ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৫ (জেনে নিন ১মিনিটে)
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে প্রায় অধিকাংশ মানুষ জানতে চান কিন্তু
কিভাবে খুলবেন সেই সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফাইবার
একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম সম্পর্কে আশা করি জেনে নিতে পারবেন।
অনলাইন প্লাটফর্মে ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ফাইবার প্লাটফর্ম।
কিন্তু কিভাবে ফাইবার একাউন্ট খুলবেন আপনারা যারা ধারণা রাখেন না, আজকের পোস্টটি
শুধুমাত্র তাদের জন্য বিস্তারিত নিচে জেনে নিতে পারেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পড়ুন
- ফাইবার কি?
- ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন
- ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ফাইবার মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজ রয়েছে
- ফাইবার থেকে ইনকাম করার উপায়
- ফাইবারে কি মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়?
- ফাইবারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় জানুন
- Fiverr থেকে Payoneer টাকা স্থানান্তর করতে কত সময় লাগে জানুন
- ফাইবারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন
- গিগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ জানুন
ফাইবার কি?
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে পারেন ফাইবার
কি সে সম্পর্কে। অনলাইন প্লাটফর্মের ফাইবার একাউন্ট থেকে আপনি যদি ভালো পরিমাণ
অর্থ ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে আপনাকে জানতে হবে ফাইবার
সম্পর্কে। ফাইবার হচ্ছে অর্থ ইনকামের জনপ্রিয় একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। বলতে
পারেন
তাইলে ফ্রিল্যান্সিং জগতের অন্যতম সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে Fiverr.ফাইবারে
আপনি অনেক ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাজগুলোর মধ্য হচ্ছে
- ট্রান্সলেশন
- আর্টিকেল রাইটিং
- টিশার্ট ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- এসইও
- এফলিয়েট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি
উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করে ফাইবার থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার দক্ষতায় এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে। আপনি কাজের উপরে
যত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন নিচে জেনে নেওয়া
যাক ফাইবারে কোন কাজের চাহিদাগুলো বেশি।
ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন
ফাইবারে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ফাইবারে কোন কাজের
চাহিদাগুলো বেশি সে সম্পর্কে জানাটাও প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জরুরি। কেননা
ফাইবারে কোন কাজগুলো চাইলে বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে যদি ধারণা না রাখেন, তাহলে
ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করা সম্ভব নয়। আর তাই দেরি না করে ফাইবারে যে কাজের
চাহিদাগুলো বেশি সে সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ
ফাইবারে যে সকল কাজগুলো রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ।
এসইও, জিমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনের মত কাজগুলো
করে এই সেক্টর থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর সেজন্য অবশ্যই
আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের উপরে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ
ফাইবারের গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভালো পরিমাণের চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স
ডিজাইন করে ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে, লোগো ডিজাইন,ব্র্যান্ডিং,ইলাস্টেশন ইত্যাদি।
ভিডিও এডিটিং এর কাজ
ভিডিও এডিটিং এর উপরে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ফাইবার থেকে আপনি ভালো পরিমাণ
অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। ফাইবারে ভিডিও এডিটিং কাজের ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা
রয়েছে।
লোগো ডিজাইনের কাজ
অনেক ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো ব্যবসা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে
আকর্ষণীয় লোগো পাওয়ার জন্য ফাইবার ব্যবহার করে থাকেন। লোগো ডিজাইনের চাহিদা
ফাইবারে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে তাই এই কাজের উপরে দক্ষতা অর্জন করলে ভালো পরিমাণ
অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন
মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কেননা ফাইবার থেকে আপনি চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি ফাইবার একাউন্ট খুলতে হবে।
কিন্তু ফাইবার একাউন্টে কিভাবে খুলবেন আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানেন না, আজকের
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।
- ফাইবার একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি স্মার্ট ফোন কিংবা পিসি থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে।
- এরপর সার্চবারে Fiverr.com লিখে চাপ দিতে হবে। দেখতে পাবেন আপনার সামনে একটি পেজ চলে আসছে দেখতে পাবেন পেজের উপরের দিকে ডান পাশে Join নামক একটি বাটন রয়েছে সেটিতে ক্লিক করতে হবে।
- Join বাটনে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন নতুন একটি পেজ ওপেন হয়েছে এবং সেগুলোতে আপনি নিচে যে অপশনগুলো রয়েছে তার মত ফাইবার একাউন্ট সাইন আপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশনগুলো পাবেন। Continue with Facebook, Continue with Google,Continue with Apple,Email e.t.c.
