কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৫ আবেদন

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিবেন সে সম্পর্কে বুঝতে পারছেন না। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। নিচে জেনে নিতে পারেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে।
আপনি কি বেকার রয়েছেন সেক্ষেত্রে উদ্দ্যেক্তা হবেন কিন্তু অর্থ পাচ্ছেন না, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোক পদ্ধতি সম্পর্কে। লোন নিতে কি কি কাগজপত্র লাগে, লোন পাওয়া উপায় এবং আবেদন প্রক্রিয়া জানতে নিচে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৫ জানতে পড়ুন

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৫

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ গুগলে অনেক অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে, আশা করি কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সহজেই জেনে নিতে পারবেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে লোন প্রদান করে থাকে। 

আপনি যদি বেকার থাকেন সেক্ষেত্রে যে কোনো বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কর্মসংস্থান ব্যাংক টাকা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। কর্মসংস্থান ব্যাংক উদ্যোক্তা হতে চাইলে বিভিন্ন কাজে লোন প্রদান করে থাকে। চলুন তাহলে কি কি কাজে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

  • বানজ্যিক খাত
  • সেবা খাত
  • যানবাহন ও পরিবহন
  • প্রাণী সম্পদ
  • ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কারখানা
  • মৎস সম্পদ
  • শিল্প কারখানা
  • অন্যান্য প্রকল্প খাত
উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে আপনি যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হবে তবে আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিতে পারেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নিতে যেসব কাগজপত্র লাগে

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নিতে অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে। অর্থাৎ কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র এবং শর্ত মানতে হবে। আপনি যে কোনো ব্যাংক থেকেই লোন নেন না কেন সেক্ষেত্রে অবশ্য কাগজপত্র লাগবে ঠিক কর্মসংস্থান ব্যাংকের ক্ষেত্রেও। চলুন তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

  • কর্মসংস্থান লোনের জন্য আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের ভেতরে হতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারী কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অর্থাৎ যে শাখা থেকে লোন করতে ইচ্ছুক সেই শাখার বাসিন্দা হতে হবে।
  • লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে একজন জামিনদার থাকতে হবে আবেদনকারী লোন পরিশোধের অক্ষম হলে যেন সে লোন পরিশোধ করতে পারে।
  • সরকারি এবং বেসরকারি কোন ব্যাংক থেকে করা যাবে না ঋণ খেলাপি করা যাবে না।
  • আবেদন করার ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন পঞ্চম শ্রেণী পাশে থাকতে হবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে
  • আবেদনকারীর যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে
  • সচল একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।
আপনি যদি কোন বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সহযোগী লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যারা সাধারণত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন না তাদের জন্যই মূলত এই লোন। উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র এবং শর্তগুলো মানতে পারলে লোন নিতে পারবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সেটা হতে পারে বাণিজ্যিক খাত, যানবাহন ও পরিবহন খাত, সেবা খাত এবং প্রাণী সম্পদ ইত্যাদি। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অবশ্যই সার্টিফিকেট নিতে হবে।প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট সহ আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর 

আপনার নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করে ফরম পূরণ করে লোন নিতে পারবেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক মূলত বেকার এবং অর্ধবেকারদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে শর্তগুলো পূরণ করে এই ব্যাংক থেকে সহজেই লোন নিতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জানুন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অনেকেই ইন্টারনেটে খুঁজাখুঁজি করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন করা যায় সে সম্পর্কে নিচে জেনে নেই।

  • প্রথমেই আপনার নিকটস্থ এলাকায় কর্মসংস্থান ব্যাংক শাখায় যেতে হবে এরপর ব্যাংকে কর্মরত কোনো অফিসারকে জানাতে হবে যে আপনি লোন করতে ইচ্ছুক।
  • এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে, কেন লোন নিতে চাচ্ছেন? লোন নিয়ে কোন প্রকল্পে কাজ করবেন? উক্ত প্রকল্পের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিনা যাবতীয় তথ্যগুলো।
  • যাবতীয় তথ্য জানা হয়ে গেলে লোন গ্রহনের ফর্ম পূরণ করতে দিবে। লোনের ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার ভোটার কার্ডের ফটোকপি, সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জামিনদারের সাক্ষর এবং আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো দিয়ে জমা দিতে হবে।
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদনে করার ১ মাসের ভেতরে লোন অনুমোদন হয়ে যায়। এই সময়টুকু আপনাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে তারপর ব্যাংকে গিয়ে দেখা সংগ্রহ করতে পারবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন সুদের হার কত?

কর্মসংস্থান ব্যাংকের সাধারণত সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। যে সুবিধা গুলো অন্যান্য ব্যাংকে পাওয়া সম্ভব নয়। আপনারা যারা কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক। কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার বেশিরভাগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৯% তবে কিছু কিছু প্রকল্পে আলাদা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে যদি বিস্তারিত জানতে চান সে ক্ষেত্রে নিকটস্থ শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা কোথায় রয়েছে?

কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা সমূহ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও সারা দেশব্যাপী কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৩৩ টি আঞ্চলিক কার্যালয় পাবেন। আপনার এলাকায় কোথায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের ঠিকানা রয়েছে সেগুলো জানতে গুগলে অনুসন্ধান করতে পারেন কিংবা পরিচিত কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ জেনে নিন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধের সময়

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের পর সর্বোচ্চ কত সময় পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করা যায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে আপনি যদি লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে লোনের মেয়াদ ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। লোন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রকল্পের ধরন ও মেয়াদের উপর নির্ভর করবে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ পদ্ধতি কেমন হবে। কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ মাসিক, দ্বিমাসিক,ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক সাধারণত প্রবাসীদের কর্মসংস্থান ও পূর্ণবাসনের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। আপনি যদি প্রবাসে চাকরি কিংবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে ব্যাংকের লোন স্কিম আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

প্রবাসগামী কর্মীদের জন্য ঋণ
বিদেশি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু অর্থের অভাবে যেতে পারছেন না তাদের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করে সহায়তা করে থাকে। তবে ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন পড়বে সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।

  • বিদেশে চাকরির বৈধ চুক্তিপত্র থাকা লাগবে
  • বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।
  • আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৪৫ বছরের ভেতরে হতে হবে।
  • সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন তবে দেশ ভেদে পরিবর্তন হতে পারে।
  • সুদের হাডর ৯% দিতে হবে তবে সময় সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে।
  • লোন পরিশোধের সময়সীমা সাধারণত ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।

কর্মসংস্থান ব্যাংক ফোন নাম্বার

কর্মসংস্থান ব্যাংকের যোগাযোগের তথ্য নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
  • হটলাইন নাম্বার জেনে নিনঃ ১৬২৪৭
  • অফিস নাম্বার জেনে নিনঃ +৮৮০২৪১০২৪০৩১
  • ইমেইল ঠিকানাঃ info@kb.gov.bd

লেখকের শেষ মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক উপরে উল্লেখিত আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনারা যারা বেকার রয়েছেন কিন্তু উদ্দ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন কিন্তু টাকার অভাবে কোনো কাজ করতে পারছেন না। উপরে উল্লেখিত যে কোন একটি বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে টাকা লোন গ্রহণ করে সহজেই উদ্যোক্তা হতে পারে। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে সহজেই বুঝতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url