পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় (১২টি কৌশল)
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কেননা প্রতিনিয়তই পড়াশোনার প্রতি মানুষ
অমনোযোগী হয়ে উঠছে। পড়ামোনায় কিভাবে মনোযোগী হওয়া যায় নিচে জেনে নিতে পারেন।
পড়াশোনার প্রতি যদি আপনার মনোযোগ না থাকে তাহলে সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি আযত্ব
করতে পারবেন না। আপনারা চাইলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে
পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারেন। তাহলে চলুন নিচে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার টিপস
সম্পর্কে জেনে নেই।
পোস্ট সূচীপত্রঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় জানতে পড়ুন
- পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় জানুন
- ১.পড়াশোনা শুধুমাত্র পরিক্ষার পাশের জন্য নয় শেখার আনন্দে পড়া
- ২. পড়াশোনায় লক্ষ্য উদ্দেশ্যে ঠিক রাখা
- ৩. পড়াশোনায় মনোযোগ বিঘ্ন ঘটবে এমন কিছু সরিয়ে রাখা
- ৪. পড়াশোনায় নিজেকে পুরস্কৃত করা
- ৫. পড়াশোনার পাশাপাশি বিরতি দিতে পারেন
- ৬. নিজের পাশাপাশি অন্যকে শেখাতে চেষ্টা করা
- ৭.পড়াশোনার পরিবেশ শান্ত রাখা
- ৮. মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন
- ৯.পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল
- ১০. সারাদিন পড়াশোনা করার উপায়
- ১১.ভালো ছাত্র হওয়ার উপায়
- ১২. পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায়
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় জানুন
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ
বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কিন্তু কোথাও সঠিক তথ্যটি খুঁজে পাননা যা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। পড়াশোনায় মন বসে না
এমন সমস্যা প্রায় অধিকাংশ মানুষের থাকে। পড়ার টেবিলে পড়তে বসলে বইয়ের
পাতার
দিকে তাকালে অনেকের অসহ্য লাগে, আবার অনেকের ঘুম ধরে। পড়ার সময় আশেপাশের
চারিদিকের পরিবেশ যেন পড়ার মনটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়। আপনারা একটি বিষয় লক্ষ্য
করবেন সেটা হচ্ছে বাবা-মা বাহিরে কাজ করে যার জন্য অনেক সময় দিতে হয় কেননা
তাদের সেটা চাকুরী। ঠিক তেমনি পড়াশোনাও হচ্ছে আপনার একটি চাকুরীর মতোই।
কেননা
ভালোভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা যায়। আর এই ভবিষ্যৎ গড়ার
দায়িত্ব প্রতিটি সন্তানের পালন করা উচিত। সেজন্য পড়াশোনাকে অবহেলা না করে মনোযোগ
দিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। আপনাদের জানার সুবিধার্থে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার
উপায়গুলো নিচে জেনে নিতে পারেন।
১.পড়াশোনা শুধুমাত্র পরিক্ষার পাশের জন্য নয় শেখার আনন্দে পড়া
পড়াশোনায় শুধুমাত্র পরীক্ষার পাশের জন্য নয় শেখার জন্য পড়তে হয়। পাঠ্য বইয়ের
সবগুলো পরীক্ষাতে আসবে এমনটা সঠিক নয়, তবে শেখার আনন্দর সুযোগ কেন হারাবেন।
উদাহরণস্বরূপ যদি বলা যায়: ধরুন আপনি ক্রিকেট খেলতে খুবই ভালোবাসেন, সেক্ষেত্রে
আপনি যদি সারারাত জেগে ক্রিকেট খেলা দেখেন আপনার জীবনে তার চেয়ে আনন্দের
কিছু হবে না। কেননা ক্রিকেট খেলার যাবতীয় বিষয়গুলো আপনাদের জানা। দেখেন ক্রিকেট
খেলা বিষয়ে জানার জন্য আপনাকে কেউ জোর করেনি। আপনার নিজ আগ্রহে এবং ভালোবাসাতে
শিখেছেন। অথচ আপনার পাঠ্য বইয়ের সহজ তথ্যগুলো কিছুতেই মনে থাকে না। এর মূল
কারণটা হচ্ছে মানুষের মন অনিচ্ছায় কোন কাজ করতে চায় না।
ধরুন আপনি পড়তে বসলেন আপনার মন বলছে ধুর আজকে না কালকে পড়বো। তখন আপনাকে বুঝতে
হবে আপনার মন বিদ্রোহ করছে তখন আর পড়তে মন চাইবে না। পড়াশোনার প্রতি ক্রিকেট