- উপরে উল্লেখিত email ব্যতীত বাকি যে তিনটি অপশন রয়েছে যে কোন একটিতে ক্লিক করলেই ফাইবার অ্যাকাউন্ট অটোমেটিকভাবে তৈরি করে দিবে এবং দেখবেন সরাসরি ফাইবারের ড্যাশবোধ রয়েছে সেখানে নিয়ে যাবে।
- এখন আপনি যদি কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করেন তাহলে আপনার সামনে আরেকটি পেয়ে যাওয়া চলে আসবে। এবং সেখানে Choose a Username and Choose a Password নামক বক্স দেখতে পাবেন। ওখানে আপনাকে আপনারই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তবে অবশ্যই হার্ড পাসওয়ার্ড দেওয়া উচিত।
- ইউজার নেম এবং হার্ড পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর Join বাটনে ক্লিক করে থাকেন তাহলে ফাইবার থেকে আপনাকে একটি লিংক পাঠানো হবে। এটা মূলত হচ্ছে ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই এর পদ্ধতি। তবে ভেরিফিকেশন করার সময় অবশ্যই সাইনআপ করার সময় যে gmail দিয়েছিলেন সেই একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এরপর একটিভ একাউন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে এভাবে আপনার একাউন্টে ভেরিফাই হয়ে যাবে।
- আপনারও প্রোফাইলটি গিক তৈরির পূর্বেই সম্পূর্ণ করা উচিত। প্রোফাইলে আপনার নাম ছবি এবং বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা আপনার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা উচিত। এছাড়াও আপনাকে এখানে স্কিল টেস্ট দিতে হবে। আপনার ভাষা এবং লোকেশন সিলেক্ট করতে হবে সাথে ব্যাংক একাউন্ট। উপরে উল্লেখিত যাবতীয় বিষয়গুলো দিয়ে আপনার ফাইবার একাউন্টটি পরিপূর্ণ করা উচিত।
ফাইবার মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজ রয়েছে
ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কি কি কাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ
প্রকাশ করেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কি কি
কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। ইতিমধ্য আপনারা উপরে
জানতে পেরেছেন ফাইবার কি এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে
ফাইবার মার্কেট যেসব ধরনের কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেই।
- ওয়েবডিজাইন
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
- আর্টিকেল রাইটিং
- অনুবাদ এবং সম্পাদনা
- ভিডিও এডিটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- টি-শার্ট ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ছবি এডিটিং
- সফিফাই ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি
ফাইবার থেকে ইনকাম করার উপায়
ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য প্রায় অধিকাংশ
মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনারা যারা ফাইবার থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়
সে সম্পর্কে ধারণা রাখেন না আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।
কেননা আজকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে ফলে ফাইবার থেকে কিভাবে আয় করা যায়
সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।ফাইবার হচ্ছে মূল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের
অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্লার্টফর্ম। আপনি মূলত যে সার্ভিসগুলো দিয়ে থাকেন সেগুলো
যদি সাজিয়ে রেখে গিক আকারে রাখতে পারেন সেক্ষেত্রে পছন্দ অনুযায়ী আপনাকে বেছে
নিতে পারে। যে কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বায়ারের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন সেগুলো সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- আপনি যে কাজগুলো খুব ভালো পারেন সে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
- এরপর অবশ্যই আপনাকে Fiverr Seller Account তৈরি করতে হবে।
- একাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার নিজের প্রোফাইল সেটিং এ গিয়ে আপনার প্রোফাইল পিকচার এবং আপনার যে কাজের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়গুলো সেটাপ করে নিতে পারেন।
- এরপর আপনাকে নিজের একটি ফাইবার গিক তৈরি করতে হবে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে এই গিকটা হচ্ছে যেটা করার মাধ্যমে আপনি ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন।
- ফাইবারে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন এবং কাজ করার বিনিময়ে বায়ারের কাছ থেকে কত টাকা নিতে চাচ্ছেন এবং কত সময়ের ভেতরে ডেলিভারি দিতে পারবেন সবগুলো আপনাকে ফাইবার গিক তৈরির সময় অবশ্যই দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর ক্লায়েন্ট আপনার ফাইবারে পাবলিশ করার গিক অনুযায়ী আপনাকে কাজ দেবে তখন কাজের বিনিময়ে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
- তবে একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো, প্রত্যেকটি কাজের সঙ্গে সঙ্গে ফাইবার দ্বারা যে কাজের দাম হয় সেটা বায়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেয়।
- আরে এজন্য আপনি যদি কাজগুলো সঠিকভাবে এবং সময়মতো করতে পারেন তাহলে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
- মূলত এভাবেই আপনি ফাইবার থেকে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
ফাইবারে কি মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায়?
