স্কলারশিপের
মাধ্যমে গিয়ে থাকেন। তবে বাংলাদেশ থেকে সব ছাত্ররা ছাত্রীরা অস্ট্রেলিয়াতে
পড়াশোনার জন্য যান, সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী তথ্য অনুসারে
স্টুডেন্ট ক্যাটাগরির উপরে ভিত্তি করে স্টুডেন্ট ভিসা ফি হচ্ছে ৬৫০$ থেকে ১০০০$
এর ভিতরে হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাড়ায় ৬৫ হাজার থেকে এক
লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা জেনে নিন
- প্রত্যয়ন পত্র লাগবে
- আর্থিক সামন্ত স্টেটমেন্ট লাগবে
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র লাগবে
- ইন্সুরেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন যেভাবে
- আপনার পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি আবেদন পত্র তুলতে হবে।
- আপনার পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
- Immiaccount তৈরি করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো আপলোড করতে হবে
- ভিসা ফি প্রদান করতে হবে
- মেডিকেল এবং বায়োমেট্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে
- আবেদন ট্র্যাক করতে হবে
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা ভি ফর বাংলাদেশী কাজের ভিসার ক্ষেত্রে
অস্ট্রেলিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী
যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন,
সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্রবাসীগামী মানুষের জানা উচিত অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা ফি সম্পর্কে। আপনারা যারা অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার কাজের
ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়।
- ভিসা ফি হচ্ছে 410 AUD অর্থাৎ 275$ যা বাংলাদেশী টাকাতে কনভার্ট করলে দাড়ায় ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা।
- অস্ট্রেলিয়ান Skilled Regional visa-subclass 887 এর ভিসা ফি হচ্ছে 425 AUD অর্থাৎ 284$ USD যা বাংলাদেশী টাকাতে কনভার্ট করলে দাড়াবে ২৮-২৯ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- অস্ট্রেলিয়া Employer Nomination scheme visa- subclass 186 ভিসা ফি হচ্ছে 4115 AUD অর্থাৎ 2758$ USD বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাড়ায় প্রায় ২ লক্ষ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
অস্ট্রেলিয়া অস্টেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের যোগ্যতা জানুন
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে
- ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও লেখা জানতে হবে
- কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র বা সনদ লাগবে
- আইএলটিএস পরীক্ষায় নির্দিষ্ট স্কোর অর্জন করতে হবে
- কাজের অফার লেটার পেতে হবে
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
- অনলাইনে আবেদন পত্র
- ভিসা ফি প্রদান করতে হবে
- বায়োমেট্রিক ও মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে
অস্ট্রেলিয়ায় পার্টটাইম কাজের সেক্টরসমূহ জানুন
- রেস্টুরেন্টের হেলপার
- রেস্টুরেন্ট ওয়েটার
- সুপার মার্কেটের ক্যাশিয়ার
- সুপার মার্কেট হেলপার
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- অফিস সহকারি
- ডাটা এন্ট্রির কাজ
- ক্লিনারের কাজ ইত্যাদি
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে
অস্ট্রেলিয়াতে ভিসা ভি ফর বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ মাসের
অনুমতি পাওয়া যায়। এই ভিসাতে টুরিস্টরা ভ্রমণ কিংবা মূলত ব্যবসায়িক কাজে আসে।
অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে খরচ হয় প্রায় ২০০ থেকে ১৫০০ অস্ট্রেলিয়ান
ডলার। অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন।
টুরিস্ট ভিসা আবেদনে যেসব কাগজপত্র লাগে
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- ভিসা ফি
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
অস্ট্রেলিয়া এম্বাসি ইন বাংলাদেশ জেনে নিন
- অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন ঢাকা
- ঠিকানা হচ্ছে - ১৭১ গুলিস্তান ঢাকা - ১২১২
- ইমেইল হচ্ছেঃ AHC.DHAKA@DFAT.GOV.AU
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারলেন যে,
অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জেনে নিতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url