খেলার মত আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে হবে দেখবেন মনোযোগ এমনিই চলে আসবে। যেকোনো
পরীক্ষাতে আপনি এমনিই পাশ করতে পারবরন তবে পড়াশোনার যে জ্ঞানের আধার রয়েছে সেটা
চিরদিন থেকে যাবে। পড়াশোনা কে সব সময় আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে হবে।
২. পড়াশোনায় লক্ষ্য উদ্দেশ্যে ঠিক রাখা
পড়াশোনা করার মাধ্যমে আপনাকে একটি লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে হবে। আপনি যদি
মনে করেন সারাদিন অংক করব এটা বলা বেশ সহজ! কিন্তু সারাদিন অংক বই হাতে নিয়ে
ঘুরাঘুরি করেও দিন দেখবেন আপনার কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আপনাকে একটি নির্দিষ্ট
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগোতে হবে। আপনি যদি ডাক্তার হতে চান সেক্ষেত্রে
ডাক্তারের
কিন্তু বৈচিত্রতা রয়েছে অর্থাৎ ডাক্তারের ভিন্নতা রয়েছে। যেমন, চোখের
ডাক্তার,দাঁতের ডাক্তার ইত্যাদি। অপরপক্ষে আপনি যদি অংক করার ক্ষেত্রে একটি
নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করেন যেমন আজকে দিনে বিকেল বা সকালের এই সময়টাকে অংক করবো
এবং শেষ না হওযা পর্যন্ত উঠবো না। তাহলে দেখবেন আপনার মনের ভেতরে জেদ চলে আসছে
এবং বেশি বেশি মনোযোগ চলে আসবে আপনার ভেতর থেকে। এর মূল কারণটা হচ্ছে আপনি লক্ষ্য
ঠিক রেখেছেন বলে।
৩. পড়াশোনায় মনোযোগ বিঘ্ন ঘটবে এমন কিছু সরিয়ে রাখা
পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে এমন বিষয়গুলো আপনার পড়াশোনার টেবিলের আশপাশ থেকে সরিয়ে
ফেলতে হবে। আপনি চাইলে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েও মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।
ধরুন আপনি পড়াশোনা করতে বসছেন, কিন্তু ফেসবুক থেকে শুরু করে, কম্পিউটার, আড্ডা,
বাড়তি সাউন্ড সবই চলছে তাহলে আপনার পড়াশোনাতে মনোযোগ আসবে না বরং
বিঘ্ন ঘটবে। পড়াশুনা করার সময় আপনার মন সেইভাবে স্থির করতে হবে চারপাশ থেকে যেন
কোন টু শব্দ না হয়। যে সময়টুকু পড়াশোনার জন্য বেছে নিবেন সেই সময়টুকু মূল্যায়ন
করতে হবে। যেন পড়াশোনা ব্যতীত বাহিরের কিছু জীবনে নেই।
৪. পড়াশোনায় নিজেকে পুরস্কৃত করা
পড়াশোনায় সব সময় নিজেকে পুরস্কৃত করার মনোবল সৃষ্টি করতে হবে। আপনার কোন
জিনিসটা ভালো লাগে অর্থাৎ খেতে পছন্দ করেন সেই জিনিসটা কে পড়াশোনার সাথে অংশ করে
নিতে পারেন। তাহলে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পেতে পারে। ধরুন আপনি একটি বই
পড়া শুরু করেছেন শেষ পাতা পর্যন্ত বলে আপনি পুরস্কার পাবেন এমন হওয়ার ফলে
পড়াশোনার প্রতি আপনার মনোযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে দেখবেন পড়াশোনায় আপনার কাছে
আগের মত বিরক্ত লাগছে না। যার ফলে পড়াশোনার প্রতি আপনার দিন দিন মনোযোগ বৃদ্ধি
পেতে পারে।
৫. পড়াশোনার পাশাপাশি বিরতি দিতে পারেন
পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি যদি বিরতি দিয়ে পড়াশোনা করেন সেক্ষেত্রে ভালো ফল পেতে
পারেন। আপনি দেখবেন আপনার ক্লাসেই অনেক ছাত্র রয়েছেন যাদের দেখেন পড়ে না কিন্তু
রেজাল্টের সময় ভালো রেজাল্ট করে। অথচ আপনি সারাদিন পড়েও তার মত রেজাল্ট করতে
পারেন না। তার মূল কারণ হচ্ছে আপনি দিন রাত পড়েন কিন্তু মনোযোগ থাকে না।
কিন্তু যে ছেলেটা ভালো রেজাল্ট করে সে দেখবেন অল্প সময় পড়ে তবে সে মনোযোগ সহকারে
পড়ে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন ছোট ছোট
বিরতি দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করার।
৬. নিজের পাশাপাশি অন্যকে শেখাতে চেষ্টা করা
নিজের পাশাপাশি অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় ধরুন আপনি ইংরেজি খুবই ভালো পারেন কিন্তু বলতে গেলে আটকে যান
আবার ইংরেজি পড়তে পড়তে বই ঝালাপালা করেছেন কিন্তু পরীক্ষার খাতায় প্রশ্ন দেখলে