ফাইবারে কি মোবাইল নিয়ে কাজ করা যায় সেই সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই
ইন্টারনেটের খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনটি
দিয়েও ফাইবারে কাজ করতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে ফাইবারে কি
কি কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো নিচে জেনে নিতে পারেন। তবে আপনার হাতে থাকা
স্মার্টফোনটি দিয়ে ফাইবারে কাজ করা ততটাও সহজ নয়। চলুন যে কাজগুলো করতে পারবেন
সেগুলো নিচে জেনে নেওয়া যাক।
- ভিডিও এডিটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- ফটো এডিটিং
- ট্রান্সলেশন ইত্যাদি
ফাইবারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় জানুন
আপনারা ইতিপূর্বে ফাইবার কি? ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফাইবার থেকে টাকা
ইনকামের উপায় সম্পর্কে উপরে জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা জেনে নিতে পারেন ফাইভারে
কিভাবে কাজ পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে। ফাইবার থেকে কাজ পাওয়ার অন্যতম পদ্ধতি
হচ্ছে গিক প্রকাশ করে কাজ নেওয়া। আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে
সেটা হচ্ছে আপনার গিক হচ্ছে একটি প্রপোজাল কিংবা প্রস্তাব সেখানে অবশ্যই আপনার
কাজের দক্ষতা গুলোকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে রাখতে হয়। এরপর এসইও করে নিজের
প্রোফাইলে পাবলিশ করতে পারেন।পাবলিশ করার পর অবশ্যই আপনাকে সব সময় চেক করতে হবে
ডাউন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে। কেননা বায়ার কিংবা ক্লায়েন্টরা যেন সার্চ করলে
যে
কোন সময় এটা তাদের সামনে চলে আসবে পারে। আপনার গিকের ভিতরে অবশ্যই বা বায়ার
কিংবা ক্লাইন্টের পছন্দ হলে তিনি কাজগুলো আপনাকে দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনার
প্রোফাইল দেখে যদি ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে মেসেজ দিবে সাথে
সাথে রিপ্লাই দিতে হবে। মূলত আপনি ফাইবার থেকে এভাবেই কাজ পেয়ে যাবেন, সেজন্য
অবশ্যই সজাগ
থাকতে হবে বারবার ক্লায়েন্টের মেসেজ রিপ্লাই সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে হবে। না হলে
আপনার এই কাজটি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আশা করি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন।
Fiverr থেকে Payoneer টাকা স্থানান্তর করতে কত সময় লাগে জানুন
ফাইবারে আপনি যদি একটি একাউন্ট খুলে থাকেন সেক্ষেত্রে ফাইবার থেকে
Payoneer টাকা হস্তান্তরের সময় সম্পর্কে জানা উচিত। যা আজকের এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। এটা বিষয়ে জেনে রাখা উচিত সেটা
হচ্ছে, ফাইবার থেকে আপনি সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে অবশ্যই বিদেশে কোন ব্যাংকের
সহযোগিতা নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিদেশি
ব্যাংক হচ্ছে Payoneer. এই Payoneer bank থেকে খুব সহজে বাংলাদেশ
ব্যাংকের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভিতরে টাকা তুলতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার দুই কর্মদিবস
থেকে সর্বোচ্চ সাত কর্ম দিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ফাইবারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন
ফাইবারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন তাদের
জন্য জানাটা অপরিহার্য। আরো সহজ করে যদি বলি ধরুন,পড়াশোনা শেষ করলেন তবে চাকুরী
করার ক্ষেত্রে অবশ্যই জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরির প্রয়োজন হয়। কেননা এই সিভি
চাকরি প্রত্যাশার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ঠিক তেমনি ভাবে কাজ করার
ক্ষেত্রে অবশ্যই গিগ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সকল ধরনের তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ
করা হয়।
গিগ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ জানুন
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে গিগ তৈরিতে
যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। ইতিমধ্য আপনারা উপরে
জানতে পেরেছেন ফাইবারে গিগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। যা কাজ পেতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে সকল বিষয়গুলো গিগ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হয়
সেগুলো নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হচ্ছে।
- গিগ রিকোয়ারমেন্টস
- গিগ ইমেজ
- গিগ ভিডিও
- গিগ ডিসক্রিপশন
- গিগ প্যাকেজ
- গিগ ক্যাটাগরি
- গিগ টাইটেল ইত্যাদি
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় ফ্রিল্যান্সার পাঠক ভাই ও বোনেরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফাইবার কি,
ফাইবারে যে কাজগুলো চাহিদা বেশি এবং ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এবং
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যারা আর্টিকেলটি
খুবই মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আশা করি কিভাবে একাউন্ট খুলবেন তার সহজ উপায়
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকতে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন
না।
মাহবুব আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url