দাঁত কামরিয়ে ওঠেন। আর সেজন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের পাশাপাশি
কাউকে শেখানো এর ফলে নিজের ভুল ত্রুটিগুলো চোখে পড়ে। হোক সেটা ফ্রিতে শেখানো।
তবে যে বিষয়ে শিখাতে চাচ্ছেন অবশ্যই সেই টপিকের উপরে বা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
পড়াশোনা করতে হবে। কেননা আপনি যদি বিষয়টি নাই বুঝেন তাহলে কেমন করে শেখাবেন এমন
প্রশ্ন আসতে পারে? সেজন্য চেষ্টা করতে হবে যে কোন টপিক ভালোভাবে
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে তারপর শেখানোর চেষ্টা করতে হবে।
৭.পড়াশোনার পরিবেশ শান্ত রাখা
আপনি যে স্থানটিতে পড়াশোনা করতে বসবেন অবশ্যই সেই স্থানটার পরিবেশ শান্ত রাখা
উচিত। কেননা আপনারা পড়াশোনা স্থানটিতে যদি কিচিরমিচির শব্দ, আড্ডা গান বাজনা
থাকে তাহলে আপনার পড়াশোনা মনোযোগ বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর পাশাপাশি আপনার পড়াশোনার
স্থানটি রাখতে পারেন নিরাপদ এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত। আপনার হাতে যদি সামান্য টাকা
থাকে তাহলে পড়ার টেবিলের পরিবেশটা কৃত্রিমভাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন এতে মনোযোগ আরো
বৃদ্ধি পেতে পারে।
৮. মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন
পড়াশোনাতে আপনার যদি মনোযোগ না থাকে তাহলে মেডিটেশন করতে পারেন। এতে আপনার মনোযোগ
বৃদ্ধি হতে পারে। কেননা মেডিটেশনের মাধ্যমে মন শান্ত হয়, ক্লান্তি দূর হয় এবং
মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। পড়াশোনার পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে এবং মানসিক
প্রশান্তি পেতে মেডিটেশনের কোন বিকল্প নেই। তাহলে চলুন খুব সহজে ঘরে বসে যেসব
মেডিটেশন করতে পারেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- মেডিটেশনের জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে সেটা হতে পারে বারান্দা, ছাদ এবং বাগান ইত্যাদি।
- মেডিটেশনের সময় অবশ্যই আপনার যাবতীয় কাজগুলো এবং ব্যস্ততাকে দূরে রাখতে হবে।
- বসার ক্ষেত্রে যেভাবে বসলে আপনি আরাম বোধ করতে পারেন সেভাবেই আপনি বসতে পারেন।
- আপনার মেরুদন্ড সোজা রাখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে গভীর নিঃশ্বাসের ফলে যাবতীয় জাগতিক চিন্তা গুলোকে দূরে রাখতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই পুরোপুরি ধ্যানে মগ্ন থাকতে হবে কখনো ধৈর্য হারা হলে চলবে না।
৯.পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল
ছাত্র জীবনে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একাডেমিক পড়াশোনার
পাশাপাশি ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান
যুগটা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর যুগ হওয়ায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক্স ডিভাইস এবং সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আসক্ত হওয়ার ফলে মনোযোগ ভঙ্গ হওযা অন্যতম
একটি কারণ
হয়ে দাড়িয়েছে। আর এর ফলে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রবণতা অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল ছাত্রছাত্রী কিংবা শিক্ষক রয়েছেন তাদের সম্মিলিত
প্রচেষ্টার মাধ্যমে মনোযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। চলুন তাহলে নিচে পড়াশোনায় মনোযোগ
বৃদ্ধির কিছু কৌশল উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- শ্রেণিকক্ষে অবশ্যই সময়ের সঠিক ব্যবহার করা উচিত
- পরিকল্পনা এবং সময় ব্যবস্থাপনার সম্পর্কে অনোর থাকা উচিত।
- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য সাপোর্ট থাকা প্রয়োজন।
- পড়াশোনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ নিরাসন করা উচিত।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা পরিচালনা করা উচিত
- ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গুলো গড়ে তোলা প্রয়োজন
১০. সারাদিন পড়াশোনা করার উপায়
মনোযোগের সাথে পড়াশোনার গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনি যদি সারা দিন নানান ধরনের
কাজ করেন সেক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখতে পাবেন আপনার পড়ামোনাতে মনোযোগ আসছে
না। যার ফলে হতাশা নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন চলে জাবে কিন্তু কাজের
কাজ হবে না। সারাদিন পড়াশোনায় আপনি যদি মনোঃসংযোগ স্থাপন করতে চান সেক্ষেত্রে
নিচে উল্লেখিত কাজগুলো করতে পারেন।
- একসঙ্গে একাধিক কাজ করা বাদ দিতে হবে
- কর্ম তালিকা তৈরি করতে হবে
- বিরতি দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে
- কাজেই সময়ে কাজ করতে হবে
- মস্তিষ্কের অবশ্যই অনুশীলন করতে হবে
- নিয়মিত শারীরিক যত্ন নিতে হবে
- পড়াশোনায় সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে
- একঘেয়েমিকে উপভোগ করা করতে হবে
- সময় অনুযায়ী কাজ করতে হবে
১১.ভালো ছাত্র হওয়ার উপায়
ভালো ছাত্র হলে সবাই প্রশংসা করে থাকেন আর তাই ভালো ছাত্র বা ছাত্রী হতে কে না
চায়। তবে এই শুধুমাত্র ভালো পড়াশোনা করলেন ভালো রেজাল্ট করলেন বলেই ভালো
ছাত্রছাত্রী হয়ে গেলেন এমনটা সঠিক নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি আচার-আচরণের দিক
দিয়েও আপনাকে অতুলনীয় হওয়া উচিত। তবেই আপনি ভালো ছাত্র হতে পারবেন। চলুন তাহলে
আর দেরি না করে ভালো ছাত্র হওয়ার কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- শ্রেণিকক্ষে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে
- পড়াশোনায় নোট করতে হবে
- প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন করতে হবে
- প্রশ্ন করতে হবে এবং সমাধান বের করা উচিত
- কোন বিষয় না বুঝলে তাৎক্ষণিক সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত
- পড়াশোনায় কঠোর পরিশ্রম করতে হবে
- পড়াশোনা বিকল্প কৌশল গুলো খুঁজে বের করতে হবে
- মনোযোগ বৃদ্ধিতে নিজের যত্ন নিতে হবে
- শ্রেণিকক্ষে সহপাঠীদের সাথে ভালো আচরণ করা উচিত
- শিক্ষকদের সন্মান করা উচিত
১২. পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায়
আপনি যেকোনো বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই পুরোপুরি মনোযোগ ও দেওয়া
প্রয়োজন পড়বে। বর্তমান সময়টা হচ্ছে এমন একটা যুগ আপনি যদি কোনো বিষয়ে অমনোযোগী
হয়ে ওঠেন তাহলে অন্যজন অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে
পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখার উপায় জেনে নিতে পারে।
- পড়াশোনা শুরুটা ধীরে ধীরে করতে পারেন
- আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম কিংবা মেডিটেশন করতে পারেন
- ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো আপনার পড়াশোনা টেবিল থেকে দূরে রাখতে পারেন।
- পড়াশোনার রুটিন করতে পারেন
- নিজের ইচ্ছায় শক্তি গুলোকে কাজে লাগাতে পারেন
- যেকোনো কাজেই মনোযোগ দেওয়া উচিত
- মনোযোগ বৃদ্ধিতে নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারেন
- সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত
- নিয়মিত শরীর-আর্চনা করা উচিত
লেখকের শেষ মন্তব্য
সম্মানিত প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সহজে জেনে
নিতে পারলেন যে, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় এবং ১২টি টিপস সম্পর্কে। আশা
করি উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো সম্পর্কে যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে
উপকৃত হতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করে রেখে দিতে পারেন কিংবা
বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url